প্যাচপেচে গরমও যে কারণে হাসিমুখে মেনে নেয় বাঙালি, তা হল আম। একটু গরম পড়তেই বাজারে বাজারে বাহারি আম নিয়ে দরদামে লেগে পড়েন খাদ্যরসিকরা। গ্রীষ্মে দাবদাহ-আর্দ্রতার অস্বস্তি সত্ত্বেও যে কারণগুলি এই ঋতুকে কিছুটা হলেও সহনীয় করে তুলেছে, তার অন্যতম এই সময়ের ফলের বাজার।
কাঁচা হোক বা পাকা, সব রকমের আমই রসনাতৃপ্তিতে ব্যবহার করে বাঙালি। কাঁচা আম দিয়ে আমতেল, আমমাখা আমডাল, আমের আচার কত কী হয়! আর পাকা আম পেলে তো কথাই নেই।
তবে শুধুই কি স্বাদ! গুণের দিক থেকেও কিন্তু অন্যান্য ফলকে রীতিমতো টেক্কা দিতে পারে আম। পেট থেকে ত্বক-চুল বিভিন্ন সমস্যা মেটানোর জন্য আমের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। পুষ্টিবিদদের মতে, আমের শাঁস থেকে আঁটি— পুরোটা থেকেই কিছু না কিছু উপকার মেলে। পরিমিত পরিমাণে আম খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। জানেন কি, আপনার শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে আম কতটা সদর্থক ভূমিকা পালন করতে পারে?
১) আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি, সেই সঙ্গে ফাইবার। রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই পরিমাণ বুঝে নিয়মিত আম খান।
২) আমে রয়েছে দরকারি উৎসেচক, যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩) ত্বকের যত্নেও ভূমিকা রয়েছে আমের। আমের আঁশে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফেরায়। আম বাটা মাখলেও ত্বকে রোমের মুখগুলি খুলে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার থাকে। আম চোখের জন্যও উপকারী।
৪) মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘এ’-এর চাহিদার প্রায় পঁচিশ শতাংশের জোগান দিতে পারে আম। ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে আম। এ ছাড়াও আমে রয়েছে প্রায় ২৫ রকমের বিভিন্ন কেরাটিনয়েডস, যা আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৫) আমে পাওয়া যায় টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড, যা শরীরে অ্যালক্যালি বা ক্ষার ধরে রাখতে সাহায্য করে। আমের মধ্যে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। যাঁরা অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগেন, তাঁরাও গরমে রোজ একটা করে আম খেতে পারেন। শরীরে শক্তি জোগান দিতে আমের জুড়ি মেলা ভার।
অনেকে মনে করেন আম খেলেই মোটা হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, যাঁরা ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েট করছেন, তাঁদের রোজের ডায়েটে আম রাখলে চলবে না। আমে ক্যালোরির মাত্রা বেশি থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রোজ আম খাওয়া যাবে না।
আম সংগ্রহ থেকে রপ্তানি পর্যন্ত নিরাপদ ব্যবস্থাপনা
Written by Super Adminআম এদেশের একটি জনপ্রিয় মৌসুমি ফল। কিন্তু সরবরাহকাল মাত্র ৩-৪ মাস। তবে এই সময়ের পরও বাজারে আম দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এগুলোর মূল্য অধিক (৪০০-৬০০ টাকা প্রতি কেজি) হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে না। প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধ হতে জানা যায়, আমের সংগ্রহোত্তর ক্ষতি ৩০ ভাগের উপরে এবং এর বাজারমূল্য ১০ হাজার কোটি টাকা। তার মানে আমাদের কৃষক শ্রম ও অর্থ খরচ করে যে পরিমাণ আম উৎপাদন করেন তার প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ আম নষ্ট হয় বা এ গুলো হতে নায্যমূল্য পাওয়া যায় না। যদি ক্ষতির পরিমাণ টনে বলতে চাই তাহলে ৩.৫-৪.০ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় যে পরিমাণ আম উৎপাদন হয় তারচেয়েও বেশি পরিমাণ আম নষ্ট হয়। যেহেতু আমাদের দেশে জমির পরিমাণ ক্রমাগতভাবে কমছে, সেক্ষেত্রে নষ্টের পরিমাণ কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানোই বেশি কাম্য। আমের সংগ্রহ হতে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত কী ক্ষতিটি সম্পন্ন হয়ে থাকে। সুতরাং আম সংগ্রহ হতে শুরু করে ভোক্তা খাওয়া পর্যন্ত সকলে সতর্ক হলে এই অনাকাঙ্খিত ক্ষতি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। আম হতে ভালো স্বাদ পেতে হলে সঠিক পরিপক্বতায় আম সংগ্রহ করা উচিত। আমকে আমরা দু’অবস্থায় সংগ্রহ করতে পারি যেমন: কাঁচা এবং পাকা অবস্থায়। আমগাছ হতে আম দু’ভাবে সংগ্রহ করা যায়, হাত দিয়ে এবং সংগ্রাহক ব্যবহার করে। আম গাছের উচ্চতা কম হলে আম সহজেই হাত দ্বারা সংগ্রহ সম্ভব। কিন্তু গাছ বড় হলে বা উচ্চতা বেশি হলে বাঁশের তৈরী আম সংগ্রাহক বা ঠুসি (সধহমড় যধৎাবংঃবৎ) ব্যবহার করা হয়। গাছ থেকে কখন আম সংগ্রহ করতে হবে সে সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। পরিপূর্র্ণ পুষ্টতায় না পৌঁছানো পর্যন্ত গাছ থেকে আম সংগ্রহ করা উচিত নয়। পরিপূর্ণভাবে পুষ্ট (সধঃঁৎব) হলে আমের উপরের অংশ অর্থাৎ বোঁটার নিচের ত্বক সামান্য হলুদাভ রঙ ধারণ করবে। আমের আপেক্ষিক গুরুত্ব ১.