x 
Empty Product

গরমে আম সব বাঙালি বাড়িতেই আসে। পাকা আম খাওয়ার আগে কাঁচা আমের স্বাদেও মেতে ওঠেন অনেকে। কিন্তু আদৌ কি কাঁচা আম সবাই খেতে পারেন? জেনে নিন বিশদে।

1/6মরসুমি ফল বলে আম সব বাঙালি বাড়িতেই আসে। পাকা আম খাওয়ার আগে কাঁচা আমের স্বাদেও মেতে ওঠেন অনেকে। কিন্তু আদৌ কি কাঁচা আম সবাই খেতে পারেন? জেনে নিন বিশদে।
2/6প্রথমে জেনে নেওয়া যাক, কাঁচা আমের কী কী গুণ। কাঁরা এই আম খেতে পারেন অনায়াসে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, কাঁচা আমে অন্য ফলের চিনির পরিমাণ কম। তাই ডায়াবিটিস রোগে যাঁরা তটস্থ হয়ে থাকেন। তারাও এই আম খেতে পারেন। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।  
3/6হার্ট ভালো রাখে কাঁচা আম। আমের মধ্যে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়ম। এই দুটি উপাদান  রক্তের সঞ্চালন ঠিক রাখে। তাই হার্টের রোগীরা কাঁচা আম খেতেই পারেন।
4/6কাঁচা আম খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাই নিয়ন্ত্রণে রাখে কাঁচা আমের পুষ্টি উপাদান।
5/6রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কাঁচা আম। এর মধ্যে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।  এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। একইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
6/6তবে অতিরিক্ত কাঁচা আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। কারণ এই আম বেশি খেলে পেটে ব্যথা থেকে ডায়রিয়ার সমস্যাও হতে পারে। তাই অল্পেই যাদের পেটের গন্ডগোল হয়, তাদের কাঁচা আম না খাওয়াই ভালো।


 

এ বছরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আম উপহার পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি সূত্রে খবর, মমতাকে ৬০০ কেজি হিমসাগর এবং ল্যাংড়া আম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সোমবারই যশোরের বেনাপোল বন্দর-হরিদাসপুরে হয়ে উপহারের আম পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতার কালীঘাটের বাড়িতে।

 

 

 

প্রতি বছরই আমের মরসুমে ‘বোন’ মমতাকে উপহার পাঠান হাসিনা। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই রকম উপহার পাঠিয়ে থাকেন প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী। আবার মুখ্যমন্ত্রীও নানা সময়ে উপহার পাঠিয়ে থাকেন। যেমন পুজোর সময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে শাড়ি উপহার পাঠিয়েছিলেন। বর্ষার মরসুমে পদ্মার ইলিশও আসে ভারতে। যদিও তা বাণিজ্যিক পথেই আদানপ্রদান হয়ে থাকে।

 

 

 

মমতা-হাসিনার সম্পর্ক বরাবরই ভাল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাসিনার ভারত সফরে কেন বাংলা ‘ব্রাত্য’ তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিলেন তিনি। এর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ছিল, ‘‘মমতা আমার বোনের মতো এবং আমরা যে কোনও সময় দেখা করতে পারি। কিছু সম্পর্ক রাজনীতির ঊর্ধ্বে হয়, ব্যক্তিগত। যেমন গান্ধীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক।’’

 

 

 

আবার মমতাও বিভিন্ন সময়ে তাঁর সঙ্গে হাসিনার ভাল সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘হাসিনাজির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভীষণ ভাল। পুজোর সময় আমরা ওঁকে শাড়ি পাঠাই। ইদের সময় শাড়ি পাঠাই। উনি আম পাঠান, ইলিশ পাঠান।’’ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার লেনদেন চলতেই থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, ৬০০ কেজি আম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কী করবেন? মমতার ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, তিনি এই উপহার আবার অনেককে পাঠিয়ে দেন। সেই তালিকায় তাঁর দলের নেতারা যেমন থাকেন, তেমনই আমলা এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠও রয়েছেন।

 

জোগান অতিরিক্ত হলে দাম তুলনামূলক ভাবে কমে। অর্থনীতির এই সহজ কথা মাথায় রেখে ভরা গাছ থেকে কাঁচা আম পেড়ে বেচে দিয়েছিলেন অনেকে। আচার, জেলি তৈরির কারখানায় ভাল দাম পেয়েছে সেই আম। কিন্তু, যাঁরা অপেক্ষা করেছেন, পাকা টুসটুসে আম বেচে থলে ভরবেন, অতিফলনে তাঁরা কার্যত লোকসানে। হুগলি জেলার আমচাষিদের অভিজ্ঞতা এমনই।

 

