হঠাৎ দেখলে মনে হবে আম গাছে কলা ধরেছে। কিন্তু একটু পরখ করলে বোঝা যাবে আসলে কলা নয় আম, গাছে সঠিক ফলটিই ঝুলছে। কলার মত দেখতে হওয়ায় এ জাতটির নামকরণ করা হয়েছে ‘ব্যানানা ম্যাংগো’।
সাধারণ জাতের সাথে এ আমের শুধু চেহারার অমিল নয়, অমিল রয়েছে ফলন, স্বাদ, গন্ধ ও গুনাগুনের দিক থেকেও। যে কারনে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে চাষ হওয়া নতুন জাতের এ আম নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ তৈরী হয়েছে। প্রতিদিনই মানুষ হর্লিকালচার সেন্টারে আসছেন এ আম দেখতে।
মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববীদ আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালে থাইল্যান্ড থেকে তিনি এ আমের ডাল এনে স্থানীয় জাতের আম গাছের সাথে তিনটি (গ্রাফটিং) কলম করেন। কলম থেকে লাগানো তিনটি গাছের প্রতিটিতেই প্রথম বছর গড়ে শতাধিক করে আম ধরে। পরের বছর আরো বেশি আম ধরে। এ বছর তিনটি গাছেই জড়িয়ে আম ধরেছে।
আমিনুল ইসলাম বলেনে, ‘আমাদের দেশে প্রচলিত জাতের চেয়ে এ আমে ফলন দ্বিগুনের বেশি। কলার মত দেখতে এ আম পাকলে দেশী পাকা সাগর কলার মত রং ও চেহারা ধারণ করে। অত্যন্ত মিষ্টি এ আমের বৈশিষ্ট্য এর আটি খুব ছোট ও খোসা পাতলা। যে কারনে পাকা আম প্রায় মাসাধিককাল ঘরে রাখা যায়। তবে প্রচলিত জাতের আমের চেয়ে ফলন দ্বিগুন হওয়ায় এর বানিজ্যিক গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যে কারনে তারা এ বছর বেশ কিছু চারা তৈরী করেছেন।
অন্যান্য সাধারণ মিষ্টি আমের চেয়ে একটু বেশি মিষ্টি। কলার মতো লম্বা বলে একে বলা হয় ‘ব্যানানা ম্যাংগো’। এর খোসা ও আঁটি কাগজের মতোই পাতলা। অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ায় ব্যানানা ম্যাংগো ব্যাপক পরিচিত।
মাগুরা উদ্যানকেন্দ্রের ছোট ছোট তিনটি গাছে প্রতিটিতে ২০-২৫টি করে আম ধরেছে। এই আম একেবারে মৌসুমের শেষে পাকে। ইংল্যান্ড-আমেরিকায় এ আমের খুব কদর। আন্তর্জাতিক বাজারে এই আমের চাহিদা রয়েছে। আবার দেখতেও বেশ নজর কাড়া। এজন্য বাণিজ্যিক চাষের মাধ্যমে ব্যানানা ম্যাঙ্গো ভাগ্য বদলের হাতিয়ার হতে পারে।