x 
Empty Product

অনেকে এ কথা শুনে চোখ কপালে তুলবেন। বেগুনি রঙের কত কিছু হয়। হতেই পারে। তাই বলে আম? মানতে চাইবেন না। একইভাবে মানতে চাইবেন না যে, কাঁঠালের রং লাল হয়। আসলেই হয়। ওপরের ছবিগুলো লক্ষ্য করুন, না, আম কাঁঠালের গায়ে হাত দিয়ে কেউ রং মাখিয়ে দেয়নি। প্রকৃতই এমন রং। আর জাম? সাদা দেখতে!

 

অভিনব এসব জাত অতি সম্প্রতি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। বেগুনি আম, লাল কাঁঠাল ও সাদা জাম নিয়ে দেখা দিয়েছে দারুণ কৌতূহল। চারা সংগ্রহে ব্যস্ত হয়েছেন বৃক্ষপ্রেমীরা।

জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশে ঢুকেছে বেগুনি আম ও সাদা জাম। এর প্রায় তিন বছর আগে আসে লাল কাঁঠাল। এগুলো মূলত ভিয়েতনাম-থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জাত। অন্যান্য চারার মতোই যশোরের বেনাপোল হয়ে প্রথমে বগুড়ায় আসে। সেখানে এখন বড় সংগ্রহ। মাদার গাছ তৈরি করে আম কাঁঠাল ও জামের চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। তারপর এসব চারা চলে আসছে ঢাকায়। রাজধানী শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্যান্য প্রান্তে।

বেগুনি আম রঙের দিক থেকে আরেক চেনা ফল জামের মতো। আর আকার আকৃতি ব্যানানা ম্যাংগোর সঙ্গে কিছুটা মেলে। মনে পড়ছে, জাতীয় ফল প্রদর্শনীতে ব্যানানা ম্যাংগো দেখেই ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। আম অথচ দেখতে অনেকটা সাগর কলার মতো! কৃষি কর্মকর্তা তখন জানিয়েছিলেন এটি নতুন জাত। আর এই জাতটি নতুনেরও নতুন। ব্যানানা ম্যাংগোর মতো নিচের দিকটা অত বাঁকা নয়, তবে বাঁকা। লম্বাটে। আঁটি চোখা পাতলা। খোসাও খুব পুরো নয়। খেতে বেশ মিষ্টি বলেই জানা গেছে। অবশ্য আপাতত স্বাদ নয়, গায়ের রং নিয়েই মেতেছেন সবাই। যারপরনাই কৌতূহলী। সাধারণত আমের রং হয় সবুজ হলুদ কিংবা সিঁদুরে রঙের। আর নতুন জাতের আম দেখতে জামের মতো! বিস্মিত না হয়ে উপায় কী?

এদিকে, কাঁঠালের রং অনেকটা লিচুর গায়ের রঙের মতো। হাল্কা লাল। কোষও হলদেটে নয়। লালচে। জানা যাচ্ছে, কিছুকাল আগে কাঁঠালের কয়েকটি উন্নত জাত অবমুক্ত করে ভিয়েতনাম-থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া। সেগুলোর অন্যতম একটি লাল কাঁঠাল। আকারে দেশীয় কাঁঠালের চেয়ে ছোট। তবে রঙের কারণে এত আকর্ষণীয় যে, চোখ সেদিকে যাবেই। এ কাঁঠালের ভেতরের অংশ আঠালো নয়। ছোবড়া থাকে না। যা থাকে সবই কোষ। বর্তমানে দেশে এ জাতের কাঁঠাল অল্পস্বল্প পাওয়া যাচ্ছে।

অভিনব ফলগুলো সম্পর্কে জানতে কথা হয় ঢাকার লিভিং আর্ট নার্সারির কর্ণধার কেএম সবুজের সঙ্গে। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, এখন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অনেক সহজ হয়েছে। দেশীয় ব্যবসায়ীরা বিদেশ থেকে নতুন নতুন জাতের গাছ ও চারা সংগ্রহ করছেন। এগুলো দেশে আনার পর চাষসহ নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। এর অংশ হিসেবেই এ বছর বেগুনি আম ও সাদা জাম দেশে ঢুকে বলে জানান তিনি। আর কাঁঠাল থেকে ফলও পাওয়া হয়ে গেছে।

রঙিন কাঁঠাল কি নিজে খেয়েছেন? স্বাদ কেমন? জানতে চাইলে সবুজ বলেন, আমি এই কাঁঠাল খেয়েছিলাম মালয়েশিয়ায়।

চমৎকার স্বাদ। আমাদের দেশের কাঁঠালের মতো রসালো নয়। তবে মিষ্টি। তখনই আমি জাতটা সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলাম। আমার তিন বছর বয়সী গাছে কাঁঠালও হয়েছে। তবে গাছ আরও বড় হলে কোষ ভাল হবে। লাল কাঁঠাল গাছের চাহিদা বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, একটি গাছ এরই মাঝে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি আমি। পর্যাপ্ত পরিমাণ চারাও আছে আমাদের কাছে।

এদিকে, বেগুনি আমের চারা লাল কাঁঠালের চারার তুলনায় দুর্লভ। নামকরা কিছু নার্সারিতে খোঁজ করলে পাওয়া যায়। আছে লিভিং আর্টেও। সবুজ জানান, বেগুনি আমের চারা লাগানোর তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ফলন আসবে। মাটি ভেদে রংয়ের কিছুটা তারতম্য ঘটতে পারে। গাঢ় বা হাল্কা বেগুনি হতে পারে রংটা।

তা, স্বাদ কেমন? দেশে এ বিষয়ে কথা বলে তেমন কিছু জানা গেল না। তবে ভারতেও আমটি হচ্ছে এখন। সেখানকার শৌখিন চাষীরা জানিয়েছেন, স্বাদ খুব ভাল। মিষ্টি। শুধু দেখতে আকর্ষণীয় তা নয়, এটি খেতে সুস্বাদু। আশহীন। মহেশ ভাট নামের এক রিসার্চার টুইট করে জানিয়েছেন, বেগুনি রঙের আম ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কাজে আসবে।

সদ্য আসা সাদা জামের স্বাদও দেশীয় জামের মতো বলে জানা গেছে। অপেক্ষাকৃত ছোট।

আকর্ষণীয় এসব গাছের চারা নিয়ে এখন চলছে সরব আলোচনা। সংগ্রহেও বিশেষ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। শৌখিন সংগ্রাহকরা কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই এসব চারা সংগ্রহ ও রোপণ করছেন। কারণ এখনই গাছ লাগানোর মৌসুম। দেরি করলে অভিনব গাছ ও ফল পেতেও দেরি হবে !

নিউজটি আমাদের নিজস্ব না। এটির সকল কৃতিত্ব ও স্বত্ত শুধুমাত্র  https://www.dailyjanakantha.com

01.*সমস্যা: আম গাছের বয়স ২ বছর, কি হারে সার দিব?
*সমাধান: পঁচা গোবর (কেজি)১৫,ইউরিয়া ২৫০(গ্রাম),টি.এস.পি ২৫০(গ্রাম),এমওপি ১০০(গ্রাম)জিপ্সাম ১০০(গ্রাম),জিং সালফেট ১০(গ্রাম)-এই সারের ২ ভাগের ১ ভাগ জৈ্যঠ্ষ-আষাঢ় মাসে এবং দ্বিতীয় অর্ধেক আশ্বিন মাসে প্রয়োগ করতে হবে। ২-৩ ফুট দুরত্তে রিং করে আধা ফুট গভিরে সার প্রয়োগ করতে হবে।

 

02.*সমস্যা: আমার আম বাগান আছে,আমি আম কিভাবে বাজার জাত করবো?
*সমাধান: আপনার সমস্যার জন্য নিম্নের ঠিকানায় যোগাযোগ করুন- 1.Pran RFL group: Phone: 880-2-9563126, 880-2-7167412, 880-2-7167416 Fax: 880-2-9559415 2.কৃষিমার্কেট ডট কম ১৪৭ মনিপুরিপাড়া, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ। মোবাইল নং : +৮৮০১৯১৮৯৪৯৫৮১ ই-মেইল : info@krishimarket.com 3.নাম:মোঃ নজরুল ইসলাম ঠিকানা:১৭৮/৯/১ তালতলা মোল্লা পাড়া. শেরে বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ টেলিফোন:01912076030 ইমেইল:nazrul815@yahoo.com

 

03*সমস্যা: আম গাছে দুইবার সেপ্র করা হয়ে গেলে এখন আমের গুটি আসার সময় এখন গুটি ধরে রাখার জন্য কি করতে পারি।
*সমাধান: প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দস্তা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে।

 

04.*সমস্যা: দুটি আম বাগানের বয়স যথাক্রমে ৮-১০ বছর, টুকটাক কেবল মুকুল আশা শুরু করেছে এখনো কোন কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়নি ভালো ফলনের জন্য করনিয় কি?
*সমাধান: প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দস্তা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন সেপ্র করতে হবে।

 

05.*সমস্যা: আঁটি আম গাছ খুব জোরালো ভাব দেখা যাচ্ছে। পার্শ্ববর্তী গাছে আম ধরে কিন্তু এই গাছটিতে কোন মুুকুল আসে না। কি করতে হবে জানতে চান।
*সমাধান: বর্ষার আগে ও পরে গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম এমওপি সার ও ২০ গ্রাম বোরন সার প্রয়োগ করবেন। সেক্ষেত্রে আম গাছ হতে দেড়হাত দূরে গোলাকার ৬ ইঞ্চি গভীর নালা করে সার প্রয়োগ করার পর মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে এবং হালকা সেচ দিয়ে দিবেন।

 

06.*সমস্যা: নেংড়া আম গাছের বয়স ৯ বছর, হালকা মুকুল আশে মোটেই আম আসেনা। করনিয় কি?
*সমাধান: ১. ফলন বৃদ্ধি করতে মুকুল আসার আগে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দসত্মা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে। ২. আম মটর দানার মতো হলে একই নিয়মে লিবরেল দস্তা ও লিবরেল বোরন সেপ্র করতে হবে।
07.*সমস্যা: আম গাছের মুকুল আসার পর ঔষুধ দিয়েছি বর্তমানে মুকুল গুলো ঝরে যাচ্ছে ।*সমাধান: প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দসত্মা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন সেপ্র করতে হবে।

 

08.*সমস্যা: আম গাছের ডগার পাতা মরে ঝড়ে যায়। এর প্রতিকার কি?
*সমাধান: ১. মরা ডাল (কিছু ভাল অংশসহ) কেটে ফেলতে হবে; ২. নতুন পাতা বের হলে ডায়থেন এম-৪৫/এন্টিব্লাইট/বেনডাজিম ২ গ্রাম/লিটার হারে ৭ থেকে ১০ দিন পরপর ২ বার সেপ্র করতে হবে।

 

09.*সমস্যা: আম ও লিচু গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে জানতে চাই। আম গাছের বয়স ৫ বৎসর, লিচু গাছ ৪ বৎসর। উভয় গাছের কিছু কিছু করে ফল আসে। কিভাবে ভাল ফল আনা যায় তা সম্পকে বিস্তারিত জানাবেন।
*সমাধান: ১. ফল সংগ্রহের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ফলের বোটা গাছের সাথে না থাকে। ২. জৈব ও অজৈব সার বর্ষার আগে ও পেও প্রয়োগ করতে হবে। ৩. ইউরিয়া সার বেশি ব্যবহার করা যাবে না। ৪. প্রতি বছর ফল সংগ্রহের পর ডাল ছাটাই করতে হবে। ৫. ফলের শোষক পোকা দমন করতে হবে।
10.*সমস্যা: আম গাছ অনেক গুলি আছে, ৪টি গাছের বয়স ৪ বছর গাছে বৌল আসে কিন্তু আম ধরে না। কারন কি করনিয়?
*সমাধান: ১. আমের ফলন বৃদ্ধি করতে মুকুল আসার আগে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দসত্মা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে। ২. আম মটর দানার মতো হলে একই নিয়মে লিবরেল দসত্মা ও লিবরেল বোরন সেপ্র করতে হবে। ৩. আম গাছের পরিচর্যার সময় বা ফল সংগ্রহের পর অন্যান্য সারের সাথে প্রতি গাছে ১০ গ্রাম রুটোন প্রয়োগ করতে হবে।

 

11.*সমস্যা: আম গাছের বয়স সাড়ে ৩ বছর কিন্তু প্রথম বার প্রচুর মুকুল এসেছিল কিছু ৫-৭ টি আম হয়েছিল বাদ বাকী মুকুল ঝরে পড়ে যায় এবং পরের বছর আর কোন মুকুল আসেনি। মুকুল আসা এবং ঝরে পড়া রোধে করনীয় কী ?
*সমাধান: ১. আমের ফলন বৃদ্ধি করতে মুকুল আসার আগে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দস্তা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে। ২. আম মটর দানার মতো হলে একই নিয়মে লিবরেল দস্তা ও লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে। ৩. আম গাছের পরিচর্যার সময় বা ফল সংগ্রহের পর অন্যান্য সারের সাথে প্রতি গাছে ১০ গ্রাম রুটোন প্রয়োগ করতে হবে।

 

12.*সমস্যা: বার মাসে আম গাছ। ১ম বার প্রচুর মুকুল আসছিল সবগুলোই ছিল পরবর্তী বছর তেমন মুকুল আসেনি আমের সময় ও তেমন মুকুল আসেনি তাই আপনার শরনাপন্ন হওয়া প্রয়োজনীয় পরামর্শ চাইছি।
*সমাধান: গাছ প্রতি ২০০ গ্রাম ইউরিয়া, ২০০ গ্রাম টিএসপি, ১০০ গ্রাম এমওপি এবং ১০০ গ্রাম বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে।

 

13.*সমস্যা: লিচু এবং আমের মুকুল আসার আগে কি কি ঔষধ দিতে হয়। আম এবং লিচুর গুটি যাতে ঝরে না যায় তার জন্যে কি কি করতে হবে।
*সমাধান: আম: ১. আমের ফলন বৃদ্ধি করতে মুকুল আসার আগে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দসত্মা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন সেপ্র করতে হবে। ২. আম মটর দানার মতো হলে একই নিয়মে লিবরেল দস্তা ও লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে। ৩. আম গাছের পরিচর্যার সময় বা ফল সংগ্রহের পর অন্যান্য সারের সাথে প্রতি গাছে ১০ গ্রাম রুটোন প্রয়োগ করতে হবে। লিচু: ১. সুষম সার ও নিয়মিত সেচ দিতে হবে। ২. গাছে ফল যখন মটরদানার সমান হয় তখন ১ বার এবং মার্বেল আকার হয় তখন ১ বার প্লানোফিক্স/মিরাকুলান/ফ্লোরা অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে।

 

14.*সমস্যা: বার মাসী আম গাছে আম ধরে বড়ও হয় কিন্তু আশ হয় না বোটার কাছে পচে গিয়ে আম ঝরে পড়ে।
*সমাধান: ১. আমের ফলন বৃদ্ধি করতে মুকুল আসার আগে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দস্তা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে। ২. আম মটর দানার মতো হলে একই নিয়মে লিবরেল দস্তা ও লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে। ৩. আম গাছের পরিচর্যার সময় বা ফল সংগ্রহের পর অন্যান্য সারের সাথে প্রতি গাছে ১০ গ্রাম রুটোন প্রয়োগ করতে হবে।

 

15.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আসে ফল হয় না, শুকিয়ে যায়।
*সমাধান: ১. আমের ফলন বৃদ্ধি করতে মুকুল আসার আগে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দস্তা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে। ২. আম মটর দানার মতো হলে একই নিয়মে লিবরেল দস্তা ও লিবরেল বোরন সেপ্র করতে হবে। ৩. আম গাছের পরিচর্যার সময় বা ফল সংগ্রহের পর অন্যান্য সারের সাথে প্রতি গাছে ১০ গ্রাম রুটোন প্রয়োগ করতে হবে।

 

16. *সমস্যা: আম ছোট থাকতে খুব ভাল দেখাচ্ছে কিন্তু পাকার পরে পোকা দেখা যাচ্ছে।
*সমাধান: ১. কলমের গাছ লাগাতে হবে। ২. ফল মার্বেল আকার হলে প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি মর্টার ৪৮ ইসি বা ২ মিলি ক্লোরোপাইরিফস ২০ ইসি, লিবাসিড ৫০ ইসি বা সুমিথিয়ন ৫০ ইসি ২ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করে ভাল ফল পাওয় যায়। ৩. আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ভিতরের পোকা মেরে ফেলতে হবে ।

 

Advertisement
 
Report this ad

17.*সমস্যা: আম গাছের বয়স ৭ বছরের মত চলছে। গত বছরের আগের বছর মুকুল এসেছিল। কিন্তু এবছর আসেনি। যাতে আগামীতে মুকুল আসে এর জন্য করনীয় কি ?
*সমাধান: বর্ষার আগে ও পরে গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম এমওপি সার ও ২০ গ্রাম বোরন সার প্রয়োগ করবেন। সেক্ষেত্রে আম গাছ হতে দেড়হাত দূরে গোলাকার ৬ ইঞ্চি গভীর নালা করে সার প্রয়োগ করার পর মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে এবং হালকা সেচ দিয়ে দিবেন।

 

18 *সমস্যা: হাইব্রিড সবধরনের আম গাছের বয়স ৫ বছর, গাছে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে না কেন। কি করনিয়?
*সমাধান: মুকুল আসার সময় ভক্সল সুপার স্প্রে করলে ভালো ফল পাবেন।

 

19.সমস্যা: বহু প্রকার আম গাছের চাষ আছে চলতি মৌসুমে ভাল ফলন পাওয়ার জন্য কি কি সার প্রয়োগ করলে ভাল ফল পাবো।
*সমাধান: জৈব সার-২০ কেজি, টিএসপি-৫০০গ্রাম, এমওপি ২৫০ গ্রাম, জিপসাম ৩০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ৫০ গ্রাম, বরিক এসিড ৫০ গ্রাম।

 

20.*সমস্যা: বিগত দুই বছর যাবৎ আম গাছে আম আসছে না। কারন কি? জানতে চাই। কি পদক্ষেপ গ্রহন করিলে গাছে ভাল আম আসবে।
*সমাধান: গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম এমওপি সার ও ২০ গ্রাম বোরন সার প্রয়োগ করবেন। সেক্ষেত্রে আম গাছ হতে দেড়হাত দূরে গোলাকার ৬ ইঞ্চি গভীর নালা করে সার প্রয়োগ করার পর মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে এবং হালকা সেচ দিয়ে দিবেন।

 

