করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আম গাছ থেকে ঝড়ছে মধু গুজব?
চাঁদপুর সহ সারাদেশব্যাপী আম গাছ থেকে মধু ঝড়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে আম গাছের পাতা থেকে মধু ঝড়ে পড়ার ঘটনায় চাঁদপুর শহরে তোলপাড় চলছে। কেউ কেউ বলছে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়া মধু সেবন করলে নাকি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই গুজবে বিশ্বাস করে চাঁদপুর শহরে যততত্র আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়া মধু ভেবে অনেকেই এ কশ সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
ফজরের নামাজের পর থেকে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় যেসব আম গাছে মুকুল ছিল ওইসব গাছের নিচ থেকে মানুষ মধু সংগ্রহ করে। সরজমিনে শহরের আলিমপাড়া, পালপাড়া, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, স্ট্যান্ড রোড, মমিন পাড়া, প্রফেসর পাড়া, নাজির পাড়া এলাকায়ও আম গাছ থেকে মধু ঝড়ছে ভেবে সাধারণ মানুষ তা সংগ্রহ করে। কয়েকজনের সাথে সকালে আলাপ করলে তারা জানান, আমরা শুনেছি স্বপ্নে নাকি আদেশ দিয়েছে আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়া মধু সংগ্রহ করে খেলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেজন্য আমরা আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়া মধু খেয়েছি। এমনিভাবে চাঁদপুর ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আম গাছ থেকে মধু ঝড়ছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে। আবার কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে এই মধু খেলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এমন পোস্টও ছাড়া হয়েছ। এতে করে দেশবাসীর মধ্যে মারাত্মকভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। এসব গুজব থেকে রক্ষা পেতে সচেতন মহল সকলকে অনুরোধ করছেন।
মূলত আম গাছ থেকে মধু ঝড়ার বিষয়টি নিয়ে কৃষিবিদদের ধারণা এক ধরনের পোকা নিস্ফ ও পুন্য বয়স্ক অবস্থায় আমগাছের সকল কচি অংশ থেকে রস খেয়ে বেঁচে থাকে। নিঃস্ফগুলো আমের মুকুল থেকে রস চুষে খায় এতে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝড়ে পড়ে। একটি হপার পোকা দৈনিক তার দেহের ওজনের ২০ গুণ পরিমাণ রস চুষন করে খায়। এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত আঠালো রস মলদার দিয়ে বের করে দেয়। যা মধুর রস বা হানিডিও নামে পরিচিত। এ মধুরস মুকুলের ফুল ও গাছের পাতায় জমা হয়ে থাকে। যার উপর এক প্রকার ছত্রাক জন্মায়। এই পোকার আক্রমণে আমের উৎপাদন শতভাগ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। হপার পোকার আঠালো রস মলদ্বার থেকে বের করে দেওয়া এই মধু।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: https://www.crimeaction24.com
গাছে গাছে আমের মুকুল, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আমবাগানগুলো মুকুল মুকুলে ছেয়ে গেছে হাঁসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। হলুদে হলুদে ভরে উঠেছে সবুজ সমারোহ বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ জানান দিচ্ছে, আসন্ন মৌসুমে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা পাবে বলে আশাবাদী ব্যাবসায়ীরা ।
ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার মাটি তুলনামুলক উঁচু এবং চতুর্দিকে সমান মাটির প্রকৃতি বেলে ও দোআঁশ। এসব জমিতে কয়েক বছর আগেও চাষীরা গম, ধান ,পাট ইত্যাদি আবাদ করতেন বেশি বেশি। কিন্তু ধান গম আবাদ করে তেমন একটা লাভবান হওয়া যায় না। তাই ঠাকুরগাঁও জেলার কয়েকটি উপজেলার চাষিরা আম বাগান গর্তে উরু করেছে বালিয়াডাঙ্গী,পীরগন্জ, রানীশংকৈল এলাকায় গত ১০ বছরে ব্যাপক আমবাগান গড়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৩ হাজার বাগান গড়ে উঠেছে। ওইসব এলাকার রাস্তা দিয়ে যেতেই এখন অসংখ্য আমবাগান চোখে পড়ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলার বিখ্যাত আমের নাম সূর্যপুরী ও গোপাল ভোগ হিমসাগর এটি সাধারণত বালিযাডাঙ্গী এলাকায় চাষ হয়। বিশেষ করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী এলাকায় রয়েছে বিশাল একটি আমগাছ। প্রায় ২ বিঘা জমি জুড়ে গড়ে উঠা ওই আমগাছকে ঘিরে দর্শনার্থীদের ভীড় জমে ওঠে প্রায় প্রতিদিনই।এইগাছের আমটি সূর্যপুরী। এ আম ইতোমধ্যে সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। পাতলা আটি আর সুমিষ্ট গন্ধ যেন মন কেড়ে নেয়।
এছাড়াও একবিঘা জমিতে অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে যে লাভ হয় আমবাগান করে তার চাইতে কয়েকগুণ লাভবান হওয়া যায় বলে জানিয়েছে রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষক সাইফুর রহমান কয়েক বিঘা জমিতে আমের বাগান করেছেন তিনি। গতবছর তিনি তার বাগান থেকে সারাদেশে বিষমুক্ত আম সরবরাহ করেন। তার মতো অনেক কৃষক এখন বাণিজ্যিক ভাবে আম্রপালি আমের বাগানের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এসব বাগানে গাছ লাগানোর ২/৩ বছরের মধ্যেই আম পাওয়া যায়। লাগাতার ফল দেয় ১০/১২ বছর। ফলনও হয় ব্যাপক। শুধু আম্রপালি ছাড়াও এ এলাকায় হাড়িভাংগা, গোপাল ভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি ও হিমসাগর আমের আবাদ হচ্ছে। বাগানগুলোতে আম গাছের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে গম আমন ধান এবং অন্যান্য ফসলেরও আবাদ করছেন চাষীরা। ইতোমধ্যে বাগানগুলোতে ব্যাপক মুকুল এসেছে। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছগুলো। হলুদের আভা ধারণ করেছে আম বাগানগুলো।
অনেকে বাগান করে আগাম বিক্রি করে দিচ্ছেন ফল ব্যবসায়ীদের কাছে। বড় বড় অনেক আম বাগান দুই-তিন বছর কিংবা তার অধিক সময়ের জন্য অগ্রিম বিক্রি হয়ে যায়। কিছু বাগান বিক্রি হয় মুকুল দেখে। আবার কিছু বাগান বিক্রি হয় ফল মাঝারী আকারের হলে। বাগানের পাশ দিয়ে হাঁটলেই মুকুলের ঘ্রানে মন প্রাণ ভরে উঠে।
রাণীশংকৈল উপজেলার ৮ নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের আম বাগান ব্যবসায়ী এরশাদ আলী জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার ব্যাপক মুকুল দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা বলছেন, মুকুল দেখে আশা করা যায় এবার আমের ব্যাপক ফলন হবে। শিলাবৃষ্টি বা ঝড়ঝঞ্জা না হলে ব্যাপক আমের ফলন পাওয়া যাবে বলে জানান বাগান মালিকেরা।
একই এলাকার আম বাগান মালিক খলিলুর রহমান ও বেলাল উদ্দীন জানান, গত বছর ২৭ বিঘার বাগানে ৫৩ লক্ষ টাকার আম বিক্রি করেছিলাম। এ বছর যে হারে মুকুল এসেছে, তাতে ৭০/৮০ লক্ষ টাকার আম বিক্রি করা যাবে।
কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম জানান, ছত্রাকে যাতে মুকুল নষ্ট না হয় সেজন্য নাশক হিসেবে ইমাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম ও সাইপারম্যাক্সিন গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে এক মিলি লিটার মিশিয়ে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মুকুল গুটিতে পরিণত হওয়ার সময় একই মাত্রায় দ্বিতীয়বার স্প্রে করতে হবে।
রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেব নাথ জানান, রাণীশংকৈল উপজেলার সূর্যপুরী আম সারাদেশে সুনাম রয়েছে। এখানকার আমে পোকা থাকে না, এটা এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট। আমের আকার দেখতে ছোট হলেও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং কালবৈশাখী বা ঝড়ঝঞ্জা না হলে ব্যাপক ফলন আশা করা যাচ্ছে।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: http://sunbd24.com
ব্লগার লগ ইন
ব্লগ পুঞ্জিকা
ব্লগ ট্যাগ
আরও পড়ুন
-
আম উৎপাদনে শীর্ষ দশে বাংলাদেশ