অভাবী বিক্রিতে বাধ্য হওয়া চাষিরা পরিস্থিতির জন্য বিপণন ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাকে দুষছেন। তাঁদের বক্তব্য, বিপণনের পরিসর বাড়লে বেশি আম ফলিয়েও লাভের মুখ দেখতে পারতেন তাঁরা। বাজার ব্যবস্থার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না।

 

জেলা উদ্যানপালন দফতরের বক্তব্য, এ বার প্রকৃতি আম চাষের সহায়ক ছিল। গাছে প্রচুর মুকুল এসেছিল। শিলাবৃষ্টি বা অন্য কোনও সমস্যা না হওয়ায় মুকুল ঝরে যায়নি সে ভাবে। তাতে অনেক আমচাষি বুঝে যান, ঝেঁপে ফলন হবে। কিন্তু, দাম পড়ে যাবে। পরিস্থিতি আন্দাজ করেই তাঁরা কাঁচা আম পেড়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।

 

পোলবার চাষি রজত নিয়োগী কাঁচা আম কারবারিদের ধ্যে একজন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এলাকা থেকে দুই মেদিনীপুর এবং হলদিয়ায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি আচার, জেলি তৈরির জন্য কাঁচা আম নিয়েছে। একই কারণে অসম, বিহার, ওড়িশার মতো ভিন্‌ রাজ্যেও প্রচুর কাঁচা আম গিয়েছে। ভালই দাম মিলেছে।’’ বলাগড় ব্লকের গুপ্তিপাড়া, জিরাট, কুন্তীঘাটের মতো জায়গাতেও কমবেশি একই চিত্র।

 

পোলবা-দাদপুর, চুঁচুড়া-মগরা, বলাগড় এবং পান্ডুয়া ব্লকে আম চাষ লাফিয়ে বেড়েছে। এখানকার আম রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ভিন্‌ রাজ্যেও যায়। এই জেলার হিমসাগর প্রজাতির আমের জুড়ি মেলা ভার। মুম্বই, চ্যাটার্জি, ফজলিও হচ্ছে। গতবার দিল্লিতে পোলবার ‘হিমসাগর’ পুরস্কার জিতেছে। কিন্তু, পাকা আমের অপেক্ষায় থাকা চাষিদের এ বার মাথায় হাত। পোলবা ব্লকের প্রবীণ আমচাষি লক্ষ্মী শূর বলেন, ‘‘ব্যান্ডেল স্টেশন বাজারে রাত ১টা থেকে আমের বাজার বসে। দিল্লি রোড, জিটি রোড নাগালে। কিন্তু, অপরিসর জায়গায় বেশি ট্রাক দাঁড় করিয়ে আম বোঝাইয়ের উপায় নেই।’’ চাষিদের খেদ, এর সঙ্গে ফড়ের উৎপাত লেগেই রয়েছে। ভাল মানের আম এখন ১০-১৫ টাকা কিলো বিক্রি করছেন চাষি। বাজারে তা ৩০-৪০ টাকায় বিকোচ্ছে।

 

বলাগড়, গুপ্তিপাড়া, জিরাট থেকে দৈনিক ৪০-৫০ ট্রাক আম যাচ্ছে ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসমে। চাষিদের অনেকের দাবি, বাগান ইজারা নিয়ে, এমনকি নিজের বাগানে চাষেও সুবিধে হচ্ছে না। বিঘাপ্রতি ফলনে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ। সঙ্গে প্যাকিং, পরিবহণ খরচ। গুপ্তিপাড়ার শেখ মহিজুর, সমীর ভড়দের হাজার দুয়েক গাছ ইজারা রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘চাহিদা থাকলেও অতিফলন আর বিপণনের সমস্যা ডোবাচ্ছে।’’

 

গুপ্তিপাড়ায় সুব্রত মণ্ডলের বাগান রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এই ব্লকে ধান, আলু ছেড়ে অর্থকরী ফসল হিসাবে আম ফলাচ্ছেন অনেক চাষি। আম বহু ভাবে ব্যবহারের বিরাট সম্ভাবনা আছে। সরকারি উদ্যোগ জরুরি।’’

 

