x 
Empty Product

হাড়িভাঙ্গা আমের ইতিহাস  

এটি একটি হাড়িভাঙ্গা জাতের আম গাছের চারা। এই জাতটি বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলের বিখ্যাত আম। আমরা জানি বাংলাদেশের মাটি অনেক উর্বর। এখানে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন মৌসুমি ফল পাওয়া যায়। ফলগুলো যেমন পুষ্টিকর তেমন সুস্বাদু। বাংলাদেশের একেক এলাকা একেক ফলের জন্য বিখ্যাত। কিছু কিছু ফল বিদেশেও রপ্তানি হয়। আমরা সবাই হাড়িভাঙ্গা আমের নাম শুনেছি এবং খেয়েছি। এই আম অনেক মজাদার।


নফল উদ্দিন পাইকার নামের একজন ব্যক্তি এই আমের উদ্ভাবক। তিনি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১নং খোরাগাছ ইউনিয়নের তেকানি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আমের ব্যবসা করতেন। আমরা জানি রংপুরের বিভিন্ন স্থানে জমিদার ছিলেন আগে। এরকম একজন জমিদার রাজা তাজ বাহাদুর সিং। তিনি অনেক প্রজাবৎসল, শৌখিন এবং উদারমনা ছিলেন। তাঁর জমিদারি ছিল বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নে। তাঁর রাজবাড়িতে অনেক বাগান ছিল। সেখানে বিভিন্ন ফল গাছও ছিল। কিন্তু ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশে যে বন্যা হয়, তাতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই বন্যায় ও পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গনে জমিদারের বাগান যমুনেশ্বরী নদীতে চলে যায়। নফল উদ্দিন এই জমিদারের বাগান থেকে আম নিয়ে বিক্রি করতেন। তিনি আরও জায়গা থেকে আম নিয়ে পদাগঞ্জ ও অন্যান্য হাটে বিক্রি করতেন।


এই জমিদার বাড়ির বাগানে যে বিভিন্ন রকম আম পাওয়া যেত, এর মধ্যে একটি আম অনেক সুস্বাদু ও মিষ্টি ছিল। তিনি ওই গাছের একটি কলম বা চারা নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং নিজ জমিতে রোপণ করেন। উত্তরাঞ্চল হল বরেন্দ্র ভূমি। তাই শুকনো মৌসুমে পানি যেন গাছের গোড়ায় দিতে পারেন এজন্য হাড়ি বসান। ফিল্টার পদ্ধতিতে সেচ দেওয়ার জন্য। কিন্তু এই হাড়িটি কেউ একজন ভেঙ্গে ফেলেন। এরপর গাছটি বড় হয় এবং ফল দেয়। এই ফল তিনি প্রতিবেশী, আত্মীয়দের খাওয়ান। এত মজার আম খেয়ে সবাই এর নাম জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন এটি সেই গাছের আম, যে গাছের হাড়ি ভাঙ্গা হয়েছিল। তাঁর মুখ থেকে এভাবে আমটির নাম সবাই হাড়িভাঙ্গা দেয়। এখন এই আমটি "হাড়িভাঙ্গা আম" নামেই ব্যাপক পরিচিত।

 

হাড়িভাঙ্গা আমের বৈশিষ্ট্য

বাংলাদেশে যত আম পাওয়া যায়, হাড়িভাঙ্গা হল নতুন ধরনের আম। এই আমটি স্বাদে ও গন্ধে অন্যরকম। এই গাছের বৈশিষ্ট্য অন্যরকম। এর ডগা পুষ্ট। এই গাছ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে যদি ডালে জোর কলম লাগানো হয়। অল্প দিনেই গাছের ডালপালা বৃদ্ধি পায়। চারা রোপণ করার পরের বছর গাছে মুকুল দেখা দেয়। কিন্তু অনেকেই প্রথম বছর মুকুল ভেঙ্গে দেয়। কারন এর ফলে গাছের ডগার সংখ্যা বাড়ে। এছাড়া বলিষ্ঠ হয়। এই গাছ সাধারনত উপরে বাড়েনা। কিন্তু চারপাশ দিয়ে অনেক বৃদ্ধি হয়। ফলে গাছের উচ্চতা কম থাকে। এর সুবিধা হল, ঝড়ে গাছ উল্টিয়ে পড়ার সুযোগ কম থাকে। আবার আমও কম ঝরে পরে।


হাড়িভাঙ্গা আম দেখতে উপরে মোটা। আর নিচের দিকে চিকন। এর শাস গোলাকার ও একটু লম্বাটে। এছাড়া দেখতেও সুঠাম দেহ ও মাংসালো আঁশ বিহীন আম এটি। ভিতরে শাস ছোট। অন্যান্য আমের থেকে এর ওজন বেশি। সাধারণত গড়ে তিনটি আমে এক কেজি হয়। অনেক সময় একটি আম ৫০০/৭০০ কেজি হতে পারে। পাকা আম অনেকদিন অটুট থাকে। সহজে পচেনা। চামড়া কুঁচকে গেলেও ভিতরে ভাল থাকে। আম খুব বেশি না পাকালেই মজা লাগে।


রংপুরের মিঠাপুকুর ও বদরগঞ্জে বেশি চাষ হয় এই আম। সাধারণত মাঘ-ফাল্গুন মাসে ফুল আসে গাছে। আর আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে। এই আম কাঁচা পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায়।

