হিমাগারের অভাবে আম নষ্ট হচ্ছে রাজশাহীর তানোরে সংরক্ষণের অভাবে প্রতিদিন প্রায় নষ্ট হয় লাখ টাকার আম। আম উৎপাদনে রাজশাহী বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পরই বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র তানোরের স্থান। এ অঞ্চল থেকে প্রতি বছর এলাকার চাহিদা পূরণের পরেও বিপুল পরিমাণ আম দেশের সর্বত্র বাজারজাত করা হয়ে থাকে। অথচ এখন পর্যন্ত আধুনিক পদ্ধতিতে আম সংরক্ষণের জন্য হিমাগারের কোন ব্যবস্থা নেই এ অঞ্চলে। ফলে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার আম নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষকরা। তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানা বড় ছোট মিলে এ অঞ্চলে দুই হাজারেরও বেশি আম বাগান রয়েছে। বর্তমানে এসব বাগান আরো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। আম উৎপাদন করার জন্য প্রতিবছর প্রশিক্ষণ, আম গাছের পরিচর্যা, সার প্রয়োগ, বয়স্ক আম গাছের পরিবর্তে ফলনশীল জাতের নতুন নতুন চারা রোপণ করা হচ্ছে। রোগবালাই ও পোকামাকড় দমন করার জন্য নিয়মিত কাজ করছে চাষিরা। তানোর পৌর এলাকার বেলপুকুরিয়া গ্রামের আম বাগান মালিক মোজাম্মেল হক জানান, আমের ফলন বেশি হলেও প্রয়োজনীয় পৃষ্টপোষকতার অভাবে চাষিরা আমের দাম ভালো বঞ্চিত হয়। বাগান মালিকরা বিভিন্ন দালালের খপ্পরে পড়ে আম অল্প দামে বিক্রি করে। অনেক বাগান মালিক আম সংরক্ষণ করতে না পারায় প্রতি বছর আম পচে নষ্ট হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আম বাগানের উপর বা বাগান করার জন্য সরকার কোন ঋণ প্রদান করে না। তবে সরকার ঋণ প্রদান করলে আম চাষি ও বাগান মালিকেরা লাভবান হতে পারবে বলে জানান তিনি। জানতে চাইলে কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমের ফলন বাড়ানোর জন্য গত কয়েক বছর ধরে কৃষি বিভাগ গাছে মুকুল আসা থেকে নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় চাষিদের। আমের ফলন বৃদ্ধির জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে উন্নত জাতের সুবর্ণ, মল্লিকা, হাইব্রিড-১০, আমকলি, বার মাসি, রত্না, খিরষা, গোপালভোগ, ফজলি, ল্যাংডা আমরোপালী ইত্যাদি আমের চারা আমদানি করে রোপণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, আম উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও সংরক্ষণ ব্যবস্থা একেবারেই নাজুক অবস্থা থাকায় আম চাষিদের প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। আর এ ক্ষতি এড়াতে আম সংরক্ষণে আধুনিক প্রক্রিয়া চালু করা হলে চাষিরা আম চাষে উৎসাহী হবে বলে মনে করেন তিনি