Mango Side Effects: নিয়ম মেনে আম না খেলে হতে পারে নানা সমস্যা। জেনে নিন আম খাওয়ার ৪ নিয়ম।
1/7আম খেতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ কমই আছেন। গরম কালের দাবদাহের কষ্ট অনেকটাই কমিয়ে দেয় আমের মিষ্টি স্বাদ। শুধু স্বাদই কেন, আমের আছে হরেক গুণও। কিন্তু এই আমও ডেকে আতে পারে বিপদ।
2/7আম খাওয়ার কয়েকটি নিয়ম আছে। সেই নিয়মগুলি মনে রাখা দরকার গোড়াতেই। সেগুলি না জানলে হতে পারে নানা সমস্যা। সাধের আম ডেকে আতে পারে নানা বিপদ। দেখে নিন, এই নিয়মগুলি কী কী।
3/7আম ভিটামিনে ঠাসা। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো থেকে শুরু করে এর টক ভাবের কারণে গরমের কষ্ট কম হওয়ার মতো বহু উপকারই পাওয়া যায়। কিন্তু আমের মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর সেই কারণেই আম খাওয়ার আগে ৪টি নিয়ম মেনে চলা দরকার।
4/7আম কখনও দইয়ের সঙ্গে খাবেন না। আমে থাকা বেশ কিছু উপাদান দইয়ের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটায়। ফলে এমন কিছু উপাদান তৈরি হয়, যা শরীরের জন্য খারাপ। বিশেষ করে ত্বকের সমস্যা ডেকে আনতে পারে এগুলি।
5/7আম খাওয়ার পরেই জল খাবেন না। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। আমের উপাদানগুলি হজম হয়ে শরীরে মিশতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। অন্তত আধ ঘণ্টা সময় দিন। তার পরে জল খান। নাহলে অ্যাসিড হয়ে যেতে পারে।
6/7আম খাওয়ার আগে তা অবশ্যই ভিজিয়ে রাখুন। এতে ফাইটিক অ্যাসিড নামের উপাদান থাকে। সেই ফাইটিক অ্যাসিড শরীরের জন্য খুব খারাপ। এটি শরীরে নানা প্রক্রিয়ারও সৃষ্টি করতে পারে। তাই আম খাওয়ার আগে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
7/7রাতে খাবার খাওয়ার পরে আম খাবেন না। আম খুব ভারী একটি ফল। অর্থাৎ এতে ক্যালোরির মাত্রা অনেকটাই বেশি। ফলে রাতে খাবার খাওয়ার পরে আম খেলে সেই খাবার হজম করতে তো সমস্যা হবেই পাশাপাশি ওজনও বাড়তে পারে। সকালে জলখাবারে আম খেতে পারেন। দুপুরের খাবার খাওয়ার পরেও খেতে পারেন। কিন্তু রাতে কোনও ভাবেই নয়।

এবার আমের ফলন বেশ ভাল। জলের দরে বিকোচ্ছে হিমসাগর। শুধু হিমসাগর নয়, ল্যাংড়া, ফজলি, বেগমফুলি সব রকম আমেরই ফলন বেশ ভাল।
1 / 8
বছরে মাত্র একবারই বাজারে আসে এই পাকা আম। আর এর জন্য অপেক্ষা থাকে বছরভর। ফলের রাজা আম। আর আম খেতে কে না ভালবাসে।

বছরে মাত্র একবারই বাজারে আসে এই পাকা আম। আর এর জন্য অপেক্ষা থাকে বছরভর। ফলের রাজা আম। আর আম খেতে কে না ভালবাসে।
2 / 8
পাকা আম দিয়ে কত কিছুই না হয়। আইসক্রিম, পুডিং, কেক, মিষ্টি, চাটনি, জ্যাম-জেলি থেকে শুরু করে এমনকী চিকেন পর্যন্ত রান্না করা যায়। এছাড়াও ছাতু, মুড়ি, চিঁড়ে দিয়ে আম-দই-কলা এসব খেতে বেশ লাগে।

পাকা আম দিয়ে কত কিছুই না হয়। আইসক্রিম, পুডিং, কেক, মিষ্টি, চাটনি, জ্যাম-জেলি থেকে শুরু করে এমনকী চিকেন পর্যন্ত রান্না করা যায়। এছাড়াও ছাতু, মুড়ি, চিঁড়ে দিয়ে আম-দই-কলা এসব খেতে বেশ লাগে।
3 / 8
তবে চিকিৎসকেরা আম আর দই একসঙ্গে খেতে মানা করছেন। আমে প্রচুর ভিটামিন সি, বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও খনিজ লবণসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছে, তবে আম খাওয়ারও আছে কিছু নিয়ম-কানুন। আর তাই ভাতের সঙ্গে আম মেখে খাবেন না।

তবে চিকিৎসকেরা আম আর দই একসঙ্গে খেতে মানা করছেন। আমে প্রচুর ভিটামিন সি, বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও খনিজ লবণসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আছে, তবে আম খাওয়ারও আছে কিছু নিয়ম-কানুন। আর তাই ভাতের সঙ্গে আম মেখে খাবেন না।
4 / 8
আম খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জল খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে কারণ এর ফলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। গ্যাস জমতে পারে। আম খাওয়ার অন্তত ৩০-৬০ মিনিট পর জল খাওয়া উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। আম বেশি খেলে সেখান থেকে আমাশাও হতে পারে।