০১ - ১.০২ এর মধ্যে থাকবে। অর্থাৎ পরিপক্ব আম পানিতে ডুবে যাবে। প্র্রাকৃতিকভাবে দু একটা পাকা আম গাছ থেকে ঝরে পড়বে এবং পাখি আধাপাকা আম ঠোকরাবে। আম সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন: বেশিরভাগ আমে পরিপক্বতা এলেই গাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে, আাম এমনভাবে সংগ্রহ করতে হবে যেন কোন আঘাত না পায়, গাছ থেকে আম সংগ্রহের ১৫/২০ দিন পূর্বে আমগাছে কীটনাশক বা ছত্রাকনাশক ¯েপ্র্র করা বন্ধ করতে হবে। আমকে কিছুক্ষন উপুড় করে রাখতে হবে যাতে আঁঠা ঠিকমত ঝরে পড়ে ও আমের গায়ে না লাগতে পারে, গাছের নীচ থেকে আম দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে এবং বাজারজাতকরণের সুবিধার্থে দফায় দফায় আম সংগ্রহ করাই ভাল।
বাছাইকরণ বা গ্রেডিং
সংগৃহীত আমের সুষ্ঠু বাজারজাতকরণের সুবিধার্থে বাছাইকরণ একান্ত প্রয়োজন। আঘাতপ্রাপ্ত, রোগাক্রান্ত, পোকা দ্বারা আক্রান্ত এবং গাছ পাকা আম পৃথক করে রাখতে হবে কারণ এসব আম খুব তাড়াতাড়ি পঁচে যায়। দূরবর্তী বাজারে প্রেরণের জন্য স্বাভাবিক, উজ্জ্বল এবং পরিপুষ্ট আম বাছাই করে প্যাকিং করা উচিত। যে কোন ফল প্যাকিং এর আগে ছোট, মাঝারি এবং বড় এই তিন ভাগে ভাগ করা উচিত যাতে প্যাকিং, পরিবহন ও বাজারজাতকরণে সুবিধা হয়।
রাইপেনিং চেম্বারের মাধ্যমে আম পাকানো
ইথিলিন প্রয়োগের সঠিক উপায় ও পদ্ধতি হলো গ্যাসীয় পদ্ধতিতে ইথিলিন প্রয়োগ, আর এ জন্য সারা বিশে^ স্বীকৃত উপায় হচ্ছে রাইপেনিং চেম্বার তৈরি করে তার মধ্যে ফল রেখে ইথিলিন প্রয়োগ করে ফল পাকানো। রাইপেনিং চেম্বারে ইথিলিন গ্যাস ব্যবহার করে প্রত্যেকটি জাত ৭-১০ দিন পূর্বে পাকানো সম্ভব। পৃথিবীর অনেক আম উৎপাদনকারী দেশে রাইপেনিং চেম্বারে আম পাকানো পদ্ধতিটি বহুল প্রচলিত হলেও আমাদের দেশে এখনও বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়নি। রাইপেনিং চেম্বার ব্যবহার করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে অবশ্যই রাইপেনিং চেম্বারের মুলনীতি ভালোভাবে জানা এবং তা সঠিকভাবে অনুসরণ করা উচিত। বিভিন্ন দেশে ফল পাকার জন্য একটি ইটের তৈরী ঘর ব্যবহার করা হয় যা রাইপেনিং চেম্বার নামে পরিচিত। রাইপেনিং চেম্বার হল হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে একটি ঘরের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও এর ভিতরের ইথিলিন গ্যাসের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিপক্কতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এখানে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা নিয়স্ত্রণের মাধ্যমে ফলের পরিপক্কতাকে ধীর বা তরান্বিত করা হয়। অপর দিকে এখানে ইথিলিন গ্যাস প্রয়োগের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে ফল পাকানো সম্ভব হয়।
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য কৃষিপণ্যে বা খাদ্যদ্রব্যে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উপযুক্ত মাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত কৃষি মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ফল পাকাতে ইথোফেন ব্যবহারের উপযুক্ততা নির্ণয়, মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিরসন ও স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় পুষ্টি ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) একটি দীর্ঘমেয়াদি গবেষণা পরিচালনা করে। এ গবেষণা কার্যক্রমের আওতায় ইথোফেনের রেসিডিউ বা অবশিষ্টাংশ নিরূপণে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার মাঠপর্যায় থেকে ফলের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে ২৫০-১০০০০ পিপিএম ইথোফেনে প্রয়োগ ও তার অবশিষ্টাংশের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, টমেটো, আমসহ বিভিন্ন ফলে ইথোফেন প্রয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইথোফেনের অবশিষ্টাংশ যা থাকে তা বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (এফএও) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) নির্ধারিত/অনুমোদিত মাত্রার (২ পিপিএম) নিচে চলে আসে, যা মানবদেহের জন্য নিরাপদ। এখানে উল্লেখ্য, সঠিক উপায়ে ও মাত্রা ব্যবহার করে আম পাকানো হলে ইথোফেন শতভাগ নিরাপদ এবং তা কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে না।
