আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলিসহ বাহারি মিষ্ট স্বাদের আম উৎপাদনকারী অন্যতম জেলা ঝিনাইদহ। এখানকার বাগানগুলো ছেয়ে গেছে আমের মুকুলে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় আমের আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে। এ থেকে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। গেল মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৮৪৯ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ করে উৎপাদন হয়েছিল ৪৪ হাজার ৪১১ মেট্রিক টন আম।
সাধারণত বিঘায় এক মৌসুমে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়, আর ফলন ভালো হলে লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রি করা যায়।
তাই তো এ বছরও ভালো ফলন পেতে বাগানগুলোতে চলছে মুকুল পরিচর্যার কাজ। কেউ হালকা কুয়াশার হাত থেকে মুকুল রক্ষার জন্য পানি স্প্রে করছেন, কেউ বা পানি সেচ ও গাছের গোড়ার মাটি কুপিয়ে আলগা করে দিচ্ছেন। চলছে পরিচর্যার কর্মযজ্ঞ। কেন না পরিচর্যা ভালো হলে আর প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা না এলে মিলবে আমের ভালো ফলন, হবে অনেক আর্থিক লাভ।
সদর উপজেলার গান্না এলাকার আম চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন বিঘা জমিতে আমের বাগান আছে। গেল বছরের তুলনায় এবার মুকুলের অবস্থা অনেক ভালো। প্রকৃতিরও বৈরিতা তেমন নেই। এমন থাকলে আশা করা যায় ফলন অনেক ভালো হবে।
অপর আম চাষি সুমন মিয়া জানান, বাগানের পরিবেশ খুবই ভালো। ফলন যদি ভালো হয় আর বাজার দাম ভালো পাওয়া যায় তাহলে খরচের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি লাভ আসবে। সেভাবেই পরিচর্যা চলছে। ওষুধ ছিটানোর কাজ প্রায় শেষ। আবার আমের গুটি তৈরি হলে স্প্রে করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস দৈনিক অধিকারকে জানান, আম গাছগুলোতে প্রচুর মুকুল এসেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, গেল মৌসুমের তুলনায় আমের ফলন অনেক বেশি হবে। মুকুল ঝরে পড়া ও পোকার আক্রমণ রোধে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাগান মালিক ও চাষিদের। বাগানগুলোতে নিয়মিত যাচ্ছেন ও তাদের খোঁজখবর রাখছেন বলেও জানান তিনি।
সুত্র:https://www.odhikar.news