বারি আম-১৩ নামের নতুন একটি রঙিন আম অবমুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (আম গবেষণা কেন্দ্র) ১৫ বছরের গবেষণা সাফল্যের মুখ দেখল। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আমটি অবমুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হরিদাশ চন্দ্র মোহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো বারি আমের তালিকায় একটি সংকরায়িত রঙিন আম যুক্ত হলো। অবসান হলো দীর্ঘ অপেক্ষার। দেশের আমপ্রেমী ও চাষিদের জন্য এটা একটা দারুণ সুখবর। সামনে গাছ লাগানোর মৌসুমেই এর চারা আমরা আমচাষিদের হাতে তুলে দিতে পারব।
আমটির সংকরায়ণ ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দিন বলেন, ২০০৫ সালে বারি আম-৩, অর্থাৎ আম্রপালি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সংগ্রহ করা রঙিন আম পালমারের মধ্যে সংকরায়নের মাধ্যমে আমটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। আম্রপালিকে মা ও পালমারকে বাবা ধরে সংকরায়ণ করে Hy-059 লাইন সৃষ্টি করা হয়। আমটির ফলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ১০ বছর ধরে।
আমটি লম্বাটে ও মাঝারি আকারের নাবি জাতের, অর্থাৎ মৌসুমের শেষ দিকের। এর সংগ্রহকাল জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। গড় ওজন ২২০ গ্রাম। পাকা অবস্থায় আমটি রসালো আঁশবিহীন ও মিষ্টি এবং শাঁস গাঢ় কমলা রঙের। ত্বকের রং মেরুন। মিষ্টতা ২১ শতাংশ। ভক্ষণযোগ্য অংশ ৭৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
সুত্র: প্রথম আলো
রকমারী ফলের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও প্রযুক্তির ব্যবহারে সফল হয়েছেন নাটোর তথা দেশের আদর্শ ফল উদ্যোক্তা সেলিম রেজা। তাঁর প্রায় দুইশ’ বিঘার ফল সা¤্রাজ্যের বেশীরভাগই আম। অন্য সব গাছের আম যখন শেষ, তখন এ সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে গৌরমতির মৌসুম। দেশের আড়াই শতাধিক জাতের আমের ভিড়ে নিজের অনন্য অবস্থানকে জানান দিচ্ছে সম্প্রতি উদ্ভাবিত গৌড়মতি। মিষ্টতার মাত্রা ২৭ টিএসএস নিয়ে সবচে’ মিষ্টি আমের বৈশিষ্ট্য বহন করছে গৌরবের এ গৌড়মতি।
২০০০ সালে এলোভেরাসহ ভেষজ চাষের মধ্যে দিয়ে কৃষিতে অভিষেক ঘটে সেলিম রেজার। দু’বছর পরে নাটোর সদরের আহম্মদপুরে গড়ে তোলেন ৩৮ বিঘার বৃহত্তম আপেল কুল ও থাই কুলের খামার। এ খামারকে কেন্দ্র করে আহম্মদপুরেই গড়ে ওঠে দেশের বৃহত্তম কুলের আড়ত-যা বর্তমানে পাশ্ববর্তী বনপাড়াতে স্থানান্তরিত হয়েছে।
বারোমাসি থাই পেয়ারার বাণিজ্যিক উৎপাদনের পথিকৃৎ সেলিম রেজা। বারোমাসি বাতাবি লেবু, কদবেল ও শরীফার মত দেশীয় ফলের বাণিজ্যিক উৎপাদনে সফল সেলিম রেজার খামারে আছে বেদানা, রাম্বুটান, পার্সিমন, স্ন্যাকফ্রুট, ম্যাংগোস্টিন আর রাশি রাশি ড্রাগন এবং আম।
নাটোর সদরের আহম্মদপুর, দত্তপাড়া, ডালসড়ক এবং নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুরে থাকা খামারগুলোতে নিরাপদ ফল উৎপাদনে সেলিম রেজা ব্যবহার করছেন বিভিন্ন প্রযুক্তি। তাইওয়ান থেকে আনা মালচিং পেপার ব্যবহারের ফলে মাটির আর্দ্রতা রক্ষার পাশাপাশি সার, সেচ কম লাগছে, আগাছা কম হচ্ছে। ব্যাগিং পদ্ধতির কারণে আম হয়ে উঠছে আকর্ষণীয় আর থাকছে বিষমুক্ত।
সফল উদ্যোক্তা সেলিম রেজা উদ্যোক্তা সৃষ্টিতেও কাজ করেন বলে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি হর্টিকালচার প্রমোটর হিসেবে কাজ করছেন। জাতীয় পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১১টি পুরস্কারসহ তাঁর কৃতিত্বের ঝুলিতে ৭৪টি সনদ ও ক্রেস্ট জমা হয়েছে।
