x 
Empty Product
Sunday, 20 September 2020 08:53

২৬ বিঘে জমির বিশাল বাগানে একেক আম গাছে হরেক রকম আম

Written by 
Rate this item
(0 votes)

একটাই গাছ। কিন্তু তাতে হরেক প্রজাতির আম। কোনও গাছে ১২৫ রকম। আবার কোনটায় ৭০ বা ৯০ রকমের। বহরমপুর-লালগোলা রাজ্য সড়কে বাগডহর মোড়ের কাছে কুশল দত্তের বাগান। সেখানে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৬ বিঘে জমিতে রয়েছে হরেক আম গাছ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছের ডাল সংগ্রহ করে নিজের বাগানের আম গাছের সঙ্গে কলম তৈরি করে নতুন নতুন প্রজাতির আম তৈরি করেছেন তিনি।


চম্পার সঙ্গে মোলামজামের মিলন ঘটিয়ে তৈরি করেছেন বেলচম্পা। ল্যাংড়া আর বোম্বাইয় মিলিয়ে তৈরি করেছেন লমবো। এ বছর লমবো ও বেলচম্পা শিলিগুড়ি ও আসানসোলের বাজারে খুবই সুনামের সঙ্গে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুশল। যদিও সরকারি স্বীকৃতি এখনও মেলেনি। তাঁর কথায়, ‘নিজের কাজ নিজে করে যাচ্ছি। আমার কোন প্রত্যাশা নেই।’ মুর্শিদাবাদ উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক প্রভাস মণ্ডল বলেন, ‘কুশলবাবুর কথা জেনেছি। উনি অনেক প্রজাতির আম তৈরি করছেন। খুব তাড়াতাড়ি বাগান দেখতে যাব।’

বছর তিরিশ ধরে হারিয়ে যাওয়ায় সেই সব আমের প্রজাতি রক্ষা করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জিয়াগঞ্জের কুশল ঘোষ। নবাবদের প্রিয় আম ছিল অগ্নি আম। সেই আম কেটে প্লেটে রাখলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই আঁটি থেকে শাস আলাদা হয়ে যেত।সেই আমের গাছ বর্তমানে একটি বেঁচে রয়েছে। তার কলম তৈরি করে অগ্নি প্রজাতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন কুশল। হারিয়ে যাওয়া আম রক্ষা করার নেশা যেন তাঁকে পেয়ে বসেছে।

লালগোলা থেকে তাঁর বাগানে এসেছিলেন শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই বাগানে নানা প্রজাতির আম পাওয়া যায় বলে আমরা প্রতিবারই এই বাগানে এসে আম কিনে নিয়ে যাই।’ বীরভূমের নলহাটির সুজয় ঘোষ বলেন, ‘নবাবরা যে আম পছন্দ করত সেই আমের জন্য আমি প্রতিবছরই কুশলবাবুর বাগানে আসি। এখান থেকে আম নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন আত্মীয়দের সরবরাহ করি।’ ছোট নবাব শহিদ মির্জা আলি বলেন, ‘বাপ-ঠাকুরদা যে আম পছন্দ করত সেই আম আজ বিলুপ্তির পথে। কুশলবাবু সেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, এটা দেখে আনন্দ লাগছে।’


কুশল বলেন, ‘৩০ বছর আগে বাগানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম তৈরি করার নেশা আমার মধ্যে চেপে বসেছে। এটাই এখন ধ্যান-জ্ঞান আমার কাছে। বাইরে থেকে অনেকে বাগান দেখতে আসেন। আম কিনতে আসেন। সেটা দেখে প্রেরণা পাই। এখনও তাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

Read 1856 times

Leave a comment

Make sure you enter the (*) required information where indicated. HTML code is not allowed.