এই আমটি ল্যাংড়ার চেয়েও অনেক সুমিষ্ট। এর টোটাল সলিউবল সুগার (টিএসএস) প্রায় ২১ শতাংশ। আর ল্যাংড়ার টিএসএস ১৭ থেকে ১৯ শতাংশ। ক্ষিরসাপাত অর্থাৎ হিমসাগরের মিষ্টতা ১৯ থেকে ২০ শতাংশ।
আশ্বিনা (ভিডিও)
সবচেয়ে নাবি জাত। বাজার থেকে সব ধরনের আম যখন শেষ হয়ে যায় তখন আশ্বিনা আম বাজার দখল করে।
গোপাল ভোগ
বাংলাদেশে অতি উৎকৃষ্ট জাতরে আমগুলোর অন্যতম হচ্ছে গোপালভোগ। কবে কোথায় এবং কাদের দ্বারা আমটি উদ্ভাবিত বা নির্বাটিত হয়েছিল সেটি এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
বাউ আম-৩
বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যারতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আব্দুল রসিদ ১৯৯০ সাল থেকে গবেষনা শুরু করে ২০০৯ সালে উদ্ভাবন করলেন ডায়াবেটিক্স রোগীদের জন্য উপযুক্ত বিশেষ একটি ফল বাউ আম-৩।
জালিখাস
ভারতের পশ্চিম বাংলায় মালদহ ও মুনসিবাদ জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিহার রাজ্যে জন্মে থাকে। বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার সামান্য কয়েকটি এলাকায় জন্মে।
কুয়া পাহাড়ী
মধ্য থেকে নাবি মৌসুমি জাত। আম অনেকটা ডিম্বাকৃতির, গড়ন মাঝারি। গড় ওজন ৩০০ গ্রাম। পোক্ত অবস্থায় কালচে বসুজ হয়। পাকলেও সবুজ থেকে যায়।
ডায়াবেটিক আম
বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যারতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আব্দুল রসিদ ১৯৯০ সাল থেকে গবেষনা শুরু করে ২০০৯ সালে উদ্ভাবন করলেন ডায়াবেটিক্স রোগীদের জন্য উপযুক্ত বিশেষ একটি ফল বাউ আম-৩।
ছোট আশ্বিনা (ভিডিও)
আশ্বিনার চেয়ে আকারে কিছুটা ছোট। দেখতে ও খেতে একই রকম। সবচেয়ে নাবি জাত। বাজার থেকে সব ধরনের আম যখন শেষ হয়ে যায় তখন আশ্বিনা আম বাজার দখল করে।
কাঁচামিঠা
মধ্য মৌসুমি জাতের আম। কাঁচা অবস্থায় খেতে মিষ্টি। আমের গড় ওজন ২২০-৩৩০ গ্রাম। অনেকটা লম্বাটে ধরনের। ত্বক মসৃণ, খোসা পুরু।
বারি-৩
এটি ভারতীয় সংকর জাতের আম। ভারত থেকে জাতটি আমদানি করে দীর্ঘদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাংলাদেশের আবহায়ার চাষবাদের উপযোগী বলে বিবেচিত হয়।
মিশ্রীকান্ত
উৎকৃষ্ট মানের একটি আম। এই জাতটি আশু অর্থাৎ জুন মাসের শুরুতেই পাকতে থাকে। আমটির আকৃতি লম্বাটে। নিন্মাংশে বাঁকা, অনেকটা ধনুকাকৃতির। পোক্ত হলে গাঢ় সবুজ বর্ণের হয়।
রগনী
উৎকৃষ্ট জাতের আম রগনী। জাতটি ভারতের পশ্চিম বাংলায় মুনসিবাদ জেলাতে চাষ হয়ে থাকে। বিহার অঞ্চলেও রগনী নামক জাতটির আবাদ হয়ে থাকে।
লক্ষণভোগ
প্মধ্য মৌসুমি জাতের আম। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাকা শুরু করে। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যায়। বাংলাদেশে যে, কয়েকটি অভিজাত শ্রেনীর অতি উপকৃষ্ট আম রয়েছে,
আম্রপলি (ছোট)
প্রতি বছর নিয়মিত ফল দেয়। ফলের শাঁস গাঢ় কমলা রঙের। আঁশহীন, মধ্যম রসালো,শাঁস ফলের শতকরা ৭০ ভাগ। গাছের আকৃতি মাঝারি। প্রতি গাছে ফলের সংখ্যা
সফেদা
উৎকৃষ্ট মানেই এই আমটি ভারতীয়। বড় আকারের আম। ওজনে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম। পাকলে আকর্ষনীয় কাঁচা হলুদ বর্ণ ধারন করে। এই আম নাবি জাতের।
লখনা
