x 
Empty Product

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না।

সাধারণত চৈত্রের শেষ কিংবা গ্রীষ্মের শুরুতে বাজারে দেখা মেলে কাঁচা আমের। তবে এবার মাঘের শুরুতেই কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম। অসময়ের এই ফল বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে। প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়।

গতকাল শুক্রবার রাতে টেকনাফের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ফুটপাতে বসে কাঁচা আম বিক্রি করছেন ফরিদুল আলম। ক্রেতাদের নজর কাড়তে আমগুলোকে সুতা দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন। দাম বেশি হওয়ায় কেউ কেউ একটি-দুটি করে কিনছেন। আবার অনেকে দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছেন।

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না।

আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, ভোলাহাট ও গোমস্তাপুরে বেলা ডুবতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়।

এদিকে, জেলার সামান্য কিছু আম গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। কিন্তু এ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে মুকুলের ক্ষতি নিয়ে শঙ্কায় আছেন আম চাষিরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, এ বৃষ্টি আমের মুকুলের ক্ষতি নয় বরং আশীর্বাদ।

শিবগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া এলাকার এনামুল হক বলেন, আমি ছেলের জন্য বাজারে গিয়েছিলাম। সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। এতে আমার বাজার করা ব্যাহত হয়েছে ও এখন দাঁড়িয়ে আছি বাসায় যেতে পারছি না।

গোমস্তাপুর পৌর এলাকার রিকশাচালক শহীদ আলী বলেন, গত দুদিন ধরে সূর্যের দেখা পাইনি। এতে বেশি ঠান্ডা পড়েছে। সারাদিন রিকশাচালাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। ফের বিকেল চারটার দিকে রিকশা নিয়ে অনেক কষ্টে রের হয়েছি। কিন্তু সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

ভোলাহাটের আনসারুল ইসলাম নামে এক আম ব্যবসায়ী বলেন, আমার বাগানের আমের মুকুল ফুটতে শুরু করেছে। এ বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়ে যায় কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। আর শীতকালীন কিছু সবজি মাঠে আছে সেগুলোর তো ক্ষতি হলোই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এ বৃষ্টিতে আমের ক্ষতি নয় বরং আরও উপকার হলো। কারণ গত চার মাসে এ জেলায় বৃষ্টি হয়নি। আজ হচ্ছে। এতে আমের মুকুল যেগুলো ফুটছিল না, সেগুলো স্বয়ংসম্পূর্ণ ফুটবে।

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না।


বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত একটি আমের জাত হল বারি–১১। নতুন এই বারি-১১ জাতের আমটির ফলন পাওয়া যাচ্ছে সারাবছর ধরে। স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধে অতুলনীয় একটি সুমিষ্ট আমের জাত বারি-১১। এই জাতের একটি গাছ থেকে বছরে ৩ বার ফলন পাওয়া যায়। এতে করে বাৎসরিক ১২০ কেজি আম পাওয়া যায়। সারাবছর ধরে এই জাতের আমের উৎপাদন হওয়ার পাশাপাশি বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর আবাদ।

গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, বারি-১১ জাতের আমের মিষ্টতা ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বারি আম-১১ বছরব্যাপী ফুল ও ফল দেয়। তার মধ্যে বছরের তিনটি সময়ে ফুল ও ফল তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ, মে-জুন ও আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ফল আহরণ করা যায়। এ জাতের আমগুলোর আকৃতি মাঝারি। এক থোকার মধ্যে গুচ্ছাকারে পাঁচ থেকে ছয়টি পর্যন্ত আম থাকে। প্রতিটি ফলের ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম। পাকা অবস্থায় হলুদ বর্ণের হয়। আমটি খেতেও সুমিষ্ট।

বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বারি–১১ আমের জাতটি সারাদেশে চাষিদের মধ্যে সম্প্রসারণে কাজ করছেন ফেনী জেলার সোনাগাজীর সোয়াস এগ্রোর মালিক মেজর (অব.) সোলায়মান। তাঁর এ বাগান থেকেই মূলত বারি–১১ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র। বিভিন্ন জেলায় তাঁর কাছ থেকে চারা নিয়ে যান লোকজন। চট্টগ্রাম কৃষি গবেষণাগার বারি–১১–এর উদ্ভাবক হলেও তাদের কাছে বেশি আকারে বিক্রি করার মতো চারা থাকে না তাই সোলায়মান চারা সরবরাহ করে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে কৃষিবিদ আবদুল আজিজ বলেন, চারা লাগানোর এক বছর পর মুকুল আসে। তবে প্রথম দুই বছর মুকুল ঝেড়ে ফেলে দিতে হয়। তৃতীয় বছর থেকে পর্যাপ্ত ফল ধরে। অন্য প্রজাতির একটি গাছ থেকে বছরে ৩৫ কেজি আম পাওয়া যায়। আর বারি-১১ বছরে তিনবারে ১২০ কেজি পর্যন্ত আম দিচ্ছে।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম হারুনুর রশীদ বলেন, এই জাতটি আমের মৌসুমে মোট ফলের ৬০ শতাংশ ফলন পাওয়া যায়। বাকি আট মাসে পাওয়া যায় ৪০ শতাংশ ফল। সারাবছর ধরে আমের চাহিয়া মেটাতে বারি-১১ একটি অনন্য জাত বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বারি-১১ আমের জাতটি ২০১৪ সালের জুন মাসে জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নিবন্ধিত হয়।

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না।

ভারতীয় আম চাষিদের জন্য খুশির খবর। আগামী মরসুম থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় আম রপ্তানি করা হবে । এ জন্য সরকারীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ থেকে অনুমোদন পাওয়া গেছে । খবর অনুযায়ী, মার্চের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আলফানসো জাতের আম রপ্তানি করা হবে । আলফানসো  ভারতের সবচেয়ে দামি আম। একে আমের রাজা বলা হয়। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারত আমেরিকায়  তিন হাজার মেট্রিক টন আম রপ্তানি করেছে । এতে বোঝা যায় সেখানকার মানুষ ভারতীয় আমের বড় ভক্ত । ২০২২ সালে আম রপ্তানিতে ভারত নতুন রেকর্ড গড়বে বলে মত কৃষি বিশেষজ্ঞদের।

 

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না।

সুস্বাদু আমের কথা উঠলে মনে পড়বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কথা। আমের জন্য বিখ্যাত জেলাজুড়ে বাগান। এক সময় এখানকার অর্থনীতি আম বাজারের ওপর নির্ভশীল ছিল। কয়েক বছর ধরে আমের মৌসুমে খরচ না ওঠায় বাগান পরিণত হয়েছে গলার কাঁটায়। তাই আম গাছ কেটে ফেলছেন লোকসানে থাকা হতাশ চাষিরা। এ কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে আম গাছের সংখ্যা। এ অবস্থা চলতে থাকলে জেলার আমনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের তথ্যমতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে পুরোনো আম বাগানে গাছের সংখ্যা ৫০ লাখ। যার মধ্যে পাঁচ লাখ আমগাছ কাটা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাতরা গ্রামের আম চাষি মজিবুর রহমান। তিনি পাঁচ বিঘা আমবাগান থেকে বছরে এক লাখ টাকা পান। তবে পরিচর্যা খরচ বাদ দিয়ে প্রায় অর্ধেক টাকা ঘরে আনতে পারতেন। আবার কোনো কোনো বছর লোকসানও গুনতে হয়। কিন্তু চলতি বছর বাগানের সব আমগাছ কেটে ফেলেছেন। এই গাছ বিক্রির পর সার-বিষের দোকানের বকেয়া পরিশোধ করেন। বাকি টাকা দিয়ে শুরু করেন সবজি চাষ। সবজি চাষে বেশ লাভের মুখ দেখছেন তিনি।