প্যাকিং
আম সংগ্রহের পর ভোক্তার নিকট পৌঁছানোর জন্য আমের যে ব্যবস্থাপনা হয় তাকে প্যাকিং বলে। আম দূরবর্তী স্থানে পাঠানোর জন্য প্যাকিং একান্ত প্রয়োজন। আম সামান্য আঘাতে ক্ষত হতে পারে এবং এতে জীবাণুর সংক্রমণ ঘটতে পারে। আম প্যাকিং এর সময় নিম্নলিখিত নিয়ম মেনে চলা উচিত। সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হলো প্লাষ্টিকের ক্রেটে আম পরিবহন করা। প্লাষ্টিক ক্রেট এর গায়ে খবরের কাগজ দিয়ে লাইনিং করে এবং প্রতিটি আমকে টিসু পেপার বা খবরের কাগজ দ্বারা মুড়িয়ে দেওয়া ভালো। প্র্রত্যেক প্যাকেটের গায়ে ফলের নাম, জাতের নাম, প্রাপকের নাম ইত্যাদি লিখে রাখা উচিত। প্যাকিং এর আগে আমকে গরম পানিতে ট্রিটমেন্ট করলে আমের সংরক্ষণকাল ৫-৭ দিন বৃদ্ধি পায় এবং আমের রঙ কিছুটা হলুদ হয় এবং বেশ কিছুদিন রোগমুক্ত থাকে।
পরিবহন
আমাদের দেশে প্রধানত: সড়ক পথেই আম পরিবহন করা হয় কারণ এতে সময় কম লাগে। তাছাড়া বাগান থেকে বাজারে আম পরিবহনের জন্য রিক্সা, ভ্যান, নৌকা ও গরুর গাড়ি ব্যবহার করা হয়। আম পরিবহনে নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
যানবাহনে আম উঠানো, নামানো ও পরিবহনের সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন ফলের গায়ে বা প্যাকেটে আঘাত না লাগে।
পরিবহনে বেশি সময় নষ্ট না করাই ভাল। কারণ তাতে আম পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পরিবহন শেষে প্যাকেট খোলা ও আম গুদামজাত করা উচিত।
গাদাগাদি করে আম পরিবহন করলে নিচের আমে বেশি চাপ পড়ে ও আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গুদামজাতকরণ
গাছ থেকে আম সংগ্রহ পর বিক্রয় পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে আমকে গুদামজাত করার প্রয়োজন দেখা দেয়। যে কোন ফল গাছ থেকে সংগ্রহ পরও তার মধ্যে বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। তাই আম গুদামজাত করার সময় নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
যে ঘরে আম রাখা হবে তা অবশ্যই বাতাস চলাচলের উপযোগী ও শীতল হতে হবে। প্রয়োজনে ইলেকট্রিক ফ্যান বাবহার করা যেতে পারে।
আর্দ্র আবহাওয়ায় ও বদ্ধ ঘরে আম তাড়াতাড়ি পাকে এবং সহজে পঁচন ধরে যায়। তাই পাকা আম বেশি দিন গুদামে সংরক্ষণ না করে তাড়াতাড়ি বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাজারজাতকরণ
যে কোন জিনিস বাজারজাতকরণ একটি সুন্দর শিল্প। দক্ষ ব্যবসায়ীগণ বিক্রয়যোগ্য দ্রব্যসামগ্রীকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন যাতে ক্রেতাসাধারণ অতি সহজেই আকৃষ্ট হয়। আম বাজারজাতকরণের সময় নিম্নলিখিত নিয়ম মেনে চলা উচিত।
কোন আমে পঁচন দেখা মাত্রই আলাদা করে রাখতে হবে, কারণ এর জীবাণু অন্যান্য সুস্থ আমকে সংক্রমণ করতে পারে। ছোট, মাঝারি ও বড় তিন সাইজের ফল বাছাই করে বাজারজাত করতে হবে।
আম রপ্তানি
বিবিএস ২০২১ অনুসারে আম চাষাবাদের আওতাধীন জমির পরিমাণ প্রায় ৯৫২৮৩ হাজার হেক্টর এবং উৎপাদন ১২.২২ লাখ মেট্রিক টন। অপর দিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মোতাবেক দেশে প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর জমিতে আম চাষা হচ্ছে। যার বাৎসরিক উৎপাদন প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন। দেশে ও বিদেশে এ দেশের সুস্বাদু আমের চাহিদা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গুণগত মানসম্পন্ন আমের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এতে আমের রপ্তানিও বাড়বে। রপ্তানি বৃদ্ধি পেলে দেশি বাজারে আমের কদর বাড়বে এবং আম চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এদেশে ভালো আমের উৎপাদন যে হারে বাড়ছে রপ্তানির পরিমাণ (১৬০, ৫৮০,৬৬৫, ৩০৯, ২৩২, ৩০৯, ২৭৯, ১৬২২, ১৭৩৮ মেট্রিক টন) আশানুরুপভাবে বাড়ছে না। অথচ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে আম রপ্তানি করা হলে প্রতি বছর ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান উৎপাদনের ২ ভাগ আম রপ্তানি করা সম্ভব হলে ২০০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা সম্ভব হবে। লেখক : উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, গাজীপুর। মোবাইল : ০১৭১২১৫৭৯৮৯
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা....
