তিনগুণ দামে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে আম
জুমবাংলা ডেস্ক: পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মে মাসের ১৩ তারিখ থেকে রাজশাহীর বাজারে এসেছে সুমিষ্ট আম। গুটি আম দিয়ে শুরু হলেও গোপালভোগ আমের দিকে নজর ছিল সবার। তবে, গতবছরের তুলনায় বাজারে দ্বিগুণ দাম আমের। কিন্তু খুচরা বাজারে আরো একগুণ বেড়ে তিনগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে আম। এগ্রিকেয়ার২৪.কম-এর প্রতিনিধি মেহেদী হাসানের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিস্তারিত।
চাষিরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমের মুকুল ঝরে পড়েছে। বাগানে আমের পরিমাণ ৫০ শতাংশেরও কম। আমের উৎপাদন কমে যাওয়ায় মৌসুমের শুরু থেকেই চড়া দামে বিক্রি করতে পারছেন। প্রথম দিন থেকেই রাজশাহীর বাজারে বিভিন্ন গুটি ও গোপালভোগ আম উঠেছে। তবে, গোপাল আম বেশিদিন বাজারে থাকে না। বর্তমানে গোপালভোগ ৪০ শতাংশ বাজারে আছে।
রাজশাহীর সাহেবাজার কাঁচাবাজার, উপশহর নিউমার্কেট, রেলগেট, স্টেশন, শালবাগানসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে আম। খুচরা বিক্রেতারা ভ্যানে করে বিক্রি করছেন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে।
সোমবার সকালে শালবাগান আড়ত থেকে গোপালভোগ আম নিয়ে উপশহর এলাকায় বিক্রি করছেন সাইফুল।
। তিনি বলেন, গাছে এবার আম খুব কম। তাই দাম বেশি। গোপালভোগ আম বিক্রি করছি ৭০ টাকা। অনেককে ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা বললেও দিচ্ছি।
আমের আকার ও রং অনেকটা ভালো আমের চেয়ে কম। যে আম বানেশ্বর বাজারে রিজেক্ট (ক্যাট) আম বলে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে সেই একই আম রাজশাহীর খুচরা বাজারে ৮০ টাকা কেজি! তারপরও এসব আম পাইকারি বাজারের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিনছেন অধিকাংশ মানুষ। তারা বলছেন, সবকিছুর দাম বেড়েছে আমের দাম কম থাকে কি করে। আর এবার গাছে তেমন আম নেই। ব্যবসায়ীদের কাছে আম কিনতে গেলে তারা এসব কথা বলছেন।
পুঠিয়ার বানেশ্বর আমের হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি মণ কাঁচা গোপালভোগ আম চাষিদের কাছ থেকে গতকাল আড়তগুলোতে কেনা হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা মণ দরে। দু-এক দিনের মধ্যে দাম আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অন্যান্য আমের মধ্যে ল্যাংড়া প্রতি মণ (৪০ কেজি) ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে হিমসাগর। লখনা ৮০০ থেকে ভালো জাতের ও আকারে বড় আম ১৪০০ টাকা এবং গুটি জাতের আম ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, রাজশাহীর বাজারে বেশি দেখা মিলছে গুটি ও গোপালভোগ আমের। অন্য আম নেই বললেই চলে। কেবল আসতে শুরু করেছে ল্যাংড়া আম। ৬০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
শালবাগান ফলের মোকামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারে আমের বেশ চাহিদা রয়েছে। অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে আম। খুচরা কিংবা পাইকারি বাজারের তুলনায় অনলাইনে প্রতিকেজি আমে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বানেশ্বর আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব সাইফুল ইসলাম এগ্রিকেয়ার২৪.