নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদের নেতৃত্বে একটি মোবাইল কোর্ট যাত্রাবাড়ী কলাপট্টিতে ৫টি দোকানে সংরক্ষিত কলাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড পরীক্ষণ করে। এতে ইসমাঈল মিয়া, রমজান আলী, মোঃ কামাল, খাজা ভান্ডার ফার্ম এ সংরক্ষিত কলাতে ফরমালিন না পাওয়া গেলেও নূর হোসেনের দোকানে সংরক্ষিত কলাতে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই অপরাধে আদালত নূর হোসেনকে বাংলাদেশ বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ-২০০৫ অনুযায়ী ৮ হাজার টাকা জরিমানা এবং সংরক্ষিত কয়েক হাজার কলা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর একটি মোবাইল কোর্ট শহরের বাদামতলীতে আমের আড়তে রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি পরীক্ষা করে। এতে ১০টি প্রতিষ্ঠানে রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি সনাক্তকরণের পরীক্ষা করা হলে মেসার্স দেওয়ান ট্রেডার্স-এর সংরক্ষিত আমে ক্যালসিয়াম কার্বাইডের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে এর স্বত্বাধিকারী মোঃ পারভেজ (৪০)কে বাংলাদেশ বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ-২০০৫ অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সংরক্ষিত ২০ কেজি আম ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। অতঃপর জাকির হোসেনের আড়তে সংরক্ষিত আমে ক্যালসিয়াম কার্বাইডের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে এর স্বত্বাধিকারী জাকির হোসেন (৪২)কে একই অপরাধে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সংরক্ষিত ১২৬ কেজি আম ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাশেনূন কাদেরের নেতৃত্বে অপর আরো একটি মোবাইল কোর্ট মিরপুরের শাহ আলী বেড়িবাঁধ প্রকল্প মার্কেটে ১৩টি আড়তে সংরক্ষিত আমে রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি সনাক্তকরণের পরীক্ষা করা হলে ১৩টি আড়তেই ফরমালিনের উপস্থিতি নিশ্চিত হলে ১৩টি আড়তে সংরক্ষিত ১৭ হাজার ৮৬০ কেজি আম ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ডাম্পিং জোনে ধ্বংস করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সৈয়দপুর এন্টারপ্রাইজ, শাহ আলী ফার্ম, খাজা বাণিজ্য, দেওয়ান বাণিজ্য ভান্ডার, জননী বাণিজ্য ভান্ডার সিকদার এন্টারপ্রাইজ, দেওয়ান ট্রেডার্স, নিউ ফাইভ স্টার ফলের আড়ত, মিরপুর শাহ আলী ফার্ম, আকাশ বাণিজ্য ভান্ডার, ভাই ভাই ট্রেডার্স, কাজী তপন এন্টারপ্রাইজ, টুনিটুম্পা ফ্রুট স্টোর।
22 MAY 2012,dailysangram.com