সেলিম রেজার রাজ্যে অসংখ্য আম থাকলেও তিনি বর্তমানে ১১টি নাবি জাতের আম নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর চেস্টা, কিভাবে আমের উৎপাদন এগিয়ে নিয়ে শীতকাল পর্যন্ত পৌঁছনো যায়। গৌরমতি ছাড়াও এ তালিকায় আছে যাদুভোগ ও বান্দিগুড়িসহ নাম না জানা সব আম।
আম্পান ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাঁর আহম্মদপুর ও ডালসড়কের খামারে সবচে’ বড় আকর্ষণ প্রায় দুই হাজার গৌড়মতি আম গাছ। এ গাছের পাতা ল্যাংড়া আম গাছের মত আর গাছের ধরণ খানিকটা আশ্বিণার মত। এ সেপ্টেম্বরে খামারকে সুশোভিত করে রেখেছিল আমের ভারে নুব্জ হয়ে পড়া আম গাছগুলো। সুডৌল আমগুলোর সৌন্দর্য নজরকাড়া। এক একটির গড় ওজন পাঁচশ’ গ্রাম। কীটনাশকমুক্ত এবং সম্পূর্ণ অর্গানিক রাখতে ব্যাগিং করা হয়েছিল প্রায় বারো হাজার আম। রাজধানীসহ দেশের অভিজাত শহরগুলোতে উচ্চ মূল্যে এ আমের বিপণন এখন শেষের পথে।
গৌরমতির পরিধি বাড়ানোর প্রয়োজনে খামারে ২০ হাজার চারা উৎপাদন করলেও আগ্রহীদের কাছে বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা দরে। বাণিজ্যিকভাবে চারা উৎপাদনের করে আগ্রহী ফল চাষীদের মাধ্যমে গৌড়মতির বিস্তার ঘটানোর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানালেন সেলিম রেজা। আর জানালেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। তিনি ফল ও সবজির হিমাগার তৈরী, জুস উৎপাদন ও রপ্তানী করতে চান। এ ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা আশা করেন সেলিম রেজা।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, নাটোর জেলায় গৌড়মতিসহ অন্যান্য ফল উৎপাদনে অনন্য অবদান রেখে চলেছেন সেলিম রেজা। তাঁর এ অবদান নাটোরসহ দেশের জন্যে গৌরবের। তাঁর সকল উদ্যোগে কৃষি বিভাগ পাশে থাকবে।
সু্ত্রঃ http://www.ajkerbazzar.com
আমটির চাহিদা এতই বেশি যে, আমটি পেতে গাছে থাকতেই বুকিং দিতে হয়। আর এ কারণে দামেও কম না, প্রতি কেজি আম ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতিটি আমের দাম প্রায় ২০০০ টাকা!
ফলের রাজা আম এ কথা সবাই জানে। কিন্তু আমের রানি কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অনেকেই বিতর্ক করবেন। অনেকে হিমসাগর, ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, আম্রপালি, মল্লিকা, আড়া জাম ইত্যাদি বিভিন্ন আমের নাম বলবেন। কিন্তু সব বিতর্ক এড়িয়ে ভারতে ‘নূরজাহান’ নামের একটি বিশেষ জাতের আমকে রানির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এত সুস্বাদু সব আমকে পেছনে ফেলে নূরজাহান কেন রানির মর্যাদা পেল? এর বিশেষ কারণ হচ্ছে অতুলনীয় স্বাদ-গন্ধের পাশাপাশি আদি নিবাস আফগানিস্তানের এ প্রজাতির আম কেবল পাওয়া যায় ভারতের মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার কাত্থিওয়াড়া এলাকায়। সেটাও খুব অল্প পরিমাণে। প্রতিটি আমের দৈর্ঘ্য এক ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে, ওজন ৩.৫ থেকে ৩.৭৫ কেজি। আমটির আঁটির ওজনই হয় ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম। আমটির চাহিদা এতই বেশি যে, আমটি পেতে গাছে থাকতেই বুকিং দিতে হয়। আর এ কারণে দামেও কম না, প্রতি কেজি আম ৫০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতিটি আমের দাম প্রায় ২০০০ টাকা!