21.*সমস্যা: হিম সাগর আম গাছের বয়স ৩ বৎসর গাছের একপাশে ডালপালা শুকিয়ে যাচ্ছে, গাছ বড় হচ্ছে না। কি করনিয়?
*সমাধান: ১. আক্রানত্ম ডালপালা ছেটে ফেলতে হবে। ২. বর্ষার আগে ও পরে গাছ প্রতি ১০০ গ্রাম এমওপি সার ও ২০ গ্রাম বোরন সার প্রয়োগ করবেন। সেক্ষেত্রে নারকেল গাছ হতে দেড়হাত দূরে গোলাকার ৬ ইঞ্চি গভীর নালা করে সার প্রয়োগ করার পর মাটি দিয়ে চেপে দিতে হবে এবং হালকা সেচ দিয়ে দিবেন।

 

22.*সমস্যা: একইসাথে আম গাছ লাগানো কিছু গাছ মুকুল আসে, কিছূ গাছে মুকুল আসে না। এর কারণ ও প্রয়োজনী সমাধান।
*সমাধান: ১. আম গাছের পরিচর্যার সময় বা ফল সংগ্রহের পর অন্যান্য সারের সাথে প্রতি গাছে ১০ গ্রাম রুটোন প্রয়োগ করতে হবে। ২. প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দস্তা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে।

 

23.*সমস্যা: সুবর্ণা কলী আম গাছের ৩ বছর বয়স, মুকুল আসে আম থাকে না ঝরে যায়। করনিয় কি?
*সমাধান: ১. আমের ফলন বৃদ্ধি করতে মুকুল আসার আগে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম লিবরেল দসত্মা ও ২০ গ্রাম লিবরেল বোরন স্প্রে করতে হবে। ২. আম মটর দানার মতো হলে একই নিয়মে লিবরেল দস্তা ও লিবরেল বোরন সেপ্র করতে হবে। ৩. আম গাছের পরিচর্যার সময় বা ফল সংগ্রহের পর অন্যান্য সারের সাথে প্রতি গাছে ১০ গ্রাম রুটোন প্রয়োগ করতে হবে।

 

24. *সমস্যা: আমে অনেক মুকুল হয় , পোকা মুকুল কেটে দেয় ।
*সমাধান: ফাইটার ১ গ্রাম ও এমকোজিম ১মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে মুকুল আসার পর স্প্রে করতে হবে ১২ দিন পর পর ২ বার। আর মুকুল ঝরে পরার জন্য ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।

 

25.*সমস্যা: আমের পাতা বিছা পোকা খেয়ে ফেলে ।
*সমাধান: ক্যারাটে ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

 

26 *সমস্যা: আম ঝড়ে যাচ্ছে?
*সমাধান: আম গাছে মুলুল আসার পর ফ্লোরা ২ মিলি, ফাইটার ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে ১২ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে।

 

27.*সমস্যা: আমার ৬৬ টি আম গাছ আছে , বয়স ৭ বছর, কি পরিমাণ সার দিব?
*সমাধান: প্রতি গাছে ২ ডালি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম বোরন সার দিতে হবে, ৭৫ গ্রাম টি এস পি, ও পটাশ সার, ইউরিয়া ৭০ গ্রাম গাছের গোড়া থেকে ১.৫ হাত দূরত্বে রিং করে প্রয়োগ করতে হবে। এর পর হালকা সেচ দিতে হবে, সাধারণত বছরে ২ বার সার দিতে হবে, গাছে মুকুল আসার ২.৫ মাস আগে ও বর্ষার আগে।

 

28.*সমস্যা: আমের ভিতরে পোকা
*সমাধান: ফাইটার ১ গ্রাম ও এমকজিম ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।

 

29.*সমস্যা: আম ভাল করতে কি দিব
*সমাধান: ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন ।

 

30.সমস্যা: আমের মুকুল ঝরে যায়। করণীয় কি?
*সমাধান: ফাইটার প্লাস ১ মিলি/ লিটার পানিতে এবং ফ্লোরা ২ মিলি/ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছের মুকুল ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2013/03/09

 

31 *সমস্যা: আম ঝরে যায়। করণীয় কি?
*সমাধান: ফ্লোরা ৩ মিলি/ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে।
Added: 2013/02/03

 

32.*সমস্যা: আমের ভাল ফলনের জন্য কি করব? বয়স ৩ বছর।
*সমাধান: প্রতি গাছে ২ ডালি পচা গোবর, ৩০ গ্রাম বোরন, ৪০ গ্রাম টি এস পি, ও পটাশ সার, ইউরিয়া ৩৫ গ্রাম গাছের গোড়া থেকে ১.৫ হাত দূরত্বে রিং করে প্রয়োগ করতে হবে। এর পর হালকা সেচ দিতে হবে, সাধারণত বছরে ২ বার সার দিতে হবে (গাছে মুকুল আসার ২.৫ মাস আগে ও বর্ষার আগে)। মুকুল আসার এক মাস পুর্বে ফাইটার প্লাস ১ মিলি/ লিটার পানিতে এবং এমকোজিম ১ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2013/02/01

 

33.*সমস্যা: আমাদের গোপাল ভোগ আম গাছে আম ১ টা, ২ টা হয়। এর বেশি নয়। কারণ কি?
*সমাধান: কিছু ডালপালা কেটে দিতে হবে । প্রতি গাছে ২ ডালি পচা গোবর , ৪০ গ্রাম টি এস পি , ও পটাশ , বোরন , ৩০ গ্রাম ইউরিয়া গাছের গোঁড়া হতে ১.৫ হাত দুরত্তে রিং করে প্রয়োগ করতে হবে । মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2013/01/13

 

34.*সমস্যা: আম গাছের মুকুল আসে না, কি করব?
*সমাধান: প্রতি গাছে ২ ডালি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম বোরন, ৭৫ গ্রাম টি এস পি, ও পটাশ সার, ইউরিয়া ৭০ গ্রাম গাছের গোড়া থেকে ১.৫ হাত দূরত্বে রিং করে প্রয়োগ করতে হবে। এর পর হালকা সেচ দিতে হবে, সাধারণত বছরে ২ বার সার দিতে হবে (গাছে মুকুল আসার ২.৫ মাস আগে ও বর্ষার আগে)। মুকুল আসার ১ মাস পুর্বে ফাইটার প্লাস ১ মিলি/ লিটার পানিতে এবং এমকোজিম ১ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2013/01/13

 

35.*সমস্যা: গাছে আম ধরে না। করণীয় কি?
*সমাধান: প্রতি গাছে ২ ডালি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম বোরন, ৭৫ গ্রাম টি এস পি, ও পটাশ সার, ইউরিয়া ৭০ গ্রাম গাছের গোড়া থেকে ১.৫ হাত দূরত্বে রিং করে প্রয়োগ করতে হবে। এর পর হালকা সেচ দিতে হবে, সাধারণত বছরে ২ বার সার দিতে হবে (গাছে মুকুল আসার ২.৫ মাস আগে ও বর্ষার আগে)। মুকুল আসার এক মাস পুর্বে ফাইটার প্লাস ১ মিলি/ লিটার পানিতে এবং এমকোজিম ১ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2013/01/13

 

36*সমস্যা: আমার লাংরা আম ফাটে। করণীয় কি?
*সমাধান: আম মটর দানার মত হলে ফ্লোরা ২০ গ্রাম ও সলুবর বোরন ১৫ গ্রাম / ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে
Added: 2013/01/13

 

37.*সমস্যা: আমের গাছে মুকুল ধরে না। প্রতিকার কি?
*সমাধান: প্রতি গাছে ২ ডালি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম বোরন, ৭৫ গ্রাম টি এস পি, ও পটাশ সার, ইউরিয়া ৭০ গ্রাম গাছের গোড়া থেকে ১.৫ হাত দূরত্বে রিং করে প্রয়োগ করতে হবে। এর পর হালকা সেচ দিতে হবে, সাধারণত বছরে ২ বার সার দিতে হবে (গাছে মুকুল আসার ২.৫ মাস আগে ও বর্ষার আগে)। মুকুল আসার এক মাস পুর্বে ফাইটার প্লাস ১ মিলি/ লিটার পানিতে এবং এমকোজিম ১ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/12/02

 

38.*সমস্যা: আমের ভিতরে পোকা । প্রতিকার কি ?
*সমাধান: মুকুল আসার পর এমকজিম ১ মিলি , ফাইটার ১ গ্রাম , ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করুন।
Added: 2012/07/29

 

39. *সমস্যা: আম গাছ বাড়ে না । বয়স ৩ মাস ।
*সমাধান: ২ ডালি পচা গোবর , ৫০ গ্রাম টি এস পি , ৫০ গ্রাম পটাশ , ৭৫ গ্রাম ইউরিয়া প্রতি গাছ হতে ১.৫ হাত দূরে রিং করে প্রয়োগ করে হালকা সেচ দিতে হবে ।
Added: 2012/07/01

 

40.*সমস্যা: আম গাছে আম ধরে । পাকার ঠিক আগে আম ফেটে যায় , বয়স ১০ বছর
*সমাধান: মুকুল আসার তিন মাস আগে ও বর্ষার সময় প্রতি গাছে ৭৫ গ্রাম টি এস পি ও পটাশ ৫০ গ্রাম বোরন , ২ ডালি পচা গোবর গাছ হতে দেড় হাত দুরত্তে রিং করে প্রয়োগ করে হালকা সেচ দিন ।
Added: 2012/06/11

 

41.*সমস্যা: আমে অনেক মুকুল হয় , পোকা মুকুল কেটে দেয় ।
*সমাধান: ফাইটার ১ গ্রাম ও এমকোজিম ১মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে মুকুল আসার পর স্প্রে করতে হবে ১২ দিন পর পর ২ বার। আর মুকুল ঝরে পরার জন্য ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
Added: 2012/06/10

 

42.*সমস্যা: আমের পাতা বিছা পোকা খেয়ে ফেলে ।
*সমাধান: ক্যারাটে ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/06/07

 

43.*সমস্যা: আম গাছ মারা যায় । গাছের বয়স ২ বছর, উচ্চতা ৫-৬ ফুট।
*সমাধান: প্রতি গাছে ২৫-৩০ গ্রাম ফুরাডান + ২ ডালি পচা গোবর গাছের গোঁড়া হতে ১.৫ হাত দূরে মাটি আলগা করে প্রয়োগ করে হালকা সেচ দিন ।
Added: 2012/05/30

 

44.*সমস্যা: আম গাছ মারা যায় ।
*সমাধান: ৩০-৪০ গ্রাম ফুরাডান + ২ ডালি পচা গোবর গাছের গোঁড়া হতে ১.৫ হাত দূরে মাটি আলগা করে প্রয়োগ করে হালকা সেচ দিন ।
Added: 2012/05/30

 

45.*সমস্যা: আমের ভিতরে পোকা
*সমাধান: ফাইটার ১ গ্রাম ও এমকজিম ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
Added: 2012/05/20

 

46.*সমস্যা: আম ভাল করতে কি দিব
*সমাধান: ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করুন ।
Added: 2012/05/20

 

47.*সমস্যা: আম ঝরে যায় ও আমে পোকা
*সমাধান: ফাইটার ১ গ্রাম / লিটার ও ফ্লোরা ২ মিলি /লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে
Added: 2012/05/15

 

48.*সমস্যা: আমের পাতা বিছা পোকা খেয়েছে ।
*সমাধান: ক্যারাটে ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/05/15

 

49.*সমস্যা: আমে পচন ও কাঠালের গায়ে কালো দাগ
*সমাধান: মুকুল আসার পর এমকজিম ১ মিলি , ফাইটার ১ গ্রাম , ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।ঝরে পরা মুচি গুলো পুরিয়ে ফেলুন।
Added: 2012/05/15

 

50.*সমস্যা: আমে বিছা পোকার আক্রমণ
*সমাধান: ক্যারাটে ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/05/15

 

51.*সমস্যা: আম ঝড়ে যাচ্ছে?
*সমাধান: আম গাছে মুলুল আসার পর ফ্লোরা ২ মিলি, ফাইটার ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে ১২ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/05/12

 

52.*সমস্যা: আমে পোকার আক্রমণ?
*সমাধান: আম গাছে মুলুল আসার পর ফ্লোরা ২ মিলি, ফাইটার ১ গ্রাম ও এমকোজিম ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে ১২ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/05/12

 

53.*সমস্যা: আমার ৬৬ টি আম গাছ আছে , বয়স ৭ বছর, কি পরিমাণ সার দিব?
*সমাধান: প্রতি গাছে ২ ডালি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম বোরন সার দিতে হবে, ৭৫ গ্রাম টি এস পি, ও পটাশ সার, ইউরিয়া ৭০ গ্রাম গাছের গোড়া থেকে ১.৫ হাত দূরত্বে রিং করে প্রয়োগ করতে হবে। এর পর হালকা সেচ দিতে হবে, সাধারণত বছরে ২ বার সার দিতে হবে, গাছে মুকুল আসার ২.৫ মাস আগে ও বর্ষার আগে।
Added: 2012/05/07

 

54.*সমস্যা: আম পড়ে যাচ্ছে ।
*সমাধান: বর্তমানে ফাইটার প্লাশ ১ গ্রাম ও ফ্লোরা ৩ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/05/04

 

55.*সমস্যা: আমের গুটি পড়ে যাচ্ছে ।
*সমাধান: ফ্লোরা ২ মিলি ও ফাইটার ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/05/04

 

56.*সমস্যা: আমের বোটা দিয়ে আঠা ঝরছে ও আম পড়ে যাচ্ছে ।
*সমাধান: ফ্লোরা ২ মিলি ও এমকোজিম ১ গ্রাম /লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে
Added: 2012/05/03

 

57.*সমস্যা: আম গাছের আম পোকায় ফুটা করে দেয়?
*সমাধান: আমের দানা মটোর দানার মত থাকতে ফাইটার ১ গ্রাম ও এমকোজিম ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/04/24

 

58.*সমস্যা: আমরা গাছের পাতা বিছা পোকা খেয়ে ফেলছে?
*সমাধান: রিপকর্ড, বা ক্যারাটে ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে,
Added: 2012/04/09

 

59.*সমস্যা: আম গাছের মুকুল আসার পর ঔষুধ দিয়েছি বর্তমানে মুকুল গুলো ঝরে যাচ্ছে ।
*সমাধান: এখন আবার, ফ্লোলা ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে ১২ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করুন।
Added: 2012/04/08

 

60.*সমস্যা: আম ঝরে যাচ্ছে ।
*সমাধান: ১ গ্রাম এমকোজিম ও ২ মিলি ফ্লোরা / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন ।
Added: 2012/04/03

 

61.*সমস্যা: ছোট আম গাছে পিঁপড়া আক্রমণ করেছে, দমনের উপায় কি?
*সমাধান: ১৫০ মিলি পানি ও ১৫০ মিলি কেরোসিন তৈল ভালো ভাবে ঝাকিয়ে আম গাছে প্রয়োগ করতে হবে,
Added: 2012/03/23

 

62.*সমস্যা: আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছে,
*সমাধান: ফাইটার ১ মিলি ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।
Added: 2012/03/19

 

63.*সমস্যা: আম গাছের ভিতরে পোকার , কি ভাবে দমন করা যাবে,
*সমাধান: ফাইটার ১ মিলি ও এমকোজিম ১ গ্রাম এবং ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে আমে গুটি থাকে অবস্থায় স্প্রে করতে হবে ।
Added: 2012/03/15

 

64.*সমস্যা: আমের গুটি ঝড়ে যাচ্ছে,
*সমাধান: ফাইটার ১ মিলি, এমকোজিম ১ গ্রাম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে মুকুল আসার ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে ।
Added: 2012/03/14

 

65.*সমস্যা: আমের মুকুল ঝড়ে যাচ্ছে
*সমাধান: মুলুল আসার পর ফাইটার ১ মিলি, এমকোজিম ১ গ্রাম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে ১২ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে ।
Added: 2012/03/14

 

66.*সমস্যা: আমের মুকুলে পোকা লেগেছে ।
*সমাধান: ফাইটার ও এমকোজিম ১ গ্রাম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।
Added: 2012/03/11

 

67.*সমস্যা: আম গাছে ভাল ফলন পাইতে। করনিয় কি? জানতে চাই।
*সমাধান: ১. ভক্সল সুপার প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২-৩ মুখা করে যখন মুকুল আসলে একবার, আম গুটি হলে একবার সেপ্র করতে হবে।
Added: 2009/11/24

 

68.*সমস্যা: আজ গাছে মুকুল আসে কিন্তু আম থাকে না। এর কারণ ও প্রয়োজনীয় সমাধান।
*সমাধান: মুকুল আসার সময় ভক্সল সুপার ১০ লিটার পানিতে ২-৩ মুখা মিশিয়ে সেপ্র করতে হবে।
Added: 2009/11/14

 

69.*সমস্যা: আম গাছের বয়স দুই বছর, অনেক গাছের কচি পাতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পরে মারা যাচ্ছে। এর করনীয় উপায় কি ?
*সমাধান: ১. যে পাতা গুলোতে আক্রমন হয়েছে সে পাতা গুলো ছিড়ে ফেলতে হবে। ২. আম গাছে মাকড়শার আক্রমন কিংবা জাল হলে ঝাড়ু দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। ৩. লিথান ২০ ইসি অথবা ভিটাশিল্ড ২০ ইসি বোতলের গায়ে উল্লিখিত হারে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2009/12/03

 

70.*সমস্যা: আম গাছের বয়স ১ বছর, পাতাতে আচিলের মত গিট দেখা যায়, কি করতে হবে?
*সমাধান: সবিক্রন, ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/03/07

 

71.*সমস্যা: আম গাছে আম ফেটে যায় ।
*সমাধান: ফ্লোরা ৩-৫ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/03/01

 

72.*সমস্যা: আম গাছের ডাল পোকায় খেয়ে ফেলে ।
*সমাধান: আক্রমণের পরিমাণ কম হলে আক্রান্ত ডাল কেটে দিতে হবে । বা ক্যারাটে ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।
Added: 2012/03/01

 

73.*সমস্যা: আমের মুকুল যেন টিকে থাকে , কি করব ?
*সমাধান: আম গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার, ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে আবার, ফাইটার ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/03/01

 

74.*সমস্যা: আমে মুকুল এসেছে । কি করব ?
*সমাধান: ১ মিলি ফাইটার, ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে আবার, ফাইটার ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/29

 

75.*সমস্যা: আমে মুকুল এসেছে । কি করব ?
*সমাধান: ১ মিলি ফাইটার, ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে আবার, ফাইটার ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/29

 

76.*সমস্যা: আম্রপালী জাতের আম গাছে মুকুল এসেছে কি করতে হবে?
*সমাধান: আম গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার, ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে আবার, ফাইটার ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/29

 

77.*সমস্যা: আম গাছের গুটি ঝড়ে যায়। কি করতে হবে।
*সমাধান: আম গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার, ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে আবার, ফাইটার ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/28

