মালদহ মানেই যে জিনিসটি সবার আগে নাম নিতেই হবে, সেটা হল আম ৷ এখানকার আম সারা দেশেই জনপ্রিয় ৷ এমনকী, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, চিনের মতো বিভিন্ন দেশেও মালদহের আম রফতানি করা হয় ৷ কিন্তু মালদহে আম চাষীদের বর্তমানে কী অবস্থা ? গতবছর ফলন ভাল হলেও আমের দাম পাননি চাষীরা ৷ কারণ নিপা ভাইরাস ও কীটনাশক প্রয়োগের অপপ্রচারের কবলে পড়ে ভিন রাজ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জেলার আম রফতানি ৷ এবছর আবহাওয়াজনিত সমস্যায় আমের ফলন গতবারের চেয়ে ৫০ শতাংশ কম হয়েছে ৷ জানালেন মালদহ জেলা নিয়ন্ত্রিত বাজারের সভাপতি কমল সরকার ৷
মালদহে হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি-সহ মোট ১৫ ধরণের আমের চাষ হয় ৷ গতবছর ভাইরাস আতঙ্কে অনেক কম দাম পেয়েছিলেন আম চাষীরা ৷ ২০-২৫ টাকার ল্যাংড়া আম মাত্র ২-৫ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন চাষীরা ৷ ফলে আর্থিক লোকসানের মুখোমুখি হতে হয়েছে মালদহের আম চাষীদের। আম চাষ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্প্রে এই সবই কিনতে হয় ভাল দাম দিয়েই। কিন্তু তার তুলনায় আমের দাম এবার তেমন ওঠেনি। নিপা আতঙ্ক থাবা বসিয়েছিল মালদহের আমের বিক্রিতে। ফলে চাষিরা আম চাষ করতেই ভয় পাচ্ছিলেন ৷
আম বাগানের মালিকরা আম তাড়াতাড়ি পাকাতে ও অধিক লাভ করতে, দেদার সালফার ব্যবহার করছেন৷ কমল সরকারের কথায়, 'কার্বাইড বাংলাদেশে নিষিদ্ধ৷ আম তাড়াতাড়ি পাকিয়ে রফতানি করতে সালফার ব্যবহার দেদার বাড়িয়ে দিচ্ছেন আম বাগানের মালিকরা৷
বিক্রি ঠিকঠাক না হওয়ায় গত বছর অনেক চাষিরা আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন ৷ কীটনাশক যুক্ত আম যেমন বিদেশে পুরোপুরি বন্ধ ৷ কিন্তু তাড়াতাড়ি ফলনের জন্য চাষিরা এখন সালফার ব্যবহার করেই থাকেন ৷ আম চাষের উন্নয়ন নিয়ে কোনও হেলদোল নেই সরকারেরও ৷
সু:https://bengali.news18.com/