পরোক্ষ ভাবে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে মালদহ জেলার আম চাষে। সেখানে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়। এই বছর প্রচুর মুকুল ধরে ছিল গাছে। আম বাগান মালিকেরা প্রথম ধাক্কা খায় অকাল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ধাক্কা করোনা ভাইরাস। মুকুল আসার সময় থেকে আম পেড়ে বাজারে পাঠানো পর্যন্ত এই জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ যুক্ত থাকে। কিন্তু লকডাউনের ফলে লোকের অভাবে আম বাগানে কোনো রকম স্প্রে করা যাচ্ছে না। পরিচর্যার জন্য আমের গুণগত মান এতটাই খারাপ হবে যে বাজারে দাম পাওয়া যাবে না। এছাড়া এই সময় আম বাগানে প্রচুর শ্রমিক একত্রিত হয়ে কাজ করে। লকডাউনের ফলে শ্রমিকদের একত্রিত করা যাচ্ছে। মাথায় হাত আম বাগান মালিকদের। আমের মরশুমে মুকুল ধরা অবস্থা থেকে বাগান বিক্রি হতে থাকে। গুটি থাকা অবস্থাতে আবার ২ থেকে ৩ বার বিক্রি হয়। এবার কিন্তু চিত্রটা একেবারে অন্য। কোনো বাগানের আম এখনও পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। শেষ পর্যন্ত যে পরিমাণ আম টিকে থাকবে সেই আম বেচে লগ্নী করা টাকা ঘরে উঠবে কিনা সেই চিন্তাতে আম চাষিদের ঘুম নেই। মালদহ জেলার অর্থিক ব্যবস্থা পুরোটাই আমের উপর নির্ভরশীল। এমনিতে করোনা ভাইরাসের জন্য দোকান বাজার বন্ধ। ব্যবসায় মন্দা। লোকজনের হাতে টাকা নেই। এর সঙ্গে যদি লকডাউন চলতে থাকে, তাহলে বাগানের আম বাগানেই পরে থাকবে। বাজারে পাঠানো যাবে না। এই বছর আম উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা ধার্য হয়েছে ৩ লক্ষ মেট্রিকটন।
Published in
ব্লগ
Latest from Super Admin
Leave a comment
Make sure you enter the (*) required information where indicated. HTML code is not allowed.