আম পাড়ার সময় লক্ষনীয়
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 11076
ক) সঠিকভাবে পুষ্টতা (পোক্ত) নির্ধারণ করে আম পড়ার কাজ শুরু করতে হবে। বেশিরভাগ আমের পুষ্টতা এলেই আম পাড়তে হবে। আমগাছ কিন্তু একই সময়ে সব মুকুল আসে না।
ক) সঠিকভাবে পুষ্টতা (পোক্ত) নির্ধারণ করে আম পড়ার কাজ শুরু করতে হবে। বেশিরভাগ আমের পুষ্টতা এলেই আম পাড়তে হবে। আমগাছ কিন্তু একই সময়ে সব মুকুল আসে না।
অন্তত ১০-১৫ দিনের ব্যবধানে সম্পুর্ণ মুকুল আসে এবং প্রস্ফুটিত হয়। স্বাভাবিকভাবে একটি আম গাছ থেকে এক দিনেই সব আম পাড়তে নেই। এতে যেগুলো পুষ্ট হয়েছে সেগুলো পাড়ার পর পর্যায়ক্রমে সব আম পাড়তে হবে।
খ) গাছের ডগা মোচড়ানো, আম মাটিতে ফেলে দেয়া, আমের গায়ে আঘাত, ধুলামাটি ও সূর্যের তাপ লাগানো এসব বিষয়ে দৃষ্টি রেখে যতদুর সম্ভব পরিহার করতে হবে।
গ) আম পাড়ার উপযুক্ত সময় সকালবেলা। কারণ, তখন আবহাওয়া ঠাণ্ডা থাকে। বৃষ্টিবাদলের সময় আম পাড়লে পানিতে আমের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
ঘ) আম সংগ্রহের পর বেশিক্ষণ গাছের নিচে রেখে দেয়া যাবে না। বাতাসে ভাসমান রোগের জীবাণু বোঁটায় আঠায় এসে পড়ে, ফলে আম বোঁটা পচা রোগে আক্রান্ত হয়।
ঙ) ২-৩ সে.মি. বোঁটাসহ আম পাড়লে বোঁটা পচা রোগ থেকে আমকে মুক্ত রাখা সম্ভব। তবে এটি কেবল ছোট গাছ হলে সম্ভব। উন্নত দেশসমূহে যান্ত্রিক ট্রলিতে উঠে এ কাজটি করা হচ্ছে। অবশ্য ব্রাজিল, ফ্লোরিডা, পাকিস্তান, ভারতের বিভিন্ন এলাকায়, থাইল্যান্ডে বড় বড় আমগাছ তৈরি হচ্ছে। ফলে আম সংগ্রহ করাও সহজ হচ্ছে।
চ) আম সংগ্রহের আগে ১৫-২০ দিনের মধ্যে আমগাছ কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক স্প্রে করা যাবে না।
ছ) পুষ্ট আম পেতে হলে এবং বাজারজাতকরণের সুবিধার জন্য একটি গাছ থেকে কয়েক দফায় আম পাড়া উচিত।
Comments
- No comments found
Leave your comments