বাংলাদেশে অনেক প্রজাতির আম আছে। সবগুলোই স্বাদে ভিন্ন। একেক এলাকা একেক আমের জন্য বিখ্যাত। তেমনি রংপুর হল এই হাড়িভাঙ্গা আমের জন্য বিখ্যাত। গাছের চারা কিনে বাণিজ্যিকভাবে এই আমের চাষ করে আগ্রহী যে কেউ লাভবান হতে পারেন।


ঔষধি ও পুষ্টিগুন

হাড়িভাঙ্গা আম রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে মহৌষধ। কচি পাতার রস দাঁতের ব্যাথা উপশমকারী। আমের শুকনো মুকুল পাতলা পায়খানা, পুরনো আমাশয় এবং প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা উপশম করে।

 

তথ্য ও সূত্রঃ অনলাইন সংগ্রহ।


 

ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতে প্রকৃতিতে যেন রঙে আগুন লেগেছে ফাগুনে। আর শীতের খোলস ছাড়িয়ে নবরূপে সেজেছে বৃক্ষরাজি। এরই মাঝে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়েছে আমের মুকুল। ছড়াচ্ছে মৌ মৌ ঘ্রাণ। সরজমিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন, সাতগাঁও, সিন্দুরখান, কালাপুর এবং ককালিঘাট  ইউনিয়নসহ শহরের মাস্টারপাড়া, কালিঘাট রোড, জালালিয়া রোড , শহরতলীর মুসলিমবাগ ও সিন্দুরখান রোড ইসলামবাগ এলাকার বাসিন্দাদের বাসা-বাড়িতে রোপণ করা আম গাছগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়, অনেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন আম বাগান। এছাড়া অফিস-আদালত কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও দোলা দিচ্ছে মুকুল।

জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আমগাছে আশানুরূপ মুকুল আসতে শুরু করেছে। এবারে এসব মুকুল থেকে বেশি পরিমাণ পরিপক্ব আম পাওয়ার আশায় ইতোমধ্যে গাছগুলোতে ওষুধ প্রয়োগসহ নানামুখী পরিচর্যা গ্রহণ করছে। 

আশিদ্রোন ইউনিয়নের মোহাজেরাদ এলাকার রুবেল মিয়ার নামের এক চাষী বলেন, এলাকার এমন কোন বাড়ি নেই যে, যাদের বাড়িতে আমগাছ নেই। তাই প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে আমের মুকুল। শুধু আমের মুকুলই নয়, কাঁঠাল, লিচু লেবু প্রভৃতি ফলের গাছের ফুলের গন্ধে চারিদিকে সুবাতাস বইছে। এসব মুকুলে সুবাস যেন মুগ্ধ করে তুলেছে মানুষকে। বাণিজ্যিকভাবে আমচাষ করেন কবির মিয়া।

 

তিনি জানান, বিদেশি জাতের আমগাছগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুকুল এসেছে। এবারে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বাম্পার ফলন পাওয়া যেতে পারে। প্রত্যাশামূলক ফল পেতে সঠিক যত্ন নিচ্ছেন গাছগুলোর।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানান, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মাটি আম গাছের জন্য বিশেষ উপযোগী। বাণিজ্যিকভাবে যারা আম চাষ করেছেন তাদের লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

 

এখন আমের মৌসুম। ফলের রাজা আম খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে। আমে আছে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ, যা শরীরের জন্য উপকারী। তবে জানেন কি, অতিরিক্ত আম খাওয়ার ফলে ডেকে আনছেন বিপদ, বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত আম খাওয়া  ফলে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর মধ্যে ডায়াবেটিসসহ ওজন বেড়ে যাওয়া বদহজম, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যার সৃষ্টি হয়। আমের কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে, জেনে নিন সেগুলো-

যেহেতু আমে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ বেশি, তাই এটি ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তবে আপনাকে অবশ্যই আম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

স্বাদের কারণে অনেকেই একের পর এক আম খাওয়া শুরু করেন। তবে জানেন কি, অতিরিক্ত আম খাওয়া ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। আম প্রচুর পরিমাণে আঁশসমৃদ্ধ, যা অতিরিক্ত খেলে ডায়রিয়ার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

আমের মধ্যে ইউরিশিয়াল নামক একটি রাসায়নিক থাকে। এই রাসায়নিক অনেকের শরীরেই অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে চর্মরোগ দেখা দেয়। এই রাসায়নিকের ফলে ত্বকের সমস্যা যেমন- ত্বক ফুলে ওঠা, ফোস্কা এবং চুলকানি হতে পারে।

আম অনেকের জন্য অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এর ফলে চোখ ও নাক দিয়ে পানি পড়া, শ্বাসকষ্ট, হাঁচি, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। আম খাওয়ার পরে এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

অতিরিক্ত আম খেলে বদহজম হতে পারে। বিশেষ করে কাঁচা আম বদহজমের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। ফলের রাজা আমে ক্যালোরির পরিমাণও বেশি। যা দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। একটি মাঝারি আকারের আমের মধ্যে থাকে ১৫০ ক্যালোরি। সুতরাং আপনি যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে অতিরিক্ত আম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।