 

78.*সমস্যা: আম গাছের গুটি ঝড়ে যায়। কি করতে হবে।
*সমাধান: আম গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার, ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে আবার, ফাইটার ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/27

 

79.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আসেনা, বয়স ২৫ বছর, কি করা যেতে পারে?
*সমাধান: আম গাছের বারতি কিছু ডাল কেটে দিতে হবে। এর পর বৈশাখ-জইষ্ঠ মাসে প্রতি গাছে ৭৫ গ্রাম ইউরিয়া, ১০০ গ্রাম টি এসা পি, ১০০ গ্রাম পটাশ, ৪০ গ্রাম বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে।
Added: 2012/02/27

 

80.*সমস্যা: আম গাছের গুটি ঝড়ে যায়। কি করতে হবে।
*সমাধান: আম গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার, ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে আবার, ফাইটার ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/27

 

81.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল এসেছে, কি ওষুদ প্রয়োগ করলে ভালো ফলন দিবে।
*সমাধান: সাধারনত আম গাছ থেকে বেশি ফলন পাবার জন্য, গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে আবার, ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/23

 

82.*সমস্যা: আম গাছের ডালে পোকা লাগার ফলে ডাল ভেংগে যাচ্ছে, কি করতে হবে।
*সমাধান: রিপকর্ড/ক্যারাটে, ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/02/23

 

83.*সমস্যা: আম গাছের ডালে কিরা ফুটো করে, পরে ডাল ভেঙ্গে যায় ।
*সমাধান: ক্যারাটে ২.৫ ই সি ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে ।
Added: 2012/02/22

 

84.*সমস্যা: আম গাছের ডালে কিরা ফুটো করে, পরে ডাল ভেঙ্গে যায় ।
*সমাধান: ক্যারাটে ২.৫ ই সি ১ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে ।
Added: 2012/02/22

 

85.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল এসেছে, কি প্রয়োগ করতে হবে।
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/20

 

86.*সমস্যা: আম গাছের মুকুলে কি কি ওষুধ দিতে হবে।
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/19

 

87.*সমস্যা: আমের উচ্চ ফলনের জন্য কি করব ?
*সমাধান: ১ ম বার ফাইটার ১ গ্রাম ও আমকজিম ১ গ্রাম , ২ য় বার ফাইটার ১ গ্রাম ও এমকজিম ১ গ্রাম ও ফ্লোরা ২ গ্রাম দিতে হবে ।
Added: 2012/02/16

 

88.*সমস্যা: আমে পোকা । সমাধান কি ?
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/16

 

89.*সমস্যা: আম বড় হয়ে ফেটে পচে যায় ।
*সমাধান: আম মটর দানার মত হলে ফ্লোরা ২০ গ্রাম ও সলুবর বোরন ১৫ গ্রাম / ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে ।
Added: 2012/02/16

 

90.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আসে কিন্তু ঝরে যায় ।
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/16

 

91.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আসে কিন্তু ঝরে যায় ।
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/15

 

92.*সমস্যা: আম গাছে ফুল আসে কিন্তু ফল ধরে না
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/15

 

93.*সমস্যা: আমের মুকুল আসে না ।
*সমাধান: ১ গ্রাম ফাইটার + ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে ।
Added: 2012/02/15

 

94.*সমস্যা: আমের মুকুল এসেছে। কি করলে ফলন ভাল পাওয়া যাবে ।
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/14

 

95.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আসে না। বয়স ৫ বছর । কি করব?
*সমাধান: আম গাছের কিছু ডাল পালা কেটে দিতে হবে, এর পর প্রতি গাছে ২ ডালি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম, ৭৫ গ্রাম টি এস পি, ৭৫ গ্রাম পটাশ, ৩০ গ্রাম বোরন সার গাছের গোরা থেকে ১.৫ হাত দূরত্তে মাটি আলগা করে প্রয়োগ করতে হবে ও পরে সেচ দিতে হবে।
Added: 2012/02/12

 

96.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আসে না। বয়স ৫ বছর । কি করব?
*সমাধান: আম গাছের কিছু ডাল পালা কেটে দিতে হবে, এর পর প্রতি গাছে ২ ডালি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম, ৭৫ গ্রাম টি এস পি, ৭৫ গ্রাম পটাশ, ৩০ গ্রাম বোরন সার গাছের গোরা থেকে ১.৫ হাত দূরত্তে মাটি আলগা করে প্রয়োগ করতে হবে ও পরে সেচ দিতে হবে।
Added: 2012/02/12

 

97.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আসে না ।
*সমাধান: আম গাছের হালকা কিছু ডাল পালা কেটে দিতে হবে। এর পর গোবর, সার, পরিমিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
Added: 2012/02/09

 

98.*সমস্যা: আম গাছের মুকুল এসেছে । এখন কি করব ?
*সমাধান: আম গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটা আগে ১ গ্রাম, ফাইটার, ১ গ্রাম এমকোজিম, ২ গ্রাম ফ্লোরা/১লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে, এর পর ১০ দিন অন্তর অন্তর ২ বার অনুরূপ ওষুধ একই মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/09

 

99.*সমস্যা: আমের মুকুল ভাল রাখার জন্য কি বিষ দিতে হবে ।
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/09

 

100.*সমস্যা: আমের মুকুল আসছে না। কি করব ?
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/09

 

101. *সমস্যা: আম গাছে মুকুল খুব কম । বয়স ৫ বছর । কি করব ?
*সমাধান: এবার আম তোলার পর গাছ প্রতি ২ ডালি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ৭৫ গ্রাম টি এস পি ও পটাশ,
Added: 2012/02/09

 

102.*সমস্যা: গত বছর আমের ভিতর প্রচুর পোকা ছিল । এ বছর কি করব ?
*সমাধান: গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে ফাইটার প্লাশ ১ গ্রাম, এমকোজিম ১ গ্রাম ও ফ্লোরা ২ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/02/06

 

103.*সমস্যা: আমের মুকুল প্রচুর আসে কিন্তু ঝরে যায় ।
*সমাধান: গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে ফাইটার প্লাশ ১ গ্রাম ও ফ্লোরা ৩ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/05

 

104.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল বের হয়েছে। এখন কি করব ?
*সমাধান: আম গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটা আগে ১ গ্রাম, ফাইটার, ১ গ্রাম এমকোজিম, ২ গ্রাম ফ্লোরা/১লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে, এর পর ১০ দিন অন্তর অন্তর ২ বার অনুরূপ ওষুধ একই মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/05

 

105.*সমস্যা: আম গাছের বাকল পোকা খেয়ে গাছ মারা যাচ্ছে । কি করব ?
*সমাধান: আম গাছের বাকল পরষ্কার করে তাতে ক্যারাটে ২.৫ ইসি, ১ মিলি/১লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/02/05

 

106.*সমস্যা: আম গাছের মুকুল ঝরে যায়
*সমাধান: গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে ফাইটার প্লাশ ১ গ্রাম ও ফ্লোরা ৩ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/02

 

107.*সমস্যা: আম গাছে মশার উপদ্রব ।
*সমাধান: ফাইটার প্লাশ ১ গ্রাম/লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/02/02

 

108.*সমস্যা: আম গাছের মুকুল ঝরে যায়
*সমাধান: গাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে ফাইটার প্লাশ ১ গ্রাম ও ফ্লোরা ৩ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/02

 

109.*সমস্যা: আম গাছের পাতা পোকা কেটে দিচ্ছে ।
*সমাধান: ক্যারাটে ২.৫ ইসি, ১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে
Added: 2012/02/02

 

110.*সমস্যা: আমের মুকুল প্রচুর আসে কিন্তু আম ধরে না
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/02/01

 

111.*সমস্যা: আম গাছের ডাল শুকে যায় ।
*সমাধান: টিল্ট ২৫০ ইসি, ০.৫ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/02/01

 

112*সমস্যা: আম গাছে পোকা । মুকুল ঝরে পরে ।
*সমাধান: ভালো ফলোন পেতে মুকুল আসার ১ মাস পূর্বে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি ও এমকজিম ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ভালো ফলোন পেতে মুকুল আসার ১ মাস পূর্বে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি ও এমকজিম ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2012/01/31

 

113.*সমস্যা: আম গাছের গায়ে পোকা হয়ে পরে সেখানে পোকা ধরে?
*সমাধান: প্রাউড ২৫ ইসি, ১ মিলি / লিটার পানিত মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে, ধন্যবাদ।
Added: 2012/01/31

 

114.*সমস্যা: আমের বোটা শুকায়ে যায়, রস নাই মনেহয়, কি করতে পারি?
*সমাধান: ফ্লোরা ৩ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে, ধন্যবাদ।
Added: 2012/01/31

 

115.*সমস্যা: আম বড় হয়ে ঝড়ে যায়, খাবার উপযোগী হওয়ার আগের পোকা ধরে নষ্ট হয়ে যায়,
*সমাধান: আম গাছে মুকুল আসার পর ১ গ্রাম ফাইটার, ২ গ্রাম ফ্লোরা / লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর অন্তর স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/01/31

 

116.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আটকায় না ।
*সমাধান: ভালো ফলোন পেতে মুকুল আসার ১ মাস পূর্বে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি ও এমকজিম ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ভালো ফলোন পেতে মুকুল আসার ১ মাস পূর্বে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি ও এমকজিম ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্
Added: 2012/01/31

 

117.*সমস্যা: আম গাছে উই পোকার আক্রমণ ।
*সমাধান: ক্যারাটে / রিপকর্ড – অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
Added: 2012/01/29

 

118.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল এসেছে । এখন কি ওষুধ দিব ?
*সমাধান: ভালো ফলোন পেতে মুকুল আসার ১ মাস পূর্বে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি ও এমকজিম ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/01/29

 

119.*সমস্যা: আমের গাছের পাতায় গুটি গুটি হয়ে পোকা লাগার মত হয়ে যাচ্ছে ।
*সমাধান: সম্ভব হলে আক্রান্ত পাতাগুলো ছিড়ে ফেলতে হবে। এর পর ভার্মিটেক, ১.২৫ এম এল/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করত হবে, ধন্যবাদ।
Added: 2012/01/29

 

120.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আসার পর কি ওষুধ দিব ?
*সমাধান: আম গাছে মুকুল আসার ১ মাস পূর্বে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি ও এমকজিম ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। ধন্যবাদ।
Added: 2012/01/29

 

121*সমস্যা: আমের গছে অনেক পিঁপড়া ।
*সমাধান: রিপকর্ড / ক্যারাটে অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করত হবে,
Added: 2012/01/29

 

122*সমস্যা: আম গাছে মুকুল ঝরে যায় । শিম গাছে পোকা ফল ছিদ্র করে। গরু খায় না , ভরে না । প্রতিকার কি ?
*সমাধান: মুকুল আসার ১ মাস পূর্বে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি ও এমকজিম ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।শিম গাছে পোকা ফল ছিদ্র করার জন্য প্লাটিনাম ২০ এস পি ২ গ্রাম / ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে । গরুর জন্য স্থানীয় পশু সম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে ।
Added: 2012/01/24

 

123.*সমস্যা: ১০ বছর বয়সী আম গাছে মঞ্জুরি আসে কিন্তু আম আসে না ।
*সমাধান: ফাইটার ১ গ্রাম , এমকোজিম ১ গ্রাম , ফ্লোরা ২ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩ বার দিতে হবে ।
Added: 2012/01/23

 

124.*সমস্যা: আমের ভিতরে পোকা হয় ।
*সমাধান: মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে কট / ফাইটার প্লাস – ১ মিলি/ লিটার পানি, এমকজিম -১ গ্রাম / লিটার পানি , ফ্লোরা – ২ মিলি / লিটার পানি মিশিয়ে প্রয়োগ করতে হবে ।
Added: 2012/01/23

 

125.*সমস্যা: ১০ বছর বয়সী আম গাছে মঞ্জুরি আসে কিন্তু আম আসে না ।
*সমাধান: ফাইটার ১ গ্রাম , এমকোজিম ১ গ্রাম , ফ্লোরা ২ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩ বার দিতে হবে ।
Added: 2012/01/23

 

126.*সমস্যা: আম গাছে মুকুল আসার পর আমের বয়স ১ মাস হবার আগেই আম ফেটে যায়,এবং ঝরে পড়ে যায়
*সমাধান: – মুকুল আসার ১ মাস পূর্বে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি ও এমকজিম ১ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার পূর্বে ১ মিলি ফাইটার প্লাস , ১ গ্রাম এমকোজিম ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । আম গুটি দানার মত হলে , ফাইটার প্লাস ১ মিলি , প্রাউড ২ মিলি ও ফ্লোরা ২ মিলি / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে ।
Added: 2012/01/22

 

127.*সমস্যা: আম গাছে কি কি ভিটামিন দেয়া যাবে।
*সমাধান: ১. কট/ফাইটার প্লাস, ১ গ্রাম/লি. পানি, ২. এমকজিম ১ গ্রাম / লি পানি, ৩. ফ্লোরা – ২ এম এল / লি পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2011/12/14

 

128.*সমস্যা: আম গাছে কি কি ভিটামিন দেয়া যাবে।
*সমাধান: ১. কট/ফাইটার প্লাস, ১ গ্রাম/লি. পানি, ২. এমকজিম ১ গ্রাম / লি পানি, ৩. ফ্লোরা – ২ এম এল / লি পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
Added: 2011/12/14

129.*সমস্যা: বড় আমের চারা উঠিয়ে লাগানো হয়েছে কিন্তু মারাগেছে। আমি এখন কি করবো।
*সমাধান: সে যায়গায় আর ও একটি চারা লাগাতে পারেন, তবে সাধারনত বড় চারা স্থানান্তরের সময় বেস কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন- গাছ মাটিতে থাকা অবস্থায় প্রথমে এক পাশের মূল কেটে দিতে হবে, পরে বেশ কিছু দিন পরে অন্য পাশের মূল কেটে দিয়ে খুব সাবধানে গাছ তোলার ৮-১০ দিন শীতল যায়গায়ই রাখার পর গাছ লাগাতে হবে।

 

নিউজটি আমাদের নিজস্ব না। এটির সকল কৃতিত্ব ও স্বত্ত শুধুমাত্র  https://baisc.wordpress.com

দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিঘার পর বিঘা জমিতে যেমন আম চাষ হয়, তেমনই গ্রামবাংলার গৃহস্থ বাড়িতে কয়েকটা আমগাছ থাকেই। কিন্তু এর পরিচর্যা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় কারও গাছে মুকুল আসে তো ফল হয় না, কারও আবার ফল পাকার আগেই ঝরে পড়ে যায়। আসলে ভালো আম পেতে যত্ন নিতে হবে বছরভর। এসব সমস্যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণই প্রধান। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে ব্যর্থ হলে আমের ফলন অনেক কমে যায়।

ফলের রাজা আম। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিঘার পর বিঘা জমিতে যেমন আম চাষ হয়, তেমনই গ্রামবাংলার গৃহস্থ বাড়িতে কয়েকটা আমগাছ থাকেই। কিন্তু এর পরিচর্যা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় কারও গাছে মুকুল আসে তো ফল হয় না, কারও আবার ফল পাকার আগেই ঝরে পড়ে যায়। আসলে ভালো আম পেতে যত্ন নিতে হবে বছরভর। অন্যান্য ফলের মতো আম বাগানেও নানা সমস্যা দেখা যায়। এসব সমস্যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণই প্রধান। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে ব্যর্থ হলে আমের ফলন অনেক কমে যায়। তবে এসব রোগ ও পোকামাকড় দমনের জন্য সঠিক বালাইনাশক বা ছত্রাকনাশক সঠিক মাত্রায়, সঠিক সময়ে, সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ব্যবহার করলে আমের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

 

আমের হপার পোকা ও দমনব্যবস্থা

 

আমের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য পরিচর্যা শুরু করতে হবে আমবাগানে মুকুল বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। গাছে মুকুল আসার কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন আগে পুরো গাছ সাইপারমেথ্রিন বা কার্বারিল গ্রুপের যে কোনো কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে দিলে ভালো মুকুল আসবে। এতে গাছে বাস করা হপার বা শোষকজাতীয় পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

 

আশঙ্কার ব্যাপার হলো, একটি হপার পোকা দৈনিক তার দেহের ওজনের ২০ গুণ রস শোষণ করে খায় এবং দেহের অতিরিক্ত আঠালো রস মলদ্বার দিয়ে বের করে দেয়, যা মধুরস বা হানিডিউ নামে পরিচিত। এ মধুরস মুকুলের ফুল ও গাছের পাতায় জমা হতে থাকে। মধুরসে এক প্রকার ছত্রাক জন্মায়। এই ছত্রাক জন্মানোর কারণে মুকুল, ফুল ও পাতার ওপর কালো রঙের স্তর পড়ে যায়; যা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এই পোকার আক্রমণে শুধু আমের উৎপাদনই কমে যায় না, গাছের বৃদ্ধিও কমে যেতে পারে। হপার পোকা অন্ধকার বা বেশি ছায়াযুক্ত স্থান পছন্দ করে। তাই নিয়মিতভাবে গাছের ডালপালা ছাঁটাই করতে হবে, যাতে গাছের মধ্যে আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে।

 

আমের মুকুল যখন ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার লম্বা হয় তখন একবার এবং আম যখন মটর দানার মতো আকার ধারণ করে তখন আরেকবার প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার হারে সাইপারমেথ্রিন (রিপকর্ড বা সিমবুস বা ফেনম বা এরিভো) ১০ ইসি পানিতে মিশিয়ে পুরো গাছে স্প্রে করতে হবে। আমের হপার পোকার কারণে যেহেতু সুটিমোল্ড বা ঝুল রোগের আক্রমণ ঘটে তাই রোগ দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে সালফারজাতীয় ছত্রাকনাশক কীটনাশকের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

 

আমের মাছি পোকা ও দমনব্যবস্থা
এখন দেশের সব এলাকার আমগাছে থোকা থোকা মুকুল শোভা পাচ্ছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে এমন মুকুল দেখে চাষি ভাইদের সুখের ঢেঁকুর তোলার সুযোগ নেই। কারণ আম ঘরে আসতে এখনো অনেক প্রতিকূল পরিবেশ পার করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মাছিপোকা। হ্যাঁ, আমের মাছি পোকাই মকুল ধরা থেকে আম সংগ্রহ করা পর্যন্ত আমের ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। যারা ব্যাপক আকারে আম চাষ করেন তাদের জন্য এটা আরও বড় সমস্যা। কারণ তারা উৎপাদিত আমের বেশির ভাগই রপ্তানি করেন। পোকায় ধরা আম দেশেই বিক্রি করা কঠিন, রপ্তানি করা তো দূরের কথা। মাছিপোকা আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। আম গুটি বাঁধার ৫০ থেকে ৫৫ দিন পর প্রতিটি আম কাগজ (ব্রাউন পেপার) দিয়ে মুড়িয়ে দিলে আমকে এ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। ছোট গাছের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি সহজেই ব্যবহার করা যায়। আমকে এ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য আমবাগানে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