এক কেজি আমের দাম প্রায় দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা। ভাবা যায়? হ্যাঁ, বিশ্বের অন্যতম বিরল প্রজাতির আম – ‘মিয়াজাকি’র (Miyazaki) কেজির দাম লাখ টাকার ওপরে! জাপানের মিয়াজাকি নামক স্থানেই এটি চাষ শুরু হয়। খুব বেশিদিন নয়, ১৯৭০-এর দশকের শেষেই প্রচলিত হয় এই জাতের আম। তাই জায়গার নামানুসারেই এর নাম রাখা হয় মিয়াজাকি I এই আমের বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো ‘তাইয়ো নো টোমাগো’ (Taiyo-no-tomago), এ ছাড়া এই আমটি ‘এগ অব সানসাইন’ (Egg of Sunshine) নামেও পরিচিত।
এই আমটি সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো এই আমের মূল্য। কারণ দামের বিচারে সবচেয়ে মূল্যবান আম হলো এটি। শুধু এক পিস আমের দাম প্রায় ২১ হাজার টাকা। তবে কেজি দরে নিলে আরো বেশি দাম দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে মিয়াজাকি আম দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়। জাপানে একটি মিয়াজাকি আমের দাম বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ হাজার টাকারও বেশি হতে পারে।
এত বেশি দামের কারণ হলো, প্রথমত এর স্বাদ এবং এর চাষপদ্ধতি। বিশেষ তাপমাত্রা, নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি, পরিমিত সারসহ একাধিক জিনিসের সমন্বয়ে মিয়াজাকি আম চাষ করতে হয়।
তবেই এই আম গাছে ধরবে। তাই এর সুরক্ষাব্যবস্থাও হয় কঠোর। সর্বক্ষণ রাখা হয় নজরদারি। আর স্বাদের দিক থেকে অসাধারণ সুগন্ধ ও সুমিষ্ট এই মিয়াজাকি আম। তাই বলা যায় যে মূলত চাহিদা মোতাবেক জোগান কম থাকা, মিষ্ট স্বাদ, ভিন্ন রং এবং চাষপদ্ধতির কারণে আমটির দাম এত বেশি।
বাংলায় এই আমটি পরিচিতি পেয়েছে ‘সূর্যডিম’ নামে। এই আমের গড়ন সাধারণ আমের চেয়ে বড় ও লম্বা এবং আমের বাইরের আবরণ দেখতে গাঢ় লাল অথবা লাল-বেগুনি রঙের একটি মিশ্রণ। একেকটি আমের ওজন ৩৫০ থেকে ৪৫০ গ্রামের মতো বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম এই মিয়াজাকির চাষ কিন্তু বাংলাদেশেও শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। দক্ষিণাঞ্চলের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে চাষ হচ্ছে এই আম, যার প্রতি কেজি খুচরা বাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই আম ৫০০০-৬০০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে।
মিয়াজাকি আমের পুষ্টিগুণ
ডিটক্সপ্রির প্রতিষ্ঠাতা এবং হলিস্টিক নিউট্রিশনিস্ট প্রিয়ংশি ভাটনাগরের মতে, এই আমটির অনন্য সুগন্ধ এবং স্বাদ রয়েছে। এতে নির্দিষ্ট প্রকৃতির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। যার মধ্যে বিটা-ক্যারোটিন এবং ফলিক এসিড রয়েছে। এই আমের আরেকটি ভালো বিষয় হলো- এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও পরিচিত। জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, ই, এ এবং কে ছাড়াও এতে কপার এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য অপরিহার্য।
হজমশক্তি ভালো রাখে
আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম বা পেটসংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে আপনার এই আম খাওয়া উচিত। গ্রীষ্মে এটি খাওয়া হজমের উন্নতি করে এই ব্যাধিগুলো এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
আপনি যদি এই আম খান, তাহলে আপনার ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ে চিন্তা করা কখনোই উচিত নয়। গরমে এই আম খেলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম মিয়াজাকিতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য। এটি খেলে আপনাকে বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
ত্বককের সমস্যা ও কোলেস্টেরল কমায়
এই আমের মধ্যে যে ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে তা ত্বকের জন্য উপকারী। মনে করা হয় যে এটি খেলে ত্বকের আটকে থাকা ছিদ্রগুলো খুলে যায় এবং মুখে উজ্জ্বলতা আসে। কোলেস্টেরল একটি গুরুতর সমস্যা, যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি মিয়াজাকি আম খান তাহলে কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়ক হতে পারে।
ডিসক্লেইমার : এই প্রতিবেদনটি শুধু সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা....
আম ও দই একসঙ্গে খাবেন না
দইয়ের সঙ্গে কখনো আম মিশিয়ে খাবেন না। এই দুই খাবার আলাদা আলাদাভাবে পুষ্টিকর হলেও একসঙ্গে খাওয়া ক্ষতিকর। আমে থাকা কিছু উপাদান দইয়ের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। যে কারণে শরীরের জন্য ক্ষতিকর উপাদানের তৈরি হয়। বিশেষ করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে এটি।
আম খাওয়ার পরে পানি খাবেন না
আম খাওয়ার পরপরই পানি খাবেন না। এতে হতে পারে হজমের সমস্যা। কারণ আমের উপাদানগুলো হজম হয়ে শরীরে মিশতে বেশ সময় লাগে। সেজন্য আম খাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা পর পানি খান। নয়তো অ্যাসিড হয়ে যেতে পারে।
খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখুন
আম কিনে আনুন বা নিজেদের গাছের, খাওয়ার আগে কিছু সময় অবশ্যই ভিজিয়ে রাখবেন। কারণ এতে থাকে ফাইটিক অ্যাসিড নামক উপাদান। এই অ্যাসিড শরীরের জন্য ক্ষতিকর। শরীরে নানা প্রক্রিয়ারও সৃষ্টি করতে পারে এই অ্যাসিড। তাই আম খাওয়ার আগে ৩-৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