আমে থাকা ছত্রাক কারও কারও শরীরে প্রবেশ করলে জ্বরের কারণ হতে পারে। আমবাত বা ছত্রাকজনিত একটি ত্বকের রোগ, যা ত্বকের ফুসকুড়ি, চুলকানি এবং ত্বকের লালচেভাব সৃষ্টি করে। এই সমস্যাটি নির্দিষ্ট খাবার, স্ট্রেস বা ওষুধের কারণে হয়ে থাকে।

একাধিক গবেষণা অনুসারে, আম শরীরের উত্তাপ অনেক বাড়িয়ে তোলে। তাই গরমে অত্যাধিক আম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আয়ুর্বেদের মতে, আম কখনই দুধের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। এটি বদহজম, ডায়রিয়াসহ পেটের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

বাতজনিত সমস্যায় যারা ভুগছেন, সেসব রোগীরা খুব অল্প পরিমাণে আম খেতে পারবেন। অতিরিক্ত খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।

আম খাওয়ার পর অনেকেই ‘ম্যাংগো মাউথ’ সমস্যার সম্মুখীন হন। এর ফলে মুখের মধ্যে চুলকানি, ফোলাভাব এবং মুখের চারপাশে ফোসকা, ঠোঁট এবং জিহ্বায় জ্বালা-পোড়াভাব হতে পারে।

ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতে প্রকৃতিতে যেন রঙে আগুন লেগেছে ফাগুনে। আর শীতের খোলস ছাড়িয়ে নবরূপে সেজেছে বৃক্ষরাজি। এরই মাঝে সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিয়েছে আমের মুকুল। মুকুলের ম-ম গন্ধে মুগ্ধ হয়ে উঠেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের মানুষ।  সাদুল্লাপুর শহরের আর গ্রামাঞ্চলের বাসা-বাড়িতে রোপণ করা আম গাছগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে আমের মুকুল। শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়, অনেকে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন আম বাগান। এ ছাড়া অফিস-আদালত কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আম গাছেও দোলা দিচ্ছে মুকুল। প্রকৃতির খেয়ালে স্বর্ণালিরূপ ধারণ করেছে আবহমান গ্রামবাংলা।  উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আমগাছে আশানুরূপ মুকুল আসতে শুরু করেছে। এবারে এসব মুকুল থেকে বেশি পরিমাণ পরিপক্ক আম পাওয়ার আশায় ইতিমধ্যে অনেকেই গাছগুলোতে ওষুধ প্রয়োগসহ নানামুখী পরিচর্যা গ্রহণ করছে।  খবির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলার এমন কোনো বাড়ি নেই যে, যাদের বাড়িতে আমগাছ নেই। তাই প্রতিটি বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে আমের মুকুল। শুধু আমের মুকুলই নয়, কাঁঠাল, লিচু লেবু প্রভৃতি ফলের গাছের ফুলের গন্ধে চারিদিকে সুবাতাস বইছে। এসব মুকুলে সুবাস যেন মুগ্ধ করে তুলেছে মানুষকে।  সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন, এ উপজেলার মাটি আম গাছের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ এলাকায় কয়েকজন কৃষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আম চাষ করছেন। তাদের বাগানে বেশ মুকুল দেখা দিয়েছে। তাদের লাভবান করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীতে গাছে গাছে সবুজ পাতা ভেদ করে উঁকি দিয়েছে আমের মুকুল। সারি সারি আমের গাছে এখন ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ। সবুজ পাতা ভেদ করে বেরিয়ে আসছে আম চাষিদের সোনালী স্বপ্ন। আম চাষিরাও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার আমের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

চাষিরা বলছেন, কিছু দিনের মধ্যেই আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে সুরভিত হয়ে উঠবে প্রকৃতি। এসময়টাতে মুকুলের যত্ন না নিলে আমের ভালো ফলন সম্ভব নয়। আর এ কারণেই আশায় বুক বেঁধে শুরু হয়েছে পরিচর্যা। মুকুল যাতে পোকার আক্রমণ না হয় ও ঝরে না পড়ে সেদিকেই নজর রাখছেন আম চাষিরা। তীব্র শীত পেরিয়ে আমের গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অন্তত মাস খানেক আগেই মুকুলের দেখা মিলেছে। তবে পরিচর্যা খরচ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেকে।

জেলার চারঘাট-বাঘা উপজেলার আম চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল বছরে প্রলম্বিত শীতের কারণে ছোট গাছের তুলনায় পুরাতন আম বাগানের বড়-বড় গাছগুলোতে মুকুল কম এসেছিলো। এ বছর সব ধরনের আম গাছে মুকুল আসছে। তবে কীটনাশক, সেচের খরচ আর শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে কৃষকদের।

কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর শীতের প্রভাব আর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিভিন্ন বাগানে এখন মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধ। যে কারো প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। কোন কোন গাছ থেকে ক্ষুদ্র আকারে মুকুল বের হচ্ছে, আবার কোন-কোন গাছে পরিপূর্ণ মুকুল এসে গেছে। ফলে বাগান পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার ৯ টি উপজেলার মধ্যে ৮ টিতে যে পরিমান আম বাগার রয়েছে। তার সমপরিমান বাগান রয়েছে শুধু বাঘা উপজেলায়। এখানকার প্রধান অর্থকারী ফসল আম।