ম্যাঙ্গো উইভিল ও দমনব্যবস্থা
আমের বাইরে খোসা দেখে মনে হয় ভেতরে কোনো সমস্যা নেই। অথচ আম পাকার পর তা কাটলে তার ভেতরে দেখা যায় পোকা কিলবিল করছে। এ পোকা একবার আমের ভেতরে ঢুকে গেলে কোনোভাবেই দমন করা সম্ভব নয়। তাই মুকুল আসার সময় এ পোকা দমন করতে হবে। যে আমগাছে একবার ওই পোকা দেখা যাবে সে গাছে প্রতিবছরই এ পোকার আক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাশাপাশি আশপাশের আরও আমগাছে এ পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। এ পোকা দমন করতে হবে মুকুল ধরার আগে কিংবা মুকুল ধরার সময়।

 

আশ্চর্যের বিষয় হলো আমের ত্বকে কোনো ছিদ্র থাকে না। এত বড় পোকা কীভাবে আমের ভেতর ঢোকে এবং বেঁচে থাকে তা সত্যিই অবাক করার মতো। আমের যখন মুকুল আসে, তখন এ পোকা মুকুলে ডিম পাড়ে। মুকুল থেকে কচি আম হওয়ার সময় ফুলের ভেতরই ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়ে কচি আমের ভেতর আস্তে আস্তে ঢাকা পড়ে। আমের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এর ভেতরের পোকাও বড় হতে থাকে। পোকাগুলো দিন দিন বেড়ে ওঠে আম খেয়ে। সাধারণত মুকুল ধরার সময় তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা একটু বেশি এবং উচ্চ আর্দ্রতা থাকলে এ পোকা আক্রমণ করার আশঙ্কা বেশি থাকে। আমের ভেতর পোকা ঢুকে গেলে দমনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এটি দমনের জন্য প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১৫ মিলিলিটার ম্যালাথিয়ন বা সুমিথিয়ন মিশিয়ে মুকুল ধরার সময় মুকুলে স্প্রে করতে হবে। অথবা ৩০ মিলিলিটার ডায়াজিনন বা ১৫ মিলিলিটার ডাইমেক্রন প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে মুকুলে স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়া আমগাছের নিচে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ডিমের গাদা নষ্ট করতে হবে। আক্রান্ত আমগাছের নিচে পড়ে থাকা পাতা ও মুকুল পুড়িয়ে ফেলতে হবে। মুকুল ধরার সময় এলাকার সব আক্রান্ত গাছে একসঙ্গে কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। অন্যথায় যে গাছে স্প্রে করা হবে না, সেই গাছে অন্যগাছ থেকে পোকা আক্রমণ করবে।

 

পাউডারি মিলডিউ রোগ ও দমনব্যবস্থা
পাউডারি মিলডিউ এক ধরনের মারাত্মক রোগ। আমাদের দেশে এ রোগের আক্রমণ প্রতিবছর দেখা না গেলেও কোনো কোনো বছর অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করলে রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করে। এটির আক্রমণ প্রধানত আমের মুকুল ও কচি আমে প্রকাশ পায়। প্রথমে আমের মুকুলের শীর্ষ প্রান্তে সাদা বা ধূসর বর্ণের পাউডারের আবরণ দেখা যায় এবং পরে কচি পাতাতেও রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই পাউডার হচ্ছে ছত্রাক ও তার বীজকণার সমষ্টি। হালকা বৃষ্টি, মেঘলা আকাশ এ রোগের জীবাণুর ব্যাপক উৎপাদনে সহায়তা করে। প্রতিকারের জন্য মুকুল আসার সময় প্রতিদিন (বিশেষ করে মেঘলা আবহাওয়াযুক্ত দিনে) আমগাছ পর্যবেক্ষণ করতে হবে মুকুলে পাউডারি মিলডিউ রোগ দেখা দিয়েছে কিনা। রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই সালফারযুক্ত যে কোনো ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম হারে ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

 

আমের আনথ্রাকনোজ রোগ ও দমনব্যবস্থা
আমের পাতা, কা-, মুকুলে ও ফলে এই রোগ দেখা যায়। পাতায় অনিয়মিত দাগ দেখা যায় যেগুলো পরে বাদামি থেকে কালো হয়ে বড় বড় দাগের সৃষ্টি করে এবং পাতা ঝরে যায়। মুকুলে আক্রমণ হলে মুকুল কালো হয়ে যায় এবং গুটিগুলো ঝরে পড়ে। এই রোগ দমনে মুকুল আসার আগে টিল্ট ২৫০ ইসি-০.৫ মিলিলিটার/লিটার বা ডায়থান এম ৪৫ -২ গ্রাম/লিটার স্প্রে করতে হবে। বোরডোয়াক্স মিশ্রণের ১% দ্রবণ ১০-১২ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।

 

আমের বোঁটা পচা রোগ ও দমনব্যবস্থা
এটি গুটি আসার পরে হয়ে থাকে। প্রথমে বোঁটার দিকে পচন ধরে পরে পুরো ফলটি পচে গিয়ে কালো বর্ণ ধারণ করে। গাছে থাকা অবস্থায় জীবাণুটি মুক্ত অবস্থায় থাকে পরে আম সংগ্রহের পরে উচ্চ তাপমাত্রা ও আর্দ্রতায় রাখা হলে আক্রান্ত আমের পাল্পগুলো বাদামি হয়ে যায়, যা আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না। দমনব্যবস্থা হিসেবে ডায়থান এম ৪৫ অথবা বেভিসটিন (০.২%) গুটি অবস্থায় স্প্রে করতে হবে।

 

রোগ পোকা-মাকড় ছাড়াও নিয়মিত পরিচর্যার হিসেবে আমের ফলন বাড়াতে হলে বছরে অন্তত দুবার সুষম মাত্রায় সার দিতে হবে। সেচ দিতে হবে প্রতি মাসে একবার। অপ্রয়োজনীয় ডালপালা ছেঁটে দিতে ধরা। আমগাছের স্বভাব হচ্ছে প্রতি ডালে এক বছর পর পর আম ধরে। এজন্য কোনো গাছে এক বছর ফলন ভালো হলে অন্য বছর ফলন কম হয় অথবা হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।




তথ্যসুত্র:  কৃষিবিদ এম আব্দুল মোমিন (https://web.facebook.com/notes/rajshahir-aam-রাজশাহীর-আম)

বাংলাদেশের শহর-নগর-গ্রামে যেদিকেই তাকানো যায় ফলের গাছ চোখে পড়বেই। এসব গাছের অধিকাংশই প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা। খুব কমসংখ্যক ফলগাছ অঙ্গ ছাটাই এর মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বৃদ্ধির সুযোগ পায়। ফলগাছ রোপণই আসল কথা নয়। রোপণ থেকে শুরু করে ফল ধারণ পযর্ন্ত ফল গাছের বিভিন্ন অঙ্গ ছাটাই ফল গাছ ব্যবস্থাপনার একটি অন্যতম কাজ।

মূলত দুটি উদ্দেশ্যে ফল গাছের অঙ্গ ছাটাই করা হয়ে থাকে। প্রথমত, অফলন্ত ফলগাছকে একটি নিদির্ষ্ট আকার আকৃতি দেয়া, দ্বিতীয়ত, অফলন্ত ও ফলন্ত ফলগাছের অপ্রয়োজনীয় দুবর্ল, চিকন, নরম, ভাঙ্গা ও মরা ডাল-পালা এবং রোগ ও পোকা আক্রান্ত ডালপালা ছাটাই করে গাছের ভেতরের দিকে আলো-বাতাস চলাচল স্বাভাবিক রাখা। এ দুটি উদ্দেশ্য ছাড়াও আরো কিছু কারণে ফল গাছ ছাটাই করতে হয়। যেমন-

* ফলগাছটি যদি মাতৃর্গাছ হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ফলগাছ থেকে বেশি পরিমাণে সায়ন উৎপাদন করা

* ফল গাছে প্রচুর পরিমাণে ফুল-ফল উৎপাদনক্ষম শাখা-প্রশাখার সংখ্যা বাড়ানো এবং ফলের গুণগতমান বৃদ্ধি করা

* ঝড় বা প্রবল বাতাসে যেন ফলগাছ সহজে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য গাছকে সুগঠিত ও মজবুত অবকাঠামো প্রদান করা

* ফল গাছের বিভিন্ন পরিচযার্ যেমন- বালাইনাশক স্প্রে করা, সায়ন সংগ্রহ করা ইত্যাদি কাজ সহজ করা

* যেসব ফল গাছে ফল ধারণ সমস্যা আছে, সেসব গাছের ফল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নতুন শাখা-প্রশাখা গজানোর ব্যবস্থা করা

* এক বছর পর পর যেসব গাছে ফল ধরে সেসব গাছের একান্তর ক্রমিক ফলনের প্রভাব কমানো বা ফল ধরার ব্যবস্থা করা

* যেসব শাখা-প্রশাখা অন্য শাখা-প্রশাখার ভেতরে ঢুকে যায় বা নিন্মমুখি হয় সেগুলো ছাটাই করে গাছকে ঝোপালো অবস্থা থেকে মুক্ত রাখা

ফল গাছের বিভিন্ন অঙ্গ যেমনঃ ডাল, পাতা, ছাল বা বাকল, ফুল, ফল ও শিকড় বিভিন্ন কৌশলে ভিন্ন ভিন্ন ফল গাছের বিভিন্ন বয়সে জাত ও বৃদ্ধির স্বভাব অনুযায়ী ছাটাই করতে হয়। ফল ধরার আগেই ফল গাছের কাঠামোগত আকৃতি গড়ে তোলার উদ্দেশ্য হচ্ছে গাছের শীষর্ ছাটাই করে গাছকে খাটো রাখা। এতে গাছে সার প্রয়োগ, সেচ প্রদান, স্প্রে করা এবং সহজে ফল সংগ্রহসহ অন্যান্য পরিচযার্ করা যায়।

এ ছাড়া গাছে যদি ৪ থেকে ৭টি শাখা-প্রশাখা থাকে তাহলে গাছ যান্ত্রিকভাবেও দৃঢ় ও খোলা-মেলা হয়। গাছের ভেতরের দিকে এমন কিছু শাখা-প্রশাখা গজায় যেগুলো থেকে কোন ফলন পাওয়া যায় না, সেগুলোও ছাটাই করা উচিত। কোন কোন ফল গাছের গোড়ার দিকে কিছু কিছু কুশি বা নতুন শাখা বের হতে দেখা যায়, সেগুলো নিয়মিতভাবে ছাটাই করতে হয়। যেমন- ডালিম, পেয়ারা, লেবু ও কঁাঠাল গাছের গোড়ায় দুই-তিন সপ্তাহ পর পর বের হওয়া কুশিগুলো ছাটাই করতে হয়।

ছাটাই করার সময় লক্ষ্য রাখতে হয়, গাছের সতেজতা কেমন, বয়স কত এবং জাত ও বৃদ্ধির স্বভাব কেমন। কম বয়সী ফল গাছে যথাসম্ভব কম ছাটাই বা হালকা ছাটাই করতে হয়। তবে কম বা বেশি যে বয়সেরই হোক না কেন গাছে মরা বা ডাঙ্গা এবং রোগ-পোকা আক্রান্ত শাখা-প্রশাখা ছাটাইয়ের সময় কিছুটা সুস্থ অংশসহ ছঁাটাই করতে হয়। মূল কান্ড এবং মোটা শাখা কখনোই ছাটাই করা ঠিক নয়।

বড় মোটা শাখা কাটার সময় নিদির্ষ্ট জায়গা থেকে প্রায় ১ ফুট বা ৩০ সেন্টিমিটার দূরে নিচের দিক থেকে কাটা শুরু করতে হয়। কাটার গভীরতা নিভর্র করে কতির্ত শাখার অংশ নিচের দিকে বেঁকে আসা পযর্ন্ত। এর পর শাখার উপরের দিকে প্রথম কাটার স্থান থেকে ১ ইঞ্চি বা আড়াই সেন্টিমিটার দূরে দ্বিতীয় কাটা দিতে হয়।

এতে কাটা শাখা বাকল বা ছালের সাথে ঝুলে থাকে না। কাটা জায়গায় আলকাতরা বা ছত্রাকনাশক লাগাতে হয়। চিকন শাখাও নিচের দিক থেকে কাটলে অকতির্ত অংশের ছাল বা বাকল উঠে আসে না। কাটার সময় সুস্থ-সবল কুঁড়ি বা পবর্সন্ধির ঠিক উপরেই শাখা কাটা উচিত। তবে গাছের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য শাখার কুঁড়ি বা পবর্সন্ধির নিচেই কাটতে হয়।

ফল গাছ ছাটাইয়ের জন্য নিদির্ষ্ট সময় ও মৌসুমের প্রতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হয়। কারণ অসময়ে ছাটাই করলে সুফল পাওয়ার বদলে গাছে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত ফলন নাও পাওয়া যেতে পারে। বষার্র শেষে এবং শীতের আগে ফল গাছে ছাটাই করা উচিত। তবে ফল সংগ্রহের পরই ছাটাই করা সবচেয়ে ভালো। গাছে ফুল আসার আগে আগে বা ফল ধরা অবস্থায় শাখা-প্রশাখা ছাটাই করা ঠিক নয়। তবে নিদির্ষ্টসংখ্যক ফলধারণ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত ফুল ও ফল ছাটাই করা যেতে পারে। এ ছাড়া খরা, দীঘর্ শুকনো মৌসুম বা শীতের সময় কখনোই ছাটাই করা উচিত নয়। বষার্র সময় বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে ছাটাই না করাই ভালো।

বাংলাদেশে বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ফল পাওয়া যায়। এসব ফল গাছ থেকে সংগ্রহ করার পর অথবা শীতের আগেই অথবা যদি প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে অঙ্গ ছাটাই করা হয়। এতে সুস্থ-সবল ফল গাছ থেকে ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কয়েকটি জনপ্রিয় ও প্রচলিত ফলগাছের অঙ্গ ছাটাই সম্পকের্ সবারই কিছুটা ধারণা থাকা প্রয়োজন।

বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল আম। বাগান আকারে ছাড়াও গ্রামে এবং অনেকের বাড়িতেই ছোট-বড় জাতের আম গাছ চোখে পড়ে। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ছাটাই এবং অন্যান্য পরিচযার্ করলে এসব আম গাছ থেকে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। জুন মাস থেকে আগস্ট মাস পযর্ন্ত সময়ে আম সংগ্রহের পরপরই বেঁাটার উপরের কিছুটা অংশসহ গাছ থেকে বোঁটা ছাটাই করে ফেলা উচিত।

এতে নতুন যে শাখা গজায় তার বয়স ৬-৭ মাস বয়স হলেই পরের মৌসুমে মুকুল আসার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া রোগ ও পোকা আক্রান্ত, মরা, আধামরা, দুবর্ল-চিকন শাখা ছাটাই করতে হয়। গাছের নিচের আগাছা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোদাল দিয়ে হালকা করে কোপালে কিছু কিছু শিকড় কাটা পড়ে। এতে আম গাছের একান্তর ক্রমিক ফল ধারণ সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। বিশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সী আম গাছে বেশি ছাটাই করলে কলম করার জন্য ভালো সায়ন পাওয়া যায়।

জুলাই-আগস্ট মাসে কঁাঠাল সংগ্রহের পর কঁাঠাল গাছের দুবর্ল, মরা, রোগ ও পোকা আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত শাখা-প্রশাখা ছঁাটাই করতে হয়। সেই সঙ্গে ফলের বেঁাটা এবং কাÐ ও গোড়া থেকে বের হওয়া নতুন শাখা ছাটাই করতে হয়। অনেকেই ছাগলের খাদ্য হিসেবে বছরের যে কোনো সময়ই কঁাঠাল পাতার জন্য ছোট ছোট ডালসহ ছাটাই করে থাকেন। এতে গাছের খাদ্য উৎপাদন কমে যায় ও গাছ দুবর্ল হয়ে ফল ধারণও কমে যায়।

লিচুর ফল সংগ্রহের সময় সাধারণত কিছুটা শাখাসহ ভাঙা হয়। কারণ লিচুর ফুল ফোটা অনেকাংশই নিভর্র করে নতুন শাখা-প্রশাখার ওপর। তবে চায়না-৩ জাতের বেলায় বেশি শাখা-প্রশাখা ছাটাই না করা ভালো। কারণ এ জাতটির নতুন শাখা-প্রশাখায় আমাদের দেশের আবহাওয়ায় খুব বেশি ফুল-ফল ধরে না। এ জন্য দুবর্ল, মরা, রোগ ও পোকা আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত শাখা-প্রশাখা ছাটাই করা ছাড়া চায়না-৩ জাতের লিচু সংগ্রহের সময় যতটা সম্ভব কম শাখা-প্রশাখা ভাঙা উচিত।

লেবুর কলম বা চারা রোপণের পরবতীর্ এক বছর পযর্ন্ত ২-৩ মাস পর পর শাখা-প্রশাখা ছাটাই করে পাতলা করে দিতে হয়। ফল সংগ্রহ করার পর ফলন্ত শাখা-প্রশাখাগুলো ছাটাই করে দিলে নতুন গজানো শাখায় পরের মৌসুমে বেশি ফলন পাওয়া যায়। এ ছাড়া ২-৩ সপ্তাহ পর পর গাছের গোড়ার কুশি এবং গাছের দুবর্ল, শুকনো বা মরা, রোগ ও পোকা আক্রান্ত শাখা-প্রশাখা ছাটাই করতে হয়।

নারিকেল গাছের উপরের দিকে পুষ্পমঞ্জরির সঙ্গে যে জালের মতো বাদামি অংশ থাকে সেগুলো শুকিয়ে গেলে বা রোগ-পোকার আক্রমণ হলেই পরিষ্কার করতে হয়। নারিকেল গাছের সবুজ পাতা এবং পুষ্পমঞ্জরির জাল কখনোই কেটে ফেলা উচিত নয়। গাছে যদি ফল সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে চার মাস বয়সের কিছু কচি ডাব পাতলাকরণ পদ্ধতিতে ছাটাই করে দিতে হয়। এতে বাকি ফলগুলো ভালোভাবে বড় হওয়ার সুযোগ পায়। বষার্র আগে বা পরে গাছ পরিষ্কার করতে হয়।