মজিবুর রহমান বলেন, 'আমবাগান করব কোন দুঃখে? খালি (শুধু) লস আর লস (লোকসান)। এখন হামি বাগুন (বেগুন) আর স্ট্রবেরি চাষ কর‌্যা ভালো আছি। নিজেও খ্যাতে পারছি, ফের বেচতেও পারছি।' তিনি জানান, তাদের পাঁচ বিঘা জমির প্রায় ১০০ আমগাছের সব কেটে ফেলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মজিবুর একা নন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অধিকাংশ আম চাষি গত পাঁচ বছর ধরে লোকসান গুনছেন। আমনির্ভর অর্থনীতির ওপর জেলার ৭০ শতাংশ মানুষ নির্ভরশীল। অথচ প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বিশেষ করে পাশের জেলা নওগাঁয় ব্যাপক আম চাষের কারণে ভালো দাম পাচ্ছেন না কৃষক। তাই গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে।

জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় শিবগঞ্জের একাডেমি মোড়ে মঈন খান নামের এক ব্যক্তির আম বাগানের সব গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে প্লট তৈরি করে বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। সরেজমিন দেখা যায়, প্রায় ৫০টি আমগাছ কেটে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। টানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্লট বিক্রির সাইনবোর্ড।

পাশের আমবাগানের মালিক ইসমাঈল হোসেন শামিম তার বাগানের চার ভাগের তিন ভাগ আমগাছ কেটে ফেলেছেন। পরে সেখানে তৈরি করছেন হাইব্রিড আমের বাগান। আল্ট্রা হাই ডেনসিটি পদ্ধতিতে আমবাগান তৈরি করে তিনি স্বপ্ন দেখছেন বিগত বছরগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখার।

আম চাষি ইসমাঈল হোসেন শামিমের দাবি, এ পদ্ধতিতে অসময়ে অল্প জায়গায় কম পরিচর্যা খরচে অধিক আমের ফলন পাওয়া যাবে। তাই তিনি তার বাগানের ১০টি আম গাছ কেটে ৩০০ হাইব্রিড আমগাছ লাগিয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আম চাষি মেহমুদ মিঞা বলেন, বাগান পরিচর্যা খরচ বেশি হওয়ায় এবং কয়েক বছর ধরে আমের দাম না পেয়ে ১০ বিঘা আমবাগান কেটে ফেলেছি। পরে বাগানের জমি এক বছরের জন্য ২০ হাজার টাকা বিঘা দরে এক সবজি চাষিকে ইজারা দিয়েছি।

একই এলাকার আরেক আম চাষি মাসুদ রানা জানান, এভাবে আম চাষিরা লোকসান গুনতে থাকলে এক সময় আম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। তাই দ্রুত আমের ব্যবহার বাড়িয়ে আমের চাহিদা বাড়াতে হবে। আর উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদা বাড়লে ভালো দাম পাবেন চাষি।

বরেন্দ্র কৃষি উদ্যোগ ও কৃষি পণ্য বিতরণ সমবায় সমিতির সভাপতি মুনজের আলম জানান, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সম্ভাবনাময় এই শিল্প এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আর এ জন্য দেশের বাইরে আম রপ্তানি বাড়াতে হবে। আর রপ্তানি বাড়াতে হলে পরিবহন খরচ কমাতে হবে। আম থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবর উৎপাদনে শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তবেই আমের চাহিদা বাড়বে। কৃষক আমের নায্য মূল্য পাবে।

কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, জেলার নাচোল ছাড়া শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, সদর ও ভোলাহাট উপজেলায় পুরোনো বড় বড় আমগাছ কাটা হচ্ছে। আমবাগান কাটা হলেও সেসব স্থানে লাগানো হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে উন্নত জাতের আম গাছ। তাই জেলায় আমবাগানের পরিমাণ যেমন বাড়ছে, তেমনি উৎপাদনও বাড়ছে। সরকার সারে ভর্তুকি দেওয়ায় এবং কীটনাশকের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকায় পরিচর্যা খরচ খুব একটা বাড়েনি।

Saturday, 15 January 2022 18:49

আমের রসগোল্লা

Written by

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না।

‘বড়কর্তা একটি মুখে তুলেই চোখ বন্ধ করে রইলেন আড়াই মিনিট।’ বড়কর্তা কী মুখে তুলেছিলেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না; কারণ, সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘রসগোল্লা’ গল্পের এই বাক্য আমাদের সবারই চেনা। সেই রসগোল্লা নিয়ে রীতিমতো রসিকতা করার সাহস দেখিয়েছেন আমের দেশ রাজশাহীর একজন ব্যবসায়ী। তিনি রসগোল্লায় আমের স্বাদ সংযোগ করেছেন। এতেই পড়েছে হইচই। দেখতে ফালি ফালি করে কাটা ফজলি আমের মতো। মুখে তুলতেই আমের রসের সঙ্গে দুধের ছানার স্বাদে রসনা থইথই!
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

এই ব্যবসায়ীর নাম আরাফাত রুবেল। সওদাগর অ্যাগ্রো নামের তাঁর একটি গরুর খামার রয়েছে। করোনাকালে বিপাকে পড়েছিলেন খামারের উৎপাদিত দুধ নিয়ে। দুধের বিকল্প বাজার খুঁজতে গিয়ে নিজেই শুরু করেছেন রসগোল্লার কারবার। সম্প্রতি রাজশাহী নগরের ভদ্রা রেলগেট এলাকায় ‘রসগোল্লা’ নামেই একটি বিক্রয়কেন্দ্র খুলেছেন। সেখানে বরিশালের মৃৎশিল্পীদের হাতে বানানো মাটির হাঁড়ি ভরা রসগোল্লা শিকায় করে তুলে দিচ্ছেন ক্রেতার হাতে।

শৌখিন ব্যবসায়ী আরাফাতের দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ানোর নেশা রয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন শহরের রসগোল্লা চেখে দেখারও বাতিক রয়েছে। সেই সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। সাধারণ রসগোল্লার পাশাপাশি তৈরি করেছেন কলকাতার রসগোল্লা, নারকেল দিয়ে তৈরি কাশ্মীরি রসগোল্লা। আর বিশেষ আইটেম হিসেবে করেছেন আম, কমলা, খেজুরের গুড় (নলেন গুড়) ও কাঁচা মরিচের রসগোল্লা। আমের ফালির মতো আরাফাতের রসগোল্লায় কমলা ও কাঁচা মরিচ যেন তাকিয়ে রয়েছে। নতুন জিনিস হিসেবে মানুষ সেটা পরখ করে দেখছেন। আমের মিষ্টি এক ফালি ৪০ টাকা, খেজুর গুড়ের মিষ্টি ২৫ টাকা ও মরিচের রসগোল্লা ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন

কয়েক দিন আগে তাঁর বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তরুণ-তরুণীদের ভিড় বেশি। তাঁরা একটি মাটির হাঁড়ি নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে মিষ্টি খাচ্ছেন। ফেসবুকে এই ব্যতিক্রমী মিষ্টির খবর শুনে বরিশাল থেকে এসেছিলেন একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা আরিফুর রহমান। তিনি বিভিন্ন পদের পাঁচ কেজি মিষ্টি কিনলেন। তিনি বললেন, এই মিষ্টি খেয়ে তাঁর অভিনব মনে হয়েছে। তাই বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন।