রাতের খাবারের পরে আম নয়
রাতের খাবার খাওয়া হয়ে গেলে এরপর আর আম খাবেন না। কারণ আম হলো ভারী ধরনের ফল। এতে ক্যালোরির মাত্রা থাকে অনেকটা বেশি। রাতে খাবার খাওয়ার পরে আম খেলে সেই খাবার হজম করতে সমস্যা হবে, সেইসঙ্গে বাড়তে পারে ওজনও। তাই বিকেলে বা সন্ধ্যায় আম খেতে পারেন, খেতে পারেন দুপুরের খাবারের পরেও। তবে রাতের খাবারের পরে আম খাবেন না।
মাত্র এক দশক আগেও ফজলি, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও গোপালভোগ আম ছিল বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় জাতের আম। কিন্তু, এখন সেই স্থান দখল করেছে আম্রপালি বা বারি ম্যাঙ্গো-৩ জাতের আম।
দেশে উৎপাদিত আমের ২৫ শতাংশ আম্রপালি জাতের। গত এক দশকে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়েছে এই জাতের আম চাষ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন আম্রপালি জাতের, যা দেশের ৬৪টি জেলায় উৎপাদিত হচ্ছে। তবে নওগাঁ, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই চারটি জেলা সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে।
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার আম চাষি মাউইলিয়ানা পাংখুয়া জানান, 'আমি ২০১২ সালে আম চাষ শুরু করি। শুরুতে রাঙ্গুই জাতের আম চাষ শুরু করি। কিন্তু, ৩ বছর পর রাঙ্গুই আমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।'
পাংখুয়া আরও বলেন, 'প্রথমে রাঙ্গুই আম মণপ্রতি ৬০০ টাকা (৩৭ কেজি) বিক্রি হলেও পরে দাম কমে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় নেমে আসে।'
পরে তিনি বুঝতে পারেন আম্রপালি আমের চাহিদা বাড়ছে। এই আম মণপ্রতি ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরপর পাংখুয়া তার ৫ একর জমিতে আম্রপালির চাষ শুরু করেন।
তিনি বলেন, 'সুস্বাদু হওয়ায় এই আমের চাহিদা বেশি। গত বছর প্রায় ৫ লাখ টাকার আম্রপালি বিক্রি করেছিলাম। এ বছর সাড়ে তিন লাখ টাকার আম বিক্রির আশা করছি।'
তবে পাংখুয়া জানান, বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এ বছর আমের উৎপাদন কম হয়েছে।
বারি ম্যাঙ্গো-৩ একটি জনপ্রিয় হাইব্রিড জাত যা দাশেরি ও নীলম জাতের থেকে উদ্ভাবন করা হয়েছে।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে এই আমটি বাংলাদেশে পরিচিতি লাভ করে। গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সরফ উদ্দিন বলেন, 'বারিতে গবেষণার পর ১৯৯৬ সালে এটি চাষের জন্য সরবরাহ করা হয়।'
এই জাতটি ২০০৯-১০ সাল থেকে বাজারে ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে প্রধান আম উৎপাদনকারী অঞ্চল রাজশাহীসহ অন্তত ৩০টি জেলায় বারি-৩ জাতের আম চাষ হচ্ছে।সরফ উদ্দীন বলেন, 'ব্রিক্স শতাংশ দিয়ে আমের মিষ্টির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আম্রপালির মিষ্টির মাত্রা প্রায় ২৬ শতাংশ, যা সব আমের মধ্যে সর্বোচ্চ। আম্রপালির দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হলো এটি অন্য জাতের চেয়ে বেশি দিন ভালো থাকে। সহজে পচে যায় না, অর্থাৎ মৌসুমে দীর্ঘ সময়ের জন্য আম্রপালি পাওয়া যায়।'
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। এর মধ্যে প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমি আম্রপালি আম চাষের জন্য ব্যবহৃত হয়।
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কৃষক সোহেল রানার ১৫০ বিঘা জমির আমবাগান আছে, তার মধ্যে ৭০ বিঘায় আম্রপালি গাছ আছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের এখানে আমের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয় আম্রপালি জাতের মাধ্যমে। এই আম চাষে ভালো লাভ হয়।'
চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্যোক্তা মুনজের আলম বলেন, 'আম্রপালি একটি হাইব্রিড জাত, যা রোপণের দ্বিতীয় বছর থেকেই ফল পাওয়া যায়। এছাড়া, আম্রপালি গাছ অন্যান্য জাতের তুলনায় কম জায়গা নেয়, অর্থাৎ কম জমিতে বেশি গাছ লাগানো যায়। পাশাপাশি ক্রেতাদের থেকেও প্রচুর চাহিদা আছে।'
৮ বিঘা জমিতে আম্রপালি আম চাষ করা আলম বলেন, 'বর্তমানে এই জাতটি টেকসই বলা হলেও দীর্ঘমেয়াদে কী হবে তা বলা সম্ভব নয়।'
বারির সরফ উদ্দিন জানান, বারি আম-৪, কাটি ও কলা জাতের আমও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদনে দ্বিতীয় ছিল হিমসাগর, সাড়ে ৪ লাখ টন। আম্রপালি ও হিমসাগরের পরের স্থানে আছে রুনিভাঙ্গা, অশ্বিনা ও ল্যাংড়া। কিন্তু, আম্রপালি বেশ কয়েক বছর ধরে উৎপাদনের শীর্ষে আছে।
বর্তমানে বিশ্বের আম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
গবেষকদের মতে, দেশে ৭২টিরও বেশি জাতের আম আছে। যার প্রায় অর্ধেকই বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, আম্রপালি আম রপ্তানি প্রতিবছর বাড়ছে। এ বছর এ পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ১০০ টন আম রপ্তানি হয়েছে, যার প্রায় ৮০ শতাংশ আম্রপালি জাতের।
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা....
আম খেলে কি ওজন বেড়ে গিয়ে মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় আছে?