প্রাকৃতিকভাবেই পেয়ারা গাছ ঝোপালো হয়। এ জন্য মূল কান্ড ছাড়া গাছের গোড়া থেকে বের হওয়া শাখা কেটে দিতে হয়। ফল সংগ্রহের পর শাখা-প্রশাখাগুলোর আগা ছাটাই করতে হয়। গাছের অন্য শাখা-প্রশাখাও এমনভাবে ছাটাই করতে হয় যেন দুপুর বেলা গাছের নিচে কিছু আলো কিছু ছায়া পড়ে।

অঙ্গ ছাটাইয়ের মাধ্যমে ফল গাছকে সুস্থ-সবল রেখে বেশি পরিমাণে ফলন পাওয়া সম্ভব। এ জন্য বিভিন্ন ফলের জাত ও বয়স অনুয়ায়ী কখন কিভাবে অঙ্গ ছাটাই করলে গাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধি ও ফল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়, সে সম্পকের্ আরও বিস্তারিত পরামশের্র জন্য নিকটস্থ কৃষি অফিস বা হটির্কালচার সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

নিউজটি আমাদের নিজস্ব না। এটির সকল কৃতিত্ব ও স্বত্ত শুধুমাত্র  https://akkbd.com

মাঘের শেষে সারাদেশে আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই আমের মুকুলের মিষ্টি গন্ধে সুবাশিত হয়ে উঠবে বাংলাদেশ। মুকুলের যত্ন না নিলে আমের ভালো ফলন সম্ভব নয়। অনেকেই শখ করে আমগাছ রোপণ করি ভালো ফলনের আশায় কিন্তু সময় মতো সামান্য যত্নের অভাবে এবং পোকা ও রোগের আক্রমণের কারণে আমাদের সেই আশা পূরণ হয় না। আমের মুকুল ও গুটি ঝড়ে যায়। অথচ সময় মতো একটু যত্ন নিলেই আমরা পেতে পারি সুস্বাদু আমের স্বাদ।

আমগাছে বর্ষার আগে জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে একবার এবং বর্ষার পর আশ্বিন-কার্তিক মাসে আর একবার সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের নিচে যতটুকু স্থানে গাছের ছায়া পড়ে, ততটুকু স্থানের মাটি কুপিয়ে এই সার প্রয়োগ করতে হবে। সার প্রয়োগের পরপরই হালকা সেচ দিতে হবে। গাছের বয়স ১ থেকে ৪ বছর হলে গোবর ১৫ কেজি, ইউরিয়া ২৫০ গ্রাম, টিএসপি ২৫০ গ্রাম, এমওপি ১০০ গ্রাম, জিপসাম ১০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ১০ গ্রাম ও বরিক এসিড ২০ গ্রাম দুই ভাগ করে বর্ষার আগে ও পরে প্রয়োগ করতে হবে। গাছের বয়স ৮ থেকে ১০ বছর হলে গোবর ২৫ কেজি, ইউরিয়া ৭৫০ গ্রাম, টিএসপি ৫০০ গ্রাম, এমওপি ২৫০ গ্রাম, জিপসাম ২৫০ গ্রাম, জিংক সালফেট ১৫ গ্রাম ও বরিক এসিড ৩০ গ্রাম এবং গাছের বয়স ১১ থেকে ১৫ বছর হলে গোবর ৩০ কেজি, ইউরিয়া ১০০০ গ্রাম, টিএসপি ৫০০ গ্রাম, এমওপি ৪০০ গ্রাম, জিপসাম ৩৫০ গ্রাম, জিংক সালফেট ১৫ গ্রাম ও বরিক এসিড ৩০ গ্রাম একই নিয়মে প্রয়োগ করতে হবে। এ ছাড়া গাছের বয়স ১৬ থেকে ২০ বছর হলে গোবর ৪০ কেজি, ই্‌উরিয়া ১৫০০ গ্রাম, টিএসপি ৭৫০ গ্রাম, এমওপি ৫০০ গ্রাম, জিপসাম ৪০০ গ্রাম, জিংক সালফেট ২০ গ্রাম ও বরিক এসিড ৪০ গ্রাম বছরে দুই বারে প্রয়োগ করতে হবে।

আমের মুকুল ফোটার শেষ পর্যায়ে একবার এবং আম মোটরদানার মতো হলে আর একবার বেসিন পদ্ধতিতে সেচ প্রয়োগ করতে হবে। ফুল আসার সময় শোষক পোকা আমের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এরা কচি ডগা ও মুকুল থেকে রস চুষে খায়। ফলে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝরে যায়। এ ছাড়া এ পোকার নিম্ফগুলো রস চোষার সময় আঠালো মধুরস নিঃসরণ করে- যা মুকুলে আটকে গিয়ে পরাগায়ণ ব্যাহত করে এবং মুকুলে কালো ছত্রাকের জন্ম দেয়। এ পোকা দমনের জন্য আমগাছে মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে একবার এবং আম মোটরদানার মতো হলে আর একবার প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি ল্যাম্বডা সাইহ্যালোথ্রিন জাতীয় কীটনাশক (রিভা ২.৫ ইসি অথবা ক্যারাটে ২.৫ ইসি) মিশিয়ে আম গাছের ডাল, পাতা ও মুকুলে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। আমের মাছি পোকা দমনের জন্য প্রতি গাছে একটি করে ব্যাকটোডি নামের ফেরোমন ফাঁদ লাগানো যেতে পারে। আমের ফল ছিদ্রকারী পোকার কীড়া শাঁস খেয়ে আমের ক্ষতি করে। এ পোকা দমনের জন্য আমের গুটি মার্বেল আকার ধারণ করলে প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি ফলিথিয়ন ৫০ ইসি মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ২ বার স্প্রে করতে হবে।

অ্যানথ্রাকনোজ ও পাউডারি মিলডিউ রোগের কারণে আমগাছের মুকুল ঝরে যেতে পারে। তাই এ রোগ দমনের জন্য মুকুল আসার ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে একবার এবং আম মোটরদানার মতো হলে আর একবার প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলি টিল্ট ২৫০ ইসি অথবা ২ গ্রাম অটোস্টিন ৫০ ডবিস্নউ ডি জি মিশিয়ে গাছের ডালপালা ও মুকুলে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়া আমের মুকুলও ফল ঝরা রোধে প্রতি লিটার পানিতে এক মিলি মিরাকুলান মিশিয়ে ফুল ফোটার ঠিক আগে একবার এবং আম মোটরদানার আকৃতি ধারণ করলে আর একবার স্প্রে করা যেতে পারে।

আমের বৃদ্ধি পর্যায়ে নিয়মিত পানি সেচ দিতে হবে। বর্ষার শেষে গাছপ্রতি ৫০ গ্রাম হারে বরিক এসিড অথবা ১০০ গ্রাম হারে বোরাস্ক সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের গোড়ার মাটিতে বোরণ প্রয়োগ করা সম্ভব না হলে আমের মুকুল আসার আগে প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম সলোবর মিশিয়ে গাছে স্প্রে করলেও সুফল পাওয়া যাবে।

 

নিউজটি আমাদের নিজস্ব না। এটির সকল কৃতিত্ব ও স্বত্ত শুধুমাত্র  https://akkbd.com

জ্যৈষ্ঠ মাস হচ্ছে বাংলাদেশের মধুমাস। আর এই মধুমাসের মধুফল হল আম। এই আমকে ঘিরে হয়েছে বাঙালির অনেক ঐতিহ্য এবং নানা ধরনের খাবার। ইদানীং কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এই ঐতিহ্যকে নষ্ট করে ফেলছে। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেমন-কার্বামাইড ইথাইল, ইথিলিন এবং বিভিন্ন প্রকার হরমোন দিয়ে অপরিপকস্ফ ফলকে পাকিয়ে বাজারজাত করছে, যা মানুষের দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এতে ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, ক্ষুদা মন্দা, বন্ধ্যত্ব ইত্যাদি মারাত্মক রোগ হতে পারে। এছাড়াও জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে দিন দিন জমি কমে যাওয়ায় ফল গাছের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। বাঙালিদের এই ঐতিহ্যবাহী ফলকে টিকিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএ রহিম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে এরই মধ্যে ফলগাছ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও বাণিজ্যিকভাবে চাষোপযোগী বিভিন্ন উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল বামন প্রকৃতির আমের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়াও বছরে দুই থেকে তিনবার ফলনশীল, পলিঅ্যামব্রায়োনিক, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডায়াবেটিক আমসহ বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের আমের জাত উদ্ভাবন করেছেন। 

এফটিআইপি বাউ আম-১ (শ্রাবণী) : শ্রাবণী একটি নিয়মিত ফলধারণকারী নাবী জাতের আম। ফলের আকার মাঝারি ও কিঞ্চিত্ লম্বা। পাকা ফলের ত্বকের রং গাঢ় হলুদ, শাঁসের রং কমলাভ লাল, সুস্বাদু, রসালো ও মিষ্টি। খোসা সামান্য মোটা ও আঁটি পাতলা। এটি একটি মাঝারি বামন জাতের গাছ। বাংলাদেশের সবগুলো এগ্রো ইকোলজিক্যাল জোনে উত্পাদনযোগ্য। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে ফুল আসে এবং জুলাই মাসের শেষের দিকে ফল পাকতে শুরু করে। সুনিষ্কাশিত উর্বর দোআঁশ মাটি উত্তম। ফুল আসা থেকে ফল পরিপকস্ফ হতে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস সময় লাগে। প্রতি বছর বর্ষার আগে ও পরে জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের জন্য নিয়মিত কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। হেক্সাগোনাল রোপণ পদ্ধতি উত্তম। ৫-৭ মিটার – ৫-৭ মিটার রোপণ দূরত্বে প্রতি হেক্টর ৩০০-৩৫০টি চারা রোপণ করা যায়। রোপণকাল থেকে ফল পেতে প্রায় এক বছর সয়ম লাগে। ফলে মাঝে মাঝে হালকা অ্যানথ্রাকনোজ রোগ দেখা যায়। 

এফটিআইপি বাউ আম-২ (সিন্দুরী) : এটি নিয়মিত ফলধারণকারী ও বামন প্রকৃতির জাত। ফল আকারে ছোট ও গোলাকৃতি। গাছে থোকায় থোকায় আম ধরে। কাঁচা আম সবুজাভ সিঁদুরে রংয়ের হয়ে থাকে। পাকলে সিঁদুরে হলুদ রংয়ের হয়ে থাকে। রসালো এবং টক-মিষ্টি। শাঁসে কোনো আঁশ নেই। আমের আঁটি পাতলা কাগজের মতো। তাই এ জাতকে বীজবিহীন আম বলে। বাংলাদেশের সবগুলো এগ্রো ইকোলজিক্যাল জোনে উত্পাদনযোগ্য। উর্বর দোআঁশ মাটি এ ফল চাষের জন্য উত্তম। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সব মাটিতে এ ফল চাষ করা যায়। ৫-৭ মিটার – ৫-৭ মিটার রোপণ দূরত্বে প্রতি হেক্টর ৩০০-৩৫০টি চারা রোপণ করা যায়। রোপণের পর প্রথম বছর থেকে ফল পাওয়া যায়, তবে গাছের মজবুত কাঠামো তৈরির জন্য প্রথম বছর মুকুল আসার পর মুকুল ভেঙ্গে দিতে হবে। এই আমে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে। 

এফটিআইপি বাউ আম-৩ (ডায়াবেটিক) : জুন মাসের শেষের দিকে এই জাতের পাকা ফল পাওয়া যায় । ফুল আসা থেকে শুরু করে পরিপকস্ফ হতে ৫-৭ মাস সময় লাগে । ফলের আকার মাঝারি ও লম্বাটে প্রকৃতির । ফলের গড় ওজন ৫৫ গ্রাম । পাকা ফলের রং হলুদাভ । ফলে রসের পরিমাণ কম কিন্তু আঁশের পরিমাণ বেশি। ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত রোগীরা এ ফল খেতে পারে। এটি নিয়মিত ফলধারণকারী ও বামন প্রকৃতির জাত। গাছে প্রতি বছরই প্রধানত ২ বার ফুল ও ফল ধরে। প্রথমবার জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এবং দ্বিতীয় বার মে-জুন মাসে ফুল আসে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উত্পন্ন ফুল হতেই মুখ্য উত্পাদন পাওয়া যায় । সুনিষ্কাশিত উর্বর দোআঁশ মাটি এ আম চাষের জন্য উত্তম । দীর্ঘ জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না, তবে খরা মৌসুমে সেচ প্রদান করতে হবে । ৫-৭ মিটর দূরে দূরে প্রতি হেক্টরে ৩০০-৩৫০টি চারা রোপণ করা যায় । রোপণকাল থেকে ফল পেতে প্রায় একবছর সময় লাগে । 

এফটিআইপি বাউ আম-৪: এটি নিয়মিত ফল ধারণকারী জনপ্রিয় একটি জাত। জুন মাসের দিকে এই জাতের ফল পাকা শুরু হয় আর ফুল আসা থেকে ফল পরিপক্ক হতে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস সময় লাগে। পাকা ফলের ত্বকের রঙ হালকা সবুজ। শাঁসের রঙ কমলা, সুগন্ধযুক্ত, রসালো এবং বেশ মিষ্টি। শাঁসে কোনো আঁশ নেই। খোসা পাতলা এবং আঁটি খুবই ছোট (ফলের ৯.৭৬%)। এ জাতের আম সারা বছর লাগানো যায়। বোঁটা শক্ত হওয়ায় ঝড়ো হাওয়াতে ঝরে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ৭-৮ মিটার দূরে দূরে প্রতি হেক্টরে ২০০-২২০টি চারা রোপণ করা যায়।

এফটিআইপি বাউ আম-৬ (পলিএ্যাম্বব্রায়নী): গাছ বামন আকৃতির এবং নাবী জাত। পাঁচ বছরের একটি গাছ হতে গড়ে ১০০-৩০০টি ফল পাওয়া যায়। একটি বীজ হতে গড়ে ৫-৮টি চারা পাওয়া যায়, এর মধ্যে একটি চারা জাইগোটিক বাকিগুলো নিউসেলাস। প্রতি বছরই ফল পাওয়া যায়। অর্ধেক ড্রামে বাড়ির ছাদেও চাষ করা যায়। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে ফুল আসে এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পরিপক্ক হয়। জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোআঁশ মাটি উত্তম। পাঁচ বছরের একটি গাছ হতে ৩০-৪০ কেজি ফলন পাওয়া যায় এবং বছর প্রতি ২০-৩০ কেজি করে বাড়তে থাকে। পূর্ণবয়স্ক গাছে ২৫-৩০ টন/হেক্টরে ফল পাওয়া যায়। এই আমগাছ বাণিজ্যিকভাবে আম উৎপাদন এবং পলিএ্যাম্বব্রায়নী হওয়ায় নার্সারিতে চারা উৎপাদন করার জন্য উত্তম। 

এফটিআইপি বাউ আম-৯ (সৌখিন চৌফলা): জাতটি নিয়মিত ফলধারণকারী। এটি একটি বামন জাতের গাছ। বছরে ৩-৪ বার ফল দেয়। এটি সৌখিন ফল চাষিদের জন্য, যা ছাদে বা টবে চাষ করা যায়। বাণিজ্যিকভাবেও লাগানো যায়। পলিব্যাগে চারা থাকলে সারা বছর গাছ লাগানো যায়। সুনিষ্কাশিত উর্বর দোআঁশ মাটি উত্তম। ফুল আসা থেকে ফল পরিপক্ক হতে প্রায় পাঁচ মাস সময় লাগে। প্রতি হেক্টরে ৭০০-৮০০টি চারা রোপণ করা যায়। রোপণকাল থেকে ফল পেতে ছয় মাস সময় লাগে। 

এফটিআইপি বাউ আম-১০ (সৌখিন-২): এটি একটি মাঝারি বামন জাত। সারা বছর জাতটি লাগানো যায়। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ফুল আসে এবং মে-জুন মাসে ফল পরিপক্ক হয়। আবার জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আসে এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ফল পাকে। রোপণকাল থেকে ফল পেতে এক বছর সময় লাগে। তেমন কোনো রোগবালাই দেখা যায় না। প্রথম বছর ১০-১৫টি এবং দ্বিতীয় বছরে ৩০-৫০টি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। এই জাতের গাছ বাণিজ্যিকভাবে লাগানো ঠিক হবে না। তবে বাড়ির আঙিনায় ও ছাদে লাগানোর জন্য উত্তম।
উল্লেখ্য, বাউ আমের চারা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্ম প্লাজম সেন্টারসহ দেশের বিভিন্ন নার্সারিতে পাওয়া যায়।

বাড়ছে আমের চাষ। মানসম্পন্ন আম ফলাতে তাই দরকার আধুনিক উত্পাদন কৌশল। আম চাষিদের জানা দরকার কীভাবে জমি নির্বাচন, রোপণ দূরত্ব, গর্ত তৈরি ও সার প্রয়োগ, রোপণ প্রণালী, রোপণের সময়, জাত নির্বাচন, চারা নির্বাচন, চারা রোপণ ও চারার পরিচর্যা করতে হয়। মাটি ও আবহাওয়ার কারণে দেশের সব জেলাতে সব জাতের আম হয় না। আমের জন্য মাটির অম্লতা দরকার ৫.৫-৭.০। অনেক সময় দেখা যায় পাহাড়ি ও বরিশাল বিভাগের অনেক জেলাতে ফজলী, ল্যাংড়া, খিরসাপাত ও আশ্বিনা জাতগুলো ভাল হয়। সুতরাং কাঙ্ক্ষিত জাতটি নির্বাচিত জায়গায় হবে কিনা তা বিবেচনায় রাখতে হবে।

