x 
Empty Product

নওগাঁর সাপাহারায় সৈয়দপুর গ্রামে রাতের আধারে দুর্বৃত্ত কর্তৃক বিন্নামারা বিষ প্রয়োগ করে এক কৃষকের ২ বিঘা জমির নার্সারীর ১৫ হাজার আমের চারা ও আম গাছ বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।   জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের আতাউর রহমান (৪৫) নামের এক কৃষক ২বিঘা জমিতে আম বাগান ও নার্সারী তৈরি করে আম গাছ রোপণ করেন এবং নার্সারীতে আমের বীজ রোপন করেন।

হঠাৎ গত ১ সেপ্টেম্বর রাতের আধারে কে বা কাহারা আম বাগানে ও নার্সারীতে প্রবেশ করে বিন্নামারা বিষ প্রয়োগ করে বাগানের ও নার্সারীর প্রায় সকল গাছ পুড়ে দিয়েছে। 

এতে করে নার্সারীর প্রায় ১৫ হাজার গাছ নষ্ট হয়েছে বলে বাগান মালিক আতাউর রহমান জানান এবং জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানান তিনি। 

এলাকাবাসী এমরান আলী জানান, বিষয়টি শুনতে পেরে আমি আতাউর রহমানের বাগানে গিয়ে দেখি প্রায় গাছ লালচে ও পুড়ে গেছে।  উপজেলায় একের পর এক বাগানের গাছ দুর্বৃত্ত কর্তৃক নষ্ট করলে এলাকাবাসী আম বাগান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে তাই দ্রুত জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।

 

Published in ব্লগ

পাহাড়ি এলাকায় মিশ্র ফলের বাগান দিনে দিনেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পতিত জমিতে দেশীয় প্রচলিত ফলফলাদির পাশাপাশি অপ্রচলিত বিভিন্ন ফলের চাষাবাদ করে বাণিজ্যিকভাবেও সফল হচ্ছেন অনেকে। সেই পথে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন খাগড়াছড়ির হ্লাচিংমং চৌধুরী। বিচিত্র ও বিলীনপ্রায় বহু প্রজাতির ফলফলাদির গাছের সমাহার ঘটিয়েছেন তার বাগানে।

কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, তার বাগানটি গোটা দেশের অনুকরণীয় মিশ্র ফল বাগান হবে। তার বাগানের প্রধানতম আকর্ষণ হলো, এখানে ৭০ প্রজাতির আম গাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর এ বাগানের নাম রেখেছেন মারমা ভাষায়- ক্রা এ এ অ্যাগ্রো ফার্ম।

পাহাড়ি জেলার খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া হ্লাচিংমং চৌধুরী অনেকের মত চাকরির পেছন পেছন ঘুরে বেড়াননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে মিশ্র ফলবাগানের প্রতি মনোনিবেশ করেন। শুরুর দিকে অনেকটা শখের বশেই পাহাড়ি জমি পরিস্কার করে ফলজ বাগান গড়ে তোলেন তিনি। প্রতিবছর ফল বিক্রির লাভের টাকায় বাগান সম্প্রসারণ করেন।

বর্তমানে তার বাগানের ১০ একর পাহাড়ি ভূমিতে প্রচলিত ফল আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারসের পাশাপাশি অপ্রচলিত ফল লটকন, মাল্টা, আতা, জামরুল প্রভৃতি ফল শোভা পাচ্ছে। এছাড়াও ড্রাগন, ফ্যাশন, রামবুটান, চেরিফল ছাড়াও কলাবতী, মিয়াজাকি, কিউজাই ও রেডলেডির মত বিদেশি আমের গন্ধে মৌ মৌ করছে বাগানটি। এ সময়েও তার বাগানে বিভিন্ন জাতের কিছু আম শোভা পাচ্ছে ।

বিশেষ জাতের আম ‘আম্রপালি’ ছাড়াও তার বাগানেই একমাত্র দেশি-বিদেশি ৭০ প্রজাতির আম গাছ সংরক্ষণ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এজন্য এ বাগানকে জার্মপ্লাজম সেন্টার গড়ে তোলার আশা করছেন তিনি।

এ বাগানের সত্ত্বাধিকারী হ্লাচিংমং চৌধুরী জানান, বাগানে বিচিত্র ও বিলুপ্তপ্রায় বহু প্রজাতির ফলফলাদির সমাহার ঘটানো হয়েছে। এসব ফলফলাদি বিক্রি করে গতবছরের মত এবারও ১০ লাখ টাকা আয় করেছেন।

শুধু মধুমাস জ্যেষ্ঠ নয় বছরের বারোমাস জুড়েই কোন না কোন দেশি-বিদেশি ফল পাওয়া যায় এ বাগানে। কেবল ফলজ বাগানই নয় বনজ ও ঔষধী গাছও দৃষ্টি কাড়ছে সবার। বাগানটি এখন পার্বত্যাঞ্চলের পরিচিত নাম। অনেক পর্যটক ছুটে আসছেন এ বাগান দেখতে।

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মর্তুজ আলী জানান, নিজের প্রচেষ্টা এবং নিষ্ঠার কারণেই হ্লাশিংমং তার বাগানকে দেখার মত করে গড়ে তুলতে পেরেছেন। গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের মিশ্র ফলবাগান হিসেবে এটিকে দেশের মডেল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
 
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুন্সী রাশীদ আহমদ জানান, বিলীন ও হুমকির মুখে থাকা প্রায় সব ধরনের ফলের জাত সংরক্ষণ করায় এই মিশ্র বাগানটি জার্মপ্লাজম সেন্টার হিসেবে একদিন গড়ে উঠবে বলে আশাবাদী কৃষি বিজ্ঞানীরাও।

এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: https://www.somoynews.tv

Published in ব্লগ
Page 12 of 12