-
হাড়িভাঙ্গা আমের অজানা ইতিহাস
-
রসগোল্লা দিবস স্পেশাল: আম রসগোল্লা
-
আমের নতুন রাজধানী নওগাঁর সাপাহার
-
১ কেজি আমের দাম সাড়ে ৩শত টাকা বাংলাদেশের মুকুলের মৌসুমে বাজারে ভারতীয় মনলোভা রং’র পাকা আম
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের বাজার জমে উঠেছে : দাম নাগালের মধ্যে
-
খাগড়াছড়ির যে বাগানে ৭০ প্রজাতির আম গাছ
-
আম বাগানের মাছি পোকা দমনে পিঁপড়া
-
বিলেত গেলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফ্রুট ব্যাগিং আম
-
বারমাসি আম ( 12 Masi Mango )
-
মানুষ অতীতকালে আম পাকাতে বরুন গাছের পাতা ব্যবহার করতেন
-
কুয়েতের মরুভুমিতে বাংলাদেশের আম গাছ ‘বিমান’
-
ই আম চাষ করলেই হবেন মালামাল! বছরভর বিরাট লাভের মুখ দেখলেন চাষি
-
কলকাতার বাজারে আমবাঙালির আম-চেতনায় আমের উৎসব
-
বারমাসী আমের বাগান
-
বাচ্চাদের জন্য আমের সহজ রেসিপিগুলি
-
ফলের রাজা আম
-
কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন প্রতিবন্ধী খায়রুলের
-
সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় অনেক আম নষ্ট হচ্ছে
-
এবার বাংলাদেশের আম যাবে তুরস্কে
-
অপরিপক্ক আম বাজারজাত করলে কঠোর ব্যবস্থা
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টি, আমের জন্য বেশ ভালো
-
অনলাইনে আম বেচতে আমের মর্কেটিং কিভাবে করতে হয়
-
জেলায় আম বিকোচ্ছে জলের দরে
-
রেসিপি: আম ইলিশ
-
আম গাছের রোগ প্রতিকার ও কীট ব্যাবস্থাপনা
-
ফরমালিন মেশানো আম খেয়ে একই পরিবারের চারজন হাসপাতালে
-
কুমিল্লার চারপাশে গাছে গাছে আমের মুকুল
-
আম সংগ্রহ থেকে রপ্তানি পর্যন্ত নিরাপদ ব্যবস্থাপনা
-
আম বাগানে আনারস চাষ
-
আমের ভাল ফলন নিশ্চিত করতে এ সময়ে করণীয়
-
খরতাপে আম ঝরছে
-
এই সময়ে বাজার থেকে আম কিনছেন, সাবধান এ ভুল করবেন না!
-
নওগাঁয় গাছে গাছে আামের মুকুলের সমারোহ
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমের মুকুলে, ফলন নিয়ে শঙ্কা
-
প্রেসক্লাবে ঠিকাদার ও আম ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন
-
চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করে সফল উদ্যোক্তা সাইদ ভাই
-
অনলাইনে জমজমাট আমের ব্যবসা
-
ধ্বংস করা হলো বিপুল পরিমাণ ফল, আগোরাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
-
প্রনিং পদ্ধতিতে ফলজ গাছ ছাটাই
-
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অনুরোধ - ত্রাণের সঙ্গে আম দিতে হবে
-
ডিসেম্বরেই আমের বাম্পার ফলন
-
হেলথ টিপস : আমের উপকারিতা
-
গর্ভাবস্থায় আম খাওয়ার ঝুঁকি আছে
-
আম-ফুচকা খাবেন নাকি? পুজোয় ভাইরাল ম্যাঙ্গো ফুচকা! জানুন কোথায় পাবেন
-
আমের প্রধান ক্ষতিকারক পোকাসমুহ ও তাদের দমন ব্যবস্থাপনা
-
লকডাউনে মাথায় হাত আম চাষিদের
-
আম কুড়াতে সুখ
-
ডিজিটাল আমের ব্যবসায় সাফল্য
-
অনলাইনে জমজমাট আমের বাজার
সর্বশেষ মন্তব্য
-
আর খাইয়েন না। এক লাখ পুরা হলেই আজরাইল এসে ধরবে।
Written by মিজানুর on Friday, 29 May 2020 16:47 এক বসাতে ১০০ ল্যাঙড়া আম খেয়েছি – লোটাস কামাল
- Nice post, very interesting. Good work , If you have…
- এই আম কোন মাসে পাকে
- I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
- I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
- How can this be done?
- মনজুরুল হক ভাইয়ের নাম্বারটা দেবেন
- হিমসাগর কত করে??
- 5kg am lak ba gser
- আঁচার আমার খুব পছন্দের। আমি একদিন এটা বানিয়ে নিব। ধন্যবাদ।
- খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ লেখককে।
- ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে আপনার জার্নির কথা শুনে... আর আমরা ঘরে…
- চিন্তা করা যায়??
- কৃষি কর্মকর্তারা কি বেতন খাচ্ছে আর ঘুমা্চ্ছে....
- আমার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে.. আমি কি আম চাষ করতে পারবো?