Written by Super Adminআম পাকতে শুরু করেছে। রসালো এ ফল যেমন সুস্বাদু তেমনি কাজের। অনেকেই মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে আম খেতে চান না। আমে প্রচুর ক্যালরি থাকে। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে যাঁরা আম খেতে চান না, তাঁরা নির্ভয়ে আম খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফলের রাজা আম। কারণ এটি চর্বিমুক্ত। এতে কোলস্টেরল নেই, এমনকি ক্ষতিকর লবণ নেই।
এই গ্রীষ্মের গরমে প্রতিদিন আম খেতে পারেন নির্ভয়ে। একদিনে যদি তিনটি করেও আম খান, তবে তা ৪০০ ক্যালরির সমান হলেও আপনার ওজন বাড়বে না। এর ফাইবার আপনার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করবে ও ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করবে। জুস করে আম খাওয়ার চেয়ে আস্ত আম খাওয়া ভালো। আমে যে ভিটামিন আর পুষ্টি আছে, তা অন্য খাবারের তুলনায় শরীরে আরও বেশি শক্তি জোগাবে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, ফ্যাটযুক্ত খাবারের বদলে আমকে খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন। এতে ওজন কমবে। ম্যাংগো ডট ওআরজির তথ্য অনুযায়ী, দিনে একটি আম খেলে দৈনিক ভিটামিন সির প্রয়োজনীয়তা শতভাগ পূরণ হয়, ভিটামিন এ এর চাহিদা পূরণ হয় ৩৫ ভাগ। আর ফাইবারের চাহিদা পূরণ হয় ১২ শতাংশ। তথ্যসূত্র: বোল্ডস্কাই, ম্যাংগো ডট ওআরজি।
আম, আনারস, কাঁঠাল, সবজি এবং মাছ রপ্তানিতে বড় সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। সেজন্যে দেশে নিরাপদ কৃষি অর্থাৎ গ্যাপ (গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস) বাস্তবায়ন জরুরি বলে মনে করেন তারা।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে (১৩ ফেব্রুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা জানান শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সম্প্রতি এক সৌজন্য সাক্ষাতে চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানির সম্ভাবনাও রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। তিনি বলেন, আধুনিক সরবরাহ ব্যবস্থা, কুল চেইন, আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি গড়ে তুলতে পারলে আমাদের কৃষি খাত জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বড় অবদান রাখতে পারে।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ জানান, জাতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কৃষি খাতের উন্নয়নের বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রণালয় নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মতৎপরতা আগামীতে আরও গতিশীল হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর প্রমুখ।
এসআই/এসকেডি
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা....
সূর্য সবেমাত্র কিরণ দিতে শুরু করেছে। গাছে গাছে শিশির ভেজা আমের মুকুল। বাংলা পঞ্জিকায় দিনটি ৮ ফাল্গুন হলেও, আবহাওয়া ছিল বেশ শীতল। তবে মায়ের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতির দাবিতে বাংলার মানুষের রক্ত ছিল ভীষণ টগবগে। ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্কুল-কলেজের ছাত্রদের আনাগোনায় সরব হয়ে ওঠে আমতলা।
আমতলার অবস্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন কলা ভবনের সামনে, এখন যা ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগ। আকারে আমগাছটি ছিল গোলগাল ও বড়সড়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় প্রায়ই ওই আমগাছের নিচে মিটিং করত ছাত্ররা। সর্বশেষ ২১ শে ফেব্রুয়ারি স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা জড়ো হয়েছিলেন আমতলায়।
সেদিন বেলা ১১টায় আমতলায় ছাত্রসভা শুরু হয়। ভাষা সৈনিক গাজীউল হক ১৪৪ ধারা ভাঙার ঘোষণা দেন। সেই সময়ে গেটের বাইরে ছিল খাকি হাফপ্যান্ট পরা পুলিশ বাহিনীর সতর্ক অবস্থান। তাদের কারো হাতে অস্ত্র, কেউ-বা লাঠি হাতে দাঁড়ানো। পাশে সারি সারি জিপগাড়ি ও ট্রাক। এমন অবস্থাতেই আমতলা থেকে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে বের হলো মিছিল। পরের ঘটনা সবারই জানা। পুলিশ গুলি চালায়। শহিদ হন বরকত, জব্বার, রফিকসহ বেশ কয়েকজন ভাষা সৈনিক।
সেই আমগাছের আত্মকাহিনি
বায়ান্ন’র সেই ঘটনার পর আমগাছটি হয়ে ওঠে ইতিহাসের অন্যতম সাক্ষী। ১৯৬৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইত্তেফাক-এ আমগাছটির ছবি প্রকাশিত হয়। তাতে গাছটিকে বহাল তবিয়তেই দেখা যায়। গাছে আমের মুকুল থেকে বেরিয়েছে ছোট ছোট আমগুটি। সেইসঙ্গে আমতলা গেটও ছিল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সচল। তবে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন স্থাপনার সঙ্গে এই আমগাছটিও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৭৪ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত ছবিতে ঐতিহাসিক আমগাছটির বেহাল দশা দেখা যায়।
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা....
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা...
...........................................................................................
ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতে প্রকৃতিতে যেন রঙে আগুন লেগেছে ফাগুনে। আর শীতের খোলস ছাড়িয়ে নবরূপে সেজেছে বৃক্ষরাজি। এরই মাঝে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়েছে আমের মুকুল। এই মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে মুগ্ধ হয়ে উঠেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের মানুষেরা। সম্প্রতি দেখা গেছে, সাদুল্লাপুর শহরের আর গ্রামাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে রোপণ করা আম গাছগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়, অনেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন আম বাগান। এছাড়া অফিস-আদালত কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও দোলা দিচ্ছে মুকুল। এখন প্রকৃতির খেয়ালে স্বর্ণালিরূপ ধারণ করেছে আবহমান গ্রামবাংলা। জানা যায়, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আমগাছে আশানুরূপ মুকুল আসতে শুরু করেছে। এবারে এসব মুকুল থেকে বেশি পরিমাণ পরিপক্ব আম পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে গাছগুলোতে ওষুধ প্রয়োগসহ নানামুখী পরিচর্যা গ্রহণ করছে। খবির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলার এমন কোন বাড়ি নেই যে, যাদের বাড়িতে আমগাছ নেই। তাই প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে আমের মুকুল। শুধু আমের মুকুলই নয়, কাঁঠাল, লিচু লেবু প্রভৃতি ফলের গাছের ফুলের গন্ধে চারিদিকে সুবাতাস বইছে। এসব মুকুলে সুবাস যেন মুগ্ধ করে তুলেছে মানুষকে। কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে আমচাষ করেন আনজারুল ইসলাম। তিনি জানালেন, বিদেশি জাতের আমগাছগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছে। এবারে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যেতে পারে। প্রত্যাশামূলক ফল পেতে সঠিক যত্ন নিচ্ছেন গাছগুলোর। সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন, এ উপজেলার মাটি আম গাছের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ এলাকায় কয়েকজন কৃষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম চাষ করেছেন। তাদের বাগানে বেশ মুকুল দেখা দিয়েছে। তাদের লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা...
