মল্লিকা
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 119651
নাবি জাতের আম। উন্নতমানের এই আমটি শংকর জাতের। উত্তর ভারতের বিখ্যাত আম দুসেহরী এবং দক্ষিণ ভারতের অপর একটি বিখ্যাত আম নীলম।
নাবি জাতের আম। উন্নতমানের এই আমটি শংকর জাতের। উত্তর ভারতের বিখ্যাত আম দুসেহরী এবং দক্ষিণ ভারতের অপর একটি বিখ্যাত আম নীলম।
এই দুই জাতের আমের মধ্যে শংকরায়ণ ঘটিয়ে মল্লিকার সৃষ্টি। দুসেহরীর পুরুষ ফুল এবং নীলম জাতের স্ত্রী ফুলের মধ্যে বৈজ্ঞানিকগণ পরাগায়ন ঘটিয়ে মল্লিকা নামের বিখ্যাত আমটি সৃষ্টি করেছেন। নীলম জাতটি নিয়মিত ফলদান করে। অপর পক্ষে দুসেহরীর সুস্বাদু, সুগন্ধযুক্ত ও রসাল। ১৯৭১ সালে মল্লিকা জাতটি ভারতে ছাড় করা হয়। বিগত ১৫ বছরের মধ্যে এই জাতটি বাংলাদেশে আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। রাজশাহীর পবা, মোহনপুর এবং মেট্রোপলিটন এলাকার মল্লিকা আমের চাষ হচ্ছে। আষাঢ় মাসের মাঝা বরাবর বাজারে থাকে। ফলটির ত্বক মসৃণ, পোক্ত অবস্থায় হালকা সবুজ, পাকলে গাঢ় হলুদ রং ধারন করে। ফলটি দেখতে অত্যন্ত আকর্ষনীয়। গড়ন লম্বাটে এবং চ্যাপ্টা, ওজন ৩০০ থেকে ৩৭৫ গ্রামের মধ্যে। নাক বাঁকা এবং স্পষ্ট, খোসা পাতলা, শাঁস শক্ত। শাঁসের রং কমলাভ, আমটি সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু এবং বেশ মিষ্টি। কেটে খাওয়ার উপযোগী আঁটি পাতলা এবং কোনো আঁশ নেই। মিষ্টতার পরিমাণ ২৫%। মোট ভক্ষণযোগ্য অংশের পরিমাণ ৭৪%। পোক্ত অবস্থায় গাছ থেকে সংগ্রহ করার পর ১০ থেকে ১৫ দিন ঘরে রাখা যাবে। গাছের আকৃতি ছোট। প্রতিবছর ফল দেবে। ফলটিকে নিঃসন্দেহে অভিজাত শ্রেণীর আমের মধ্যে গণ্য করা চলে। বাজারে আমটির চাহিদার তুলনায় যোগান অনেক কম। রাজশাহী,, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁর পোরশা এবং সাপাহার অঞ্চলসমূহে যেভাবে এই আমটির চাষ শুরু হয়েছে, আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে এই চাহিদা মিটে যাবে। ২০১০ সালে রাজশাহী শহরের সাহেব বাজারে ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা মণ দরে মল্লিকা বিক্রি হয়েছে।
আরও কিছু ছবিঃ
Leave your comments