কম কে বলেন, চাঁপাইয়ের কানসাটের পরেই বানেশ্বর বাজার। প্রতিবছর কয়েক কোটি টাকার আম বেঁচাকেনা হয়। বাজারে আমচাষি, ব্যবসায়ীরা এবার বেশ উৎফুল্ল। ল্যাংড়া আসতে শুরু করেছে। দাম গতবারের তুলনায় এবার মণে ৫০০ টাকা বেশি। এখান থেকে আম কিনে লাভ করেই বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। শহরের ভেতরে আরো বেশি দাম। হাটে যে আম ৪০ টাকা কেজি সেটা খুচরা বাজারে ৭০ টাকার কম পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলা ও বিভাগীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী কৃষি অঞ্চলে চলতি মৌসুমে আমবাগান রয়েছে ৯০ হাজার ৮৯৮ হেক্টর। এসব জমিতে আমের উৎপাদন হবে প্রায় ৯ লাখ ৫৬০ মেট্রিকটন আম। হেক্টরে প্রায় ১০ দশমিক ৫৬ টন হিসেবে ফলন ধরা হয়েছে। প্রতিকেজি আমের দাম গড়ে ৬০ টাকা হিসেবে ৫ হ্জাার ৭৬০ কোটি টাকার বাণিজ্য সম্ভবনা রয়েছে
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, বাজারে সর্বপ্রথম গুটি জাতের আম আগে আসে। পর্যায়ক্রমে গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, আশ্বিনা আম বাজারে আসে। এখন বাজারে আসে খিরসাপাত, হিমসাগর ও লখনা।
আড়াই টাকা কেজি দরে আম বিক্রি
রাজশাহীর বাঘায় গত দুই দিনে ঝড়ে পড়ে যাওয়া আম ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে। এতে প্রতি কেজি আমের দাম পড়েছে মাত্র আড়াই টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) উপজেলার আড়ানী পৌরসভার গোচর মোড়ে আমগুলো বিক্রি করা হয়।
জানা গেছে, জ্যৈষ্ঠের শুরুতে গত মঙ্গলবার (১৬ মে) ও বুধবার (১৭ মে) পরপর দুই দিন ঝড় হয়। ঝড়ে গাছ থেকে অসংখ্য আম পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও বাগান মালিকরা এসব আম কুড়িয়ে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা কেজি অথবা ১০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেন। আমগুলো কিনে নেন গোচর গ্রামের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আমের ব্যবসা করি। বিশেষ করে কাঁচা এবং ঝড়ে পড়া আম কিনে সেগুলো ঢাকায় বিক্রি করি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, প্রচণ্ড রোদে বোটা নরম হয়ে যাওয়ায় একটু বাতাসেই গাছ থেকে আম ঝরে যায়। ঝরে পড়া এসব আম বিভিন্ন গ্রামের মোড়ে ও বাজারে নামমাত্র দামে বিক্রি হচ্ছে।
ব্লগার লগ ইন
ব্লগ পুঞ্জিকা
ব্লগ ট্যাগ
আরও পড়ুন
-
ঠাকুরগাঁওয়ে আমের বাম্বার ফলন আশা
-
অনলাইনে জমজমাট আমের ব্যবসা
-
ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে উৎপাদিত আম যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে
-
ফরমালিন মুক্ত খাবার চেনার উপায়
-
খিরসাপাত আম Khirsapat Mango
-
অম্বল, আমাশার ভয়ে পাকা আম খেতে পারছেন না? এমন ধারণা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?
-
এবছর আম বিক্রি বাড়বে অনলাইনে
-
ধ্বংস করা হলো বিপুল পরিমাণ ফল, আগোরাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
-
৬০ প্রকার আমসহ ১৫২ জাতের ফল
-
আমের গুটি ঝরা রোধে করনীয়
-
ফরমালিন মেশানো আম খেয়ে একই পরিবারের চারজন হাসপাতালে
-
আম সংগ্রহ থেকে রপ্তানি পর্যন্ত নিরাপদ ব্যবস্থাপনা
-
বারি-১৪ আম
-
আমের রসমালাই
-
কানসাটে আমের দেশে আম কুড়োতে
-
হানিফ সংকেত এর কলাম: আম- পরিমাণ ও পরিণাম
-
ফরমালিনের বিকল্প চিংড়ির খোসা
-
পাঁচ বছরে লোকসান ৬০ কোটি টাকা : পুঠিয়ায় পচন রোগে হতাশ আম ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা
-
চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করে সফল উদ্যোক্তা সাইদ ভাই
-
আল্লাহর ইচ্ছায় লিচু গাছে আম!
