ভিনিয়ার কলম
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 13336
ভিনিয়ার কলম পদ্ধতিটি অত্যন্ত সফল। এটি জোড় কলম পদ্ধতির চেয়ে অনেক সহজ এবং কম শ্রম ব্যয় করতে হয়। আমের অঙ্গজ বংশ বিস্তারের এই পদ্ধতিটির জন্য এক থেকে দুই বৎসর বয়সী চারা আদিজোড়
ভিনিয়ার কলম পদ্ধতিটি অত্যন্ত সফল। এটি জোড় কলম পদ্ধতির চেয়ে অনেক সহজ এবং কম শ্রম ব্যয় করতে হয়। আমের অঙ্গজ বংশ বিস্তারের এই পদ্ধতিটির জন্য এক থেকে দুই বৎসর বয়সী চারা আদিজোড়
হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকাল এবং বর্ষাকাল ভিনিয়ার কলম করার উপযুক্ত সময়। বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ মাসকে এই কাজের জন্য ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল।
প্রথমে কাঙ্খিত মা গাছ থেকে ৩-৪ মাস বয়সের প্রান্ত শাখা বা সায়ন সংগ্রহ করতে হয়। চারার বয়স এক বছরের হলে সর্বোত্তম। চারাটি সতেজ এবং রোগমুক্ত হতে হবে। মাটি থেকে ১৫-২৫ সে.মি. উঁচুতে চারার যে কোনো এক পাশে ৩-৫ সে.মি. লম্বা করে উপর থেকে নিচে তীর্যকভাবে বাকলসহ কাঠের সামান্য অংশ ধারালো চাকু দআবরা কাটতে হবে। সায়নটিও অনুরুপ মাপে কাটতে হবে। এরপর আদিজোড় ও সায়নের কাটা অংশ মুখোমুখি করে মিলিয়ে এমনভাবে মিশাতে হবে যাতে ভিতরে ফাঁক না থাকে। এরপর সুতলি দিয়ে শক্ত করে পেচিয় বেঁধে দিতে হবে। সায়নটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে আদিজোড়ের সাথে সায়ন জোড়া লেগে যাবে। সায়নের কুড়ি ফুটে নতুন পাতা বের হবে। এসময় পলিথিন খুলে দিতে হবে। সায়নের নতুন পাতা যখন আস্তে আস্তে বড় হয়ে সবুজ রং ধারণ করবে তখন আদিজোড়ের উপরের (জোড়া লাগা থেকে ৩-৫ সে.মি. উপরে) এক-তৃতীয়াংশ কেটে দিতে হবে। এতে সায়নের বৃদ্ধি দ্রুততর হবে। এর এক সপ্তাহ পর আদিজোড়ের উর্ধাংশের পাতা ও ডাল সম্পূর্ণরূপে কেটে সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর আদিজোড়ের সাথে সায়নটিই হয়ে দাঁড়াবে কলমের আমগাছ।
কলমের জন্য গাছ যদি বীজতলায় জন্মানো হয়ে থাকে এবং কলম করার পূর্বে টবে বা পলিবেগে উঠানো না হয়ে থাকে, তাহলে পরের বছর মৌসুমি বৃষ্টিপাত শুরু হবার পরপরই এগুলোকে ‘খাসি’ করে নিতে হবে। এর কিছুদিন পর ‘বল’ খুব সাবধানতার সাথে তুলে শন বা খড় দ্বারা মুড়ে,উপরে-নিচে শক্ত করে বাঁধতে হবে। এগুলো ছাযায রেখে নিয়মিত পানি দিতে হবে। গাছগুলো কয়েক দিনের মধ্যেই বেশ সতেজ হলে রোপণের জন্য বিতরণ করা যাবে।
Comments
- No comments found
ফজলি আপডেট
- অনলাইন আম সেলারদের তালিকাঃ
- আমের জন্য ই-কমার্স ব্যবসা: কিভাবে করবেন বিস্তারিত জনুন
- আমের ই-কমার্স ব্যবসা কি ভাবে শুরু করা যায়? | আমের ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন
- চালু হতে যাচ্ছে ই-আম সেলারদের প্লাটফরম
- ই-ক্যাব ফেক ক্রেতার একটা লিস্ট তৈরি করতে পারে
- Bangladesh Rapid eTrade Readiness Assessment
- একটি সফল ই কমার্স ওয়েবসাইট এর হোমপেজ
- একটি প্রতারণার এবং অন্যদের প্রতি সাবধানতা
- খুব শীঘ্রই ৬৪ জেলায় হবে ই-কমার্স ওয়্যার হাউস
- আমার পেজ এর পিক অন্য পেজে ব্যবহার করছে
- কিভাবে ফেসবুক পেজ বিজনেসের জন্য ব্যাবহার করবেন
- ই-ব্যবসার পাইকার জিলিঙ্গো আসছে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ নিয়ে
- মার্কেটিং নয় যেন টাকা ছাপানোর লাইসেন্স হাতে পাওয়া
- ফেসবুকে এড দিলে লাইক কমেন্ট আসে কিন্তু সেল আসে না। কি করবেন?
- আমি আধা পাকা কলা দেয়ার কথা উল্লেখ করে দিলেও তারা পাকা গলা কলা নিয়ে আসে
- স্যামসাং অফিসিয়াল কেউ কি আছেন, কিছু কি করবেন?
- ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৪৮১০০ টাকা ছিল সেটি এখন ৬% মূল্যছাড়ে ৫৩০০০ টাকা
- ড্রপশিপিং কোম্পানীগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভেন্ডর ম্যানেজমেন্ট
- ২০১৯ সালে ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য ৯ টি প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান
- লোকাল বিজনেসের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যাজিক

Leave your comments