গভীর, সুনিষ্কাশিত, উর্বর দো-আঁশ মাটি আম চাষের জন্য ভাল। বর্ষায় পানি দাঁড়ায় না এমন উঁচু বা মাঝারী উঁচু জমি নির্বাচন করতে হবে। কয়েকবার চাষ ও মই দিয়ে জমি সমতল এবং আগাছামুক্ত করতে হবে। রোপণ দূরত্ব নির্ভর করে আমের জাতের উপর। দ্রুত বর্ধনশীল আমের জাত বা বড় আকৃতির গাছ হলে সাধারণত ১২ মিটার বা প্রায় ৪০ ফুট দূরত্বে লাগাতে হবে। এই দূরত্বে গাছ লাগালে এক বিঘা জমিতে প্রায় ৯টি গাছ লাগানো যাবে। মধ্যম আকৃতির গাছ হলে ১০ মিটার বা ৩৫ ফুট দূরত্বে লাগানো যাবে এবং দূরত্ব অনুসরণ করলে এক বিঘা জমিতে ১৩টি গাছ লাগানো যাবে। খাটো আকৃতির জাত যেমন- বারি আম-৩ (আম্রপলি) হলে ৬-৮ মিটার দূরত্বে লাগানো যাবে এবং এ দূরত্ব অনুসরণ করলে এক বিঘা জমিতে প্রায় ২০-২৭টি গাছ লাগানো যাবে। জাতভেদে আম গাছের রোপণ দূরত্ব ৬×৬ মিটার; ১০×১০ মিটার এবং ১২×১২ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বর্গাকার, আয়তাকার, ত্রিভুজাকার বা ষড়ভুজাকার যে প্রণালীতে চারা রোপণ করা হোক না কেন, গাছ লাগানোর স্থানটি চিহ্নিত করে বর্ষা শুরুর আগেই সেখানে গর্ত করতে হবে। সাধারণত মে-জুন মাসে ৭৫-১০০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতায় গর্ত করতে হবে। গর্ত করার সময় গর্তের উপরের অর্ধেক অংশের মাটি একপাশে এবং নিচের অংশের মাটি অন্যপাশে রাখতে হবে। গর্ত থেকে মাটি উঠানোর পর ১০ দিন পর্যন্ত গর্তটিকে রোদে শুকাতে হবে। এরপর প্রতি গর্তে ১০ কেজি গোবর সার, ৫০০ গ্রাম টিএসপি, ২৫০ গ্রাম এমপি, ২৫০ গ্রাম জিপসাম, ৫০ গাম জিংক সালফেট এবং ১০ গ্রাম বোরিক এসিড উপরের অংশের মাটির সাথে মিশিয়ে মাটি ওলোট-পালোট করে গর্ত ভরাট করতে হবে। গর্ত ভরাটের সময় উপরের অর্ধেক অংশের মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট না হলে প্রয়োজনে পাশ থেকে উপরের মাটি গর্তে দিতে হবে। তবে গর্তের নিচের অংশের মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করা যাবে না।

সুস্থ-সবল ও রোগমুক্ত চারা রোপণ করলে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যায়। রোপণের জন্য ৪-৫ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন ২-৩টি ডাল বিশিষ্ট চারা নির্বাচন করতে হবে। ২-৩ বছর বয়সী ফাটল/ভিনিয়ার কলমের চারা বাগানে লাগানোর জন্য ভাল। গর্ত ভর্তি করার ১০-১৫ দিন পর পুনরায় গর্তের মাটি ভালভাবে উলোট-পালোট করে গর্তের মাঝখানে চারাটি সোজাভাবে লাগিয়ে তারপর চারদিকে মাটি দিয়ে গাছের গোড়া সমান্য চেপে দিতে হবে। চারা রোপণের সময় চারার গোড়ার বলটি যেন ভেঙে না যায় এবং চারা গোড়াটি প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাটির নিচে ঢুকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রোপণের পর চারাটি খুঁটির সাথে বেঁধে দিতে হবে। বিকেল বেলায় চারা/কলম রোপণ করা ভাল। রোপণের পর বৃষ্টি না থাকলে কয়েকদিন সেচ দিতে হবে। গাছে নতুন পাতা বের হলে পাতাকাটা উইভিল পোকা আক্রমণ করতে পারে। কচি পাতার নিচের পিঠে মধ্যশিরার উভয়পাশে স্ত্রী পোকা ডিম পাড়ে। পরে স্ত্রী পোকা ডিমপাড়া পাতাটির বোঁটার কাছাকাছি কেঁটে দেয়। শেষে গাছটি পাতাশূন্য হয়ে যায়। কর্তিত কচি পাতা মাটি থেকে সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। গাছে কচি পাতা বের হওয়ার ৬ দিন এবং ১২ দিন পর প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম সেভিন অথবা যেকোনো কীটনাশক নির্দেশিত মাত্রায় সেপ্র করলে পোকার আক্রমণ হয় না।

বাজারজাত করার জন্য কোন জাতের আমের চাহিদা বেশি, গুণগতমান ভাল এবং বাজারমূল্য বেশি তা জানা দরকার। আমাদের দেশে বেশ কিছু উত্কৃষ্ট মানের আমের জাত (ল্যাংড়া, খিরসাপাত, হিমসাগর, ফজলী, গোপাল ভোগ ও বোম্বাই) রয়েছে। যেগুলো রঙিন না হলেও স্থানীয় বাজারে এর চাহিদা বেশি। কিন্তু এ জাতগুলো বিদেশে রফতানি করে তেমন মুনাফা পাওয়া যাবে না। কারণ বিদেশের বাজারে রঙিন ও হালকা মিষ্টি আমের চাহিদা বেশি। এর জন্য বারি আম-২ এবং বারি আম-৭ জাত দু’টি উপযুক্ত। তবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতি বছর ফল দিতে সক্ষম এমন কয়েকটি জাত উদ্ভাবন করেছে। জাতগুলো হলো বারি আম-১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮। এ জাতের চারা দিয়ে বাগান করলে ভাল ফলনের পাশাপাশি লাভবান হওয়া যায়।
এগ্রোবাংলা ডটকম

আম বাগানের আগাম পরিচর্যা

বাংলাদেশে যে ৭০টি ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয় তার মধ্যে আম অন্যতম। মোট ফল চাষের ৪০ ভাগ জমিতে আম চাষ হলেও দিনদিন এর পরিধি আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বিভিন্ন অঞ্চলে ফলনের তারতম্য দেখা যায়। যেমন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীতে আমের ফলন অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি। উত্পাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে একটু যত্নবান হলে ফলন কয়েকগুণ বাড়ানো যায়। আর তাই যত্ন নিতে হবে আম সংগ্রহের পর থেকেই। রোগাক্রান্ত ও মরা ডালপালা একটু ভাল অংশসহ কেটে ফেলতে হবে মৌসুমের পর। ডালপালা এমনভাবে ছাটাই করতে হবে যেন গাছের ভেতর পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে। গাছের ভেতরমুখি ডালে সাধারণত ফুলফল হয় না, তাই এ ধরনের ডাল কেটে ফেলতে হবে। বর্ষাকালে কাটা অংশগুলো থেকে নতুন কুশি গজাবে এবং পরের বছরে ওই নতুন কুশিগুলোতে ফুল আসবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে- ডগার বয়স ৫ থেকে ৬ মাস না হলে ওই ডগায় সাধারণত ফুল আসে না। আগামী বছরে একটি গাছে কী পরিমাণ ফলন আসতে পারে তা আগস্ট মাসেই ধারনা পাওয়া যায়। এ সময়ের মধ্যে গাছে যত বেশি নতুন ডগা গজাবে ততই ভাল।

আমবাগানে সার প্রয়োগের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিটি গাছে বছরে কি পরিমাণ সার দিতে হবে তা নির্ভর করে মাটির গুণাগুণের উপর। গাছ বাড়ার সাথে সাথে সারের চাহিদাও বাড়তে থাকে। বছর অনুযায়ী সারের পরিমাণ দেয়া হল-

গোবর সার দিতে হবে রোপণের ১ বছর পর ২০, রোপণের ২ বছর পর ২৫, প্রতি বছর বাড়াতে হবে ৫ এবং ২০ বছর ও এর উর্ধ্বে ১২৫ কেজি প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে ইউরিয়া রোপণের ১ বছর পর ২৫০, রোপণের ২ বছর পর ৩৭৫, প্রতি বছর বাড়াতে হবে ১২৫ এবং ২০ বছর ও এর উর্ধ্বে ২৭৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। টিএসপি রোপণের ১ বছর পর ১০০, রোপণের ২ বছর পর ২০০, প্রতি বছর বাড়াতে হবে ১০০ এবং ২০ বছর ও এর উর্ধ্বে ২১৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। এমপি রোপণের ১ বছর পর ১০০, রোপণের ২ বছর পর ২০০, প্রতি বছর বাড়াতে হবে ১০০ এবং ২০ বছর ও এর উর্ধ্বে ২১০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। জিপসাম রোপণের ১ বছর পর ১০০, রোপণের ২ বছর পর ১৭৫, প্রতিবছর বাড়াতে হবে ৭৫ এবং ২০ বছর ও এর উর্ধ্বে ১৬০০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। জিংক সালফেট রোপণের ১ বছর পর ১০, রোপণের ২ বছর পর ১৫, প্রতি বছর বাড়াতে হবে ৫ এবং ২০ বছর ও এর উর্ধ্বে ১১০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। বোরিক এসিড রোপণের ১ বছর পর ৫, রোপণের ২ বছর পর ৭, প্রতি বছর বাড়াতে হবে ২ এবং ২০ বছর ও এর উর্ধ্বে ৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।

সব সার দু’কিস্তিতে প্রয়োগ করা ভাল। প্রথম অর্ধেক বর্ষার আগে এবং বাকিটা আশ্বিন মাসে অর্থাত্ বর্ষার পরে। যদি কোনো আমচাষি প্রথম কিস্তির সার প্রয়োগ না করেন তবে দ্বিতীয় কিস্তির সময় চাহিদার পুরো সারটাই প্রয়োগ করতে হবে। অনেক আমচাষি বাগানের ফজলি ও আশ্বিনা আম সংগ্রহ করার পর সার প্রয়োগ করেন যা মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। ফলন্ত গাছে গুঁড়ি থেকে ২-৩ মিটার দূরত্বে ৩০ সে.মি. প্রশস্ত ও ১৫-২০ সে.মি. গভীর করে চক্রাকার নালা কেটে তার ভেতর রাসায়নিক ও জৈব সার মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। অথবা দুপুরবেলা যতটুকু জায়গায় গাছের ছায়া পড়ে ততটুকু জায়গায় সার ছিটিয়ে কোঁদাল দিয়ে মাটি কুপিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সাধারণত আমগাছে ফল আসার পর গাছগুলো দুর্বল হয়ে যায়। ফলে গাছের প্রয়োজন হয় খাদ্যের। সার দেয়ার পর বর্ষা শুরু হলে গাছ তার প্রয়োজনীয় খাদ্য মাটি থেকে নিতে পারে।

আমবাগানে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। তবে মাটিতে রস থাকলে সেচের দরকার হবে না। গবেষণায় দেখা গেছে, আমগাছে পরিবর্তিত বেসিন পদ্ধতিতে অর্থাত্ গাছের গোড়ার চারদিকে এক মিটার জায়গা সামান্য উঁচু রেখে দুপুরবেলা যতটুকু জায়গায় গাছের ছায়া পড়ে ততটুকু জায়গায় একটি থালার মত করে বেসিন তৈরি করে সেচ দিলে পানির পরিমাণ কম লাগে এবং বেশির ভাগ পানি গাছ গ্রহণ করতে পারে। বেসিন পদ্ধতির আরেকটি সুবিধা হল গাছের গোড়া পরিষ্কার থাকে ফলে আগাছা জন্মাতে পারে না। সেচ দেয়ার পর জায়গাটি কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে দিলে মাটিতে একমাস পর্যন্ত রস থাকবে। তবে আমগাছে ফুল আসার একমাস আগে সেচ না দেয়াই ভাল। এ সময় সেচ দিলে গাছে নতুন পাতা বের হবে এতে মুকুলের সংখ্যা কমে গিয়ে ফলন কমে আসবে।

আমবাগানে জৈব পদার্থের ঘাটতি থাকলে ধৈঞ্চার চাষ করতে হবে। এতে বাগানে জৈব পদার্থসহ অন্যান্য সার যোগ হলে মাটির উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। আমগাছে ২/৩ ধরনের পরগাছা দেখা যায়। ছোট গাছের চেয়ে বড় গাছে পরগাছার আক্রমণ বেশি হয়। পরগাছার বীজ আমগাছের ডালে অঙ্কুরিত হয়ে বাড়তে থাকে এবং ডাল থেকে প্রয়োজনীয় পানি, খাদ্যরস, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি শোষণ করে বেঁচে থাকে। পরগাছার কোনো শেকড় থাকে না। শেকড়ের মত এক ধরনের হস্টোরিয়া তৈরি করে। ডাল থেকে খাদ্য গ্রহণ করে। বর্ষাকালে পরগাছার বীজ বেশি বিস্তার লাভ করে। 

আক্রান্ত ডাল পরগাছার গোড়াসহ কেটে ফেলতে হবে। কাটা স্থানে রোগের আক্রমণ যাতে না হয় তার জন্য বোর্দো পেস্টের প্রলেপ দিতে হবে। পরগাছায় ফুল ফল আসার আগেই এ কাজটি করতে হবে।

আমগাছে শতভাগ মুকুল আসা ভাল না। এতে ফলন ব্যাহত হয়। তাই শতভাগ মুকুলায়িত আমগাছের চারদিক থেকে ৫০% মুকুল ফোটার আগেই ভেঙে দিতে হবে। এতে ভাঙা অংশে নতুন কুশি গজাবে এবং পরবর্তী বছরে ওই সব ডগায় ফুল আসবে, আম আসবে।

উপরোক্ত বিষয়সমূহে নজর দিলে অবশ্যই প্রতিবছর আমের ভাল ফলন পাওয়া যাবে। আম চাষি লাভবান হবেন।
লেখক: কৃষিবিদ মো. শরফ উদ্দিন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা
আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদী, পাবনা
এগ্রোবাংলা ডটকম

থাইল্যান্ডে চাষ করা আমের জাত এ দেশে থাই আম নামে পরিচিত। তবে কোনো থাই আমের জন্ম থাইল্যান্ডে নয়। আমের আদি নিবাস এই ভারতীয় উপমহাদেশেই। থাইল্যান্ড আমের কিছু আদি জাত নিয়ে গবেষণা করে উন্নত অনেক জাত উদ্ভাবন করেছে। সেসব জাতের মধ্যে বেশ কিছু জাত তারা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করছে। কিছু কিছু জাত অন্য দেশের মাটিতেও চাষ করা হচ্ছে। সম্প্রতি থাইল্যান্ড থেকে বেশ কিছু জাতের আম এ দেশে এসেছে। জাতগুলো হলো চুকানন, মিয়াচাও, মোহাচনক, নাম ডক মাই, নাম ডক মাই মান, নাম ডক মাই ৪, উমরন, থাই কাঁচামিঠা প্রভৃতি। এসব জাতের মধ্যে এ দেশে নাম ডক মাই জাতটি পাকা আম হিসেবে এবং থাই কাঁচামিঠা জাতটি কাঁচা আম হিসেবে খাওয়ার জন্য অনেকের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। নাম ডক মাই জাতটি এ দেশে বিভিন্ন নার্সারিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিতি পেলেও জাতটি আসলে একই। বৃক্ষমেলাসহ বিভিন্ন নার্সারিতে এখন নাম ডক মাই জাতের আমের চারা পাওয়া যাচ্ছে। 

নাম ডক মাই জাতের বৈশিষ্ট্য : এ জাতের আম কাঁচা ও পাকা দুই অবস্খাতেই খাওয়া যায়। গাছ মাঝারি আকৃতির, ঘন পত্রপল্লববিশিষ্ট, গাছের গড়ন খাড়া। নতুন পাতা হালকা সবুজ রঙের, বয়স বাড়ার সাথে সাথে গাঢ় সবুজ হয়ে যায়। ছয় বছরের একটা গাছ ছয় মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কলমের চারা লাগানোর পরের বছর থেকেই গাছে মুকুল আসে ও ফল ধরে। চারার গাছে ফল ধরতে চার থেকে পাঁচ বছর লেগে যায়। 

এ জাতের ফল লম্বাটে, একটু বাঁকানো, অগ্রভাগ ক্রমেই সরু ও ভোঁতা। কাঁচা আমের রঙ সবুজ, কিন্তু পাকার পর খোসা পুরোপুরি হলুদ হয়ে যায়। একটি আমের গড় ওজন ৩০০ গ্রাম, সাধারণত ২৫০ থেকে ৪০০ গ্রামের মধ্যে আমের ওজন হয়ে থাকে। এ জাতের আম প্রায় ১৩ সেন্টিমিটার লম্বা ও ছয় সেন্টিমিটার চওড়া। পাকার পর শাঁসের রঙ হয় হলুদ ও নরম। শাঁস খুবই মিষ্টি ও আঁশবিহীন। তবে খোসার কাছে শাঁস নরম হতে হতে আঁটির কাছের শাঁস অনেক সময় বেশি নরম হয়ে জেলি বা কাদার মতো হয়ে যায়। আমের ওজনের চার ভাগের তিন ভাগই শাঁস, এক ভাগ খোসা ও আঁটি। খোসা বেশ পাতলা। পাকার পর আম থেকে মৃদু মিষ্টি ঘ্রাণ বের হয়। এ জাতের আমের বীজ বহুভ্রূণী বা পলিঅ্যামব্রায়নি প্রকৃতির। সচরাচর একটা আমের আঁটি থেকে একটা চারাই হয়। কিন্তু এ জাতের আমের একটি আঁটি থেকে অনেকগুলো চারা হয়। প্রায় সব জাতের আমেরই আঁটি থেকে গজানো চারায় মাতৃগুণ হুবহু এক না থাকলেও নাম ডক মাই জাতের আঁটি থেকে গজানো চারায় মাতৃগুণ একই থাকে এবং সে চারার গাছে ধরা আমগুলোর বৈশিষ্ট্যও হয় একই। 

চাষাবাদ : বাড়ির আঙিনায়, ছাদে ড্রামে, পুকুরপাড়ে, বাণিজ্যিক বাগানে নাম ডক মাই জাতের আমগাছ লাগানো যায়। বসতবাড়িতে শখ করে দু-একটা গাছ লাগানো যেতে পারে। তবে কেউ যদি দু-এক হেক্টর জমিতেও এ জাতের বাণিজ্যিক বাগান গড়তে চান তো সে ক্ষেত্রে আম্রপালি আমের চেয়ে লাভ কম হবে না। এ জাতের আমের গাছ লাগানোর জন্য চাই উঁচু জমি, যেখানে বন্যা বা বৃষ্টির পানি আটকে থাকে না। বেলে, বেলে দোআঁশ ও উপকূলের লোনা মাটি ছাড়া যেকোনো মাটিতে নাম ডক মাই জাতের আম চাষ করা যেতে পারে। চাষ করা যায় লাল মাটি ও পাহাড়েও। তবে দো-আঁশ ও এঁটেল দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। এরূপ মাটিতে জৈবসার ব্যবহার করে চাষ করলে গাছের বাড়বাড়তি ও ফলন ভালো হয়। 