একটি ডেভেলপার কোম্পানির কর্মকর্তা মিজানুর রহমান কাজী আমের মিষ্টি খেয়েছেন। তিনি বললেন, তাঁর ভালো লেগেছে। তাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর বিভাগের বন্ধুদের ‘গেট টুগেদার’-এর জন্য তিনি সাত কেজি রসগোল্লা কিনেছেন। তিনি বলেন, আরাফাতের সব রসগোল্লার আইটেমই ব্যতিক্রমী।

খেজুর গুড়ের মিষ্টি খেয়েছেন রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, খেজুর গুড়ের ঘ্রাণটা তার বরাবরই প্রিয়। এই মিষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে খাঁটি দুধের ছানার স্বাদ। দুইয়ে মিলে রসগোল্লাটা মজার হয়েছে।
বিজ্ঞাপন

ব্যতিক্রমী রসগোল্লা তৈরির ব্যাপারে জানতে চাইলে আরাফাত বলেন, ‘করোনাকালে বিধিনিষেধের মধ্যে শহরের গরুর খামারগুলো হুমকির মুখে পড়ে। বিশেষ করে দুধ নিয়ে খামারিরা চরম বিপাকে পড়েন। তখন বন্ধু রবিউল আর তিনি নতুন আইডিয়া বের করেন। নিজেরাই দুধ থেকে ছানা কেটে মিষ্টি তৈরি করে অনলাইনে বাড়ি বাড়ি বিক্রি শুরু করেন। সেই চিন্তা থেকে প্রথমে তাঁরা তৈরি করেন খেজুরের গুড়ের মিষ্টি। সেটা অনলাইনে স্থানীয় রাইডার দিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন। তাতে ভালো সাড়া পান। তারপর ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করার চিন্তা করেন। সেই ধারণা থেকে রাজশাহীর গর্ব আম নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং তখনই পাকা আম সংগ্রহ করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন। সেই আম আর খাঁটি দুধের ছানা সংমিশ্রণ করে আমের রসগোল্লা তৈরি করতে শুরু করেন। সেই মিষ্টি মাটির হাঁড়ি আর মাটির পাত্রে পরিবেশন করছেন। তিনি বলেন, আমের মৌসুমে পাকা আমের রসগোল্লার স্বাদ আরও বেশি হবে।

 

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না।

ভারত থেকে আম এবং বেদানা আমদানিতে অনুমোদন দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে সেই দেশ থেকে চেরি, আলফালফা ঘাস(পশুখাদ্য), শুকরের মাংস আনার অনুমোদন দিল নয়াদিল্লি। দুটি পৃথক বিবৃতিতে জানিয়েছে দুই দেশের সরকার। ছবি সূত্র : রয়টার্স, এডিট: হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা (Via Reuters )
এই পরিকল্পনা '2 ভার্সেস 2 কৃষি বাজার অ্যাক্সেস' বাস্তবায়নের একটি অংশ। একদিকে ভারতের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগ। অন্যদিকে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর মধ্যে সম্প্রতি এই চুক্তি হয়। একটি বিবৃতিতে বাণিজ্য মন্ত্রক এ বিষয়ে জানিয়েছে। ফাইল ছবি : রয়টার্স (REUTERS)
2/5এই পরিকল্পনা '2 ভার্সেস 2 কৃষি বাজার অ্যাক্সেস' বাস্তবায়নের একটি অংশ। একদিকে ভারতের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগ। অন্যদিকে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর মধ্যে সম্প্রতি এই চুক্তি হয়। একটি বিবৃতিতে বাণিজ্য মন্ত্রক এ বিষয়ে জানিয়েছে। ফাইল ছবি : রয়টার্স (REUTERS)
গত ২৩ নভেম্বর ২০২১-এ অনুষ্ঠিত ১২তম ভারত-মার্কিন বাণিজ্য নীতি ফোরাম (TPF) বৈঠক অনুসারে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
3/5গত ২৩ নভেম্বর ২০২১-এ অনুষ্ঠিত ১২তম ভারত-মার্কিন বাণিজ্য নীতি ফোরাম (TPF) বৈঠক অনুসারে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
বেদানা রফতানি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলফালফা খড় এবং চেরিও সেই একই সময়ে আমদানি শুরু হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় আম, বেদানার বেশ কদর রয়েছে। ভারতীয় আম তার স্বাদ, গন্ধ এবং তুলনামূলক সস্তা দামের জন্য গোটা বিশ্বে বিখ্যাত। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যে এর বিপুল চাহিদা আছে, তা বলাই বাহুল্য। ফাইল ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস (HT_PRINT)
4/5বেদানা রফতানি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলফালফা খড় এবং চেরিও সেই একই সময়ে আমদানি শুরু হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় আম, বেদানার বেশ কদর রয়েছে। ভারতীয় আম তার স্বাদ, গন্ধ এবং তুলনামূলক সস্তা দামের জন্য গোটা বিশ্বে বিখ্যাত। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে যে এর বিপুল চাহিদা আছে, তা বলাই বাহুল্য। ফাইল ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস (HT_PRINT)
অন্যদিকে ভারতে সময়ের সঙ্গে ভালো মানের পর্কের চাহিদা বাড়ছে। রয়েছে চেরির চাহিদাও। ফলে সেটিও আমদানি হলে বেশ লাভজনক হবে। ফাইল ছবি : রয়টার্স (REUTERS)
5/5অন্যদিকে ভারতে সময়ের সঙ্গে ভালো মানের পর্কের চাহিদা বাড়ছে। রয়েছে চেরির চাহিদাও। ফলে সেটিও আমদানি হলে বেশ লাভজনক হবে। ফাইল ছবি : রয়টার্স (REUTERS)

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি।  যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না।

আমের নায্য মূল্য না পেয়ে একের পর এক আমগাছ কেটে ফেলছেন আমচাষিরা। বর্তমানে ধানের মতো আম চাষ নিয়েও অনীহা লক্ষ্য করা গেছে তাদের মধ্যে।
 

এ অবস্থা চলতে থাকলে জেলার আমনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। আম কেন্দ্রিক অর্থনীতিকে বাঁচাতে প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগসহ সম্মিলিত প্রচেষ্টা। যদিও এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে কৃষি বিভাগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাতরা গ্রামের আমচাষি মজিবুর রহমান। তিনি তার পাঁচ বিঘা জমির আমবাগান থেকে বছরে লাখ টাকা পেলেও পরিচর্যা খরচ বাদ দিয়ে প্রায় অর্ধেক টাকা ঘরে আনতে পারতেন। আবার কোনো কোনো বছর লোকসানও গুণেছেন। কিন্তু চলতি বছর বাগানের সব আমগাছ কেটে বিক্রির পর আমের কারণে বাকিতে কেনা সার ও কীটনাশকের দোকানের বকেয়া মিটিয়ে দিয়েছেন। এরপর যে টাকা ছিল, তা দিয়ে শুরু করেন সবজি চাষ। সবজি চাষে এখন তিনি স্বাবলম্বী।

তিনি বলেন, আমবাগান করব কুন দুঃখে? খালি (শুধু) লস আর লস। এখন হামি বাগুন (বেগুন) আর স্ট্রবেরি চাষ কর‌্যা ভালো আছি। নিজেও খ্যাতে পারছি, ফের বেচতেও পারছি।