নূর জাহান আম চাষে বিশেষজ্ঞ ইশাক মশুরী বলেন, “কাত্থিওয়াড়ার বাইরে অনেক লোক নূরজাহানের কলম রোপণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু গাছ হয়নি। আমের এই বিশেষ প্রজাতি ঋতুর পরিবর্তনে অত্যধিক সংবেদনশীল। এর প্রচুর যত্ন প্রয়োজন।”
ইশাক মশুরী বলেন, “চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নূরজাহানের বেশি ফলন আশা করা হচ্ছে। এবার এক একটা ফল গড়ে ২.৫ কিলোগ্রামের কাছাকাছি ওজনের হতে পারে। আগে নূরজাহান আমের গড় ওজন হতো ৩.৫ থেকে ৩.৭৫ কেজি।”
অনন্য এক সম্ভাবনার শুভ সূচনা হয়েছে মাগুরা থেকে। সত্যিই বিশ্ময়কর সেই প্রথম দর্শন। প্রথমে থমকে যাওয়া, সাথে অপূর্ব এক সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনকে দেখে গর্বিত হওয়া। আর এই উদ্ভাবনের নাম ‘ব্রুনাই কিং’। ৫ কেজি ওজনের আম।
এটি বাংলাদেশে এই আমের পঞ্চম বছর। মাগুরার শালিখার আতিয়ার রহমান মোল্যার উদ্ভাবিত নতুন জাতের আম নিয়ে ২২ জুলাই ২০১৫ ‘মাগুরানিউজ’ প্রথম একটি সংবাদ প্রকাশ করে। পরবর্তীতে এটি নিয়ে দেশের প্রায় প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমেই সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই জাতের আম এসেছে সুদুর ব্রুনাই সুলতানের এর আম বাগান থেকে। এবছর মাগুরা হটিকালচার সেন্টার, মাগুরা প্রেক্লাবের ছাদবাগান, শতখালীসহ বিভিন্ন বাগানে এই আম ধরেছে। প্রতিদিন বহু মানুষ এই বিশাল আম দেখতে আসছেন। মাগুরা জেলায় ব্রুনাই কিং জাতের আম চাষীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করছে।
আতিয়ার ‘মাগুরানিউজ’কে জানান, আম নিয়ে গবেষনা আরো উন্নত ও মানসম্মত করার জন্য আমগুলির পরিপক্ক হওয়াটা খুবই জরুরী। কারন তার উদ্ভাবিত এই আম সমৃদ্ধ করবে দেশের কৃষিকে তেমনটাই তাকে জানিয়েছেন কৃষিবিদরা।
এই আম শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে পাকবে বলে জানান আতিয়ার রহমান। আমের রং ভালো ও স্বাদে কড়া মিষ্টি। মৌসুম ফুরিয়ে যাওয়ার পর এই আম পাকে বলে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে তিনি ‘মাগুরানিউজ’কে জানান।
নতুন জাতের এই আমের উদ্ভাবনের পেছনের কথা জানাতে গিয়ে আতিয়ার রহমান ‘মাগুরানিউজ’কে জানান, প্রতিবেশী ইব্রাহীম হোসেন ৮ বছর আগে ব্রুনাই থেকে আমের একটি শায়ন ডাল এনে তার বাড়ির আম গাছে কলম দেয়। ২ বছর পর সেই গাছে দেড় কেজি ওজনের কয়েকটি আম ধরে।
সেখান থেকে একটি শায়ন ডাল এনে আতিয়ার নিজের নার্সারীতে একটি ফজলী আমের গাছের সাথে কলম দেন। প্রথম বছর ওই গাছে ২ কেজি ওজনের ৫টি আম ধরে। এতে তিনি আরো উৎসাহিত হয়ে আম গাছের ব্যাপক পরিচর্যা শুরু করেন। এতে তিনি আশাতীত ফল লাভ করেন। এবার প্রতিটির ওজন ৫ কেজি মতো হবে।
কৃষিবিদরা বলছেন বর্তমানে নানা গবেষনার মাধ্যমে আমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করা হচ্ছে। তবে এত বড় আম এটাই প্রথম। নতুন উদ্ভাবিত এই আমের পর্যাপ্ত চারা তৈরী করা গেলে প্রচলিত আমের পাশাপাশি উন্নত জাতের এই আম চাষ করা গেলে মাগুরা ও পাশ্ববর্তী জেলাগুলো আম চাষের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে পরিচিতি পাবে। বাংলাদেশের সবখানেই এ জাতটির চাষ করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