বাঘা উপজেলার আম চাষি শামসুল হক বলেন, গাছে মুকুল আসার পর থেকে আম পাড়া পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ বার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এতে হেক্টরে ৩৮ থেকে ৪৫ হাজার টাকার বালাইনাশক লাগে। সে হিসেবে বাঘায় ৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমির আমগাছে বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকার কীটনাশক বা বালাইনাশক ব্যবহার হয়ে থাকে। যার কমতি হবে না এবারও ।

উপজেলার আরেক আম চাষি মেহেদেী হাসান বলেন, আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পুরোদমে মুকুল আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তাই এসম গাছের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। ছোট-বড় আম বাগান পরিচর্যায় সময় ব্যয় করতে হয়। এছাড়াও বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা দমনে স্প্রে করা হচ্ছে।

গোদাগাড়ী উপজেলার আমচাষি আসলাম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে প্রতিটি অঞ্চলেই বাণিজ্যিকভাবে আমচাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই আম প্রক্রিয়াকরনের জন্য আধুনিকমানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, আম সংরক্ষণের জন্য হিমাপ্রায় স্থাপন করা হলে আমচাষীরা যেমন লাভবান হতেন তেমনিভাবে সরকারও সেই আমগুলো মানভেদে বিদেশে চালান করেও অনেক বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারতো। তাই আমচাষীদের দিকে সুদৃষ্টি প্রদান করতে আমি জেলার সকল আমচাষীদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ্ সুলতান বলেন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আম চাষ করলে উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি সঠিকভাবে সংরক্ষণ এবং পরিবহন, রফতানিসহ বাজারজাত করলে কৃষকরা লাভবান হবেন।

রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আলিম বলেন, এবার গরম আগেই চলে এসেছে। আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। কিছু কিছু গাছে মুকুল এসেছেও। আবার কিছু কিছু গাছে মাথা ফাটছে। এই ফাটা জায়গা থেকেই মুকুল বা নতুন পাতা বের হবে। তবে সেগুলো মুকুল হবে না নতুন পাতা হবে সেটা বুঝতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে।

 

 

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা...

 

 

 

কলকাতায় পারদ চড়ছে। ঘাম-অস্বস্তি বাড়ছে। তবু মন ভাল এক দল বাঙালির। আমের আশায়। ইতিমধ্যেই কেউ কেউ পাকা আম কিনতে শুরু করে দিয়েছেন। কেউ আবার অপেক্ষা করছেন সেরা আম বাজারে আসার জন্য। আর কিছু দিনেই রোজ আম কিনতে শুরু করবেন।

আমের মরসুমে যেন চারদিক আমময় হয়ে ওঠে। সকালে দুধ-আম-রুটি হোক কিংবা কিংবা দুপুরে খাওয়া শেষ করে গোটা আম কিংবা আমের তৈরি মিষ্টি— গরমে আমের স্বাদ পেলে আর যে কিছুই চাই না বাঙালির।
Image of Mango.

নিয়মিত আম খেতে শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।

কিন্তু রোজ আম খাওয়া কি শরীরের পক্ষে ভাল? আমে নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। কিন্তু তার মানেই কি যখন তখন আম খাওয়া যাবে? তা একেবারেই নয়। নিয়মিত আম খেতে শুরু করার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

১) যতই খাদ্যগুণে ভরপুর হোক আম, তবু একটি অতিরিক্ত ক্ষতির আশঙ্কা লুকিয়ে আছে এই ফলে। এতে অ্যালার্জির আশঙ্কা অনেকটা বেশি।

২) পাকা আমে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেশি। তাই নিয়মিত আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।

ভাত হোক বা বিরিয়ানি, যা খাচ্ছেন সবই মুখে তেতো ঠেকছে? এই সমস্যা কি কোনও রোগের লক্ষণ?

ঋতুস্রাবের যন্ত্রণায় শরীর কাহিল হয়ে পড়ে? কোন খাবারগুলি চাঙ্গা থাকতে সাহায্য করবে?

৩) বেশ কয়েকটি ধরনের আমে ফাইবারের পরিমাণ কম থাকে। অধিকাংশ ফাইবার বেরিয়ে যায় আঁটি আর খোসায়। ফলে হজমের জন্য খুব একটা সুবিধাজনক নয় সব ধরনের আম। যদি আম খেতেই হয়, তবে সঙ্গে ফাইবারে ভরপুর কিছু ফল খাওয়াও জরুরি।

৪) আমে অনেকটা শর্করা থাকে। এই ফল খেলে তাই অনেকটা ক্যালোরি যায় শরীরে। আম খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। কারণ আমে ক্যালোরির মাত্রা অনেকটাই বেশি থাকে।

৫) বেশি আম খেলে আবার আমাশার সমস্যা হতে পারে। বাজারে গেলেই এখন বিভিন্ন প্রজাতির আম পাওয়া যায়, তবে সেগুলি বেশির ভাগই গাছপাকা নয়, রাসায়নিক ব্যবহার করে সেগুলি পাকানো হয়। তাই আম কাটার আগে ঘণ্টা দুয়েক জলে ভিজিয়ে না রাখলে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে যথা নিয়মে প্রকৃতিতে ফাগুন এসেছে। তবে এরই মধ্যে আমের গাছে গাছে উঁকি দিয়েছে আমের মুকুল। সারি সারি আমের গাছে এখন সৌরভ ছড়াচ্ছে মুকুল। আম চাষিরাও পরিচর্যায় নেমেছেন বাগানে বাগানে। এবার আমের ভালো ফলনের আশা করছেন তারা। তীব্র শীত পেরিয়ে আম গাছগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাস খানেক আগেই মুকুলের দেখা মিলেছে এবার। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন।