তিনি আরও জানান, তাদের পাঁচ বিঘা জমির প্রায় ১০০ আমগাছের সবগুলোই কেটে ফেলেছেন।
 
শুধু মজিবুর একা নন। আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জের অধিকাংশ ব্যবসায়ী গত পাঁচ বছর ধরে লোকসান গুণছেন। আমনির্ভর অর্থনীতির ওপর জেলার ৭০ ভাগ মানুষ নির্ভরশীল হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল- বিশেষ করে পাশের জেলা নওগাঁয় আমের ব্যাপক চাষের কারণে আমের দাম পাচ্ছে না কৃষকরা। পরিচর্যা খরচ বাড়লেও সে অনুযায়ী আমের দাম না থাকায় আমবাগানগুলো এখন চাষিদের গলার কাঁটা। মূলত উৎপাদন যে হারে বেড়েছে, সে হারে চাহিদা না বাড়ায় এবং দেশের কয়েকটি জেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আগেই আম বাজারজাত হওয়ায় দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। শুধু তাই নয়, নওগাঁসহ অন্যান্য জেলাগুলো ৫২ কেজিতে মণ ধরে আম বিক্রি করায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকদেরও প্রতিযোগিতা করে একই পদ্ধতিতে আম বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে প্রতারিত হচ্ছেন চাষিরা। আর এসব কারণেই একের পর এক বাগান কেটে ফেলছেন তারা।  

বড় বড় বাগান এখন ধূ ধূ মাঠে পরিণত হয়েছে। সবজির দাম বেশি হওয়ায় কেউ কেউ বাগান কেটে সবজি চাষ করছেন। কেউ বা করছেন বিভিন্ন জাতের অসময়ের ফল ও হাইব্রিড আম চাষ। আবার অনেকে বেশি লাভের আশায় গড়ছেন বাণিজ্যিক ভবন।

জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় শিবগঞ্জের একাডেমি মোড়ে মঈন খানদের পারিবারিক আমবাগানের সব গাছ কেটে প্লট তৈরি করে বিক্রি করে দিচ্ছেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এরই মধ্যে প্রায় ৫০টি আম গাছ কেটে ফেলে মাটির ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। দেওয়া হয়েছে প্লট বিক্রির সাইনবোর্ড।

পাশের আমবাগানের মালিক ইসমাঈল হোসেন শামিম তার বাগানের চার ভাগের তিন ভাগ আম গাছ কেটে তৈরি করছেন হাইব্রিড আমের বাগান। আল্ট্রা হাই ডেনসিটি পদ্ধতিতে আমবাগান করে তিনি স্বপ্ন দেখছেন বিগত বছরগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখার।

এ ব্যাপারে আমচাষি ইসমাঈল হোসেন শামিম বলেন, এ পদ্ধতিতে অসময়ে অল্প জায়গায় কম পরিচর্যা ও খরচে অনেক বেশি আম পাওয়া যাবে। তাই বাগানের ১০টি আম গাছ কেটে ৩০০ হাইব্রিড আম গাছ লাগিয়েছি।

তিনি জানান, এ ধরনের বাগানের গাছগুলো সাইজে ছোট হওয়ায় কম সার ও সেচ দিতে হয়। শ্রমিক না পাওয়া গেলেও নিজে নিজেই পরিচর্যা করা যায়। এতে করে পরিচর্যা খরচও কম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের আম চাষি মেহমুদ মিঞা জানান, বাগান পরিচর্যা খরচ বেশি হওয়ায় এবং কয়েক বছর ধরে আমের ন্যায্য দাম না পেয়ে তিনি তার ১০ বিঘা আমবাগানের গাছ কেটে ফেলেছেন। ওই জমি বিঘা হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে এক বছরের জন্য ভাড়া দিয়েছেন এক সবজি চাষিকে।

একই এলাকার অপর আমচাষি মাসুদ রানা জানান, এভাবে আমচাষিরা লোকসান গুণতে থাকলে এক সময় আমচাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। তাই দ্রুত আমের বহুবিধ ব্যবহার বাড়িয়ে আমের চাহিদা বাড়াতে হবে। আর উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি চাহিদা বাড়লে আমের দাম পাবেন চাষিরা।

এ ব্যাপারে বরেন্দ্র কৃষি উদ্যোগ ও কৃষি পণ্য বিতরণ সমবায় সমিতির সভাপতি তরুণ উদ্যোক্তা মুনজের আলম জানান, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে সম্ভাবনাময় এ শিল্পটিকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। আর এ জন্য দেশের বাইরে আম রপ্তানি বাড়াতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে হলে পরিবহন খরচ কমাতে হবে। আম থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবর উৎপাদনে শিল্প উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তবেই আমের চাহিদা বাড়বে। কৃষক আমের নায্য মূল্য পাবেন।

অপরদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম জানান, জেলার নাচোল ছাড়া শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, সদর ও ভোলাহাট উপজেলায় শুধু পুরাতন বড় বড় আম গাছ কাটা হচ্ছে। আমবাগান কাটা হলেও সেসব স্থানে লাগানো হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে হাইব্রিড জাতের আম গাছ। তাই জেলায় আমবাগান যেমন বাড়ছে, তেমনি উৎপাদনও বাড়ছে।  

উৎপাদন বাড়লেও চাহিদা না থাকায় দাম না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি বড় আম না হওয়া আমগাছ কেটে অন্তত ১০টি হাইব্রিড আম গাছ লাগানোর ফলে উৎপাদন বাড়ছে। তাছাড়া সরকার সারে ভর্তুকি দেওয়ায় এবং কীটনাশকের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকায় পরিচর্যা খরচ খুব একটা বাড়েনি।  

তার দাবি, এ বছর আমবাগান ও আমের উৎপাদন দু’টিই বেড়েছে। কৃষকও অসময়ের আম উৎপাদন ও বেশি আম উৎপাদন করে বেশি লাভবান হচ্ছেন। সেই সঙ্গে আমের রপ্তানি বাড়াতে কৃষি বিভাগ এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। আর আম বিদেশে রপ্তানি বাড়লে কৃষক আমের দাম পাবেন।

কৃষি সম্প্রসারন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে পুরনো গাছের সংখ্যা ৫০ লাখ। যার মধ্যে পাঁচ লাখ আম গাছ কাটা হয়েছে।

Monday, 10 January 2022 18:24

ইলামতি আম Ilamoti Mango

Written by

 আম ( Mango) এর নতুন নাবি (বিলম্বে ফলন হয়) জাতের সন্ধান মিলেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। বিশেষ বৈশিষ্ট্যের এ জাতের আম ( Mango)টিকে সংগ্রামী কৃষক নেত্রী ইলামিত্রের নাম অনুসারে ইলামতি রাখার প্রস্তাবও দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। প্রকৃত আম ( Mango) প্রেমীদের অসময়ে খাওয়ার চাহিদা মিটাবে এ জাত, এমনটিই বলছে কৃষি বিভাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার গোমস্তাপুরে একটি আম ( Mango) বাগানে ইলামতি আম ( Mango) এর ৫টি গাছ ছিল। সাধারণত ওই বাগান মালিক এ গাছগুলোকে গুটি জাতের আম ( Mango) হিসেবে ধারণা করতেন। উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের বেলাল বাজার এলাকায় আতিকুল ইসলামের আম ( Mango) বাগানে দেখা মিলেছে এই নাবি জাতের আম ( Mango)।