আম খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে জল খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে কারণ এর ফলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। গ্যাস জমতে পারে। আম খাওয়ার অন্তত ৩০-৬০ মিনিট পর জল খাওয়া উচিত বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। আম বেশি খেলে সেখান থেকে আমাশাও হতে পারে।
5 / 8
আম আর তেঁতো কখনই একসঙ্গে খাবেন না। আমের সঙ্গে শুক্তো, নিম, করলা ভাজা এসব একেবারেই চলবে না। এ বিষয়টি মাথায় রাখবেন। কোথাও খেতে গেলে এই ভুল যেন না হয় সেদিকে নজর রাখুন।

আম আর তেঁতো কখনই একসঙ্গে খাবেন না। আমের সঙ্গে শুক্তো, নিম, করলা ভাজা এসব একেবারেই চলবে না। এ বিষয়টি মাথায় রাখবেন। কোথাও খেতে গেলে এই ভুল যেন না হয় সেদিকে নজর রাখুন।
6 / 8
আমদই এখন খুবই জনপ্রিয়। এই আমদই বানানোর পদ্ধতি আলাদা। তবে মিষ্টিদই আর আম একসঙ্গে নয়। বাড়িতে এখন কোনও অতিথি এলে এই আম আর দই একসঙ্গেই পরিবেশন করা হয়। বিশেষত জন্মদিন বা কোনও অনুষ্ঠানে। এতে হজম ঠিকমতো হয় না, অ্যাসিডিটির সম্ভাবনাও থাকে।

আমদই এখন খুবই জনপ্রিয়। এই আমদই বানানোর পদ্ধতি আলাদা। তবে মিষ্টিদই আর আম একসঙ্গে নয়। বাড়িতে এখন কোনও অতিথি এলে এই আম আর দই একসঙ্গেই পরিবেশন করা হয়। বিশেষত জন্মদিন বা কোনও অনুষ্ঠানে। এতে হজম ঠিকমতো হয় না, অ্যাসিডিটির সম্ভাবনাও থাকে।
7 / 8
আম খাওয়ার পর কোনও রকম মিষ্টি বা সোডা পানীয় খাবেন না। আমের মধ্যে থাকে শর্করা। আর কোল্ড ড্রিংকের মধ্যে তো থাকেই। ডায়াবেটিসের রোগীরা এই ভুল কোনও ভাবেই করবেন না।

আম খাওয়ার পর কোনও রকম মিষ্টি বা সোডা পানীয় খাবেন না। আমের মধ্যে থাকে শর্করা। আর কোল্ড ড্রিংকের মধ্যে তো থাকেই। ডায়াবেটিসের রোগীরা এই ভুল কোনও ভাবেই করবেন না।

শেষ পাতে মিষ্টি না খেলে কি মন ভরে! পায়েসকে বাঙালির হেঁশেলের সিগনেচার সুইট ডিশ বলা যায়। ছানার সঙ্গে টসটসে পাকা আর মিষ্টি আম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন এক অসাধারণ সুইট ডিশ আম ছানার পায়েস।

প্রায় শেষের মুখে আমের দিন। তার আগেই আমের স্বাদ চেটেপুটে উপভোগ করে নিন। ছানার সঙ্গে টসটসে পাকা আর মিষ্টি আম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন এক অসাধারণ সুইট ডিশ আম ছানার পায়েস। লো ক্যালোরি আর পুষ্টিগুণে ভরপুর আম ছানার পায়েস কীভাবে বানাবেন?

পায়েস বলতে আমরা সাধারণত যা বুঝি চালের পায়েস। শেষ পাতে মিষ্টি না খেলে কি মন ভরে! পায়েসকে বাঙালির হেঁশেলের সিগনেচার সুইট ডিশ বলা যায় অনায়াসে। কিন্তু আম দিয়েও তৈরি করা যায় সুস্বাদু পায়েস, তা অনেকেরই অজানা। মিষ্টি আম হলে তো আলাদা করে মিষ্টি দেওয়ার খুব প্রয়োজন হয় না। আরও পড়ুন: বেনারসিতে মুগ্ধ করা সাজে নোরা, ডিপ নেক ব্লাউজের ফাঁকে নজর কাড়ল নায়িকার বুকের তিল
জেনে নেওয়া যাক আমের ছানার পায়েস বানাতে কী কী লাগবে:

উপকরণ- ছানা: ২৫০ গ্রাম, পাকা মিষ্টি আম: ৫০০ গ্রাম, দুধ: দেড় লিটার, চিনি: ১ কেজি, ময়দা: ১০ গ্রাম, জল: আধ লিটার, পরিমাণ মতো কুচো বাদাম (যেমন বাদাম, কাজু বা পেস্তা)।
আমের ছানার পায়েসের রেসিপি:

প্রথমেই আমটি ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর আঁটি আলাদা করে নিতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, আমটি যেন মিষ্টি হয়। জল ছাড়া ছানা ও ময়দা এক সঙ্গে মেখে ছোট্ট ছোট্ট রসগোল্লার মত বল গড়ে নিন। এ বার দু-তিন চামচ চিনি রেখে দিয়ে সমস্ত চিনি জলে দিয়ে ফুটিয়ে সিরাপ তৈরি করে তার মধ্যে ছোট্ট রসগোল্লাগুলি দিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট ফুটিয়ে নরম হলে নামিয়ে রাখুন।

বাকি চিনি দিয়ে দুধ ফুটিয়ে ঘন করে নিন। সরাসরি দুধে আম দিলে, দুধ কেটে যাওয়ার ভয় থাকে। ঘন দুধ ঠান্ডা হলে আমের পাল্প মিশিয়ে নিন। এ বার রস থেকে ছোট রসগোল্লাগুলি তুলে আম দুধের মধ্যে দিন। কুচো বাদাম ছড়িয়ে মিশিয়ে দিন। কিছু আম কুচো কুচো করে রেখে দিতে হবে। বাটিতে ঢেলে আমের টুকরো সাজিয়ে ফ্রিজে ঠান্ডা হতে দিন। এরপর শেষপাতে পরিবেশ করুন।

 

মিয়াজাকি(Miyazaki Mango) আম। যা বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার হট কেক। বীরভূমের এক বাসিন্দার বাড়িতে ফলেছে এই জাপানি প্রজাতির আম। যার বাজার মূল্য প্রতি কেজিতে ২.৭৫ লক্ষ। আর এই আম ভাইরাল হতেই ঘুম ছুটেছে সৈয়দ সোনা নামে বীরভূমের ওই বাসিন্দার। সম্প্রতি শিলিগুড়ির আম উৎসবে সেই আম নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন সোনা। রাজকীয় এই আমকে একবার চাক্ষুষ দেখার আশায় সেখানেও ভিড় জমিয়েছেন লোকজন।

সৈয়দ সানা নামে ওই যুবক বিদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই বিশেষ আমের একটি চারা কিনে আনেন। এবং মজসিদ চত্বরে ওই আমের চারা লাগান। আর ওই গাছে আম ফলতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সব জায়গায়। মোট ৮ টি আম ফলেছে। যা দেখতে বীরভূমের ওই গ্রামে ভিড় জমিয়েছে লোকজন। সোশ্য়াল মিডিয়ার দৌলতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই রাজকীয় আমের খবর। ওই গ্রামের লোকেরা এক প্রকার আগলে রেখেছেন এই আম। জাপানে এই একটি মিয়াজাকি আমের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ হাজার টাকারও বেশি। মুখে দিলেই নাকি গলে যায় এই আম। আর চিনির মতো মিষ্টি। এবার শিলিগুড়ির তিনদিন ব্যপী আম উৎসবে অংশ নিয়েছে সোনার এই আম। গত ৯ জুন শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার এক শপিং মলে বসেছে এই বিশেষ আম উৎসবের আসর। আর সেখানেই সকলের নজর কাড়ছে এই রাজকীয় আম।

অন্যান্য আম তো আছেই, তবে সকলের নজর এই আমের রাজার দিকেই। তবে দেখাই সার, দাম শুনলেই পিছনে হাঁটতে হচ্ছে।মডেলা কেয়ারটেকার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজার্ভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের সহযোগিতায় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ২৬২ প্রজাতির আম রয়েছে এখানে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের খবর অনুসারে বিশ্বের সবথেকে দামি আম হল এই মিয়াজাকি। আর তাই-ই এখন বঙ্গে। ভাবা যায়!এই বিশেষ আম নিয়ে নানা ধারণা ঘোরাফেরা করছে। বিভিন্ন মহলের দাবি, এই আমে নাকি অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও বিটা ক্যারোটিন ও ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। যা চোখের পক্ষে ভীষণই ভাল। এই জাপানি প্রজাতির আম অনলাইনে লাখ টাকা দামে বিক্রি হয়। তবে বর্তমানে ভারতের কয়েকটি জায়গায় এই আম চাষ করা হয়। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এই আম চাষ করা হয়, তাও রীতিমতো পাহারা দিয়ে।

বর্ষাকাল এসে গিয়েছে। কিন্তু আমের মরসুম তো চলে যায়নি। ল্যাংড়া, ফ়জলি, চৌসা, বেগমফুলি, খুঁজলে দু’-একটি দোকানে হিমসাগর এখন পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা আমের চাটনি থেকে শুরু করে আমের মোরব্বা, আম দেখলে বাঙালির আহ্লাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। বিভিন্ন রকম ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ফলটি অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে ভালবাসলেও শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকেই আম খেতে ভয় পান। অনেকেই বলেন, মরসুমি ফল পরিমিত পরিমাণে খেলে শারীরিক কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পুষ্টিবিদেরাও এ বিষয়ে সহমত। তবে তাঁদের মতে, কোনও ফল খাওয়ার পরিমাণ, কী ভাবে খাচ্ছেন এবং সময়ের উপর নির্ভর করছে, শরীরে তার কেমন পড়বে। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখেও আম খাওয়া যায়। তার জন্য মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি টোটকা।