আগুন ঝরা ফাগুন এলে। আমের বনে মুকুল মেলে, মুকুল নাকি ঝরা-বাতি। সবাই করে ভুল, ভুল করো না ও মশায় আর। আর করোনা গোল, এই আমাদের ফলের রাজা, আমের-ই মুকুল। তেমনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গ্রামগঞ্জের যেদিকে তাকানো যায়। আম গাছের মুকুল যেন মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে মৌমাছিরা যেন গাছে গাছে আনাগোনা করছে। মৌমাছির বোঁ বোঁ শব্দে মানুষকে মনে কারিয়ে দিচ্ছে এ যেন ফালগুন মাস।
ফাল্গুন মাসে মৌমাছির আনাগোনা বেশি দেখা যায়। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আম গাছে। এবং আম গাছের মুকুলের যে একটি গন্ধ সেটি এই ফাল্গুন মাসে পাওয়া যায়।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরজমিন ঘুরে দেখা য়ায়, উপজেলার গাঁড়াদহ ইউনিয়নের তালগাছি বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের পূর্ব পাশে কয়েকটি আম গাছে ভরপুর মুকুল এসেছে। এছাড়াও পোরজনা, জামিরতা, কৈজুরি, বাঘাবাড়ি, কাশিনাথপুর, ব্রজবালা, নরিনা, সাতবাড়িয়া এলাকার অনেক বাড়ির আঙিনায় এবং মশিপুর গ্রাম্য প্রধান আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস আকন্দর পুকুর ধারে প্রতিটি আম গাছে মুকুল ধরেছে।
উপজেলার গাঁড়াদহ গ্রামের মুকুল চন্দ্রশীল ও কাসেম ব্যাপারি জানান, তার বাড়িতে ১০টি আমগাছ আছে। আম গাছের মুকুল দেখে তার মনে অন্যরকম আনন্দ অনুভব করছে।
তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঝড় বৃষ্টি না হলে এবার আমি আলোর মুখ দেখতে পাবো। এবং আম চাষিরা অনেক লাভবান হবে।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় আম গাছ আছে। এবার আবহাওয়ার কারণে আম গাছে আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হবার সম্ভাবনা নেই। ভালোভাবে পরিচর্যা করা হলে ফলন ভালো হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, যদি কেউ বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করতে আগ্রহী থাকে তাহলে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে উপজেলা কৃষি অফিস সুপরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবে। আমের ফলন বেশি বেশি পেতে হলে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে বলেও জানান তিনি।
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা...
মুজিবনগর আম্রকাননসহ জেলার আম বাগানগুলোর আধিকাংশ গাছে মুকুল ফুঠতে শুরু করেছে। ফাল্গুনি বাতাসে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে আম বাগানগুলো। মধু মাসের আগমনী জানান দিচ্ছে আমের মুকুল। মধু সংগ্রহে মৌ মাছিরা ছোটাছুটি করছে। একইসঙ্গে বেড়েছে আম চাষিদের ব্যস্ততা। বাগানের মালিকেরা আমগাছে ওষুধ ছিটানোসহ বিভিন্ন ধরণের যত্ন-আত্মি বাড়িয়েছে মুকুল ধরে রাখতে। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন-শীতের তীব্রতার কারণে এবছর একটু দেরিতে মুুকুল ফুটছে। শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ার সাথে সাথে গাছে গাছে মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। এবছর ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটে যাবে।
কৃষি বিভাগ জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী দু’জেলায় আম উৎপাদন হয় বেশি। কিন্তু স্বাদের দিক থেকে মেহেরপুরের আম জগত জুড়ে। মেহেরপুরের আম সুস্বাদু হওয়ায় এ জেলার আমের চাহিদা দেশের সব জেলা ছাড়িয়ে ইউরোপ মহাদেশেও তার মাহাত্ম ছড়িয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে আমের বাগানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেহেরপুরের মুজিবনগরে বৃটিশ শাসনামলের মুজিবনগর আ¤্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। মেহেরপুর জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সব জাতের আমেরই চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর কৃষিজমিতে তৈরী করা হচ্ছে আমের বাগান। এখানকার মাটির গুণেই হিমসাগর, ল্যাংড়া, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই ইত্যাদি জাতের আম খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, আশ্বিনা জাতের বাগান বেশি থাকলেও গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। সেইসঙ্গে নতুন নতুন বাগানগুলো তৈরী হচ্ছে বনেদি ও হাইব্রিট জাতের। বারোমাস ধরে এমন বাগানও তৈরী করছে চাষীরা।
মেহেরপুরের সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আমচাষী আব্দুর রশিদ জানান, শীতের তীব্রতা কমে যাওয়ায় অধিকাংশ আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
মেহেরপুর জেলা শহরের আমচাষী আজিবর রহমান চুয়াডাঙ্গা সড়কে এবং সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের বুলবুল হোসেন বারোমাস জাতের আমচাষ করেছেন। অভিন্নসুরে উভয়ে জানান- অসময়ে আম ভালো চাহিদা থাকে। ভালো দামও পাওয়া যায়। ভোক্তারা বাগানে এসে গাছ থেকে পছন্দের আম কিনে নিয়ে যায়।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, মূলত তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সব গাছে মুকুলে ভরে যাবে। জেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। নিয়মিত যত্ন নিলে আমের অফ ইয়ার থাকে না। ফলে এখন প্রতিবছরই গাছে গাছে আম ধরছে। এছাড়া নতুন জাতের লেট ভ্যারাটি আমও চাষ হচ্ছে। লেট ভ্যরাটি আম জুলাই-আগস্টে পাকে। তাছাড়া বারোমাস ধরে এমন আমবাগানও তৈরী হচ্ছে। ফলে আগামীতে দেশে বারোমাসই আম পাওয়া যাবে।
ব্লগার লগ ইন
ব্লগ পুঞ্জিকা
ব্লগ ট্যাগ
আরও পড়ুন
-
টক আমগাছকে মিষ্টি গাছে রূপান্তরকরণ
-
বারোমাসি আমের চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চাইলে কি করবেন
-
ভারত দখল করে নিচ্ছে ফজলি আম
-
আমের বিভিন্ন প্রকার রোগ ও তাদের দমন
-
খিরসাপাত আম Khirsapat Mango
-
কাটিমন আম এর সামান্য পরিচয়
-
ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে আম
-
মিঠাপুকুরে আম চাষে আব্দুস সালামের সাফল্য
-
খরতাপে আম ঝরছে
-
এবছর আম বিক্রি বাড়বে অনলাইনে
-
শেরপুরে গৌরমতি আমের সন্ধান
-
মুকুলের সমারোহ আশা জাগাচ্ছে যশোরের চাষিদের
-
আমের রাজধানীতে পাওয়া যাচ্ছে অসময়ে ভারতীয় আম
-
এবার সারা বছর আম খাবে বাংলাদেশ
-
ক্ষিরসাপাত আম বা হিমসাহগর আম
-
এক গাছেই লাখ টাকার আম!