ব্রুনাই কিং ( Brunei King ) হলো চার থেকে সাড়ে চার কেজি ওজনের আম যা আষাঢ়ের পরে শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে গিয়ে পাকে। অধিক ওজনের পাশাপাশি এটি খেতে সুস্বাদু বিধায় দেশে আমটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
মাগুরার জেলার শালিখা উপজেলার শতখালি গ্রামের বাসিন্দা জনাব আতিয়ার মোল্লা তার নার্সারিতে ব্রুনাই কিং( Brunei King ) জাতের আমের গাছ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। আতিয়ার রহমান পেশায় নার্সারি ব্যবসায়ী। তিনি ১৯৯২ সালে নিজস্ব উদ্যোগে তার ১০ শতক জমিতে নার্সারি শুরু করেন। বর্তমানে ৭ বিঘা জমি জুড়ে রয়েছে তার নার্সারিসহ বিভিন্ন দেশি- বিদেশি নতুন নতুন জাতের ফল ও ফুলের বাগান। আতিয়ার মোল্লার ভাগ্নে ব্রুনাই রাজ পরিবারে বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে তিনি তার ওই ভাগ্নের মাধ্যমেই সেখান থেকে ’ব্রুনাই কিং’ নামের বিশাল আকৃতির আমের এ জাতটি সংগ্রহ করেন।
বর্তমানে তিনি কলমের মাধ্যমে ৫০০ এর বেশি চারা তৈরি করেছেন। শুরুর দিকে তিনি প্রতি চারা এক হাজার টাকা দরে বেশ কিছু আমের চারা বিক্রি করেছেন। বর্তমানে উদ্ভাবিত এ জাতের প্রতিটি চারা ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। প্রতি বছর চারা বিক্রি করে তিনি ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা অর্জন করে থাকেন।
এই জাতের আমের বৈশিষ্ট্যঃ
এই জাতের আমের গাছের উচ্চতা ৮-১০ ফুট।
বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে এই জাতের চারা রোপণ করতে হয়।
এ জাতের আমের চারা রোপণের ২ বছরের মধ্যেই আম ধরে এবং শ্রাবণের শেষের দিকে আম পাকে।
প্রতিটি আমের ওজন সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ কেজি।
প্রতিটি আম আঁশমুক্ত, মিষ্টি ও সুস্বাদু।
আমটি দেখতে অনেকটা কলার মতো লম্বা হয়ে থাকে।
কাঁচা আম খেতে কিছুটা টক, মিষ্টি স্বাদ এবং রং হয়ে থাকে কালচে সবুজ। তবে পাকা আমের স্বাদ অনেকটা ফজলি আমের মতো।
এই জাতের আমের আঁটি (বিচি) একদম ছোট এবং রসালো হয়ে থাকে।
এই জাতের আম একটু দেরিতে অর্থাৎ শ্রাবণ মাসে পাকে বলে এগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি পাওয়া যায়।
মাতৃগাছে প্রতিবছর ২০-৩০টি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে।
প্রাপ্তি স্থানঃ মাগুরার শালিখার শতখালী গ্রামের আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে কলম নিয়ে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে লাগিয়েছিলেন। হর্টিকালচার সেন্টার ও আতিয়ার রহমানের নার্সারিতে কলম লাগানো গাছ আছে, যা থেকে সংক্রায়নের মাধ্যমে নতুন চারা তৈরি করে তা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও মুন্সিগঞ্জ জেলার উপজেলা কৃষি অফিস, সিরাজদিখানে যোগাযোগ করলে এই জাতের আমের চারা
