আমের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ ও প্রতিকার
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 78267
আম খেতে পছন্দ করে না এমন লোক বাংলাদেশে মিলবে কি না সন্দেহ আছে। কারণ একটাই- আম অনেক সুস্বাদু ফল। মোটামুটি সবাই আম খেতে পছন্দ করে বলে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ বেশ জনপ্রিয়।
আম খেতে পছন্দ করে না এমন লোক বাংলাদেশে মিলবে কি না সন্দেহ আছে। কারণ একটাই- আম অনেক সুস্বাদু ফল। মোটামুটি সবাই আম খেতে পছন্দ করে বলে বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ বেশ জনপ্রিয়।
তবে অনেকের বাড়িতে পারিবারিকভাবে দু’একটা আমগাছ থাকাও খুব স্বাভাবিক। যাদের বাড়িতে আমগাছ আছে কিংবা যিনি প্রথমবারের মত আমের চাষ করছেন তাঁরা প্রথম দিকে বেশ কিছু বিষয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন, যেমন- আমে মুকুল হয় কিন্তু প্রতিবছরই সব মুকুল ঝরে পড়ে, পাতায় অনাকাঙ্খিত অনেক দাগ দেখা যায়, আমের অঙ্গ বিকৃতি কিংবা আম সংগ্রহ করার পর বোটায় পঁচন ধরে ইত্যাদি বিষয়। এসব বিড়ম্বনা থেকে আগে-ভাগেই বাঁচতে হলে আমের গুরুত্বপূর্ণ কিছু রোগ সম্পর্কে ধারণা থাকা খুবই প্রয়োজন। আমের এসব গুরুত্বপূর্ণ কিছু রোগ সম্পর্কে বললেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ রসিদুল ইসলাম-
আমের আনথ্রাকনোজ (Anthracnose of mango)
কারণঃ Colletotrichum gloeosporioides
লক্ষণঃ ১. পাতায়, কান্ডে, মুকুলে ও ফলে এই রোগ দেখা যায় ২. পাতায় অনিয়মিত দাগ দেখা যায় যেগুলো পরে বাদামী থেকে কাল হয়ে বড় বড় দাগের সৃষ্টি করে এবং পাতা ঝরে যায় ৩. মুকুল কালো হয়ে যায় এবং গুটিগুলো পড়তে থাকে ৪. পাকা আমে স্পষ্ট দাগ দেখা যায় যেগুলো পরবর্তীতে বড় হয়ে আমে পঁচন ধরায়।
দমনঃ ১. মুকুল আসার আগে টিল্ট ২৫০ ইসি @ ০.৫ মিলিলিটার/ লিটার বা ডায়থান এম ৪৫ @ ২ গ্রাম/লিটার ¯েপ্র করতে হবে ২. বোরডোয়াক্স মিশ্রণের ১% দ্রবণ ১০-১২ দিন পর পর ৩-৪ বার ¯েপ্র করতে হবে।
বোটা পঁচা রোগ (Stem end rot)
কারণঃ Botryodiplodia theobromae
লক্ষণঃ ১. সবচেয়ে মারাত্মক রোগ, প্রথমে বোটার দিকে পঁচন ধরে পরে পুরো ফলটি পঁচে গিয়ে কাল বর্ণ ধারণ করে ২. প্রথমে গাছে থাকা অবস্থায় জীবানুটি মুক্ত অবস্থায় থাকে পরে আম সংগ্রহের পরে উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় রাখা হলে আক্রান্ত আমের পাল্পগুলো বাদামী হয়ে যায় যা আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না।
দমনঃ ২. প্রায় ২-৩ সে.মি. বোঁটা রেখে আম সংগ্রহ করতে হবে। ২. ডায়থান এম ৪৫ অথবা বেভিসটিন (০.২%) ¯েপ্র করতে হবে।
পাউডারি মিলডিউ (Powdery mildew)-
কারণঃOidium mangiferae
লক্ষণঃ ১. আক্রান্ত আম গাছের পাতায় সাদা পাউডারের মত গুঁড়া দেখা যায়, পরে আক্রান্ত স্থানের টিস্যুগুলো মারা যায় এবং কালো বর্ণ ধারণ করে, ২. আক্রান্ত আমের মুকুল বা গুটি ঝড়ে পরে।
দমনঃ ১. থিওভিট বা সালফার জাতীয় যেকোন ছত্রাকনাশক (০.২%) ব্যবহার করতে হবে।
স্যুটি মোল্ড (Shooty mould)-
কারণঃ Capnodium mangiferae
লক্ষণঃ ১. পাতা, ফল, মুকুল আক্রান্ত হলে কালো কালো দাগ পড়ে যায়।
দমনঃ ১. স্যুটি মোল্ড দমনে সালফার (৪ গ্রাম/লিটার) ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমের অঙ্গ বিকৃতি বা ম্যালফরমেশন (Mango malformation)
কারণঃ Fusarium moniliforme
লক্ষণঃ ১. এটা সাধারণত মুকুলে হয় তবে ডালের আগায়ও হতে পারে ২. আক্রান্ত মুকুল কালো হয়ে যায় এবং মুকুলগুলো একীভূত হয়ে জটলার সৃষ্টি করে।
দমনঃ ১. আম ধরার ৮০-৯০ দিন আগে ন্যাপথেলিক এসিটিক এসিড ¯েপ্র করতে হবে ২.আক্রান্ত স্থানে কার্বোন্ডাজিম (১ গ্রাম/ লিটার পানি) স্প্রে করতে হবে।
Comments
- No comments found
Leave your comments