প্মধ্য মৌসুমি জাতের আম। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাকা শুরু করে। জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যায়। বাংলাদেশে যে, কয়েকটি অভিজাত শ্রেনীর অতি উপকৃষ্ট আম রয়েছে,
বারি আম-২
প্রতি বছর ফল ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জাত। ফলের ওজন গড়ে ২৫০ গ্রাম। ফলের খোসা মধ্যম পুরু ও মসৃন। বাংলাদেশের সবখানেই এ জাতটির চাষ করা যায়।
কালা পাহাড়
আমটি আদি নিবাস পশ্চিম বাংলায় (ভারত) মালদহ মুন্সিদাবাদ জেলায় বাংলাদেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বিশেষ করে শিবগঞ্জ উপজেলায়
সুন্দরী
ম্যধ মৌসুমি জাত। জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি পাকা শুরু হয়। আকার মাঝারি ওজন গড়ে ৩০০ গ্রাম। ত্বক মসৃণ। পাকলে লাল সিন্দুরের রং ধারণ করে। খোসা পাতলা, শাঁসের রং হলুদ।
বারি আম-৬
আমটি লম্বা আকারের, প্রতিটি আমের গড় ওজন ২৮০ গ্রাম, ১২ বছরের একটি গাছে ১৭০ কেজি আম উৎপাদিত হয়, জুন মাসের শেস সপ্তাহ হতে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আমটি সংগ্রহ করা হয়, পাকা অবস্থায় দেখতে হালকা হলুদ বর্নের ও শাঁসের রং হলুদ
আনোয়ার রাতাউল
ভারতের উত্তর প্রদেশে মিরাট নামে একটি জেলা রয়েছে। মিরাট নামের একটি শহর ও রয়েছে এই রাজ্যে। সেখানকার একটি গ্রামের নাম রাতাউল।
ফজলি
ফলের রাজা আম আর আমের রাজা ফজলী। আমের মধ্যে ফজলী আম সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সমাদৃত। আমটির উৎপত্তি ভারতের মালদহ জেলায়।
সুবর্ণরেখা
অতি আশু বা আগাম জাতের আম। দক্ষিন ভারতের এই আমটির অন্য নাম হচ্ছে চিন্না সুবর্ণরেখা, সিন্দুরী, সুন্দরী বা সন্ধুরী। উপকূলীয় এলাকায় চাষোপযোগী,
বোম্বাই
উন্নত জাতের মধ্যে বোম্বাই গুণে ও মানে চমৎকার একটি আম। বাংলাদেশে মেহরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোস, সাতক্ষীরা, এবং রাজশাহীর বাঘা, চাঘাট, চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় আমটির চাষ হয়ে থাকে।
ল্যাংড়া
বাংলাদেশে যে কয়টি অতি উৎকৃষ্ট জাতের আম রয়েছে এগুলোর মধ্যে ল্যাংড়া আম জনপ্রিয়তার বিচারে সবচেয়ে এগিয়ে। ভারতের বেনারসে এর উদ্ভব হয়েছে।
আম্রপলি (বড়)
আম্রপলির এ জাতের আম গুলাো সামান্য বড় হয়।আম্রপলি ভারতের একটি পরিকল্পিত উপায়ে সংকরজাত। দোশোহারী ও নীলাম এর মধ্যে সংকরায়ন করে আম্রপলি আম্রপলি জাত সৃষ্টি করা হয়েছে। এ আম্রপলি জাতের আম অতি সুস্বাদু এবং অতি উৎকৃষ্টমানের এমন কি ল্যাংড়া ও
বাবুই ঝাঁকি
বাবুই পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে গাছে বসে থাকে। এই আমটিও বাবুই পাখির মতো ঝাঁকে ঝাঁকে গাছে ঝুলতে থাকে। ক্ষুদ্রাকৃতির আমটি ১৫ থেকে ২০টিতে এক কেজি
ক্ষিরসাপাত
এই আমটিও বাংলাদেশের অতি উৎকৃষ্ট শ্রেনীর আমের জাতসমূহের একটি। অভিজাত শ্রেণীর এই আমটি আশু বা আগাম জাতের। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় এই ক্ষিরসাপাত।
মধু চুষকী
আমের ভরা মৌসুমে পাকে । আমটির আকার ছোট। ১৫০ থেকে ২০০ গ্রামের মধ্যে। পাকলে হালকা হলুদ রং নেয়।
বোগলা গুটি
বোগলাগুটী মধ্য মৌসুমি আম প্রায় ক্ষিরসাপাত আমের মতো দেখতে। বোগলাগুটী একেবারে গোলাকার গড়নের। ক্ষিরসাপাত সামান্য লম্বাটে ধরনের।