ছোট্ট আমগাছটির উচ্চতা বড়জোর নয় ফুট। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে লম্বাটে সবুজ আম। অপরিপক্ব এই আমের একেকটির ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি পর্যন্ত। শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি যখন পাকা শুরু হবে, তখন প্রতিটির ওজন হবে চার কেজির মতো।
মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামের আতিয়ার রহমান মোল্লার নার্সারিতে আছে গাছটি। এ বছর আম ধরেছে ১৫টি। এখনো আকারে পূর্ণতা পায়নি। তবে এখনই একেকটি আমের ওজন হয়েছে আড়াই থেকে তিন কেজি। সবচেয়ে বড় আমটি মেপে দেখা গেল লম্বায় ১২ ইঞ্চি এবং ব্যাস ১৬ ইঞ্চি।
বিশাল আকারের এই আম দেখতে এবং গাছের চারা সংগ্রহ করতে প্রতিদিনই মানুষ ভিড় করছেন আল আমিন নার্সারি অ্যান্ড মোল্লা হর্টিকালচার সেন্টারে। নতুন জাতের এই আমের নাম রাখা হয়েছে ‘মোল্লা-১ ইয়াসমিন’।
নার্সারির মালিক আতিয়ার রহমান মোল্লা বললেন, ব্রুনাইয়ের রাজপরিবারের বাগান পরিচর্যার কাজ করতেন তাঁর প্রতিবেশী ইউসুফ আলী। সেখানকার গাছে তিনি ওই আম দেখেন। ছয় বছর আগে বাড়ি আসার সময় ইউসুফ আলী আমগাছের চারটি ‘শাইওন’ (গাছের মাথার কচি ডাল বা ডগা) নিয়ে আসেন। সেটি দিয়ে তিনি বাড়িতে দেশি জাতের আমগাছে কলম করেন। দুই বছর পর ওই কলমের গাছে দেড় কেজি ওজনের একটি আম ধরে। ইউসুফের বাড়িতে গিয়ে আতিয়ার রহমান নতুন জাতের ওই আম গাছে ঝুলতে দেখেন। পরে আতিয়ার আমগাছটির একটি ডাল এনে নিজের নার্সারিতে দেশি জাতের আমগাছে কলম দেন। দুই বছর পর সেই গাছে দুই কেজি ওজনের দুটি আম ধরে। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে ওই গাছে আটটি আম আসে। শ্রাবণ মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি আমের আকার দেখে অবাক হন। দেখেন, সবচেয়ে বড় আমটির ওজন চার কেজি এবং ছোটগুলো দুই কেজি করে। স্থানীয় কৃষি মেলায় তিনি ওই আম প্রদর্শন করে সবাইকে চমকে দেন। পরে ওই আমের চারাটি কৃষি বিভাগের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
আতিয়ার রহমান আরও বলেন, আমগাছটিতে বাড়তি কোনো পরিচর্যার প্রয়োজন পড়েনি। মাঘ মাসে গাছে মুকুল আসে। বোঁটা বেশ শক্ত। তাই ঝড়-বৃষ্টিতেও আম ঝরে পড়েনি। কাঁচা আম গাঢ় সবুজ রঙের। পাকলে সবুজের সঙ্গে কিছুটা হলুদ আভা দেখায়। কাঁচা আম খেতে পেঁপের মতো। হালকা টক মিষ্টি। পাকা আমের স্বাদ দেশি মল্লিকার মতো। আঁশ নেই। আঁটি খুবই ছোট। আঁটির ওজন আমের মাত্র আড়াই শতাংশ। আমের মূল মৌসুম শেষ হওয়ার পর এই আম পাকে বলে দাম এবং চাহিদাও বেশি। ইউসুফ আলী কষ্ট করে ব্রুনাই থেকে ওই আমের জাত নিয়ে আসেন। তাই তিনি ইউসুফ আলীর মেয়ে ইয়াসমিন ও নিজের নামের পদবি জুড়ে দিয়ে আমের নাম রেখেছেন ‘মোল্লা-১ ইয়াসমিন’।
আতিয়ার রহমান বলেন, ‘নতুন এই আমের জাতটি আমি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করেছি। গত বছর ৫০টি চারা বিক্রি করেছি। এ বছর ৩০টি চারা বিক্রি হয়েছে। এখনো ১০০টি চারা আছে। প্রতিটি চারার দাম ৫০০ টাকা।
নতুন এই আম সম্পর্কে জানতে চাইলে মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ পার্থ প্রতীম সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত বছর তিন কেজি ওজনের ওই আম আমি দেখেছি। আমের ওজন অনেক বেশি। তবে পরিমাণে কম ধরায় বাণিজ্যিকভাবে এই আম আবাদযোগ্য না। শৌখিন ব্যক্তিরা আমের চারা রোপণ করতে পারেন।’