কলমের গাছ লাগালে অতি ঘন পদ্ধতিতে দূরত্ব কম দিয়ে চারা লাগানো যায়। পরে পাঁচ থেকে ছয় বছর পর্যন্ত সেসব গাছ থেকে ফল পাওয়ার পর দুই গাছের মাঝখান থেকে একটা গাছ গোড়া থেকে কেটে ফেলা যায়। এতে প্রথম তিন থেকে চার বছরে একই পরিমাণ জমি থেকে প্রায় দ্বিগুণ লাভ হতে পারে। কাটার পর বাকি গাছগুলো স্খায়ীভাবে রেখে ভালো করে যত্ন নিলে সেসব গাছ পূর্ণ হয়ে ওঠে। সাধারণত এ জাতের চারা বা কলম লাগানোর জন্য চার থেকে ছয় মিটার দূরত্ব দেয়া হয়। এ দূরত্বের হিসাবে হেক্টরপ্রতি ১৮৫ থেকে ২৭৮টি চারা লাগানো যায়। অতি ঘন পদ্ধতিতে তিন মিটার দূরত্ব দিয়ে সব দিকে সারি করে গাছ লাগানো যেতে পারে। তা না হলে প্রথমেই ছয় মিটার দূরে দূরে চারা বা কলম লাগিয়ে মাঝখানের জায়গা ফাঁকা না রেখে গাছ যথেষ্ট বড় না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন শাকসবজি, মুগ ও মাষকলাই ডাল, তিল, আদা প্রভৃতি লাগানো যায়। লাগানোর সাত থেকে ১০ দিন আগে গর্ত খুঁড়ে গর্তের মাটিতে গর্তপ্রতি ১০ থেকে ১৫ কেজি গোবর সার মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। কলম বা চারা সুরক্ষার ব্যবস্খাও করতে হবে। বর্ষাকাল চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। তবে পলিব্যাগ বা টবের কলম খুব শীত ছাড়া বছরের যেকোনো সময় লাগানো যায়। সে ক্ষেত্রে সেচের ব্যবস্খা করতে হবে। গর্তের ঠিক মাঝখানে চারাটি সোজা করে লাগিয়ে চারার গোড়ায় পানি দিতে হবে। চারা বাড়তে শুরু করলে গাছের গোড়ার চার পাশে চারটি ট্যাবলেট সার পুঁতে দিলে সারা বছর আর কোনো সার দেয়ার দরকার পড়ে না। তবে দ্বিতীয় বছর থেকে পরিমাণমতো ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিঙ্ক ও জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে বোরন সারও দিতে হবে। না হলে আমের গুটি ফেটে যেতে পারে। এ জাতের আমগাছের সুন্দর গড়ন, বাড়বাড়তি, রোগ-পোকার আক্রমণ কমানো ও ভালো ফলনের জন্য ছাঁটাই খুব দরকার। বিশেষ করে রোপণের পর প্রথম কয়েক বছর ছাঁটাই কাজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে মূল কাণ্ড বা গুঁড়ি মজবুত হওয়া ছাড়াও গাছের মাথা বেশি ঝাঁকড়া হয়, বেশি ফুল-ফল ধরে। গাছে ফল ধরা শুরু হলে নিচে ঝুলে পড়া ডালপালা ছেঁটে দিতে হবে। খুব ঘনভাবে এঁটে থাকা ডালও ছেঁটে পাতলা করে দিতে হবে। গাছকে ছেঁটে তিন থেকে পাঁচ মিটার উচ্চতার মধ্যে রাখতে পারলে স্প্রে করা ও ফল তুলতে সুবিধে হয়। এ জাতের গাছে নিয়মিতভাবে প্রতি বছরই ফল ধরে, তবে সব বছর সমান ধরে না। 

চারা বা কলম তৈরি : সরাসরি বীজ বা আঁটি থেকে চারা তৈরি করা যায়। পূর্ণভাবে পাকা ফল গাছ থেকে পেড়ে আরো দু-চার দিন ঘরে রেখে নরম করতে হবে। এরপর আম থেকে আঁটি সংগ্রহ করে প্রথম বীজতলার মাটিতে বসাতে হবে। বীজতলায় ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে আঁটিগুলো সারি করে বসানোর পর আঁটির ওপরে আলগা ঝুরা মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। আঁটি বের করার পরপরই বীজতলার মাটিতে ফেলতে পারলে ভালো, না হলে অল্প কিছু দিনের জন্য ছায়ায় শুকিয়ে চটের বস্তায় ভরে রেখে দেয়া যায়। একটা আঁটি থেকে যে কয়টি চারা গজাবে সে চারাগুলোকে শেকড়সহ সাবধানে কেটে আলাদা করে দ্বিতীয় বীজতলায়, টবে বা বড় পলিব্যাগে গোবর মিশানো মাটিতে বসাতে হবে। এক বছর বয়স হলে সেসব চারা বাগানে লাগানোর উপযুক্ত হবে। জ্যৈষ্ঠ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত চারা তৈরির উপযুক্ত সময়। 

তবে কলম করতে চাইলে মাঝারি আকারের গাছ হয় এমন কোনো দেশী জাতের আমের আঁটি থেকে প্রথমে চারা তৈরি করে নিতে হবে। চারার মাথা কেটে ফাটল তৈরি করে ক্লেফট গ্রাফটিং পদ্ধতিতে নাম ডক মাই গাছের ডগা তেরছা করে কেটে ফাটলে ঢুকিয়ে ফিতে দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। ক’দিনের মধ্যে জোড়া লেগে যায়। জুড়ে দেয়া ডগা থেকে নতুন পাতা ছাড়া শুরু হলেই বুঝতে হবে জোড়া লেগে গেছে। নতুন চারা উৎপাদনের জন্য এ পদ্ধতিই ভালো। কেননা এ পদ্ধতিতে উৎপাদিত কলমের গাছে রোপণের এক থেকে দুই বছর পর থেকেই ফল ধরতে শুরু করে। 

বালাইব্যবস্খাপনা : এ জাতের গাছে পাউডারি মিলডিউ বা সাদা গুঁড়া রোগ বেশি হয়। ছত্রাকজনিত এ রোগটি মুকুল ও মুকুলের ডাঁটিতে আক্রমণ করে সাদা পাউডারে ঢেকে ফেলে। এতে ফুল ও ছোট ফল পচে নষ্ট হয়, সব ঝরে পড়ে। মুকুল আসার পর থেকে ফল কলাইদানার মতো হওয়া পর্যন্ত এ রোগটি সাধারণত আক্রমণ করে। কুয়াশা হলে রোগটা বাড়ে। রোগের আক্রমণে দানা বেঁধে ওঠা গুটিও ঝরে যায়। তাই মুকুল আসার পরপরই ফুল ফোটার আগেই যেকোনো অনুমোদিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। এ ছাড়া কাঁচা অবস্খায় আমের মুখ ছিদ্র করে একধরনের পোকা ভেতরে ঢুকে শাঁস ও কচি আঁটি খেয়ে নষ্ট করে দেয়। পাকার সময় আক্রমণ করে ফলের মাছি। ওরাও ফল ছিদ্র করে শাঁস খেয়ে পাকা আম নষ্ট করে। তাই এসব পোকার আক্রমণ থেকে ফল রক্ষার জন্য অনুমোদিত কীটনাশক স্প্রে করতে হবে।

আম বাংলাদেশের প্রধান চাষযোগ্য অর্থকরী ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। বৈচিত্রপূর্ণ ব্যবহার, পুষ্টিমান এবং স্বাদেগন্ধে ফলটি অতুলনীয়। যার কারণে আমকে ফলের রাজা বলা হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দীর্ঘদিন বিভিন্ন ফসল ও ফলের নতুনজাত উদ্ভাবন, উদ্ভাবিত জাতগুলোর আশানুরূপ ফলন প্রাপ্তির জন্য বহুমুখি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় উদ্ভাবিত হল আমের ফলন ও গুণগতমান বৃদ্ধির নতুন প্রযুক্তি- আমগাছের টিপ প্রুনিং। বর্তমানে বাংলাদেশে আম চাষাবাদের এলাকা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে বড় বড় বাগান পর্যন্ত গড়ে উঠেছে। বাড়ির আশেপাশে কিংবা ছাদে যে আমের জাতটি সবচেয়ে বেশি চাষ হয় সেটি হল বারি আম-৩ বা আম্রপালি। জাতটি আবার কেউ কেউ চাষ করেছেন টবে এবং ড্রামে। এছাড়াও পার্বত্যজেলা যেমন রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এলাকায় বাগান আকারে ব্যাপক চাষ হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে বারি আম-৩ বা আম্রপালি জাতটি আকারে বেশ ছোট হতে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গাছে প্রচুর আম ধরলে আকারে ছোট হয়, গাছকে পর্যাপ্ত খাবার না দিলে আকার ছোট হয় এবং গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথেও আকার ছোট হয়। ফলে জাতটির বাজারমূল্যে দিন দিন কমছে। আম বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন কয়েক বছর আগে। বর্তমানে সমস্যাটির সমাধান এসেছে। আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিজ্ঞানী মো. শরফ উদ্দিন বারি আম-৩ জাতের উপর গবেষণা কাজটি পরিচালনা করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, আম সংগ্রহ করার পর অর্থাত্ জুলাই মাসে আমগাছের প্রত্যেকটি ডগার শীর্ষ প্রান্ত হতে ৩০ সে.মি. বা ১ ফুট পর্যন্ত কেটে দিলে পরবর্তী বছরে ওই গাছ থেকে বেশি ফলন ও গুণগতমানসম্পন্ন আম পাওয়া যায়।

তবে জুলাই মাসে প্রুনিং করা ভাল। ফলন বাড়ার কারণ হিসেবে দেখা গেছে, কর্তিত অংশ হতে ৩-৪টি নতুন ডগা বের হয় এবং নতুন শাখার বয়স ৫-৬ মাস হওয়ায় প্রায় প্রত্যেকটি শাখায় মুকুল আসে। বর্তমানে এই জাতটির ওজন ৬০-১৮০ গ্রাম থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৫ থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

অন্যান্য সুবিধাসমূহ: ১. আমের আকার ও গুণগতমান বাড়বে; 
২. পাতার লাল মরিচা রোগ এই জাতের একটি বড় সমস্যা। কোনো প্রকার ছত্রাকনাশক সেপ্র ছাড়াই প্রায় দু’বছর পর্যন্ত রোগটি সহজেই দমন করা যাবে; 
৩. আমবাগানে ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা যাবে; 
৪. কোনো রকম কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ভাল ফলন পাওয়া যাবে; 
৫. বর্তমানে ঘন করে গাছ রোপণ করে যারা কাঙ্ক্ষিত ফলন পাচ্ছেন না সেক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি সহায়ক হবে; 
৬. এতে আমগাছের আকার ছোট রাখা যাবে অর্থাত্ সুন্দর ক্যানোপি তৈরি করা যাবে ও 
৭. প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি পাওয়া যাবে।

প্রয়োগের ক্ষেত্র: ১. আমগাছের বয়স ৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ও প্রুনিং প্রতি ৫ বছরে একবার করতে হবে।

সতর্কতা: প্রুনিং করার পর গাছের বয়স অনুযায়ী সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজন হলে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। আগস্ট মাসে প্রুনিং না করাই ভাল। কারণ এক্ষেত্রে গাছে মুকুল নাও আসতে পারে। নতুন ডগা বা কুশি বের হলে ছত্রাকনাশক সেপ্র করতে হবে। আমের পাতা কাটা দেখা দিলে কীটনাশক নির্দেশিত মাত্রায় সেপ্র করতে হবে। অন্যান্য জাতগুলোর বেলায় এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার না করাই ভাল।

ফলের বাগান করার ইচ্ছে অনেকেরই থাকে। ফলের বাগান করার আগে কিছু প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে ভবিষ্যতে লাভের মুখ দেখা সহজ হবে। শুধু তাই নয়, দেশে ফলের বাগান বাড়লে বিদেশ থেকে ফল আমদানিও কমবে। ফলের বাগান করে আপনিও বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।

বাগানের সার্বিক সুরক্ষার খাতিরে ভূমি প্রস্তুতকরণের সঙ্গে সঙ্গে বাগান এলাকার চারদিকে স্থায়ীভাবে বেড়া, এমনকি পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজটি সারতে পারেন। প্রতি চারার চারদিক ঘিরে বাঁশের বেড়া দিলে তাত্ক্ষণিক গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশু থেকে গাছ রক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু মিশ্র ফল-বাগান হচ্ছে একটি দীর্ঘকালীন প্রকল্প। 

বিভিন্ন উপদ্রব থেকে বাগানকে রক্ষার জন্য চারদিকে বেড়া দিতে হয়। স্থায়ী বেড়া ইট-নির্মিত, অস্থায়ী বেড়া বাঁশের দরজা দিয়ে তৈরি এবং হেজ বা জীবন্ত বেড়া গাছ দিয়ে তৈরি করতে হবে। জীবন্ত বেড়া দীর্ঘস্থায়ী হয়। স্বল্প-ব্যয়ে এটি সম্পন্ন করা যাবে। এ জন্য বাইরের দিকে সীমানা-বরাবর কাঁটা তারের বেড়া দেয়া যেতে পারে। আবার সরাসরিও হেজের গাছ করা যেতে পারে। কাঁটা তার টানার জন্য কংক্রিট-নির্মিত খাম কিংবা জিওলাজাতীয় খুঁটি স্থাপন করা যায়। হেজের গাছ ঝোপালো, ছাঁটাইয়ের জন্য উপযুক্ত, চিরসবুজ, ছাগলের আকর্ষণমুক্ত, কমযত্নে জন্মানোর উপযোগী এবং পোকা-মাকড় ও রোগবালাই প্রতিরোধ্য হলে ভালো হয়। দুরন্ত, কাঁটা-মেহেদী, শ্যাওড়া, করঞ্জা ও কামিনী উঁচু হেজ এবং জাস্টিসিয়া, ল্যান্টানা, অ্যাকালিফা, রঙ্গন, পাতাবাহার ও কোচিয়া অনুচ্চ হেজ তৈরির উপযোগী।

হেজের জন্য তিন সারি করে বীজ বপন করতে কিংবা শাখাকলম লাগাতে হয়। গাছগুলো প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার উচ্চতাসম্পন্ন হওয়ার পর প্রথমবার ভুতল থেকে ১৫ সেন্টিমিটারের উপরের ডগাগুলো কেটে দিতে হবে। কিছু দিন পরপর প্রয়োজনমত ছাঁটাই করে গোড়ার দিকেই গাছগুলোকে ঝোপালো ও দৃঢ় করে নিতে হবে। হেজ উত্পাদন ও সংরক্ষণের জন্য নিয়মিত সার প্রয়োগ করা এবং দরকার মতো পানি-সেচ প্রদান আবশ্যকীয়। সেচের পানির উত্স অগভীর নলকূপ, টিউবওয়েল, কূপ, পুকুর ইত্যাদি। পাম্প, রবার নল, ঝারি ইত্যাদি সেচ কাজে ব্যবহৃত হয়। নার্সারি বা উদ্যানে উত্তম পানি-নিকাশ ব্যবস্থা থাকতে হবে। জমি উঁচু হওয়া ও একদিকে ঢালু করে দেয়া এবং প্রয়োজনমত সঠিক স্থানগুলোয় বা রাস্তার পাশ দিয়ে নিকাশ-নালা খনন করে নেয়া ভালোভাবে পানি-নিকাশের পূর্ব শর্ত।

প্রতিটি চারাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রাথমিকভাবে সকাল-বিকাল গাছের গোড়ায় অল্প-বিস্তর পানি-সেচন করলেই চলবে। কিন্তু মিশ্র ফল-বাগানের বিষয়টা সাময়িক নয়, সম্পূর্ণই দীর্ঘকালীন। যারা জোড়াতালি করে কোন ধরনের কতগুলো গাছকে দাঁড় করিয়ে দিলেই চলবে এবং গাছগুলো একটু বড় হলেই পানির ব্যবস্থা ও অন্যান্য যত্ন নিজেরাই করে নেবে বলে চিন্তা করবেন, তাদের জন্য ফল-বাগান করা যুক্তিযুক্ত নয়। বৃক্ষজাতীয় ফল-বাগান অবশ্যই দালান-কোঠার মতোই একটি দীর্ঘকালীন বিষয় বলতে গেলে ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা। যদি দালান-কোঠা নির্মাণ কাজে পানির ব্যবস্থার কথা ভাবতে হয় এবং প্রয়োজন বুঝে ব্যবস্থা নিতে হয়, তবে ফল-বাগানের বেলায়ও এটি হবে প্রযোজ্য।

সেক্ষেত্রে চারা ঠিকমত বসে যাওয়ার আগেই শুষ্ক জলবায়ু এসে পড়ার কারণে শুষ্ক মৌসুমে পানি-সেচের ভালো ব্যবস্থা থাকা চাই। বর্ষার আগেভাগে চারা টিকে গেলে তথা সেট হয়ে গেলে, সেটি বাগানের মালিককে অনেকটাই চিন্তামুক্ত অবস্থায় রাখতে পারে।

চারা রোপণের সর্বাপেক্ষা উত্তম সময় গ্রীষ্মকালের প্রায় সবটা আর বর্ষাকালের প্রথম দিকটা। অর্থাত্ বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাস। শ্রাবণ-ভাদ্র মাস তথা ভরাবর্ষা পরিহার করা যুক্তিযুক্ত। ভরা বর্ষায় চারা পচে যাওয়া ও মরে যাওয়ার সম্ভাবনা অধিক হয়। আশ্বিন মাসে চারা রোপণ করা চলে।

চারা রোপণের আগের কাজটি হচ্ছে গর্ত তৈরি করা। অধিকাংশ বৃক্ষ-শ্রেণীর ফলগাছের বেলায় দুই ফুট ব্যাস ও গভীরতা বিশিষ্ট গর্ত খনন করা যেতে পারে। বলতে পারেন আম, কাঁঠাল, লিচু, লেবু ইত্যাদি গাছগুলোর বড় আকারের কথা। ওই আকার হচ্ছে পরিণত-বয়স্ক গাছের। কিন্তু চারা অবস্থায় গাছগুলোর আকার যেমন প্রায় একরূপ হয়ে থাকে, তাদের রোপণও হতে পারে প্রায় একই আকারের গর্তে। প্রারম্ভিক সারের প্রকার ও পরিমাণও হতে পারে অনেকটা একইরূপ। গর্তের মাটির সঙ্গে ১০ কেজি গোবর সার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি এবং ১০০ গ্রাম এমওপি সার মিশিয়ে দিতে হবে। 

এক্ষেত্রে নিম্নরূপ পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। গর্তের একার্ধ, তথা উপরের দিকের মাটি গর্তের একপাশে আর অপরার্ধ বা নিচের দিকের মাটি অপর পাশে রাখতে হবে। এ অবস্থায় ১০/১৫ দিন (নিদেনপক্ষে এক সপ্তাহকাল) খোলা অবস্থায় রেখে গর্তে ও তোলা মাটিতে রোদ-বাতাস লাগানো মন্দ নয়। তত্পর উপরের মাটির সঙ্গে সার মিশিয়ে সার-মিশ্রিত মাটি গর্তের নিচের অংশে ঢেলে দিয়ে, অবশিষ্ট তথা নিচের দিকের মাটি উপরাংশে দিয়ে গর্ত পূরণ করে দিতে হবে।

