x 
Empty Product

ফলের মাছি পোকা

User Rating:  / 1
PoorBest 

আমের ভালো ফলন পেতে হলে বাগান ব্যবস্খাপনার দিকে নজর দেয়া জরুরি। বাগান ব্যবস্খাপনা সঠিক না হলে ফলন আশানুরূপ না হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন দেশের সব এলাকার আমগাছে থোকা থোকা কাঁচা আম শোভা পাচ্ছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে এমন আম দেখে চাষি

আমের ভালো ফলন পেতে হলে বাগান ব্যবস্খাপনার দিকে নজর দেয়া জরুরি। বাগান ব্যবস্খাপনা সঠিক না হলে ফলন আশানুরূপ না হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন দেশের সব এলাকার আমগাছে থোকা থোকা কাঁচা আম শোভা পাচ্ছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে এমন আম দেখে চাষি

ভাইদের সুখের ঢেকুর তোলার সুযোগ নেই। কারণ আম ঘরে আসতে এখনো অনেক প্রতিকূল পরিবেশ পাড়ি দিতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ফলের মাছিপোকা। হ্যাঁ, ফলের এই মাছি পোকাই আপনার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। আমের বয়স দুই মাস থেকে আম সংগ্রহ করা পর্যন্ত এ পোকা আমের ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। বাজারে ভালো দামে আম বিক্রির ক্ষেত্রে এটা বড় সমস্যা। যারা ব্যাপক আকারে আম চাষ করেন তাদের জন্য এটা আরো বড় সমস্যা। কারণ তারা উৎপাদিত আমের বেশির ভাগই রফতানি করেন। পোকায় খাওয়া আম দেশেই বিক্রি করা কঠিন, রফতানি করা তো দূরের কথা।

 মাছিপোকা আক্রমণের প্রাথমিক অবস্খায় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। আম পাকার মৌসুমে স্ত্রী মাছি পরিপক্ব আমের গায়ে ডিম পাড়ে। ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে সাদা কিড়া বের হয়। এ অবস্খায় পাকা আম নরম হয়ে গেলে ম্যাগোট আম থেকে বের হয়ে মাটির গর্তে ঢুকে যায় এবং ছয় দিন পর এটি পুত্তলিতে পরিণত হয়। পুত্তলিতে পরিণত হওয়ার ছয় দিন পর এটি পূর্ণাঙ্গ মাছিপোকায় রূপান্তরিত হয়। প্রাথমিক অবস্খায় মাছিপোকার আক্রমণ বুঝা য়ায় না, তবে ভালোভাবে লক্ষ করলে আক্রান্ত আমের গায়ে ডিম পাড়ার স্খানে ক্ষুদ্র ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। ক্ষত স্খানটি কিছুটা বিবর্ণ হয়ে যায়। আক্রান্ত আম পাকা শুরু হলে আক্রান্ত স্খান থেকে রস ঝরতে দেখা যায়। পাকা আম কাটলে আক্রান্ত আমের শাঁসের ভেতর ১০০ থেকে ১৫০টি সাদা সাদা পোকার কিড়া দেখা যায়। এ পোকায় আক্রান্ত আম অনেক সময় বিকৃত হয়ে যায় বা পচে যায়। এই মৌসুমে মাছিপোকার মাধ্যমে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। কারণ উচ্চতাপমাত্রা ও মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে মাছিপোকা তাড়াতাড়ি বড় হয়।

প্রতিকারের উপায় :
আম গুটি বাঁধার ৫০ থেকে ৫৫ দিন পর প্রতিটি আম কাগজ (ব্রাউন পেপার) দিয়ে মুড়িয়ে দিলে আমকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। ছোট গাছের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি সহজেই ব্যবহার করা যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমের রসের সাথে এক গ্রাম ডিপটেরেক্স মিশিয়ে বিষটোপ বানিয়ে এ বিষটোপ বাগানে রেখে মাছি পোকা দমন করা যেতে পারে। আম পাকার মৌসুমে আমবাগানে ব্লিচিং পাউডার (প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম) স্প্রে করে মাছি তাড়ানো যেতে পারে। আম পাকার মৌসুমে প্রতিটি আম কাগজ (ব্রাউন পেপার) দিয়ে মুড়িয়ে দিলে আমকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে। আমবাগানে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

 

আরও কিছু ছবিঃ

Leave your comments

0
terms and condition.
  • No comments found