আমের রোগবালাই প্রতিকার
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 9698
আম সবার প্রিয় ফল। ফলের রাজা। অন্যান্য ফলের মতো আমের ফলনে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণই প্রধান। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে ব্যর্থ হলে আমের ফলন অনেক কমে যায়।
আম সবার প্রিয় ফল। ফলের রাজা। অন্যান্য ফলের মতো আমের ফলনে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণই প্রধান। সঠিক সময়ে রোগ ও পোকামাকড় দমন করতে ব্যর্থ হলে আমের ফলন অনেক কমে যায়।
তবে এসব রোগ ও পোকামাকড় দমনের জন্য সঠিক বালাইনাশক ওষুধ ব্যবহার না করলে আমের ফলন কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমের ভালো ফলন পাওয়ার জন্য পরিচর্যা জরুরি। গাছে মুকুল আসার কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ দিন আগে পুরো গাছ সাইপারমেথ্রিন বা কার্বারিল গ্রুপের যে কোনো কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে দিতে হবে। তাহলে গাছ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে। আমের ফলন ভালো পেতে হলে অবশ্যই পোকা দমন করতে হবে। আমের মুকুল যখন তিন থেকে চার সেন্টিমিটার লম্বা হয় তখন একবার এবং আম যখন মটর দানার মতো আকার ধারণ করে তখন আরেকবার প্রতি লিটার পানিতে এক মিলিলিটার হারে সাইপারমেথ্রিন (রিপকর্ড বা সিমবুস বা ফেনম বা এরিভো) ১০ ইসি মিশিয়ে পুরো গাছে স্প্রে করতে হবে। আমের হপার পোকার কারণে যেহেতু সুটিমোল্ড বা ঝুল রোগের আক্রমণ ঘটে তাই রোগ দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম হারে সালফার জাতীয় ছত্রাকনাশক হপার পোকা দমনের জন্য ব্যবহার করা কীটনাশকের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। মুকুল আসার সময় প্রতিদিন (বিশেষ করে মেঘলা আবহাওয়াযুক্ত দিনে) আমগাছ পর্যবেক্ষণ করতে হবে মুকুলে পাউডার মিলডিউ রোগ দেখা দিয়েছে কিনা। রোগের লক্ষণ দেখা দিলেই সালফার বা গল্ডধকযুক্ত যে কোনো ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। মাছিপোকা আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। আম পাকার মৌসুমে স্ত্রী মাছি পরিপক্ব আমের গায়ে ডিম পাড়ে। ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে সাদা কিড়া বের হয়। এ অবস্থায় পাকা আম নরম হয়ে গেলে ম্যাগোট আম থেকে বের হয়ে মাটির গর্তে ঢুকে যায় এবং ছয়দিন পর এটি পুত্তলিতে পরিণত হয়। পাকা আম কাটলে আক্রান্ত আমের শাঁসের ভেতর ১০০ থেকে ১৫০টি সাদা সাদা পোকার কিড়া দেখা যায়। এ জন্য আম গুটি বাঁধার ৫০ থেকে ৫৫ দিন পর প্রতিটি আম কাগজ (ব্রাউন পেপার) দিয়ে মুড়িয়ে দিলে আমকে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। ছোট গাছের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি সহজেই ব্যবহার করা যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা আমের রসের সঙ্গে এক গ্রাম ডিপটেরেক্স মিশিয়ে বিষটোপ বানিয়ে এ বিষটোপ বাগানে রেখে মাছি পোকা দমন করা যেতে পারে। আম পাকার মৌসুমে আমবাগানে বি্লচিং পাউডার (প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম) স্প্রে করে মাছি তাড়ানো যেতে পারে। আম বাগানে মুকুল বা পুষ্পমঞ্জুরি বের হওয়ার আনুমানিক ১৫-২০ দিন আগে সাইপারমেথ্রিন, কার্বারিল, ইমিডাক্লোরোপিড, সাইহ্যালাথ্রিন গ্রুপের যে কোনো কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে পুরো গাছে স্প্রে করে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে গাছে বসবাসকারী হপার বা শোষক পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমণ হবে না। যদি সঠিক সময়ে হপার পোকা দমন করা না যায় তাহলে আমের মুকুল নষ্ট হতে পারে। এই পোকা আমের মুকুল থেকে রস চুষে খায়। ফলে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে যায়। পরে শুধু গাছে আমশূন্য মুকুল দেখা যায়।
Comments
- No comments found
ফজলি আপডেট
- অনলাইন আম সেলারদের তালিকাঃ
- আমের জন্য ই-কমার্স ব্যবসা: কিভাবে করবেন বিস্তারিত জনুন
- আমের ই-কমার্স ব্যবসা কি ভাবে শুরু করা যায়? | আমের ই-কমার্স ব্যবসা শুরুর গাইডলাইন
- চালু হতে যাচ্ছে ই-আম সেলারদের প্লাটফরম
- ই-ক্যাব ফেক ক্রেতার একটা লিস্ট তৈরি করতে পারে
- Bangladesh Rapid eTrade Readiness Assessment
- একটি সফল ই কমার্স ওয়েবসাইট এর হোমপেজ
- একটি প্রতারণার এবং অন্যদের প্রতি সাবধানতা
- খুব শীঘ্রই ৬৪ জেলায় হবে ই-কমার্স ওয়্যার হাউস
- আমার পেজ এর পিক অন্য পেজে ব্যবহার করছে
- কিভাবে ফেসবুক পেজ বিজনেসের জন্য ব্যাবহার করবেন
- ই-ব্যবসার পাইকার জিলিঙ্গো আসছে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ নিয়ে
- মার্কেটিং নয় যেন টাকা ছাপানোর লাইসেন্স হাতে পাওয়া
- ফেসবুকে এড দিলে লাইক কমেন্ট আসে কিন্তু সেল আসে না। কি করবেন?
- আমি আধা পাকা কলা দেয়ার কথা উল্লেখ করে দিলেও তারা পাকা গলা কলা নিয়ে আসে
- স্যামসাং অফিসিয়াল কেউ কি আছেন, কিছু কি করবেন?
- ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৪৮১০০ টাকা ছিল সেটি এখন ৬% মূল্যছাড়ে ৫৩০০০ টাকা
- ড্রপশিপিং কোম্পানীগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভেন্ডর ম্যানেজমেন্ট
- ২০১৯ সালে ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য ৯ টি প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান
- লোকাল বিজনেসের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যাজিক
আরোও কিছু আম

Leave your comments