বৃষ্টি না হলে চারা রোপণের পূর্বদিন গর্তে কিছু পানি-সেচ দেয়া যেতে পারে। রোপণের জন্য বিকালই প্রকৃষ্ট সময়। চারার শেকড় যতখানি বিস্তৃত ও গভীর, সে পরিমাণ গর্তের মাটি উঠিয়ে নিয়ে গর্তে চারার নিম্নাংশ প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে। তার পর মূলগুলোকে গর্তের মধ্যে বেশ ভালোভাবে ছড়িয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে মাটি চাপা দিতে হয়। লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন চারাটির গোড়া পূর্ববর্তী মাটিতে যে স্থান পর্যন্ত অভ্যন্তরে ছিল এখানেও তাতে ততখানি পর্যন্ত মাটি চাপা দেয়া পড়ে। রোপণের পরে গোড়ার মাটি একটু চাপিয়ে দেয়া উত্তম। চারা রোপণের অব্যবহিত পরে এবং প্রথম কিছু দিনের জন্য প্রতিদিন ঝারি দ্বারা চারার গোড়ায় পানি সেচন করা উচিত। তা ছাড়া চারার উপরে ছায়াদানের ব্যবস্থা করা এবং গোড়ার মাটি শুষ্ক ঘাস, খড় ইত্যাদি দ্বারা ঢেকে দেয়া মন্দ নয়। রোপণের ছয় মাস পর কিছু ইউরিয়া সার ‘টপড্রেসিং’ রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে।

এখন ফলগাছ লাগানোর সময়। ভালো ও বেশি ফল পেতে হলে প্রথমেই দরকার স্বাস্খ্যবান ভালো জাতের চারা। তারপর চাই সেগুলো সঠিকভাবে লাগানো। যেনতেনভাবে ফলের চারা-কলম লাগালে সেসব গাছ থেকে কখনো খুব ভালো ফল আশা করা যায় না। মানসম্পন্ন ফল পেতে হলে প্রথমেই কাংক্ষিত জাতের চারা বা কলম সংগ্রহ করতে হবে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিডরের আঘাতে অনেক ফলের গাছ সহজে উপড়ে গেছে। এ সবই অনভিজ্ঞতার ফল। শুধু বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকায় বেশির ভাগ নার্সারিতেই এখন মানসম্পন্ন চারাকলম তৈরি হচ্ছে না, তৈরি হলেও সেসব কলমের খাসি করা ঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে অল্প শিকড় নিয়ে গাছ বড় হওয়ায় সহজে ঝড়-বাতাসে গাছ পড়ে যাচ্ছে। ফলগাছ রোপণের সময় যেসব কাজ করা হয় তার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ গাছের বৃদ্ধি। গর্ত খনন থেকে শুরু করে চারাকলম রোপণ পর্যন্ত সকল কাজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এসব নিয়ম ঠিকমতো মানা না হলে গাছের বৃদ্ধিই শুধু নয়, ফলনের ওপরও প্রভাব পড়ে। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়ার দরকার আছে। 

গর্ত তৈরি: 
আমগাছের কলম লাগানোর জন্য যত বড় গর্ত করতে হবে পেয়ারার জন্য তা নয়, কাগজী লেবুর জন্য গর্ত হবে তার চেয়েও ছোট। বড় গাছ যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল, ডেওয়া ইত্যাদির জন্যও গর্তের মাপ হবে সব দিকে ৯০ সেন্টিমিটার। মাঝারি গাছ যেমনন্ধ পেয়ারা, বাতাবিলেবু, কমলা, তৈকর, জামরুল ইত্যাদির জন্য গর্তের মাপ হবে সব দিকে ৭৫ সেন্টিমিটার। ছোট গাছ যেমন- কাগজী লেবু, করমচা, লুকলুকি, কলা, পেঁপে ইত্যাদির জন্য গর্তের মাপ হবে সব দিকে ৪৫ সেন্টিমিটার। ওপরের মাপে গর্ত খননের সময় ওপরের মাটি গর্তের এক পাশে এবং নিচের মাটি গর্তের আরেক পাশে রেখে প্রথমে জৈব সার মেশাতে হবে। এভাবে রেখে দেয়ার ৪ থেকে ৫ দিন পর গাছ রোপণের ৩ থেকে ৪ দিন আগে রাসায়নিক সার মেশাতে হবে। এ সময়ে মাঝে মাঝে এই সার মিশ্রিত মাটি ওলট-পালট করে দিতে হবে। 

রোপণের সময়: 
বর্ষার আগে (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ) বা বর্ষার শুরুতে (আষাঢ়) এবং বর্ষার শেষে (ভাদ্র-আশ্বিন) ফলগাছের চারাকলম রোপণ করা যেতে পারে। তবে জমি সুনিষ্কাশিত ও বেলে দো-আঁশ প্রকৃতির হলে বর্ষায়ও (আষাঢ়-শ্রাবণ) বৃষ্টির দিন ছাড়া রোপণ করা যায়। শীতকালে চারাকলমের নতুন শিকড় গজায় না বা শিকড়ের বৃদ্ধি আশানুরূপ হয় না বলে শীতের সময় রোপণ না করা ভালো। বিকেলবেলা চারা বা কলম রোপণের উপযুক্ত সময়। 

রোপণ পদ্ধতি: 
চারাকলম লাগানোরও বেশ কিছু নিয়ম আছে যেমন- মাটির মধ্যে কতটুকু পুঁতবেন, লাগানোর সময় কোনো ডাল-পাতা ছেঁটে দেবেন কি না অথবা নার্সারি থেকে কিনে এনেই চারাটি লাগাবেন কি না ইত্যাদি। কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চারাকলম লাগালে ওগুলো ভালো থাকে। যেমনন্ধ 
কলম করে সাথে সাথেই বাগানে রোপণ করা চলবে না। তা করলে গাছ রোপণজনিত আঘাতে মরে যেতে পারে এবং কলমের জোড়া খুলে যেতে পারে। সে জন্য কলম করার অন্তত কয়েক মাস পরে তা রোপণ করা ভালো। 
রোপণ করার আগে চাষ ও মই দিয়ে বাগানের মাটি সমতল করে নেয়া উচিত। 
রোপণের আগে অবশ্যই দূরত্ব ঠিক করে নকশা করে নেয়া উচিত। গ্রীষ্মেই এ কাজ করে ফেলতে হবে। 
রোপণের অন্তত ১৫ দিন আগে গর্ত তৈরি করে সার মাটি ভরে রাখতে হবে। গর্ত প্রতি ৫-১০ কেজি গোবর সার, ১০০-১৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০-২৫০ গ্রাম টিএসপি এবং ৭৫-১৫০ গ্রাম এমওপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। 
রোপণের কয়েক দিন আগে চারা বা কলম সংগ্রহ করে হার্ডেনিং করতে হবে। এ জন্য ছায়াযুক্ত জায়গায় কয়েক দিন চারাকলম শুইয়ে রেখে পাতা ঝরাতে হবে। মাঝে মাঝে গোড়ার মাটির বলে ও গাছে হালকা পানির ছিটা দিতে হবে। এতে গাছের রোপণোত্তর মৃত্যুঝুঁকি কমে যায়। 
লাগানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন চারাকলমের গোড়ার মাটির বলটি ভেঙে না যায়। 
মাটির টবে বা পলিব্যাগে চারাকলম থাকলে কিছুটা পানি দিয়ে মাটি সামান্য নরম করে নিতে হবে। এরপর টব মাটিতে কাত করে গড়িয়ে এবং পলিব্যাগ গড়িয়ে বা দুই হাতের তালু দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চেপে নরম করে নিতে হয়। টব বা পলিব্যাগের চারাকলমের গোড়ায় হাত দিয়ে চেপে ধরে সম্পূর্ণ চারা বা কলমটি উল্টো করে ধরে টব বা পলিব্যাগ ওপরের দিকে টান দিলে বা টবটির কিনারা শক্ত কোনো জায়গায় ধীরে ধীরে টোকা দিলে মাটির বলটি বেরিয়ে আসে এবং সেটি গর্তে স্খাপন করতে হয়। অবশ্য পলিব্যাগের চারাকলমের ক্ষেত্রে চাকু বা ব্লেড দিয়ে পলিব্যাগের এক দিক কেটে অথবা মাটির টবটির চার দিক আস্তে আস্তে ভেঙে দিয়ে মাটির সম্পূর্ণ বলটি বের করে এনেও গর্তে বসানো যায়। 
গর্তে বসানোর সময় চারাকলমের গোড়া টবে বা পলিব্যাগে যে পর্যন্ত গোড়ায় মাটি ছিল বা বাইরে ছিল সে পর্যন্তই বাইরে রাখতে হয়। এর বেশি পুঁতে দেয়া বা ওপরে রাখা কোনোটাই ঠিক নয়। 
রোপণের সময় অতিরিক্ত পাতা ছাঁটাই করে দিতে হয়। তবে এটি সতর্কতার সাথে করতে হয়, যেন চারাকলমের গাছটি আঘাতপ্রাপ্ত না হয়। চারা কলম রোপণের পর গোড়ার মাটি কিছুটা চেপে দিয়ে পানি ছিটিয়ে দিতে হয়। 
চারাকলম যদি বড় হয় তবে এটিকে সোজা ও শক্ত রাখার জন্য গাছ থেকে ১০-১৫ সেন্টিমিটার দূরে একটি খুঁটি পুঁতে একটু কাত করে সুতলী দিয়ে হালকাভাবে বেঁধে দিতে হয়। শক্ত করে বাঁধলে অনেক সময় চারাকলমের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ঝড়ো বাতাসে উপড়ে যাওয়া থেকে চারাকলমকে এই খুঁটি রক্ষা করে। 
চারাকলমের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে বেড়া বা খাঁচার ব্যবস্খা করতে হয়। 
নতুন কুঁড়ি বা পাতা না আসা পর্যন্ত গাছে উপরি সার দেয়ার প্রয়োজন নেই। 
তবে এই সময়ে গাছের গোড়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচের ব্যবস্খা করতে হয়।

সুস্বাদু ফলের মধ্যে আম অন্যতম। এর ঘ্রাণ ও স্বাদ অতুলনীয়। তাইতো বলা হয়: ফলের রাজা আম। এখন মাঘের মাঝামাঝি চলছে। এ সময় থেকেই আমের মুকুল আসা শুরু হয়। দেখা যায়, গাছে মুকুল এলেও সব গাছে ফল ধরে না বা কাক্সিক্ষত ফলন পাওয়া যায় না। এর মূল কারণ সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাব। ফলে আম উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

আম গাছে সঠিক সময়ে সঠিক মাত্রায় সার, সেচ, পোকামাকড়-রোগবালাই ব্যবস্থাপনা না করায় ফুল ও ফল ঝরে যায়। এতে সামগ্রিকভাবে আমের উৎপাদন ব্যাহত হয়। কিছু উপায় অবলম্বন করে আমের ফুল ও ফল ঝরা রোধ করা যায়। উপায়গুলো জেনে নিতে পারেন:

 ফল সংগ্রহের পর রোগাক্রান্ত মরা ও অপ্রয়োজনীয় ডালপালা, শাখা-প্রশাখা ছেঁটে গাছে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করতে হবে

ফল সংগ্রহ শেষে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নিয়ম মেনে সার দিতে হবে। প্রয়োজনমতো গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, জিংক সালফেট ও বরিক এসিড দিতে হবে

মুকুল আসার পর এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের মধ্যে যে কোনো পোকা দমনের জন্য কৃষি দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। শুধু কীটনাশকই নয়, পাশাপাশি ছত্রাকনাশক ওষুধ পানিতে এক সঙ্গে মিশিয়ে মুকুল, পাতা, শাখা-প্রশাখা ও কাণ্ডে স্প্রে করতে হবে। এরপর চার থেকে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে আম মটরদানা আকৃতির হলে একই ধরনের কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক পানিতে মিশিয়ে মুকুল, পাতা, কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখায় স্প্র্রে করতে হবে। এছাড়া ফুল আসার আগেও একবার স্প্রে করা আবশ্যক

 মাটিতে রসের অভাবে আমের মুকুল ঝরে যায়। তাই এ সময় গাছের চার পাশে সকালে নিয়মিত সেচ দিতে হবে। আমের গুটি মটরদানা হওয়ার পরও গাছের গোড়ায় পানি দিতে হবে। বৃষ্টি না আসা পর্যন্ত ১৫ দিন পরপর সেচ দেওয়া উত্তম। অর্থাৎ, আমগাছে ভরা মুকুলের সময় থেকে শুরু করে ১৫ দিন অন্তর গাছের গোড়ায় সেচ দিতে হবে। সেচের পাশাপাশি আরও একটি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে। যেমন, আমের গুটি মটরদানার মতো হলে প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া সার মিশিয়ে আমের গুটিতে স্প্রে করলে গুটি ঝরা কমে যায়

ফুল ফোটা অবস্থায় জিবেরেলিক এসিড প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলেও আমের গুটি ঝরা কমে যায়। এছাড়া প্রতি মুকুলে আমের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ফুল ফোটার ১০ দিন অন্তর ১০ লিটার পানিতে ছয় গ্রাম করে বরিক এসিড স্প্রে করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়

এ সময় স্প্রে ছাড়াও গাছের গোড়ায় সার দিতে হবে। গাছের গোড়ার চারদিকে কমপক্ষে এক থেকে এক দশমিক পাঁচ মিটার দূরে হালকাভাবে কুপিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে সার দিতে হবে। গাছের বয়স বেশি হলে এর দূরত্ব বাড়াতে পারেন। সার দেওয়ার পর হালকা সেচ দিতে হবে

সতর্কতা

গাছে মুকুল আসার আগে ও পরে স্প্রে করতে হবে। কিন্তু মুকুল ফোটা অবস্থায় কোনোভাবেই স্প্রে করা ঠিক হবে না। কেননা, এ সময় কিছু উপকারী পোকা আমবাগানে আসে, পরাগায়নে সহযোগিতা করে। সঠিকভাবে দুবার স্প্রে করতে পারলে গাছে অনেক আম থাকবে। পূর্ণাঙ্গ ফলে রূপ নিতে ফল কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করে। প্রথমে মুকুল, মুকুল থেকে ফুল, ফুল থেকে গুটি ও গুটি বড় হয়ে ফলে রূপ নেয়। সব পর্যায়ে গাছের বালাই ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তবে মুকুল আসার আগে ও পরে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কেননা, মুকুল ঝরে পড়লেই আম উৎপাদন বহুলাংশে হ্রাস পায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে এখন বছরজুড়ে পাওয়া যাচ্ছে আম। দিনের সাথে সাথে বদলাচ্ছে আয়ের নতুন নতুন কৌশল। উপজেলার নামো মুশরীভূজা গ্রামের আব্দুস শুকুর বিশ্বাসের ছেলে কামাল উদ্দিন আধুনিক পদ্ধতিতে আয়ের নতুন কৌশল হিসেবে ১১ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন বারী-১১ জাতের আম।  বছরজুড়ে পাওয়া যাবে এ আম।

কথা হয় কামাল উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, ১১ বিঘা জমিতে ৬/৭ বছর বয়সের প্রায় ৭০০-৮০০টি আমরূপালী জাতের গাছসহ লীজ নেন ২০২০ সালের প্রথম দিকে।

লীজ নেয়ার পর সব গাছের ডাল ছাঁটাই করে বারী-১১ জাতের আম গাছের ডগায় টেপ করেন। নিয়মিত পরিচর্যাসহ জমির লীজ দিয়ে মোট খরচ হয় ১৮ লাখ টাকা। এখন প্রত্যেকটি গাছে আম, গুঠি ও মুকুলধরে আছে। সম্প্রতি ৩৫০ টাকা কেজি দরে ২ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন তিনি। আসন্ন ২০২১ সালে ১০ লাখ টাকার আম বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন কামাল উদ্দিন। ১১ বছরের জন্য লীজ নেয়া জমিতে মোট আয় পাবেন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বলেও আশা তার। তিনি জানান, ১০ বছর পর জমির মালিককে গাছসহ জমি বুঝিয়ে দিতে হবে। তবে তিনি বলেন, ১০ বছরের মধ্যে আম থেকে বিশাল আয় আসবে।

আমের গাছের পরিচর্যার ব্যাপারে তিনি বলেন, দেশীয় জাতের আম গাছের চেয়ে এ আম গাছের পরিচর্যা অনেক বেশী। বারী-১১ জাতের আম চাষের ক্ষেত্রে তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন। আম বাজারজাতে কোন সমস্যা হয় না। বাগান থেকে আম কিনে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, একই মৌসুমে দেশীয় আম ব্যাপক উৎপাদনে মানুষের চাহিদা পূরণ হয়ে আমের চাহিদা কমে যায়। আম ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারে না। কিন্তু বারী-১১ জাতের আম চাষ করে বছরজুড়ে আম উৎপাদন যেমন ব্যাপক হারে হয় তেমনি ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে প্রচুর লাভবান হওয়া যাবে।

ব্যাপকভাবে বারী-১১ সহ বেশ কিছু জাতের আম রয়েছে যা বছরজুড়ে উৎপাদন হবে। ফলে দেশে সারা বছর আমের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে আম চাষ করলে আম ব্যবসায়ীসহ বাগান মালিকেরা লাভবান হবে।

আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক চুটু জানান, বছরজুড়ে আম উৎপাদন হলে আমচাষ করে ব্যাপক লাভবান হওয়া যাবে এবং সারা বছর আমের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে। তিনি বলেন, কামলা (শ্রমিক) ছাড়া আরো কয়েক জন আমচাষ শুরু করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বারো মাস আমচাষের ব্যাপারে চাষিদের কারিগরি সহায়তাসহ নিয়মিত পরিচর্যা ও সার প্রয়োগের মাত্রাসহ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তিনি বলেন, এ আম উৎপাদনে সারা বছর মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আম ফাউন্ডেশন সভাপতি মশিউর রহমান জানান, তিনি বারো মাস আমের উৎপাদনের কথা শুনে তাৎক্ষণিক আমবাগান সরেজমিন পরিদর্শনে যান। বার মাস আম উৎপাদন হলে আমচাষিরা আর্থিকভাবে স্বাভাবিক মৌসুমের উৎপাদিত আমের চেয়ে ব্যাপক লাববান হবেন। তাছাড়া ভোলাহাট উপজেলাসহ দেশের মানুষের সারা বছর পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে বলে মনে করে তিনি।  এছাড়া উপজেলার একমাত্র আম বিক্রয় কেন্দ্র আম ফাউন্ডেশনে সারা বছর আম বাজার বসলে আম ফাউন্ডেশনও আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে প্রত্যাশা তাঁর।

নিউজটি আমাদের নিজস্ব না। এটির সকল কৃতিত্ব ও স্বত্ত শুধুমাত্র  https://www.rajshahipost.com

Page 14 of 58