আতিকুল ইসলাম বলেন, বাগানে প্রচলিত আম ( Mango)গাছের পাশাপাশি ইলামতি আম ( Mango) এর ৫টি গাছ ছিল। সাধারণত এ আম ( Mango) এর গাছগুলোকে গুটি কিংবা আশ্বিনা আম ( Mango) এর সঙ্গে বিক্রি করে দিতাম। গত ২০১৬ সালের আম ( Mango) এর মৌসুমের শেষদিকে ভাবলাম এ ৫টি গাছের আম ( Mango) পাড়ব না। পর্যবেক্ষণ করে দেখব এবার কতদিন পর এ গাছের আম ( Mango)গুলো পাকে। পরে দেখলাম অক্টোবর মাসের প্রায় মাঝামাঝিতে আম ( Mango)গুলো পাকছে। তিনি আরও বলেন, এভাবে বছর তিনেক পার হলে আম ( Mango)ি চৌডালা ইউনিয়নের তৎকালীন কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ ইসলামকে জানাই। এরপর তিনি নিজে সেই মৌসুমে পর্যবেক্ষণ করেন গাছের বৈশিষ্ট্যগুলো। কিছুদিনের মাথায় হাবিবুল্লাহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে উদ্যানতত্ত¡বিদ হিসেবে বদলি হন। বদলি হলেও হাবিবুল্লাহ গাছগুলো পর্যবেক্ষণেই রেখেছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, আম ( Mango)রা জানি এ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য ইলামিত্র অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কৃষকদের প্রতি ইলামিত্রের ত্যাগ ও ভালবাসাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নাবি জাত হিসেবে খ্যাত আম ( Mango)টির নামকরণ ‘ইলামতি’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নাবি জাত হিসেবে গৌড়মতি মুক্তায়িত করেছিলাম। আম ( Mango)াদের সন্ধান পাওয়া এই আম ( Mango)টি গত ২ বছর পর্যবেক্ষণ করেছি। এ আম ( Mango) এর মিষ্টতা গৌড়মতি আম ( Mango)কেও ছাড়িয়েছে। যারা প্রকৃত আম ( Mango)প্রেমী, তাদের হতাশ করবে না এ জাত। সাধারণত আশ্বিনা দিয়ে আম ( Mango) এর মৌসুম শেষ হয় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে, কিন্তু এ জাতের আম ( Mango)টি অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে পাকা শুরু করবে, থাকবে নবেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। নাবি জাত হিসেবে আম ( Mango)টি সম্ভাবনাময় জাত। নতুন জাত হিসেবে এর মুক্তায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।

 


