সুস্বাদু এই ফলটিকে কাজে লাগিয়ে একদিকে যেমন ত্বককে ফর্সা করে তোলা সম্ভব, তেমনি স্কিনের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে সার্বিকভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেও আমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত ভিটামিন এ, সি, ই, কে এবং আরও সব পুষ্টিকর উপাদান, যেমন-থিয়ামিন, রাইবোফ্লবিন, নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্ক এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও সাহায্য করে।
যেমন ধরুন নিয়মিত আম খাওয়া শুরু করলে ক্যান্সারের মতো রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন- হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, ওজন হ্রাস পায় এবং দৃষ্টিশক্তির ব্যাপক উন্নতি ঘটে।
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ত্বকের আন্দরে আদ্রতা কমতে শুরু করলে ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে বলিরেখা প্রকাশ পায়। সেই সঙ্গে ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সৌন্দর্য কমতে সময় লাগে না। এমনটা অপনার সঙ্গেও ঘটুক, এমনটা যদি না চান, তাহলে ত্বকের পরিচর্যায় আমকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না! এক্ষেত্রে আমের সঙ্গে ২-৩ চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেটি মুখে লাগিয়ে কম করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে মুখটা ভাল করে মাসাজ করে পেস্টটা ধুয়ে ফলতে হবে।
বছরের এই সময় অতিরিক্ত গরম এবং ঘামের কারণে ত্বক এত মাত্রায় ক্লান্ত হয়ে পরে যে সৌন্দর্য কমতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে ত্বককে তরতাজা রাখতে এবং সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে দারুনভাবে কাজে আসে এই ফলটি। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ আম নিয়ে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো বাদামের গুঁড়ো, ২-৩ চামচ ওটসমিল, ২ চামচ কাঁচা দুধ, পরিমাণ মতো জল এবং ৩ চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর তা মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তরপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফলতে হবে সারা মুখটা। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই ফেসপ্যাকটির সাহায্যে স্বকের পরিচর্যা করলে এই গরমেও দেখবেন ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে বই কমবে না।