মঙ্গলবার বরগুনার বেতাগীতে অনেক আম গাছে মুকুলের এমন দৃশ্য দেখা মিলছে। দেশী জাতের আম গাছে মুকুল দেখা গেছে। এতে খুশি চাষি ও বাগানের মালিকেরা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, শীতের প্রকোপ অনেকটাই কমে গেছে। প্রকৃতি তার রূপের মাধুরি নিয়ে বসন্ত এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটা গ্রামে দেখা যায়, আম গাছে মুকুল আসতে শুরু হয়েছে। সোনারাঙা সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে সৌরভ ছড়াচ্ছে বাতাসে।

আমচাষি ও বাগান মালিকরা জানান, ‘বিভিন্ন এলাকা জুড়ে সব আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। মাঘের মাঝামাঝি সময় থেকেই গাছে মুকুল আসার লক্ষণ দেখা যায়। অনেকটা গাছে মুকুল থেকে দানা দানা গুঁটি পরিণত হয়েছে। এ কারণে বাগানে পরিচর্যা বাড়িয়েছেন তারা।’

 

পৌর শহরের আম চাষি কৃষ্ণ কান্ত ঘরামী বলেন, ‘মুকুল আসার পর থেকে উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে গাছের পরিচর্যা করছি।’

কৃষিবিদ লিটন কুমার ঢালী বলেন, ‘আমের মুকুলে যখন পরাগায়ন ঘটবে তখন স্প্রে করা যাবে না। আবার যখন মুকুল থেকে দানাদানা গুঁটিতে পরিণত হবে তখন স্প্রে করা যাবে। ডায়াজিনন ৬০ ইসি বা লেবাসিড ৫০ ইসি চা চামচের ৪ চামচ ৮.৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর দু’বার স্প্রে করতে হবে।’

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে দেশী জাতের বিশেষ করে আঁটি ও ফজলি আম গাছের মুকুল ছত্রাকে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গত বছরের তুলনায় কুয়াশা কম পড়েছে, এসব মুকুলে ভালো আম হবে।’

বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, ‘শীতের প্রকোপ কেটে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ভালো ফলন হবে।’

 

বাজার ছেয়েছে পাকা হিমসাগরে। এই মরশুমে আম খাওয়ার লোভ সামলানো ভারী মুশকিল। কিন্তু যাঁদের সুগার রয়েছে, তাঁরা কি পাকা আম খেতে পারবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে-র সঙ্গে।
Mango On Diabetes: হাই সুগারে পাকা আম তো রোজ খেয়ে চলেছেন, কিন্তু কখন খেতে হবে প্রিয় ফল?
Follow Us:
google-news-icon
TV9 Bangla Digital
TV9 Bangla Digital | Edited By: megha | Updated on: May 23, 2023 | 2:58 PM

গ্রীষ্মকাল মানেই আম খাওয়ার দিন। আর এখন বাজার ছেয়েছে পাকা হিমসাগরে। এই মরশুমে আম খাওয়ার লোভ সামলানো ভারী মুশকিল। কিন্তু যাঁদের সুগার রয়েছে, তাঁরা কি পাকা আম খেতে পারবেন? এই প্রশ্ন কমবেশি সব ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরই মনে জাগে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে-র সঙ্গে।

তিনি যা বললেন…

কথায় আছে, কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ! ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইভাবে প্রযোজ্য। বাজারে পাকা আম উঠলেই এঁদের মুখ ভার। আম মুখে দিলেই তো পরিবারের সদস্যরা রে-রে করে উঠবেন। তাই হাতের সামনে আম থাকলেও তাঁরা খেতে পারেন না। কিন্তু যে ফলের দেখা বছরে মাত্র একবারই মেলে, মাত্র কয়েক সপ্তাহ দেখা পাওয়া যায়, সেটা কি একটাও খাওয়া যাবে না? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ফলের রাজা আম

ফলের রাজা, তাই আমের যে হাজার গুণ থাকবে, এই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করাও বোকামির সমান। আমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাঙ্গানিজ়, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ফসফরাল, কপার ইত্যাদি। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও মজুত রয়েছে এই ফলে। তাই আম খেলে শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ থাকে। এই কারণেই গ্রীষ্মের দাপটের মাঝেও পাতে থাকুক আম। এতে দেহের উপকারই হবে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের কি আম খাওয়া উচিত?

সুগার রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই তাঁদের এমন খাবার থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়, যা চটজলদি সুগার বাড়াতে পারে। যদিও আম সেই অর্থে সুগার বাড়ায় না। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মোটামুটি ৫১ থেকে ৫৬, যা মিড লেভেল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। তাই আম খাওয়া নিয়ে খুব বেশি ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

কারা খেতে পারবেন? কতটা খাবেন?

সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকা যে কোনও ডায়াবেটিসের রোগী অনায়াসে আম খেতে পারেন। আর মাঝেমধ্যে নয়, বরং রোজ আম খেলেও কোনও ক্ষতি নেই। রোগীর এইচবি১সি (HbA1c) লেভেল ৭-এর নিচে থাকলেই নিশ্চিন্তে আম খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে দিনে ২ থেকে ৩ টুকরো আম খেলে তেমন কোনও সমস্যা হবে না। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার নিজের চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

কখন আম খাবেন?