যদিও কেনিয়ার আম সব সম্ভাব্য কৃষি জলবায়ু অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে
কীটপতঙ্গ এবং রোগের সাথে তুলনামূলকভাবে কয়েকটি বড় সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা হতে পারে
বেশ কয়েকটি ব্যবস্থাপনার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, উদাহরণস্বরূপ:
• সঠিক বাগানের স্থান নির্বাচন
• জাত নির্বাচন
• নিয়ন্ত্রিত সার প্রয়োগ
• সময়মত স্প্রে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম
• বাগান স্যানিটেশন
• সেচের সময়
যাইহোক, এমনকি যখন এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কোন নিশ্চয়তা নেই যে কিছু
এই একগুঁয়ে কীটপতঙ্গ/রোগ ঘটবে না। ঘন ঘন গাছ পরীক্ষা করা উচিত
কোন সংক্রমণের জন্য পরীক্ষা করুন যাতে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, বিশেষ করে রপ্তানি ফলের জন্য, করতে পারে
ব্যাপক ক্ষতি ঘটতে পারে আগে প্রয়োগ করা.
যেখানে নির্দিষ্ট কীটনাশক/ছত্রাকনাশক নিম্নলিখিত পাঠ্যে উল্লেখ করা হয়েছে,
এগুলি সাধারণত উদাহরণ হিসাবে দেওয়া হয় এবং অন্যদের একচেটিয়া হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়।
উপরন্তু, একটি সক্রিয় উপাদান হিসাবে যতটা সম্ভব ট্রেড নাম এড়ানো হয়েছে
বিভিন্ন নির্মাতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ট্রেড নাম থাকতে পারে। এটি ঘোরানো গুরুত্বপূর্ণ
কীটনাশক যাতে বিশেষ করে নার্সারিতে কোনো প্রতিরোধ গড়ে না ওঠে। লেখক আছে
পূর্বে তার ক্ষেত্র গবেষণা ট্রায়ালের সময় উল্লিখিত কীটনাশক ব্যবহার করেছিলেন যদিও
পাঠককে তার/তার উদ্যান সম্প্রসারণ কর্মকর্তার সাথে চেক করার জন্য দৃঢ়ভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে
সর্বশেষ নিয়ন্ত্রণ সুপারিশ এবং সংশ্লিষ্ট সুপারিশকৃত প্রাক-ফসলের ব্যবধান
( পরিশিষ্ট 6 দেখুন)।
যেসব এলাকায় রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ এজেন্ট পাওয়া যায় না বা সাশ্রয়ী হয় তা সম্ভব
ফাইটোপেস্টিসাইড ব্যবহার করুন। Tephrosia vogelii এবং Azadirachta indica (নিম গাছ) সম্ভবত
সবচেয়ে সহজলভ্য।
আমের ফলের মাছি
বিভিন্ন ধরনের ফলের মাছি প্রায় সব আমেই পাকা আম আক্রমণ করে বলে জানা যায়-
উৎপাদন এলাকা। 50% এর বেশি ফলন ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। সেরাটাইটিস কোসাইরা
এর পরে সি . রোজা এবং সি. ক্যাপিটাটা আমের প্রধান কীটপতঙ্গ হিসেবে পাওয়া গেছে।
স্ত্রীরা ডিম পাড়ে ফলের চামড়ার নিচে। হ্যাচিং পরে,
ম্যাগটস মাংসে প্রবেশ করে এবং ভিতর থেকে ফল ধ্বংস করে। আক্রান্ত অংশ হয়ে যায়
মসৃণ এবং ইতিমধ্যে অকেজো ফলের অকাল রঙের কারণ। কারো কারো ফল
জাতগুলি অন্যদের তুলনায় আক্রমণের জন্য বেশি সংবেদনশীল। ফলের সফল নিয়ন্ত্রণ
আমের বাগানে মাছি একটি সংমিশ্রণের উপর নির্ভর করে:
• অ-অর্থনৈতিক হোস্ট উদ্ভিদ নির্মূল (যেমন অবহেলিত সাইট্রাস, পীচ,
পেয়ারা)
• নিয়মিত বাগান স্যানিটেশন
পৃষ্ঠা 20
• ফাঁদ ব্যবহার করে জনসংখ্যার ঘনত্ব নির্ণয়
• নিয়মিত বিষ-টোপ প্রয়োগ
বাগানে প্রাপ্তবয়স্ক ফলের মাছি রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ সাপ্তাহিক টোপ স্প্রে উপর ভিত্তি করে:
ম্যালাথিয়ন, ট্রাইক্লোরফোন, ফেনিট্রোথিয়নের সাথে মেশানো প্রোটিন হাইড্রোজাইলেট বা গুড়
বা ফেন্থিয়ন। টোপটি 200-1000 মিলি/গাছ হারে বড় ফোঁটাতে প্রয়োগ করা হয়,
গাছের আকারের উপর নির্ভর করে। পুরো গাছ ভেজাতে হবে না; শুধুমাত্র অংশ
পাতা আবৃত করা প্রয়োজন।
আমের বীজ পুঁচকে
পুঁচকে , Sternochetus mangiferae (F), কেনিয়ার একটি সাধারণ কীট এবং এটি পাওয়া যায়
সমস্ত স্থানীয় আম চাষী এলাকায়। এটি মূলত সংক্রমিত পরিবহনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে
ফল যেহেতু আমের বীজের মধ্যে পুঁচকে জন্মায় এবং তাই পরিবহন করা যায়
সহজেই এক এলাকা থেকে অন্য লোকালয় অলক্ষিত। আমের পুঁচকে সাধারণত হয় না
ফলের ক্ষতি করে এবং ফলস্বরূপ স্থানীয়ভাবে খাওয়ার মতো গুরুতর কীটপতঙ্গ নয়
ফল উদ্বিগ্ন। যাইহোক, এই কীট একটি তাজা ফলের বিকাশে বাধা দেয়
রপ্তানি বাজার কারণ মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য নেতৃস্থানীয় আমদানি দেশ
জায়গাগুলি কঠোর কোয়ারেন্টাইন প্রবিধান বজায় রাখে।
রোগের উপসর্গ বীজের মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট যেখানে পুঁচকে থাকে
এর জীবনচক্র সম্পূর্ণ করে। এখানে কীটপতঙ্গের বিকাশের সমস্ত পর্যায় - লার্ভা, পিউপা এবং
প্রাপ্তবয়স্কদের- খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। বাহ্যিকভাবে আক্রান্ত ফল স্বাভাবিক দেখা গেলেও প্রায়ই দেখা যায়
ভেতর থেকে পচন ধরে।
স্ত্রী সাধারণত 5-6 সপ্তাহের মধ্যে ডিম পাড়ে ফলের আগে
অর্ধ-বড় হ্যাচিং সময়কাল 3-5 দিন। তরুণ লার্ভা ফলের মধ্যে প্রবেশ করে
এবং তারা বীজ যেখানে তারা খাওয়ায় এবং প্রাপ্তবয়স্ক পুঁচকে পরিণত হয় তাদের পথ খাওয়া. এইগুলো
ফলের মাংস এবং চামড়ার মধ্য দিয়ে বাইরের দিকে সুড়ঙ্গ করে পাথর থেকে বের হওয়া,
একটি কুৎসিত প্যাচ রেখে যেখানে শীঘ্রই পচন ধরে। পুঁচকেরা চলে গেলে
ফল তারা লুকানোর জায়গা খোঁজে যেমন গাছের আলগা ছালের নিচে বা বর্জ্যে
গাছের নীচে উপাদান যেখানে তারা বছরের সময় ব্যয় করে যা প্রতিকূল
তাদের
আজ পর্যন্ত, এই কীটপতঙ্গের বিরুদ্ধে রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা লাভজনক প্রমাণিত হয়নি।
তবে নিচের তিনটি ধাপ বাস্তবায়ন করলে অবশ্যই পুঁচকে কমবে
বাগানে জনসংখ্যা।
বাগান এবং উঠানের স্যানিটেশন
সংক্রমণের সবচেয়ে বড় উৎস হল চারপাশে পড়ে থাকা ফল বা বীজ
পুঁচকেরা প্রায় 300 দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। অতএব, নিয়মিত অপসারণ এবং ধ্বংস
ফসল কাটার সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত বর্জ্য পদার্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর।
ট্রাঙ্ক এবং শাখা চিকিত্সা
নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পর্যায় হল এর উত্থান এবং ডিম্বাশয়ের সময়
প্রাপ্তবয়স্ক পুঁচকে পুঁচকে জনসংখ্যা দমনের প্রথম পদক্ষেপটি বাস্তবায়িত হয়
দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগ ব্যবহার করে আমের ফুলের মৌসুমের শুরু
পৃ
কীটনাশক যেমন আজিনফস, এন্ডোসালফান, ম্যালাথিয়ন এবং ফেন্থিয়ন। এটা গুরুত্বপূর্ণ
পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ভেজা (স্প্রে করে) ট্রাঙ্ক এবং ভারা শাখা বা ব্রাশের ছাল
কীটনাশক একটি উপযুক্ত বাহকের সাথে বাকলের সাথে মেশানো হয়।
ফলের চিকিত্সা
ফল সেট করার পরে, স্প্রে চিকিত্সা পরিচালনা করুন যা প্রধানত একক ফল ব্যবহার করে ফোকাস করে
কার্বোসালফান, ম্যালাথিয়ন, আজিনফস ইত্যাদি একটি স্প্রেডার/স্টিকার তরলের সাথে মেশানো। পুনরাবৃত্তি করুন
2-3 সপ্তাহের ব্যবধানে প্রয়োগ করুন এবং এটি অ্যানথ্রাকনোজ নিয়ন্ত্রণের সাথে একত্রিত করুন।
আম সাধারণত তিন থেকে চারটি কীট দ্বারা আক্রমণ করে যার জন্য বার্ষিক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন
পরিমাপ যাইহোক, মাঝে মাঝে কিছু কীটপতঙ্গ হতে পারে
শুধুমাত্র স্থানীয় এলাকায় বা অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে অসুবিধাজনক
পরিস্থিতি এই পোকার মধ্যে রয়েছে মাইট, থ্রিপস, স্কেল, সিসিড ফ্লাই এবং মেলিবাগ।
চূর্ণিত চিতা
Oidium mangiferae নামক ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট পাউডারি মিলডিউ রোগটি মারাত্মক
কেনিয়ার সব আম চাষি এলাকায় সমস্যা। সংক্রমণের ফলে সম্পূর্ণ ফসল হতে পারে
গাছের ক্ষয় এবং পতন। রোগটি শীতল এবং মেঘলা আবহাওয়ার পক্ষেও কিন্তু
উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ু পরিস্থিতিতে ঘটে। এটি পাতা, কুঁড়ি, ফুল এবং আক্রমণ করে
তরুণ ফল। সংক্রামিত টিস্যুগুলি ছত্রাকের সাদা, পাউডারযুক্ত বৃদ্ধি দ্বারা আবৃত থাকে।
পরিপক্ক স্পোরগুলি সহজেই বাতাসের দ্বারা উড়িয়ে দেওয়া হয় এবং একটি নতুন সংক্রমণ তৈরি করে, বা তারা
অনুকূল অঙ্কুরোদগমের অপেক্ষায় প্রতিকূল ঋতুতে সুপ্ত থাকতে পারে
পরবর্তী মরসুমে পরিস্থিতি। থেকে 10-14 দিনের ব্যবধানে 3-5 বার স্প্রে করা
ফুল ফোটা শুরু না হওয়া পর্যন্ত ফল সেট পাউডারি মিলডিউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে
সুপারিশ করা হয়েছে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বেনোমিল,
পাইরাজোফস, ট্রায়াডিমেফন, বুপিরিমেট, ট্রাইফোরিন এবং সালফার, সব একটি স্প্রেডারের সাথে মিশ্রিত/
স্টিকার
পাউডারি মিলডিউর জন্য এইভাবে চিকিত্সা করা জাতগুলি ফলের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখায়
সেট প্রায় 40% থেকে 500% এর বেশি। প্রয়োগ করা স্প্রে ইনপুট খরচ
প্রতি গাছ ন্যায্য কারণ তারা বর্ধিত রিটার্ন দ্বারা সম্পূর্ণরূপে পুনরুদ্ধার করা হয়.
পরিশেষে, ইতিমধ্যে উল্লিখিত হিসাবে, সব আমের জাতই গুঁড়া চিড়ার জন্য সংবেদনশীল
কিছু পরিমাণে সংক্রমণ। প্রতিরোধের পরিসর (সেনসেশন সবচেয়ে বেশি
প্রতিরোধী) হতে পারে: সেনসেশন, চিনো, ভ্যান ডাইক, টমি অ্যাটকিন্স, সাবিন, কেন্ট, কেট,
Gesine, Batawi, Apple, Ngowe, Haden, Maya.
অ্যানথ্রাকনোজ
পাউডারি মিলডিউ ছাড়াও কোলেটোট্রিকাম ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট অ্যানথ্রাকনোজ
gloeosporioides, নিঃসন্দেহে সবচেয়ে সাধারণ এবং ব্যাপক ছত্রাকের রোগ
আম এবং একটি প্রধান ফ্যাক্টর যেখানে উচ্চ পরিস্থিতি সেখানে উৎপাদন সীমিত করে
আর্দ্রতা বিরাজ করে। ছত্রাক ফুল, ফল, পাতা এবং ডাল আক্রমণ করে। যথেষ্ট
এই রোগের কারণে ক্ষতি শুধুমাত্র অকাল পর্যায়ে নয় প্রতি বছর রেকর্ড করা হয়
ক্রপ কিন্তু সংগ্রহ করার পরে স্টোরেজ সময়.

