x 
Empty Product

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে রাসায়নিক মুক্ত আম উৎপাদনে চাষিদের নিয়ে কৃষি বিভাগের দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হুদার সভাপতিত্বে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান।

নিরাপদ, স্বাস্থ্য সম্মত এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত আম উৎপাদনে আমচাষি ও বাগান মালিকরা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেয়।

আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারটি উপজেলায় এখন মুকুলের সমারোহ। আমকে ঘিরে এখন নানা তৎপরতার পাশাপাশি চলছে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনার।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল চাঁপাইনবাগঞ্জের তিনটি উপজেলায় নিরাপদ, স্বাস্থ্য সম্মত এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত আম উৎপাদনের কলাকৌশল বিষয়ক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। ছয় দিনব্যাপী আমচাষি, বাগান মালিক ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণ। এরই অংশ হিসেবে তৃতীয় দিনের মতো শিবগঞ্জে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ডক্টর মিয়া সাঈদ হাসান, ডক্টর শেখ মো. বখতিয়ার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক ডক্টর মো. হামিম রেজা, বৈজ্ঞানিক ডক্টর মো. শফিকুল ইসলাম, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিকুল ইসলাম, শিবগঞ্জ পৌর মেয়র কারিবুল হক রাজিন প্রমুখ।

Published in ব্লগ
সাতক্ষীরায় আমগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা সাতক্ষীরায় আমগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গত ৪ বছর যাবৎ সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম রপ্তানি হচ্ছে। চলতি বছরও সাতক্ষীরায় আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন আম চাষিরা। কারণ অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিটি আম গাছে প্রচুর পরিমাণ মুকুল দেখা দিয়েছে।   ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশেষ করে এখানকার মাটি ও আবহাওয়া আম চাষের জন্য বিশেষভাবে অনুকূল। অন্যান্য অঞ্চলের উৎপাদিত আমের চেয়ে সাতক্ষীরার আম খেতে বেশ স্বাদ।
আর তাই গত চার বছর ধরে সাতক্ষীরার আম বিদেশে বাজারজাত হচ্ছে।  
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান জানান, সাতক্ষীরায় সাতটি উপজেলায় চলতি বছরে প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১১৯৫ হেক্টর জমিতে, কলারোয়া উপজেলায় ৬০২ হেক্টর, তালা উপজেলায় ৭০৫ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ৩৬৮ হেক্টর কালিগঞ্জ উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ১২৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে।   এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে আমের বাগান রয়েছে ১৫৩০টি, কলারোয়ায় ১৩১০টি, তালায় ১৪৫০টি, দেবহাটায় ৪৭৫টি, কালিগঞ্জে ১৪২টি, আশাশুনিতে ১৯০টি ও শ্যামনগর উপজেলায় ১৫০টি আমের বাগান রয়েছে।   এ জেলায় গোবিন্দভোগ, হিমসাগর, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস, ক্ষিরসরাইসহ নানা জাতের আম বাগান রয়েছে। আম গাছের পরিচর্যার জন্য নানামুখী কর্মযজ্ঞে মেতে উঠেছে শত শত মৌসুমি শ্রমিক।
সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মৌসুমে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ১০০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৭০০ মেট্রিক টন।   সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের আম চাষি সাধন মল্লিক জানান, তার নিজের আম বাগান রয়েছে। আম বাগান পরিচর্যা করতে এ পর্যন্ত তাদের খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আম বাগান থেকে ১৮-২০ লাখ টাকার উপার্জন হবে বলে ধারণা করছেন । তার প্রতিটি আম বাগনে আমের গুটি আসতে শুরু করেছে। এ সময় মাজরা পোকার ভয় থাকে গুটি কেটে দেওয়ার তাই বাগানে তিনি সার্বক্ষণিক স্প্রেসহ নানা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। 
  সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান আরও জানান, সাতক্ষীরার আম গুণে-মানে সুস্বাদু। অন্যান্য জেলার থেকে সাতক্ষীরার আম আগে পাকে। এ জেলার মাটি আম চাষের উপযোগী। গত চার বছর ধরে এ জেলার আম ইউরোপে রপ্তানি হচ্ছে। এবারও বাগান পরিচর্যা করা হচ্ছে বিদেশে আম পাঠানোর জন্য। বিশেষ করে হিমসাগর ও ন্যাংড়া। আম চাষিদের দাবির প্রেক্ষিতে চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় উৎপাদিত আম যাতে বিদেশে যেতে কোনো ধরনের বাধার সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এতে সরকার প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে সক্ষম হবে।
Published in ব্লগ
Page 5 of 14