x 
Empty Product

আমের শোষক পোকা- Mango hopper (ভিডিও)

User Rating:  / 1
PoorBest 

এ পোকা অন্য সব পোকার চেয়ে আমের বেশি ক্ষতি করে থাকে। বাংলাদেশের সর্বত্র এবং সবজাতে এ পোকা আক্রমণ করে থাকে। সারা বছর আমগাছে এই পোকাগুলো দেখা যায়।

এ পোকা অন্য সব পোকার চেয়ে আমের বেশি ক্ষতি করে থাকে। বাংলাদেশের সর্বত্র এবং সবজাতে এ পোকা আক্রমণ করে থাকে। সারা বছর আমগাছে এই পোকাগুলো দেখা যায়।



ক্ষতির ধরন
আম গাছে কচি পাতা বা মুকুল বের হওয়ার সাথে সাথে এগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ পোকা নিম্ফ ও পূর্ণবয়স্ক উভয় অবস্থায় আমগাছের সব কচি অংশ থেকে গাছের রস চুষে খেয়ে বেঁচে থাকে। নিম্ফগুলো আমের মুকুল থেকে রস চুষে খায় এতে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝরে পড়ে। একটি হপার পোকা দৈনিক তার দেহের ওজনের ২০ গুণ পরিমাণ রস শোষণ করে খায় এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত আঠালো রস মলদ্বার দিয়ে বের করে দেয়, যা মধুরস বা হানিডিউ নামে পরিচিত। এ মধুরস মুকুলের ফুল ও গাছের পাতায় জমা হতে থাকে যার ওপর এক প্রকার ছত্রাক জন্মায়। এই পোকার আক্রমণে আমের উৎপাদন শতকরা ২০-১০০ ভাগ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। তাছাড়া হপার আক্রান্ত গাছের বৃদ্ধি কমে যায়।

প্রতিকার


ক) আম বাগান সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে বিশেষ করে গাছের ডালপালা যদি খুব ঘন থাকে তবে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ছাঁটাই করতে হবে যাতে গাছের মধ্যে প্রচুর আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারে।

খ) আমের মুকুল যখন ৮-১০ সেন্টিমিটার লম্বা হয় তখন একবার এবং আম মটরদানার মতো হলে আর একবার প্রতিলিটার পানিতে ১ মিলি হারে সাইপারমেথ্রিন মিশিয়ে সম্পূর্ণ গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে  হবে।

গ) আমের হপার পোকার কারণে শুটিমোল্ড রোগের আক্রমণ অনেক সময় ঘটে। তাই শুটিমোল্ড দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে সালফার জাতীয় ওষুধ ব্যবহার্য কীটনাশকের সাথে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

 

 

আরও কিছু ছবিঃ

Leave your comments

0
terms and condition.
  • No comments found