আমের ভালো ফলন পেতে হলে বাগান ব্যবস্খাপনার দিকে নজর দেয়া জরুরি। বাগান ব্যবস্খাপনা সঠিক না হলে ফলন আশানুরূপ না হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন দেশের সব এলাকার আমগাছে থোকা থোকা কাঁচা আম শোভা পাচ্ছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে এমন আম দেখে চাষি
কান্ডের মাজরা পোকা -Stem borer (ভিডিও)
বাংলাদেশের সর্বত্রই কম বেশি এ পোকার আক্রমণ দেখা যায় এবং খুব কমসংখ্যক গাছে আক্রমণ দেখা যায়। তবে অনেক সময় সিরিয়াস পেষ্ট হিসাবেও দেখা যায়।
আমের রোগ মহালাগা (ভিডিও)
আমের রাজধানী চাঁঁপাইনবাবগঞ্জে স্থানীয়ভাবে মহালাগা বহুল প্রচলিত। মহালাগা আসলে কোনো রোগ নয় বরং এটি পোকা ও রোগের আক্রমণের ফলাফল। এদেশে জানুয়ারি-মার্চ মাসের দিকে মহালাগার সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি। তবে কুয়াশাছন্ন আবহাওয়ায় এর দ্রুত বিস্তার ঘটে। আমবাগানে
পরগাছা উদ্ভিদ
আমাদের দেশে আমগাছে দু-তিন প্রকার পরগাছা উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা যায়। স্খানীয়ভাবে পরগাছা উদ্ভিদ ধ্যারা নামে পরিচিত। ছোট গাছের চেয়ে বড় বা বয়স্ক আমগাছে পরগাছার আক্রমণ বেশি হয়। পরগাছা উদ্ভিদের বীজ আমগাছের ডালে অঙ্কুরিত হয়ে বাড়তে থাকে। পরগাছা ডাল থেকে
আমের ফ্রুট ফ্লাই পোকা (Fruit fly)
মাছি পোকা দ্বারা পরিপক্ব ও পাকা আম আক্রান্ত হয়। ফজলি, ল্যাংড়া, খিরসাপাতসহ বিভিন্ন জাতের পরিপক্ব ও পাকা আম গাছে থাকা অবস্থায় এ পোকা আক্রমণ করে।
আমের অঙ্গ বিকৃতি বা ম্যালফরমেশন -Mango malformation
কারণঃ Fusarium moniliforme
লক্ষণঃ ১. এটা সাধারণত মুকুলে হয় তবে ডালের আগায়ও হতে পারে ২. আক্রান্ত মুকুল কালো হয়ে যায় এবং মুকুলগুলো একীভূত হয়ে জটলার সৃষ্টি
দাদ (Scab)
লক্ষণ: আম মটর দানার মত হলেই এ রোগের আক্রমণ শুরু হতে পারে। আক্রান্ত আমের শরীর বাদামী রং ধারণ করে, খোসা ফেটে যায় ও খসখসে হয়ে উঠে। আক্রান্ত আমের বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং কয়েক দিনের মধ্যে তা ঝড়ে পড়ে। রোগের আক্রমণে বাড়ন্ত আমের শরীরে বাদামী দাগের দৃষ্টি
ফল ছিদ্রকারী পোকা (Fruit borer)
আম ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ ১৯৯৫ সন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় লক্ষ করা যায়। এরপর প্রায় প্রতি বছর এ পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। বর্তমানে আমচাষিদের কাছে এ পোকা একটি অন্যতম সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত।
পাউডারি মিলডিউ (Powdery mildew)-
কারণঃOidium mangiferae
লক্ষণঃ ১. আক্রান্ত আম গাছের পাতায় সাদা পাউডারের মত গুঁড়া দেখা যায়, পরে আক্রান্ত স্থানের টিস্যুগুলো মারা যায় এবং কালো বর্ণ ধারণ করে,
ঝুল রোগ -Sooty mould (ভিডিও)