 

 

 

১) রস না করাই ভাল

 

 

 

আমের সঙ্গে দই বা দুধ মিশিয়ে ‘শেক’ বা ‘স্মুদি’ না খাওয়াই ভাল। রাস্তার ধারে ফলের রস বিক্রি করে এমন দোকান থেকে চিনি দেওয়া রস খাওয়া যাবে না। এ ছাড়াও সুবিধার জন্য প্যাকেটজাত ফলের রস খেয়ে থাকেন অনেকে। এ জাতীয় রসেও কিন্তু কৃত্রিম শর্করা থাকে।

 

 

 

২) সকালে খাবেন না

 

 

 

সকালে জলখাবারের সঙ্গে আম খাওয়া যাবে না। খালি পেটে আমের মতো মিষ্টি ফল খেলে তা এক লাফে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকটা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই জালখাবার খাওয়ার বেশ কিছু ক্ষণ পর বা বিকেলে আম খাওয়া যেতে পারে।

 

 

 

 

৩) বাদামের সঙ্গে খান

 

 

 

জলখাবার খাওয়ার পর আম খেতে পারেন। তবে সঙ্গে যদি বেশ কয়েকটি বাদাম রাখতে পারেন, তা হলে রক্তে শর্করার মাত্রায় খুব একটা হেরফের হবে না।

 

গ্রীষ্মকাল মানেই চেটেপুটে আম খাওয়ার মরশুম। হিমসাগর, গোলাপখাস, আলফানসো, মিয়াজাকি, দুধেরসর, কোহিতুর, ফজলি। ফলের রাজা আম রকমারি। নামের পার্থক্যে স্বাদেরও তফাৎ হয়। তবে সবচেয়ে আজব নাম ল্যাংড়া আমের। কেন এমন সুস্বাদু আমকে ল্যাংড়া বলে জানেন?
আমের তো পা নেই। ফলে হাঁটাচলার সমস্যাও থাকার কথা হয়। তাহলে এত পরিচিত, সুস্বাদু আমের নাম ল্যাংড়া কেন? কোথা থেকে এসেছে এই নাম?
আমের নাম ল্যাংড়া কেন?
আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগেকার কথা। জানা যায়, বিহারের এক ফকিরের বাড়ির গাছ থেকে এই আমের সন্ধান পাওয়া যায়। ফকিরের বাড়ির চারপাশে প্রচুর আমগাছ ছিল। কিন্তু, তাঁর পায়ে সমস্যা থাকার কারণে উঁচু গাছের ডাল থেকে আম পাড়তে বেজায় অসুবিধা হত ফকিরের। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতেন এই ফকির। এবার তাঁর বাগানের গাছ থেকে পাড়া আমের নাম সেই থেকে রাখা হয় ল্যাংড়া। তবে এই ফকির আদৌ পেশাগতভাবে অন্যের দানের উপর জীবনধারণ করতেন, না আম বেচে রোজগার করতেন, তা নিয়ে কোনও জনশ্রুতি নেই।
যদিও বিহারের এই ফকিরের বাড়ির চারপাশের গাছ থেকে পাওয়া আমগুলি প্রথম দেখতে পাওয়া গিয়েছিল উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে। ফলে সেখানেই এই ল্যাংড়া আমের উৎপত্তিস্থল হিসেবে ধরা হয়। যদিও ল্যাংড়া নামটি আসে বিহারের এই ফকিরের থেকেই।
অন্যদিকে, আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে দক্ষিণ ভারত, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এবং মায়ানমারে প্রথম আমের চাষ শুরু হয়। ঐতিহাসিকদের একাংশের দাবি, আলেকজান্ডার এবং চিনা পরিব্রাজক হিউ এন সাঙ ভারতে এসেই প্রথম আম চেখে দেখেছিলেন। মুঘল সম্রাট আকবরও আম ভালোবাসতেন। ভারতের সম্রাট থাকাকালীন তিনি বিহারের দারভাঙার লক্ষ্মীবাগে ১০ লাখ আমের চারা লাগিয়েছিলেন।
ভারতের জাতীয় ফল আম। ১৯৫০ সালে আম ভারতে জাতীয় ফলের মর্যাদা পায়। প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বছর আগে উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে ল্যাংড়া আমের প্রথম উৎপত্তি। তাই একে বেণারসী ল্যাংড়াও বলা হয়। তবে ল্যাংড়া নামটি এসেছে বিহারের খোঁড়া ফকিরের থেকেই। সাধারণত জুন থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত এই ল্যাংড়া আমের ফলন হয়। বিহার এবং বারাণসী ছাড়া ল্যাংড়া আমের ছাষ সর্বাধিক হয় পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায়। পাশাপাশি বাংলাদেশেও এই ল্যাংড়া আমের ফলন হয় ।

বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ বাড়ছে কাটিমন নামের বারোমাসি আমের। দেশীয় আমের মৌসুমের বাইরে বছর জুড়ে এই আম উৎপাদিত হয় বলে স্থানীয় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

পাইকারি পর্যায়েই প্রতি কেজি আম ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। বছরে দুই বার তোলা যায় কাটিমন আম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায় কাটিমন আম বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সলেহ আকরাম জানান, বর্তমানে সারা দেশেই এই আমের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হলেও সবচেয়ে বেশি চাষ হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায়।

তিনি বলেন, কৃষি বিভাগ থেকে পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা পাওয়ার পর কাটিমন আম চাষ নিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। দেশের বিভিন্ন হর্টিকালচার সেন্টারে এর চারা উৎপাদন করা হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন নার্সারির মাধ্যমে এই আম গাছ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এই উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম শিক্ষকতা পেশা বাদ দিয়ে কাটিমন আম চাষ শুরু করেন।

কাটিমন আম গাছের সাতটি বাগান রয়েছে তার। সাথে মাছ আর গরুর খামারও করেছেন তিনি।

মি. ইসলাম জানান, পারিবারিকভাবে কৃষির সাথে জড়িত থাকার কারণেই কৃষির প্রতি ঝোঁক ছিল তার। আর সেই ঝোঁক থেকেই শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি আম চাষেই মনোনিবেশ করেছেন তিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় তিনিই প্রথম কাটিমন আম চাষ শুরু করেন।

আট বছর আগে সাত বিঘা জমিতে কাটিমন আম চাষ শুরু করেন তিনি। এরপর তার আম বাগানের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে তার সাতটি বাগানে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজারের মতো আম গাছ রয়েছে।

প্রতি বছর এই আম চাষ থেকে তার আয় লাখ টাকা।

 

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে বা সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা কোন সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না। কারন আমরা নিজেরাও জানিনা এই আর্টিকেলটি মুল স্বত্তাধীকারি কে বা কাহারা....

 

এখন আমের মরসুম। গরমকাল বলে ঠান্ডাপানীয় খাওয়ার চলও বেশি। এই সময়েই একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ প্রায়শই আসছে ফোনে। ফরোয়ার্ডেড ওই মেসেজে উৎপত্তি কোথায় তা অবশ্য জানা নেই। কিন্তু মেসেজটি হঠাৎ পড়লে উদ্বেগে পড়তে বাধ্য।

ওই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে আম খাওয়ার পরে কোল্ডড্রিংকস বা ঠান্ডা পানীয় খেতে বারণ করা হচ্ছে। ওই মেসেজে লেখা হয়েছে, কয়েকজন ব্যক্তি চন্ডীগড়ে যাচ্ছিলেন, আম খাওয়ার পরেই তাঁরা ঠান্ডা পানীয় খেয়েছিলেন। তারপরেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন, সংজ্ঞাহীনও হয়ে যান। হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তাঁদের মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। সেই কারণেই আম খাওয়ার পরে ঠান্ডাপানীয় খাওয়া প্রাণঘাতী বলে দাবি করে ওই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে লেখা হয়েছে। সবার কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার আবেদন করে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠাতে বলে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভাইরাল হয়েছে এই মেসেজ। সেই মেসেডে আরও বলা হয়েছে যে ডাক্তাররা আম খাওয়ার পর যে কোনও ধরনের ঠান্ডা পানীয় খেতে বারণ করছেন। আমে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে ঠান্ডা পানীয়ে থাকা কার্বোনিক অ্যাসিড মিশে বিষ তৈরি হয় বলেও দাবি করা হয়েছে ওই মেসেজে।

হোয়াটসঅ্যাপ যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য কাজে লাগে। কিন্তু এই মাধ্যমেরই আবার ভুল ব্যবহারও হয়। বিশেষ করে ভুল তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার হয়ে থাকে এমন মাধ্যম। অনেকসময়েই নানা ধরণের বার্তা, স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক পোস্ট হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমাদের কাছে আসে। সেগুলোর সবকটিই কি ঠিক? সবকটিই কি চোখ বুজে বিশ্বাস করা উচিত?

বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, ফল খাওয়ার পরে ফল খাওয়ার ঠিক পরপরই কোনওধরণের কার্বোনেটেড ঠান্ডা পানীয় খাওয়া উচিত নয়। কারণ এই ধরনের পানীয় হজমে সামান্য সমস্যা তৈরি করে। কিছু খেলে প্রাকৃতিকভাবে তা হজমের জন্য শারীরবৃত্তীয় কাজ শুরু হয়। কিন্তু তখনই aerated কিছু খেলে পাকস্থলীতে এয়ার পকেট তৈরি হতে পারে, যা আদতে সুষ্ঠু হজম প্রক্রিয়াতে বাধা দেবে।

অনেকটা আম খাওয়ার পরে ঠান্ডা পানীয় খেলে অনেকের সামান্য অস্বস্তি হতে পারে। কিন্তু তা প্রাণঘাতী বিষয় সাধারণত হয় না বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কোনও সুস্থ-স্বাভাবিক ব্যক্তির আম খাওয়ার পরে ঠান্ডা পানীয় খেয়ে মৃত্যু হয়েছে এমন ঘটনার কথা সাধারণত দেখা যায়নি বলেই বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা। 

সব ফল একসঙ্গে খাওয়া যায় না। ফলের সঙ্গে যে কোনও খাবারও খাওয়া যায় না। কারণ তা হজমে সমস্যা তৈরি করে। গ্যাস, পেট ফুলে যাওয়া, অম্বলের মতো সমস্যা হতে পারে। সেভাবেই আমের সঙ্গে ঠান্ডাপানীয় এড়ানোই উচিত। আমের সঙ্গে দুধও খাওয়া উচিত নয়। শুধু দুধ নয়, দুধ থেকে তৈরি যে কোনও খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

আমের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি। এমনিতেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে আমের সঙ্গে অন্য কিছু মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। 

ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

মিয়াজাকি আম। সোশ্য়াল মিডিয়ার দৌলতে এই নামটার সঙ্গে ইদানিং কম বেশি অনেকেই পরিচিত হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এটা জাপানের একটি প্রজাতি। দাম শুনলে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। এই আম নাকি অনলাইনে ২ লাখ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়। আর সেই আমই এবার বীরভূমের মসজিদ চত্বরে ফলেছে। আর সেই আম খাওয়া তো দূরের কথা, আমের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য় এখন একেবারে লাইন পড়ে যাচ্ছে।

দুবরাজপুরের ওই মসজিদ চত্বরে একটা গাছে এই মিয়াজাকি আম ফলেছে। আর সেই আম দেখতে লোকজনের ভিড় লেগে গিয়েছে। আপাতত ঠিক করা হয়েছে শুক্রবার একটা আম পাড়া হবে। তারপর সেই আম নিলাম করা হবে। এখন সেই আমের দাম কেমন ওঠে সেটাই এখন দেখার। কিন্তু জাপানের এই আম কীভাবে বীরভূমে এল?

সৈয়দ সোনা নামে স্থানীয় এক যুবক বিদেশে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই তিনি আমের চারা এনে মসজিদ চত্বরে লাগিয়েছিলেন। সেই থেকেই রয়েছে গাছটি। এবার গাছে সব মিলিয়ে ৮টা আম হয়েছে। সেই আম গুলিকে একেবারে আগলে রেখেছে স্থানীয়রা, মসজিদ কমিটির লোকজন। আড়াই লাখি আম বলে কথা!

তবে মালদায় পরীক্ষামূলকভাবে এই আম ফলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জাপানি আম। লম্বাটে ধরনের দেখতে হয়। ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম। বেগুনি রঙের দেখতে এই আম। এই আম থাইল্যান্ড, বাংলাদেশের কিছু জায়গায় চাষ হচ্ছে। ভারতে মধ্যপ্রদেশে এই আমের প্রথম চাষ হয়েছিল। তবে সেই আম গাছের একেবারে কড়া পাহারা দেওয়া হত।

নাম 'মিয়াজাকি' (Miyazaki)। বিশ্বের বাজারে কদরই আলাদা। এই মিয়াজাকি আমকে একেবারে কড়া পাহারায় চাষ করার নজির রয়েছে।। আর এর দাম শুনলেও আঁতকে উঠতে হয়।

কত দাম এই আমের?

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি মিয়াজাকি আমের দাম প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। জাপানে একটি মিয়াজাকি আমের দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ হাজার টাকারও বেশি হতে পারে।

কেমন খেতে?

অসাধারণ সুগন্ধ ও চিনির চেয়েও মিষ্টি এই মিয়াজাকি আম। সেই সঙ্গে আঁশ বা ফাইবার একেবারে নেই বললেই চলে। মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে। তবে এবার সেই আমই খেয়ে দেখার সুযোগ হবে বীরভূমে। একেবারে গাছ পাকা মিয়াজাকি।

 

 

Page 4 of 58