সুত্র: প্রথম আলো
কটি আমের ওজনই হয়ে থাকে ৪ থেকে ৫ কেজি। আমটির নাম ব্রুনাই কিং। যা আষাঢ়ের পরে শ্রাবণ মাসের শেষদিকে পাকে। বেশি ওজনের পাশাপাশি এটি খেতেও সুস্বাদু। আমটি পাওয়া যাচ্ছে বাংলাদেশেই। যোগাযোগ করতে পারেন আজই।
জানা যায়, ২০১১ সালে ব্রুনাই রাজপরিবার থেকে ‘ব্রুনাই কিং’ নামের বিশাল আকৃতির আমের জাতটি সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে কলমের মাধ্যমে এ জাতের ৫শ’র বেশি চারা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি চারা ৩০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
> আরও পড়ুন- বিষমুক্ত আম বিক্রি করছেন স্বাস্থ্যকর্মী মাজেদ
আমের বৈশিষ্ট্য
১. এ জাতের আম গাছের উচ্চতা ৮-১০ ফুট।
২. বৈশাখ-আষাঢ় মাসের মধ্যে এ জাতের চারা রোপণ করতে হয়।
৩. চারা রোপণের ২ বছরের মধ্যেই আম ধরে।
৪. শ্রাবণের শেষদিকে আম পাকে।
৫. প্রতিটি আমের ওজন সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ কেজি।
৬. প্রতিটি আম আঁশমুক্ত, মিষ্টি ও সুস্বাদু।
৭. দেখতে অনেকটা কলার মতো লম্বা হয়ে থাকে।
৮. কাঁচা আম খেতে কিছুটা টক, মিষ্টি স্বাদ।
৯. কাঁচা আমের রং হয়ে থাকে কালচে সবুজ।
১০. পাকা আমের স্বাদ অনেকটা ফজলি আমের মতো।
১১. আমের আঁটি (বিচি) একদম ছোট।
১২. মাতৃগাছে প্রতিবছর ২০-৩০টি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে।
> আরও পড়ুন- পুষ্টিমানে আপেল ও কমলার চেয়ে পেয়ারাই সেরা
প্রাপ্তিস্থান: মাগুরার শালিখার শতখালী গ্রামের আতিয়ার রহমানের কাছে পাওয়া যাবে। তার কাছ থেকে কলম নিয়ে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে রোপণ করা হয়েছে। সেখানে কলম লাগানো গাছ আছে, যা থেকে সংক্রায়নের মাধ্যমে নতুন চারা তৈরি করে তা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হচ্ছে।
এছাড়াও মুন্সীগঞ্জ জেলার উপজেলা কৃষি অফিস, সিরাজদিখানে যোগাযোগ করলে এ জাতের আমের চারা পাওয়া যাবে।
কেমিক্যাল মুক্ত আম চেনার অজানা কিছু নতুন পদ্ধতি
Written by Super Adminচলছে গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকাল মানেই আমের রাজত্ব। গ্রীষ্মের অত্যন্ত সুখকর ও সুস্বাদু ফল হল আম। তাই, গ্রীষ্মের হাত ধরেই বাজারে আগমন ফলের রাজা আমের। এই ফলটি এমন একটি ফল যা সকলেই খেতে পছন্দ করে। অনেক ব্যবসায়ীরাই অতিরিক্ত লাভের জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে গাছ পাকা আমের তুলনায় রাসায়নিক পদ্ধতিতে আম পাকিয়ে বেশি বিক্রি করেন। কিন্তু এই রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমে প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের স্বাদ থাকে না। একইসঙ্গে রাসায়নিকের পাকা আম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। Health Hazards of Consuming Artificially Ripened Mango Fruits আপনি যদি বাজারে পাওয়া সুন্দর হলুদ পাকা আম দেখে কিনে থাকেন, তবে এই ফলগুলি খাওয়ার মাধ্যমে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন অসুখ। তাই চেষ্টা করুন গাছ পাকা আম খাওয়ার, পাশাপাশি অন্যান্যদেরও সচেতন করুন। রাসায়নিক দেওয়া পাকা আম খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। চলুন দেখে নিন রাসায়নিকভাবে পাকানো আম চেনার উপায় কী এবং তা স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি করে। আম খেতে ভালবাসেন? জানেন কী আমের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে এগুলি কেন ক্ষতিকারক? ক্যালসিয়াম কার্বাইড, অ্যাসিটিলিন গ্যাস, কার্বন-মনোক্সাইডের মতো রাসায়নিকগুলি ব্যবহার করে কাঁচা আম ও অন্যান্য কাঁচা ফল পাকানো হয়। রাসায়নিকগুলি এতটাই ক্ষতিকারক যে, ফলের মাধ্যমে তা শরীরে গেলে ত্বকের ক্যানসার, কোলন ক্যান্সার, জরায়ুর ক্যান্সার, লিভার ও কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক রোগ হওয়ার ঝুঁকি দেখা যায়। Health Hazards of Consuming Artificially Ripened Mango Fruits রাসায়নিক দিয়ে পাকা আম কীভাবে চিহ্নিত করবেন উপরোক্ত সকল ক্যামিকেল ও গ্যাস দিয়ে পাকানো আম চেনা খুব একটা কঠিন নয়। ১) ফলের চেহারা হবে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়। ২) ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো আমের সবদিকটাই সমানভাবে পাকবে কিন্তু গাছ পাকা ফলের সবদিক কখনোই সমানভাবে পাকে না। ৩) রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফলে স্বাভাবিক পাকা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ থাকবে না। ৪) প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের চামড়ার ওপর এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঢ় নীল অথবা কালো বর্ণের হয়ে যাবে। কিন্তু ক্যামিকেল দ্বারা পাকানো ফলে আয়োডিনের রং অপরিবর্তিত থাকে। Health Hazards of Consuming Artificially Ripened Mango Fruits খাওয়ার জন্য যা করণীয় ১) ফলের মরসুমের আগে ফল কিনবেন না। কারণ, সময়ের আগে প্রাপ্ত ফলগুলি ক্যামিকেল দিয়ে পাকানো হয়ে থাকে। ২) খাওয়ার আগে জলে দুই মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন। ৩) তারপর ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে খাবেন। ৪) গোটা ফল সরাসরি খাবেন না।
আম নিয়ে কথা বলতে আরম্ভ করলে চট করে শেষ হবে না। আপাতত স্রেফ এটুকু জেনে রাখুন যে আপনার নানা শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম ঠিকভাবে করার জন্য যতটা ভিটামিন সি প্রয়োজন, তার অনেকটার জোগান মেলে আম থেকে। তাই ওজন বাড়ার ভয় না পেয়ে নিশ্চিন্তে তা খেতে পারেন। তবে অনেকেই বলেন যে দিনের আলো থাকতে থাকতেই ফল খাওয়ার পাট চুকিয়ে ফেলা উচিত, তাতে হজমের সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়। তেমনটা করে দেখতে পারেন।
আমের মালপোয়া
উপকরণ
200 গ্রাম ময়দা
1 চাচামচ মৌরি
1 চাচামচ ছোটো এলাচ
1 কাপ ঘি
250 মিলি জল
50 গ্রাম খোয়া ক্ষীর
100 গ্রাম সুজি
½ চাচামচ বেকিং পাউডার
500 মিলি দুধ
250 গ্রাম চিনি
100 মিলি আমরস
সামান্য জাফরান
পদ্ধতি
প্রথমে চিনির রস তৈরি করতে হবে।
গভীর পাত্রে চিনি আর জল দিয়ে কম আঁচে গ্যাসে চাপান।
