দারসবাড়ী মসজিদ ও মাদ্রাসা (ভিডিও)
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 11989
ছোট সোনামসজিদ ও কোতোয়ালী দরজার মধ্যবর্তী স্থানে ওমরপুরের সন্নিকটে দারসবাড়ী অবস্থিত।
ছোট সোনামসজিদ ও কোতোয়ালী দরজার মধ্যবর্তী স্থানে ওমরপুরের সন্নিকটে দারসবাড়ী অবস্থিত।
পুরুষানুক্রমে স্থানীয় জনসাধারণ এই স্থানকে ‘দারসবাড়ী’ বলে থাকেন। বর্তমানে এই স্থান পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দর্স অর্থ পাঠ। সম্ভবতঃ একসময় মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসা ছিল এখানে। ঐতিহাসিক অনুসন্ধানের সময় মুনশী এলাহী বখশ কর্তৃক আবিস্কৃত একটি আরবী শিলালিপি অনুযায়ী (লিপি-দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ৩ ইঞ্চি, প্রস্থ ২ফুট ১ ইঞ্চি) ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে (হিজরী ৮৮৪) সুলতান শামস উদ্দীন ইউসুফ শাহের রাজত্বকালে তাঁরই আদেশক্রমে এই মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইট নির্মিত এই মসজিদের অভ্যন্তরের আয়তক্ষেত্র দুই অংশে বিভক্ত।
এর আয়তন ৯৯ ফুট ৫ ইঞ্চি, ৩৪ ফুট ৯ ইঞ্চি। পূর্ব পার্শ্বে একটি বারান্দা, যা ১০ ফুট ৭ ইঞ্চি। বারান্দার খিলানে ৭টি প্রস্ত্তর স্তম্ভের উপরের ৬টি ক্ষুদ্রাকৃতি গম্বুজ এবং মধ্যবর্তীটি অপেক্ষাকৃত বড় ছিল। উপরে ৯টি গম্বুজের চিহ্নাবশেষ রয়েছে উত্তর দক্ষিণে ৩টি করে জানালা ছিল। উত্তর পশ্চিম কোণে মহিলাদের নামাজের জন্য প্রস্তরস্তম্ভের উপরে একটি ছাদ ছিল। এর পরিচয় স্বরূপ এখনও একটি মেহরাব রয়েছে। এতদ্ব্যতীত পশ্চিম দেয়ালে পাশাপাশি ৩টি করে ৯টি কারুকার্য খচিত মেহরাব বর্তমান রয়েছে। এই মসজিদের চারপার্শ্বে দেয়াল ও কয়েকটি প্রস্তর স্তম্ভের মূলদেশ ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট নেই । এ মসজিদটিও বাংলার প্রথম যুগের মুসলিম স্থাপত্যের কীর্তির একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন। এখানে প্রাপ্ত তোগরা অক্ষরে উৎকীর্ণ ইউসুফি শাহী লিপিটি এখন কোলকাতা যাদুঘরে রক্ষিত আছে। জেনারেল ক্যানিংহাম তার নিজের ভাষাতে একে দারসবাড়ী বা কলেজ বলেছেন। এ ঐতিহাসিক কীর্তির মাত্র কয়েকগজ দূরে ভারতীয় সীমান্ত।
দারসবাড়ী মসজিদের প্রস্তর লিপিঃ
১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে এ স্থানে একটি জঞ্জাল স্ত্তপের নিচে মুন্সী এলাহী বখশ ১১ফুট ৩ ইঞ্চি ও ২ ফুট ১ ইঞ্চ উচু একটি তোঘরা লিপি প্রাপ্ত হন। এটা এখন কলকাতা যাদুঘরে রক্ষিত আছে। নম্বর-৩১৩৯। লিপিটির বিপুল দৈর্ঘের কারণে একে দু’ভাগ করতে হয়েছে। লিপির অর্থ হচ্ছে-
‘‘সর্বশক্তিমান আল্লাহ বলেন- নিশ্চয়ই সব মসজিদ আল্লাহর, সুতরাং আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না।’ নবীও বলেছেন, আল্লাহর জন্য যে একটি মসজিদ নির্মাণ করে, আল্লাহ তার জন্য বেহেস্তে অনুরূপ একটি প্রাসাদ তৈরী করবেন। এই জামে মসজিদ ন্যায় পরায়ণ ও মহান সুলতান, জনগণ ও জাতি সমূহের প্রভু, সুলতানের পুত্র সুলতান, তাঁর পুত্র সুলতানের পুত্র শামসুদ্দুনীয়া ওয়াদ্দীন আবুল মুজাফ্ফর ইউসুফ শাহ সুলতান, পিতা বরবক শাহ সুলতান, পিতা মাহমুদ শাহ সুলতান কর্তৃক নির্মিত। আল্লাহ তার শাসন ও সার্বভৌমত্ব চিরস্থায়ী করুন এবং তার উদারতা ও উপচিকীর্ষা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক। তারিখ ৮৮৪ হিঃ’’
Comments
- No comments found
ফজলি আপডেট
- গৌড় নগরীর জন্ম
- গৌড় নগরীর শেষ পরিনতি
- সকল হাফিজ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৫০% ফ্লাট মুল্যছাড়
- দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে একাধারে তিন চিল্লা দিয়েছেন এমন পরিবারের জন্য পরিবারের জন্য কুরিয়ার খরচ ফ্রি
- হাফিজ ও আলেম পরিবারের জন্য কুরিয়ার ফ্রি
- সাল লাগানো আলেম পরিবারের পরিবারের জন্য কুরিয়ার ও প্যাকেজিং খরচ ফ্রি
- সরকারী মেডিক্যাল কলেজ এর সকল শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য ১০% ফ্লাট মুল্যহ্রাস
- সকল হাফিজ পরিবারের জন্য প্যাকেজিং খরচ ফ্রি
- সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য কুরিয়ার খরচ ফ্রি
- মাদ্রাসা পড়ুয়া সকল ছাত্রদের পরিবাবের জন্য ১০% মুল্যহ্রাস
- প্রতিবন্ধী পরিবারের জন্য কুরিয়ার ও প্যাকেজিং খরচ ফ্রি
- ঢাকায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য হোম ডেলিভারি ফ্রি
- চিল্লায় সফরে আছেন এমন পরিবারের জন্য হোম ডেলিভারি ফ্রি
- আমাদের পুরানো গ্রাহকদের জন্য ৳২০০ টাকা ইনস্ট্যান্ড ক্যাশব্যাক
Leave your comments