আর্দ্রতা, বৃষ্টি এবং ভারী শিশির গুরুতর সংক্রমণের সময় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়
রোগের ঘটনা। বেশিরভাগ সংক্রমণ ফুল ফোটার শুরু থেকে ধীরে ধীরে ঘটে
ফল প্রায় অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত তীব্রতা হ্রাস পায়। ফুলের উপর সংক্রমণ এবং
প্যানিকেল প্রথমে বাদামী বা কালো দাগ হিসাবে দেখা দেয় যা ধীরে ধীরে বড় হয়। সংক্রামিত
ফুল সাধারণত শুকিয়ে যায় এবং ফল সেট হওয়ার আগেই মারা যায়।
কচি ফল সহজেই সংক্রমিত হয়। দাগ সুপ্ত সংক্রমণ হিসাবে বা থাকতে পারে
তারা ভেজা আবহাওয়ায় বড় হতে পারে। আর্দ্র আবহাওয়াও বৈশিষ্ট্যযুক্ত টিয়ার-দাগ সৃষ্টি করে
বৃষ্টির ফোঁটা দ্বারা ছত্রাকের স্পোর ছড়িয়ে পড়ার কারণে লক্ষণ। সুপ্ত সংক্রমণ উপর
অল্প বয়স্ক ফলগুলি বেশিরভাগ ক্ষয় ঘটায় যা পরিপক্ক ফলগুলিতে ঘটে। প্রায় পরিণত
পাকা ফলের বিভিন্ন আকারের কালো দাগ থাকবে যা কিছুটা ডুবে যেতে পারে এবং দেখা যেতে পারে
উপরিভাগের ফাটলগুলি গভীরভাবে ফলের মধ্যে প্রবেশ করে যা ব্যাপক পচন বা সম্পূর্ণরূপে পরিণত হয়
ফলের পৃষ্ঠ কালো করা।
রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাগানের স্যানিটেশন এবং মরা ডাল ও ডাল ছাঁটাই-
যেটি ছত্রাককে আশ্রয় দিতে পারে—কমানোর জন্য ব্যবহৃত প্রধান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
একটি নতুন সংক্রমণ চক্রের উত্স। inoculum এর ব্যাপক ঘটনা
ছত্রাক ছাঁটাই এবং অপসারণের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব করে তোলে
একা পাতা ফেলে। আরো সফল হতে, উপরে উল্লিখিত ব্যবস্থা করতে হবে
ম্যানকোজেব, কপার অক্সিক্লোরাইড, মানেব, ব্যবহার করে স্প্রে অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা পরিপূরক হবে
প্রোপিনেব, বেনোমিল ইত্যাদি।
ফুল-কুঁড়ি গঠনের পর্যায়ে স্প্রে করা শুরু করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সময়
ফুল/ফলের সেট এবং যতক্ষণ না ফলগুলি তাদের আকারের অর্ধেক হয়ে যায়, স্প্রে করা
পাক্ষিক বিরতিতে সঞ্চালিত করা উচিত. এর পরে, গাছের চিকিত্সা করা যথেষ্ট
মাসে এক বার. প্রথম দুটির জন্য একটি ফুল কভার স্প্রে প্রয়োগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
অ্যাপ্লিকেশন যেহেতু এই সময়কালটিও সমালোচনামূলক পর্যায়ে যার সময় পাউডারি মিলডিউ
এবং আমের পুঁচকে আক্রমণ, প্রতিকার ব্যবহার করে প্রয়োগ করা উচিত
সুপারিশকৃত ছত্রাকনাশক/কীটনাশক সংমিশ্রণ।
সমস্ত জাত কিছু পরিমাণে অ্যানথ্রাকনোজের জন্য সংবেদনশীল। প্রতিরোধের পরিসীমা
(টমি অ্যাটকিনস সবচেয়ে প্রতিরোধী হওয়ার সাথে) হল: টমি অ্যাটকিন্স, ভ্যান ডাইক, সাবিন,
Ngowe, Gesine, Apple, Keitt, Kent, Kensington, Chino, Sensation, Batawi, Boribo,
হেডেন, মায়া।

 

Monday, 10 January 2022 16:48

ম্যাংগোপিডিয়া Mangopedia

Written by

আম একটি ফল যা বিশ্বের গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় দেশগুলিতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। অ্যানাকার্ডিয়াসি পরিবারের আমের উৎপত্তি, ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা, প্রাচীনকালে হারিয়ে গেছে। কিছু কর্তৃপক্ষের মতে, উদ্যানের রূপগুলি এম. ইন্ডিকা প্রজাতি থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা বাংলাদেশ, আসাম (ভারত) এবং মায়ানমার সহ ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে আদিবাসী বলে বিবেচিত হয়। অন্যান্য প্রজাতি, যেমন এম. লরিনা, সম্ভবত মালয় অঞ্চলে উদ্ভূত। খুব কম ফলই আমের মতো ভারতের লোককাহিনী এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সাথে এতটা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
আম

কথিত আছে যে বুদ্ধ নিজে একটি আমের বাগান দিয়েছিলেন, যাতে তিনি এর সুন্দর ছায়ায় বিশ্রাম পেতে পারেন। প্রাচীনকালে আমের মূল্য ও গুরুত্ব তার একটি সংস্কৃত নাম দ্বারা প্রমাণিত হয়, আম, যার অর্থ সঞ্চিত খাদ্য বা বিধান। 632 থেকে 645 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ভারত সফরকারী প্রখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হুয়েন সাং-কে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বহির্বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। 1556 থেকে 1605 সাল পর্যন্ত তার শাসনামলে, মুঘল সম্রাট আকবর ভারতের লাখ বাগের দরভাঙ্গার কাছে একটি বাগানে প্রায় 100,000 আম গাছ রোপণ করেছিলেন। এটিকে উপমহাদেশের প্রথম সংগঠিত আম বাগান বলে মনে করা হয়।

আম নামটি, যার দ্বারা ফলটি ইংরেজি এবং স্প্যানিশ-ভাষী দেশগুলিতে পরিচিত, তামিল ম্যান-কি বা ম্যান-গে থেকে উদ্ভূত, যা পর্তুগিজরা পশ্চিম ভারতে বসতি স্থাপনের সময় মাঙ্গা হিসাবে গ্রহণ করেছিল। পশ্চিম গোলার্ধে আম গাছের প্রবর্তন প্রায় 1700 সাল পর্যন্ত ঘটেনি, যখন এটি ব্রাজিলে রোপণ করা হয়েছিল। সেখান থেকে এটি 1740 সালের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে পৌঁছে। কিছু বন্য প্রজাতি গ্রীষ্মমন্ডলীয় আমেরিকায় জন্মায়। যেহেতু একটি আম গাছ বৈচিত্র্যময় কৃষি আবহাওয়ায় ভাল জন্মায়, তাই এটি এখন বিশ্বের অনেক দেশে দেখা যায়।