-
আম প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণনে জোর দিতে হবে
-
আমের নাম “গৌড়মতি ”
-
দুই মাসে ২৫ লাখ টাকার আম বিক্রি রাবি শিক্ষার্থী লিখনের, যেভাবে শুরু
-
রাজশাহী শহরের বড়কুঠি এক ঐতিহাসিক নিদর্শন
-
জেনে নিন আমের কয়েকটি সেরা উন্নত জাতের বিবরণ
-
দামুড়হুদার অধিকাংশ আম বাগানেই মৌসুমী ফল আমে স্প্রে করা হচ্ছে ক্ষতিকর রাসয়ন
-
আম উৎপাদন ও রফতানি বৃদ্ধির হাতছানি রাজশাহীতে
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে 'আম কেন্দ্রিক' শিল্প কারখানা দরকার
-
সাতক্ষীরায় কাঁচা আমে রাসায়নিক, তিনজনকে জরিমানা
-
গরম তাড়াতে কাঁচা আমের জুস, বেড়েছে চাহিদা
-
আমের তেল mango Oil
-
জমেছে ফজলির বাজার: দিনে সরবরাহ ২২ কোটি টাকার আম
-
১ কেজি আমের দাম ৩ লক্ষ টাকা! বাংলার ‘এই রাজ্যে’ ফলেছে বিশ্বের সবচেয়ে দামী আম
-
আমের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ানোর সম্ভাবনা রাজশাহীতে
-
এবার আমের উৎপাদন বাড়বে দেড় লাখ টন
-
সকাল-বিকেল আম খাচ্ছেন? সঙ্গে কোন ৫টি খাবার খেলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে?
-
অভিনব আম চাষ!
-
আমটির নাম মাহালিশা আম
-
কার্বাইডে পাকানো আম খেলে কী সমস্যা হতে পারে? কী ভাবেই বা চিনবেন এমন আম?
-
আমের মুকুল দেরিতে এলেও ফলনে প্রভাব পড়বে না চাঁপাইনবাবগঞ্জ
-
কানসাট আম বাজারে মন ভালো নেই ব্যবসায়ীদের
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছে গাছে ‘আমের গুটি’
-
আম খেলে কি মোটা হয়? ফলের রাজা শরীরের লাভ না ক্ষতির কারণ? রোজ খাওয়া যায় কি?
-
আম খেয়ে এক পরিবারের ৯ জন হাসপাতালে
-
টেকনাফ বাহারছড়া থেকে ঢাকাগামী আম বহনকারী ট্রাক এলাকায় প্রবেশে নিষেধ
-
মাছি পোকা থেকে আম রক্ষা করবেন যেভাবে
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম জাত পণ্য রপ্তানী বিষয়ক কর্মশালা
-
বাঁধা সময়ই কাল হতে যাচ্ছে আম ব্যবসায়ীদের
-
আমের মুকুল ঝরা সমস্যা ও করণীয় 2020
-
কাটিমন আম ( katimon mango )
-
আত্রাইয়ে আমগাছ মুকুলে ভরপুর
-
টবে আম গাছের যত্ন- 2018
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জনপ্রিয় হচ্ছে অর্গানিক পদ্ধতিতে আম উৎপাদন
-
হেলথ টিপস : আমের উপকারিতা
সর্বশেষ মন্তব্য
-
আর খাইয়েন না। এক লাখ পুরা হলেই আজরাইল এসে ধরবে।
Written by মিজানুর on Friday, 29 May 2020 16:47 এক বসাতে ১০০ ল্যাঙড়া আম খেয়েছি – লোটাস কামাল
- Nice post, very interesting. Good work , If you have…
- এই আম কোন মাসে পাকে
- I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
- I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
- How can this be done?
- মনজুরুল হক ভাইয়ের নাম্বারটা দেবেন
- হিমসাগর কত করে??
- 5kg am lak ba gser
- আঁচার আমার খুব পছন্দের। আমি একদিন এটা বানিয়ে নিব। ধন্যবাদ।
- খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ লেখককে।
- ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে আপনার জার্নির কথা শুনে... আর আমরা ঘরে…
- চিন্তা করা যায়??
- কৃষি কর্মকর্তারা কি বেতন খাচ্ছে আর ঘুমা্চ্ছে....
- আমার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে.. আমি কি আম চাষ করতে পারবো?