অনেকে রাতে রুটির সঙ্গে আম খান। আবার কেউ ব্রেকফাস্টে দই-চিঁড়ের সঙ্গে আম খান। বড় মিলের সঙ্গে (লাঞ্চ বা ডিনার) সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। ভারী খাবারের সঙ্গে ফল খেলে রক্তে শর্করা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বরং, আপনাকে দু’টি বড় মিলের মাঝে খেতে হবে ফল। এক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মাঝে কিংবা লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝে ফল খাওয়া দরকার। তবেই মিলবে উপকার। আম খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ফলও খান। এক্ষেত্রে পেয়ারা, আপেল সব মিলিয়ে মোটামুটি ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ফল খেতে পারেন। এতে সুগার বাড়বে না।

নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করান

আম তো খাচ্ছেন, তাতে বাধা নেই। তবে, রক্তে সুগারের মাত্রাও নিয়মিত মাপা চাই। বাড়িতে গ্লুকোমিটারে সুগার চেক করুন। খাবার খাওয়ার মোটামুটি ২ ঘণ্টা বাদে সুগার পরীক্ষা করতে হবে। তখন সুগারের মাত্রা ১৪০-এর নিচে থাকলে চিন্তার কিছুই নেই। তবে এর বেশি হলেই আম খাওয়া বন্ধ।



গ্রীষ্মকাল মানেই আম খাওয়ার দিন। আর এখন বাজার ছেয়েছে পাকা হিমসাগরে। এই মরশুমে আম খাওয়ার লোভ সামলানো ভারী মুশকিল। কিন্তু যাঁদের সুগার রয়েছে, তাঁরা কি পাকা আম খেতে পারবেন? এই প্রশ্ন কমবেশি সব ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীরই মনে জাগে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ অরিজিৎ দে-র সঙ্গে।

তিনি যা বললেন…

কথায় আছে, কারও পৌষমাস তো কারও সর্বনাশ! ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও বিষয়টি একইভাবে প্রযোজ্য। বাজারে পাকা আম উঠলেই এঁদের মুখ ভার। আম মুখে দিলেই তো পরিবারের সদস্যরা রে-রে করে উঠবেন। তাই হাতের সামনে আম থাকলেও তাঁরা খেতে পারেন না। কিন্তু যে ফলের দেখা বছরে মাত্র একবারই মেলে, মাত্র কয়েক সপ্তাহ দেখা পাওয়া যায়, সেটা কি একটাও খাওয়া যাবে না? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ফলের রাজা আম

ফলের রাজা, তাই আমের যে হাজার গুণ থাকবে, এই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করাও বোকামির সমান। আমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ম্যাঙ্গানিজ়, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ফসফরাল, কপার ইত্যাদি। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও মজুত রয়েছে এই ফলে। তাই আম খেলে শরীর সার্বিকভাবে সুস্থ থাকে। এই কারণেই গ্রীষ্মের দাপটের মাঝেও পাতে থাকুক আম। এতে দেহের উপকারই হবে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের কি আম খাওয়া উচিত?

সুগার রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই তাঁদের এমন খাবার থেকে দূরে থাকার কথা বলা হয়, যা চটজলদি সুগার বাড়াতে পারে। যদিও আম সেই অর্থে সুগার বাড়ায় না। আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মোটামুটি ৫১ থেকে ৫৬, যা মিড লেভেল গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। তাই আম খাওয়া নিয়ে খুব বেশি ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

কারা খেতে পারবেন? কতটা খাবেন?

সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকা যে কোনও ডায়াবেটিসের রোগী অনায়াসে আম খেতে পারেন। আর মাঝেমধ্যে নয়, বরং রোজ আম খেলেও কোনও ক্ষতি নেই। রোগীর এইচবি১সি (HbA1c) লেভেল ৭-এর নিচে থাকলেই নিশ্চিন্তে আম খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে দিনে ২ থেকে ৩ টুকরো আম খেলে তেমন কোনও সমস্যা হবে না। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই একবার নিজের চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

কখন আম খাবেন?

অনেকে রাতে রুটির সঙ্গে আম খান। আবার কেউ ব্রেকফাস্টে দই-চিঁড়ের সঙ্গে আম খান। বড় মিলের সঙ্গে (লাঞ্চ বা ডিনার) সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। ভারী খাবারের সঙ্গে ফল খেলে রক্তে শর্করা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। বরং, আপনাকে দু’টি বড় মিলের মাঝে খেতে হবে ফল। এক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মাঝে কিংবা লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝে ফল খাওয়া দরকার। তবেই মিলবে উপকার। আম খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ফলও খান। এক্ষেত্রে পেয়ারা, আপেল সব মিলিয়ে মোটামুটি ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ফল খেতে পারেন। এতে সুগার বাড়বে না।

নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করান

আম তো খাচ্ছেন, তাতে বাধা নেই। তবে, রক্তে সুগারের মাত্রাও নিয়মিত মাপা চাই। বাড়িতে গ্লুকোমিটারে সুগার চেক করুন। খাবার খাওয়ার মোটামুটি ২ ঘণ্টা বাদে সুগার পরীক্ষা করতে হবে। তখন সুগারের মাত্রা ১৪০-এর নিচে থাকলে চিন্তার কিছুই নেই। তবে এর বেশি হলেই আম খাওয়া বন্ধ।


বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমের জেলা ‘আমের শহর’ নামে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ জেলাতে এবছর আমের মুকুল নিয়ে সংশয়ে পড়েছে আম ব্যবসায়ী ও চাষিরা। তাদের আশংকা চলতি বছরে আমের ফলন ভাল হবে না। কারণ প্রতিবছর এ সময় যখন আম গাছে আমের মুকুলে মুকুলে ভরপুর থাকে। তখন এবার বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে।

সরেজমিনে জেলার নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট উপজেলার বিভিন্ন আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের দুই সপ্তাহ পরেও আম বাগানে শত শত আম গাছে কোন মুকুল নেই। দু-একটি গাছে মুকুল থাকলেও একেবারেই কম। আম চাষি ও আম ব্যবসায়ীরা বাগানে স্প্রে ও সেচ দেয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরে ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হচ্ছে। যা গতবছর ছিলো ৩৭ হাজার ৫৮৮ হেক্টর জমিতে।

ফেব্রুয়ারির তিন ভাগের দু’ভাগ সময় চলে গেলেও তেমন মুকুল না আসার বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলার আম চাষি এরসাদ আলী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এবার শীতকালে দীর্ঘমেয়াদী শৈত্য প্রবাহ, অতিরিক্ত শীত ও ঠাণ্ডা হওয়ায় আমের গাছে মুকুল আসছে না।

তবে কৃষি বিভাগ বলছেন, সঠিক নিয়মে ও উপযুক্ত সেচ ও স্প্রেসহ অন্যান্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে সামনে কিছু দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই মুকুল আসতে শুরু করবে। এখন আমরা বাগানে স্প্রে করছি।

আম চাষি ও আম উদ্যোক্তা শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন শামীম খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ বছর দীর্ঘমেয়াদী শীত ও ঠাণ্ডা হওয়ায় আম বাগানে এখনো মুকুল আসেনি। তাই খুব চিন্তিত আছি। কারণ গাছে মুকুল না আসায় অনেকটা হতাশ হয়েছি। তারপর ওপর আবার বালাইনাশকের দাম কয়েক বছরের মধ্যে এবার অনেক বেশি হওয়ায় খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। তবু কৃষি অফিসারের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার আশায় সেচ ও বালাই নাশক স্প্রে করছি।

উদ্যোক্তা শামীম আরও বলেন, পণ্যের দাম বাড়ার সাথে সাথে শ্রমিকের দামও বাড়ছে।

আম চাষি ও আম ব্যবসায়ী রবিউল আওয়াল বলেন, প্রায় ১০ বছরের মধ্যে এবার প্রথম ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমের মুকুর পুরাপুরি দেখা দেয়নি। যা আমাদেরকে অনেকটা হতাশ করেছে।

জানতে চাইলে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, আম গাছে মুকুল আসেনি বলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এ বছর শীত ও ঠাণ্ডা বেশি হওয়ায় মুকুল আসতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে মুকুল আসতে পারে তবে বড় গাছগুলোতে তেমন মুকুল না হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে গতবছর যেহেতু শতভাগ মুকুল হয়েছিল। এবার তুলনামূলক কম মুকুল হবে। যেসব আম গাছে এক সপ্তাহ পর নতুন পাতা গজাবে। সেগুলোতে মুকুল আসবে না।

আম গবেষক আরও বলেন, যেহেতু এখনো সময় আছে সেহেতু কৃষি অফিসারদের সাথে পরামর্শ করে সঠিকভাবে সেচ ও বালাই নাশক স্প্রে করতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই মুকুল আসবে।

এনিয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, গত বছর যেহেতু বেশি পরিমাণে মুকুল এসেছিল। সেহেতু এবার মুকুল কম আসতে পারে। তাছাড়া শীত ও ঠাণ্ডার কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে জেলার প্রায় সব আম বাগানেই কমবেশি মুকুল আসতে শুরু করেছে।

 শীত প্রায় বিদায়ের মুখে। গরম পড়ল বলে। আর বাঙালির গ্রীষ্মকাল মানেই তো রকমারি আমের স্বাদে ডুব দেওয়া। আম গাছে মুকুল ধরতে শুরু করেছে। ফলে এই সময় মুকুলের যথাযথভাবে যত্ন করলে তবেই ভাল আমের ফলন পাওয়া যাবে। এই গ্রীষ্মে আম চাষ করে ভাল মুনাফা পেতে হলে কৃষক ভাইদের এখন‌ই কী কী করতে হবে চট করে জেনে নিন।

আরও পড়ুন: এর থেকে পরিষ্কার না করাই ভাল! সাহেব বাঁধের কচুরিপানা তোলা দেখলে ভিড়মি খাবেন

আমের স্বাদে মজেনি এমন বাঙানি পাওয়া ভার। শুধু মালদহ-মুর্শিদাবাদেই নয়, উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও প্রচুর আম চাষ হয়। কিন্তু কখনও তীব্র রোদ, কখনও বা ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি ও রোগ, পোকার আক্রমণে মার খায় আমের উৎপাদন। এই বিপদ থেকে বাঁচতে মুকুল ধরার সময় ভাল করে যত্ন নেওয়া দরকার। এইসময় আম গাছে বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা যায়।

সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে ব্যর্থ হলে আমের ফলন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। এই অবস্থায় রোগ, পোকার হাত থেকে কীভাবে নিজের আম গাছের যত্ন নেবেন জানেন? গ্রীষ্মকালীন ফল আম। মূলত মার্চ মাসের দিকে আম গাছে মুকুল আসা শুরু করে। তবে দেখা যায় গাছে অনেক মুকুল এলেও একটা পর্যায়ে এসে সেই মুকুলগুলো সমস্ত ধীরে ধীরে ঝরে পড়ে যায়। একটি আম গাছে যে পরিমাণে আমের মুকুল আসে সেই পরিমাণে ফলন আসে না। ঝড়-বৃষ্টি বিভিন্ন পোকার কারণে আমের মুকুল ঝরে যায়।

আমের মুকুল ঝরে পড়ার একটি অন্যতম কারণ হল হপার পোকার আক্রমণ। একটি হপার পোকা প্রায় ১৫০ টি ডিম পাড়তে পারে। এই ডিমগুলো পাঁচ-সাত দিনের মাথায় ফুটে যায় ও আম গাছের পাতা, ফুল, ফলের রস খেয়ে এই পোকাগুলো জীবন ধারণ করে।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক যেমন পাউডারি, মিলডিউ ওডিয়াম মেংগিফেরা এই ধরনের ছত্রাকের কারণে আমের মুকুল পড়ে যায়। আম গাছকে পোকা দমনের হাত থেকে বাঁচাতে ও আমের মুকুল পড়া রোধ করতে কৃষি বিশেষজ্ঞ রাধিকারঞ্জন দেবভূতি জানান, আম বাগান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও আগাছা মুক্ত খোলামেলা অবস্থায় রাখতে হবে। শীতের পরে গরম শুরু হ‌ওয়ার এই সময়টায় আম গাছে প্রচুর জলের প্রয়োজন হয়। তাই আম গাছের গোড়ার পাশাপাশি আমের পাতাগুলোতেও এই সময় জল স্প্রে করতে হবে।

মুকুল আসার আগে গাছে যাতে পোকার আক্রমণ কম হয় তার জন্য রোগর, ম্যাটাসিস্টক এই জাতীয় ওষুধ জলের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করলে হপার পোকার আক্রমণ থেকে গাছ রক্ষা পাবে। এছাড়াও আমের গুটি বেরোনোর ১০ থেকে ২০ দিন পর বোরিক অ্যাসিড জলে মিশিয়ে স্প্রে করলে আমের গুটির পরিমাণ বেড়ে যায়।

তবে লক্ষ রাখতে হবে গাছে যখন ফুল ফুটে যাবে তখন কোনও প্রকার স্প্রে করা যাবে না। আম গাছে মুকুল আসার আগে স্প্রে করা যেমন জরুরি তেমনই মুকুল ফোটার পর স্প্রে করা একেবারেই উচিত নয়। কেননা এই সময় অনেক উপকারী পোকারা পরাগায়নের জন্য আসে।

ফুচকা প্রেমীদের জন্য মালদহে নতুন চমক! পুজোর আগে মালদহে খুলে গেল প্রথম ফুচকা কর্নার। যেখানে মূল আকর্ষণ ম্যাঙ্গো ফুচকা।‌ পুজোয় মালদহের আম না মিললেও ফুচকার মধ্যে মিলছে আমের স্বাদ গন্ধ। নতুন এই ফুচকা প্রথম থেকেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে সাধারণের মধ্যে। ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে ম্যাঙ্গো ফুচকা।মালদহের তিন বন্ধু মিলে প্রথম এমন ফুচকার দোকান খুলেছেন। এক বন্ধু বিকাশ সরকার বলেন, মালদহ শহরের বাসিন্দাদের নিত্যনতুন ফুচকা খাওয়ানোর চিন্তা ভাবনা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত। আমরা তিন বন্ধু মিলে ম্যাঙ্গো ফুচকা নিয়ে এসেছি। সঙ্গে আরও বিভিন্ন প্রকার পুরস্কার রয়েছে, তবে আমাদের আকর্ষণ ম্যাঙ্গো ফুচকা। মালদহের ঐতিহ্য আম। তাই আমাদের এই ধরনের চিন্তাভাবনা।

শহরের নজরুল সরণীর উপর জলকর বিল্ডিং-এর পাশেই এই দোকান। পুজোর আগেই দোকানের উদ্বোধন করা হয়েছে। সাধারণ ফুচকা ছাড়াও এখানে নিত্যনতুন ফুচকা বিক্রি হচ্ছে। রয়েছে চকলেট ফুচকা, মিষ্টি ফুচকা, দই ফুচকা ছাড়াও বিভিন্ন রকমের ফুচকা। তবে মূল আকর্ষণ ম্যাঙ্গো ফুচকা। এক প্লেট ম্যাঙ্গো ফুচকার দাম ৫০ টাকা।সাধারণ জল ফুচকার মত আলু সেদ্ধ ফুচকার ভেতরে দেওয়া হয়। তার মধ্যে পাকা আম ও কাঁচা আমের ফ্লেবার, ঝুরি ও আমসত্ত্ব দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। সঙ্গে তেঁতুল জল।‌ আমসত্ত্বের জন্য এই ফুচকার স্বাদ একেবারেই অন্যরকম।

Page 3 of 58