লতা
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 5100
নাবি জাতের আম। জুলাই মাসের মাঝামাঝি পোক্ত হতে শুরু করে। আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। উন্নত জাতের এই আমটির উৎপাদন একেবারেই কম।
নাবি জাতের আম। জুলাই মাসের মাঝামাঝি পোক্ত হতে শুরু করে। আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। উন্নত জাতের এই আমটির উৎপাদন একেবারেই কম।
শুধু নাটোর সদর থানাধীন তেবাড়িয়া, হোগলবাড়িয়া, কুরিয়াপাড়া, একডালা এসকল গ্রামসমুহে কিছু কিছু আমবাগানে লতা আমের গাছ রয়েছে। হোগলবাড়িয়া গ্রামে কগেন্দ্রনাথ ঘোষ ছিলেন একজন বাগানপ্রেমিক। তার বাগানে বহু ভাল জাতের আম গাছ ছিল। বিট্রিশ আমলে তিনি আমের চারার ব্যবসা করতেন। মুর্শিাদাবাদ, মালদহ এবং বিহার অঞ্চল থেকে ভাল ভাল জাতের আমের চারা অমদানি করতেন। লতা আমের একটি চারা তিনি ১৯৩২ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে সংগ্রহ করে নাটোরে তার নিজস্ব বাগানে রোপণ করেছিলেন। সেখান থেকেই আশেপাশের গ্রামে আমটির বিস্তৃতি। ফলটির ওজন ২২৫ থেকে ২৫০ গ্রাম গ্রামের মধ্যে। একেবারে গোলাকার দেখতে। বোটার অংশে ঈষৎ গর্ত। ঠিক কিষানভোগ আমের বোটার অংশ দেখতে যেমন। বোটা শক্ত, ত্বক মসৃণ, খোসা অত্যন্ত পাতলা। শাঁস মোলায়েম, হালকা হলুদ। শাসের অংশ প্রায় ৭৫% (খাদ্যাংশ)। আটি পাতলা কোনো আঁশ নেই। আমটি রসাল, যেন অম্লমধু। মধুর সাথে হালকা টক মিশালে যে স্বাদে আসবে। পোক্ত অবস্থায় গাঢ় সবুজ, ত্বকে সাদা ফোটা ফোটা। পাকলে বোটার আশেপাশে হালকা হলুদ। আমটি কাসুন্দি মাখিয়ে খেতেও মজাদার। ফলটি এখন অবধি তেমন প্রচার পায়নি। বাগানবিলাসী ব্যাক্তিরা তাদের আম বাগানে অন্যান্য বাণিজ্যিক সফল আমের সাথে দু’একটি লতা আমগাছ রেখে দেন। জাতটি নির্বাচিত হওয়া উচিত।
Comments
- No comments found
আমের বাজার দর
ফজলি
হিমসাগর
গোপাল ভোগ
ল্যাংড়া
ক্ষিরসাপাত (জি আই পণ্য)
হাড়িভাংগা
বোগলা গুঠি
লখনা
আম্রপলি
আশ্বিনা
ফজলি কমেন্ট

Leave your comments