লক্ষণ : ঝুল রোগের আক্রমণে পাতার উপর কালো আবরণ পড়ে। এই কালো আবরণ হচ্ছে ছত্রাকের দেহ (Mycellium) ও বীজ কণার সমষ্টি। আমের শরীরেও কালো আবরণ দেখা দেয়।
আমের শোষক পোকা- Mango hopper (ভিডিও)
এ পোকা অন্য সব পোকার চেয়ে আমের বেশি ক্ষতি করে থাকে। বাংলাদেশের সর্বত্র এবং সবজাতে এ পোকা আক্রমণ করে থাকে। সারা বছর আমগাছে এই পোকাগুলো দেখা যায়।
বোটা পঁচা রোগ (Stem end rot)
কারণঃ Botryodiplodia theobromae
লক্ষণঃ ১. সবচেয়ে মারাত্মক রোগ, প্রথমে বোটার দিকে পঁচন ধরে পরে পুরো ফলটি পঁচে গিয়ে কাল বর্ণ ধারণ করে ২. প্রথমে গাছে থাকা অবস্থায়
এপসিলা পোকা (Shoot-gall psyllid)
অ্যাপসিলা আমের একটি মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা। বর্তমানে এ পোকার আক্রমণ তেমন একটা দেখা যায় না। তবে অ্যাপসিলা পোকার আক্রমণ হঠাৎ করে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও অল্প করে হলেও দেখা যায়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় এটি তাবিজ পোকা নামে অনেকের কাছে পরিচিত।
আমের আঠা ঝরা এবং হঠাৎ মড়ক (Gummosis and sudden decline)
আম গাছের গামোসিস বা আঠা ঝরা এবং হঠাৎ মড়ক রোগ ও তার প্রতিকারে করনীয়:
বর্তমানে আম গাছের যে সমস্ত রোগ দেখা যায় তাদের মধ্যে আমের আঠা ঝরা এবং হঠাৎ মড়ক অন্যতম । বর্তমানে সব জেলাতেই এ রোগটির
আমের আনথ্রাকনোজ (Anthracnose of mango)
কারণঃ Colletotrichum gloeosporioides
লক্ষণঃ ১. পাতায়, কান্ডে, মুকুলে ও ফলে এই রোগ দেখা যায় ২. পাতায় অনিয়মিত দাগ দেখা যায় যেগুলো পরে বাদামী থেকে কাল হয়ে বড় বড়
পাতার গল মাছি (Leaf gall midge)
ক্ষতির ধরন:
কয়েক প্রকারে গল সৃষ্টিকারী পোকা আমগাছের কচি পাতায় আক্রমণ করে তাতে বিভিন্ন আকারের গল রোগের সৃষ্টি করে। পাতার ওপর কিংবা
আমের ফোস্কা রোগ নিয়ন্ত্রণ (Anthracnose of mango)
আমের উৎপত্তি এ উপমহাদেশেই। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান প্রভৃতি দেশে আম অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি বাণিজ্যিক ফল। এ দেশে ফলের মধ্যে আম চাষের জমি সবচেয়ে বেশি ও উৎপাদনের দিক দিয়ে সব ফলের মধ্যে আমের উৎপাদন তৃতীয়। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আমের পোকা ম্যাঙ্গো উইভিল -mango weevil (ভিডিও)
প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন জেলায় আমের ভেতর পোকা দেখা যায়। আমের বাইরে খোসা দেখে মনে হয় ভেতরে কোনো সমস্যা নেই। অথচ আম পাকার পর তা কাটলে তার ভেতরে দেখা যায় পোকা কিলবিল করছে। এ পোকা একবার আমের ভেতরে ঢুকে গেলে কোনোভাবেই দমন করা সম্ভব
পাতা কাটা উইভিল -Leaf cutting weevil (ভিডিও)
নার্সারিতে চারা গাছের কচি পাতায় এ পোকার আক্রমণ বেশি দেখা যায়। তাছাড়া অনেক সময় বড় আমগাছের কচি পাতা কাটতেও দেখা যায়। এ পোকা সাধারণত আম ছাড়া অন্য কোনো গাছের ক্ষতি করে না।