-
পরীক্ষা ছাড়াই আসছে ভারতীয় ফল
-
মে মাসের মাঝামাঝিতে বরেন্দ্রের আম আসবে বাজারে
-
শিক্ষকতা ছেড়ে আমের ব্যবসা করছেন রাজশাহীর মেয়ে আফসানা
-
করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধকঃ এবার আকাশ থেকে আম পাতায় মধু পড়ার গুজব!
-
থাই বারমাসি আম
-
হেলথ টিপস : আমের উপকারিতা
-
আদিযুগে প্রাকৃতিক ভাবে আম পাকাতে ব্যবহার হতো আশ শেওড়া
-
আম চাষের ক্ষতির আশঙ্কা মালদহে !
-
সকাল-বিকেল আম খাচ্ছেন? সঙ্গে কোন ৫টি খাবার খেলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে?
-
সিলেট জুড়ে আম পাতায় কথিত মধু, করোনার ঔষধ বলে গুজব
-
হাটে হাঁড়িভাঙা
-
শরীর সুস্থ রাখতে গরমে চুটিয়ে খান কাঁচা আম
-
কালটার রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে আমগাছ
-
টবে আম গাছ চাষ
-
আম ফলনে ধস নামার আশংকাঃ পাতায় পাতায় হানিডিউ
-
আম গাছের রোগ প্রতিকার ও কীট ব্যাবস্থাপনা
-
ভারতীয় কাঁচা আম এখন বাজারেঃ দর ৩০০ টাকা কেজি
-
বিশ্বে আম উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান নবম
-
পাকা আম সংরক্ষণের উপায়
-
মিঠাপুকুরে আম চাষে আব্দুস সালামের সাফল্য
-
ডিজিটাল আমের ব্যবসায় সাফল্য
-
রাজশাহীর আম
-
দামুড়হুদার অধিকাংশ আম বাগানেই মৌসুমী ফল আমে স্প্রে করা হচ্ছে ক্ষতিকর রাসয়ন
-
নাটোরে আম আছে, দাম নেই
-
আম বেশি খেলে হতে পারে শরীরের ক্ষতি
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমকে ঘিরে শত ব্যস্ততা
-
বারি–১৮ আম ( Bari 18 )
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফরমালিন মুক্ত আম রপ্তানী বিয়য়ে দিনব্যাপী সেমিনার
-
আম রফতানিতে ধস, নেপথ্য কারণ
-
মুকুল এসেছে আমের দেশে, প্রয়োজন যথাযথ যত্ন-আত্মি
সর্বশেষ মন্তব্য
-
আর খাইয়েন না। এক লাখ পুরা হলেই আজরাইল এসে ধরবে।
Written by মিজানুর on Friday, 29 May 2020 16:47 এক বসাতে ১০০ ল্যাঙড়া আম খেয়েছি – লোটাস কামাল
- Nice post, very interesting. Good work , If you have…
- এই আম কোন মাসে পাকে
- I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
- I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
- How can this be done?
- মনজুরুল হক ভাইয়ের নাম্বারটা দেবেন
- হিমসাগর কত করে??
- 5kg am lak ba gser
- আঁচার আমার খুব পছন্দের। আমি একদিন এটা বানিয়ে নিব। ধন্যবাদ।
- খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ লেখককে।
- ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে আপনার জার্নির কথা শুনে... আর আমরা ঘরে…
- চিন্তা করা যায়??
- কৃষি কর্মকর্তারা কি বেতন খাচ্ছে আর ঘুমা্চ্ছে....
- আমার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে.. আমি কি আম চাষ করতে পারবো?