আমের মৌসুমে ফরমালিনের অপপ্রচার থেকে মুক্তি চান রাজশাহীর আম ব্যবসায়ীরা। অল্প কিছু অসাধু ব্যবসায়ী হয়তো আমে ফরমালিন মেশাতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা তা করেন না। অসাধুদের কারণে পুরো ব্যবসায়ী ও কৃষক সমাজ ভুক্তভোগী হচ্ছে বলে অভিযোগ ভাল ব্যবসায়ীদের।
বাংলাদেশে আমের প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চল উত্তরবঙ্গের জনপ্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সোমবার গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহীর দু’জন আম উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ী উপস্থিত থেকে ফরমালিনের অপপ্রচার থেকে মুক্তি কামনা করেন।
মতবিনিময়কালে শাহরিয়ার আলম জানান, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় রাজশাহীর আমে কীটনাশক ও ফল পাকানোর উপকরণ ব্যবহারে উক্ত অঞ্চলের আম চাষী ও ব্যবসায়ীগণ বর্তমানে অনেক সচেতন। গত বছর রাজশাহীর আমে রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর মাত্রা কম ছিল। এ বছর অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী ও পর্যবেক্ষণমূলক রিপোর্ট করারও আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
সভায় উপস্থিত রাজশাহীর বাঘা এলাকার আম চাষী ও ব্যবসায়ী মো. জিল্লুর রহমান বলেন, শুধু আম চাষী বা ব্যবসায়ীরা নয়, গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষও আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর বিরুদ্ধে যথেষ্ট সজাগ ও সোচ্চার।
রাজশাহীর চারঘাট থানার আম চাষী ও ব্যবসায়ী মো. শওকত আলী বুলবুল বলেন, আমে ফরমালিনসহ অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ মেশানোর যে প্রচার তা সম্পূর্ণ সঠিক নয়। এ ধরনের প্রচারণার ফলে এ বছর রাজশাহীর কোনো আম বাগানেই এ পর্যন্ত অগ্রিম আম বিক্রি হয়নি। এ অবস্থা চলতে থাকলে রাজশাহীর আম শিল্পে নিয়োজিত হাজার হাজার চাষী, ব্যবসায়ী ও প্যাকেজিংসহ অন্যান্য কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের অর্থনৈতিক অবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে।
সভায় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা আম দ্রুত পাকানোর জন্য ব্যবহার হওয়া ইথিকোন ইথাইল ব্যবহার মানবদেহের জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সকলকে বাজারজাতকরণের সকল পর্যায়ে ফরমালিন ব্যবহার হতে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।