গাছটি চিরহরিৎ এবং একটি বড়, পুরু এবং রুক্ষ কাণ্ড রয়েছে; কিছুটা কালো ছাল, ছড়িয়ে থাকা শাখা; এবং পাতার একটি ঘন মুকুট। প্রশস্ত ব্যবধানে রোপণ করা হলে, গাছটি একটি ছাতা-আকৃতির শীর্ষ নেয় এবং 20 মিটারের বেশি লম্বা এবং 30 মিটার চওড়া হতে পারে। কাঠ ধূসর, মোটা দানাযুক্ত, তরুণ গাছে হালকা এবং নরম, তবে পুরানো গাছগুলিতে শক্ত। একটি শাখার শেষ প্রান্তে তাদের ভিড় থাকতে দেখা যায়। ফুলগুলি, যা ছোট, সাদা হলুদ, বা বেগুনি এবং সুগন্ধযুক্ত, বড় টার্মিনাল প্যানিকলে বহন করা হয়। একটি পুষ্পমঞ্জরীতে 100-250টি ফুলের কুঁড়ি থাকতে পারে, যার সবকটিই খুলতে পারে না।

ফুল একলিঙ্গী বা উভকামী হতে পারে এবং স্ত্রী ফুল বিরল। ফল নির্ধারণের পরিমাণ গাছে সম্পূর্ণ ফুলের অনুপাত বা সংখ্যার উপর নির্ভর করে। প্রায় এক হাজারের মধ্যে মাত্র একটি বা দুটি ফুল পরিপক্ক ফল হতে পারে। একটি প্যানিকেলের মধ্যে দুই থেকে তিনটি ফল প্রায়ই একটি সন্তোষজনক ফসল দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

ফল মসৃণ, সামান্য সংকুচিত, মাংসল, এক বীজযুক্ত ড্রুপ। ফর্ম ডিম্বাকৃতি, গোলাকার, হৃদয় আকৃতির, কিডনি আকৃতির, বা দীর্ঘ এবং সরু, মেসোকার্প তন্তুযুক্ত বা অ-তন্তুযুক্ত হতে পারে। অল্প বয়স্ক ফলগুলি সাধারণত সবুজ হয় এবং পাকলে সবুজ হলুদ, হলুদ, কমলা, লাল, প্রায়শই বিভিন্ন শেডযুক্ত হতে পারে বা এমনকি সবুজ থাকতে পারে। একটি পরিপক্ক ফল আকার এবং চরিত্রে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। সবচেয়ে ছোট আম বরই থেকে বড় নয়, অন্যগুলোর ওজন 750 গ্রাম থেকে 1 কেজি হতে পারে।

আমের গাছ সারা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং বেশিরভাগই বাসাবাড়ির বাগান হিসাবে উত্থিত হয়। এদেশের আম প্রধানত দুটি গোষ্ঠীর অন্তর্গত, যেমন, (i) উন্নত বা অভিজাত জাত যা কলম এবং অন্যান্য উদ্ভিজ্জ উপায়ে বংশবিস্তার করা হয়; এবং (ii) স্থানীয় জাত, চারা দ্বারা উত্থিত, জনপ্রিয়ভাবে 'দেশী' বা 'গুটি আম' নামে পরিচিত। পরেরটির কোনও স্বীকৃত বৈচিত্র্যের নাম নেই এবং স্বাদ নিশ্চিত নয়।

বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে উন্নত জাতের আম উৎপন্ন হয়, বেশিরভাগই রাজশাহী, নবাবগঞ্জ এবং দিনাজপুরে জন্মে। এগুলোর বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অভিজাত জাতগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফজলি, ল্যাংদা, গোপালভোগ, হিমসাগর, খিরসাপাত, আশ্বিনা, খিসনবোগ, কুয়াপাহাদি, লতা বোম্বাই, ফোরিয়া, বোম্বাই, কোহিতুর, লক্ষ্মণভোগ, মোহনভোগ, মিসরিভোগ ইত্যাদি।

প্রচার ও চাষ বাংলাদেশে প্রায় 100টি আম পাওয়া যায়। যদিও বৃহত্তর রাজশাহী ও দিনাজপুর জেলা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য বাগান রয়েছে, তবে এর বেশিরভাগই সুসংগঠিত, পুরানো এবং তাই অ-উৎপাদনশীল নয়। বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তাদের বাগান, উদ্যানের ঘাঁটি এবং সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা নার্সারী থেকে অভিজাত আমের জাতগুলির কলম উৎপাদন ও বিতরণের ব্যবস্থা করেছে। অধিকন্তু, রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, এবং জয়দেবপুরে একটি সহ বেশ কয়েকটি বাগান এবং গবেষণা কেন্দ্র/কেন্দ্র/কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে হর্টিকালচার বিভাগ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI), বংশবিস্তার, উৎপাদন, ফসলোত্তর প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করার জন্য।

যদিও আম গাছের বংশবিস্তার বা বহুগুণ ভেজ

Sunday, 09 January 2022 14:29

বারি–১৮ আম

Written by

আম ( Mango ) খাওয়ার মৌসুম শুরু হয় গোপালভোগ দিয়ে। এ আম ( Mango ) যেমন মিষ্টি, তেমন স্বাদে ভরা। ফলে আম ( Mango )টি অনেকের কাছেই জনপ্রিয়। আক্ষেপের বিষয় গোপালভোগের ফলন কম হওয়ায় বাজারেও কম পাওয়া যায়। এটি ভাবিয়ে তোলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দীনকে। তার সেই ভাবনা থেকেই দীর্ঘ গবেষণায় মিলেছে সু-খবর।

গোপালভোগ আর বারি-১ আমের সাথে মিলন ঘটিয়ে (ক্রস) নতুন হাইব্রিড আম ( Mango ) বারি-১৮ উদ্ভাবন করেছেন এই গুণী বিজ্ঞানী। ইতোমধ্যেই বারি ১৮ নামে নতুন হাইব্রিড আমের এ জাতটির নিবন্ধন দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড।

 

 

ড. জমির উদ্দীন বলেন, নতুন আমের এ জাতটি মধ্য জুন থেকে পাকা শুরু করে জুনের শেষ পর্যন্ত গাছে থাকবে। যারা গোপালভোগের মতো আম ( Mango ) খাওয়ার কথা ভাবেন, তাদের জন্য এ জাতটি উদ্ভাবন করা হয়। গোপালভোগ আমে ফলন কম হওয়ায় চাষিরা এ আম ( Mango ) চাষে আগ্রহ হারান। নতুন জাতের আম ( Mango ) চাষে চাষিরা আগ্রহী হবেন।

তিনি আমের গুণ সম্পর্কে বলেন, ল্যাংড়া আম ( Mango ) ছাড়া অন্য কোনো আমে তেমন সুঘ্রাণ পাওয়া যায় না। নতুন এ জাতটিতে মিলেছে সুঘ্রাণ। এ ছাড়াও আম ( Mango )টির ফলন বেশি। গড় ওজনও প্রায় ২৪০ গ্রাম। খাওয়ার অংশ প্রায় ৭৫ ভাগ। মিষ্টতার পরিমাণ শতকরা ২৪.৬৭ ভাগ।

এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে ১৮টি বারি জাতের আমের মধ্যে ১৪টি উদ্ভাবন হয়। তার মধ্যে চারটি হাইব্রিড জাতের উদ্ভাবকই চাঁপাইনবাবগঞ্জ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জমির উদ্দীন। 

 

 

জেলা আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুখলেসুর রহমান বলেন, বারি-১৮ নামে নতুন হাইব্রিড আমের জাতটি চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন পাওয়ার পর সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমাদের কেন্দ্র থেকে চারা-কলম তৈরি করে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে।

 

এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: https://www.risingbd.com

 

Page 8 of 58