চিনি পুরো গলে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে।
এবার উপর থেকে এক চাচামচ দুধ দিন।
রস ফুটে উঠে চিনি গাদ বা ময়লা বেরোবে, সেটা উপর থেকে ফেলে দিন।
স্বচ্ছ কাচের মতো রস ফুটে ফুটে গাঢ় হলে নামিয়ে সরিয়ে রাখুন।
এবার মালপোয়া ব্যাটার তৈরির পালা।
শুকনো পাত্রে সুজি, ময়দা, খোয়া ক্ষীর, মৌরি, ছোটো এলাচের গুঁড়ো, দুধ ভালো করে মিশিয়ে একটা ব্যাটার বানান।
হাতা করে ঢাললে মসৃণভাবে নিচে পড়ছে কিনা দেখে নেবেন। একটুক্ষণ রাখুন, তাতে ফ্লেভারটা তৈরি হবে।
তার পর ছোটো কড়ায় ঘি গরম করে হাতা ভরা মালপোয়া দিয়ে ভেজে নিন এক এক করে।
ঘি ঝরিয়ে নিয়ে রসে ডুবিয়ে রাখুন মিনিট দশেক।
তার পর তুলে নিয়ে উপরে আমরস মাখিয়ে নিন ভালো করে।
পরিবেশনের আগে ইচ্ছেমতো সাজিয়ে নিতে হবে। বাদাম, পেস্তা, গুলকন্দ ব্যবহার করতে পারেন সাজানোর জন্য।
আম, হালাপেনো, চিজ পকেট
আম, হালাপেনো, চিজ পকেট
উপকরণ
200 গ্রাম ছানা
100 গ্রাম প্রসেসড চিজ
20 গ্রাম হালাপেনো লঙ্কা
50 গ্রাম পাকা আমের টুকরো
2 গ্রাম চিলি ফ্লেক্স
1 গ্রাম শুকনো অরিগ্যানো
স্বাদ অনুযায়ী নুন
5 গ্রাম গোলমরিচের গুঁড়ো
20 গ্রাম তাজা ধনেপাতা
3টি আটার রুটি
পদ্ধতি
একটা শুকনো পাত্রে খুব মিহি করে ছানা আর চিজ কুরে নিন।
হালাপেনোর বীজ ফেলে দিন, তার থেকে বাড়তি জলটাও ফেলে দিন নিংড়ে।
এটা ছানার মিশ্রণে যোগ করে দিন।
আম বাদে বাকি সব উপকরণ মেশান।
নুন-মরিচ যোগ করে দেখে নিন স্বাদ ঠিক আছে কিনা।
তার পর ছোটো ছোটো করে কাটা আম মেশান।
এবার একটা রুটি নিন, তার মাঝে এই মিশ্রণ ভরুন। রুটি ভাঁজ করে ময়দার গোলা দিয়ে বন্ধ করুন মুখ।
তার পর মাঝারি আঁচে পার্সেল ভেজে নিন ডুবো তেলে, আঁচ খুব বাড়াবেন না।
রুটি মচমচে হলে নামান।
উপর থেকে চিজ ছড়িয়ে টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন।
রেসিপি ও ফোটো: খানদানি রাজধানী রেস্তোরাঁ
পরের স্টোরি :
বাড়ির বাচ্চা আর বড়োদের সমান ভালো লাগবে আমের এই পদ
মন্তব্য
পরের স্টোরি
ফেমিনা বাংলা পেটপুজো রেসিপি বাড়ির বাচ্চা আর বড়োদের সমান ভালো লাগবে আমের এই পদ
বাড়ির বাচ্চা আর বড়োদের সমান ভালো লাগবে আমের এই পদ
লিখছেন রুদ্রাণী ভট্টাচার্য | May 21, 2020, 12:00 AM IST
ম্যাঙ্গো মিন্ট ওয়্যাফল
আমের মরশুম এসে গিয়েছে। তার উপর আমরা সবাই ঘরবন্দি এবং বাইরে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। তাই রান্নাঘরে না ঢুকেও উপায় নেই! যাঁরা নিত্যদিন কী রান্না করা উচিত তা ভেবে পান না, তাঁদের জন্য আমরা এমন একটি রেসিপি হাজির করেছি যার মধ্যে আম আছে, আইসক্রিম আছে, আছে ওয়্যাফল। এর পর আপনার মন ভালো হতে বাধ্য। ওয়্যাফল মেকার না থাকলে প্যানকেক বানিয়ে খেলেও অসুবিধে নেই!
আম আর পুদিনার ওয়্যাফল
উপকরণ
12 টুকরো পাকা, মিষ্টি আম (মাঝারি আকারের আমের অর্ধেক থেকে কেটে নিন)
3টি ওয়্যাফলের জন্য লাগবে
125 গ্রাম ময়দা
75 গ্রাম গুঁড়ো চিনি
30 গ্রাম গলানো নুন-ছাড়া মাখন
150 মিলি দুধ
6 গ্রাম বেকিং পাউডার
1 চাচামচ ভ্যানিলা এসেন্স
সাজানোর উপকরণ
5 টি পুদিনাপাতা কুচিয়ে নিন
1 চিমটে আইসিং সুগার বা গুঁড়ো চিনি লাগবে সাজানোর জন্য
1 স্কুপ ম্যাঙ্গো আইসক্রিম
30 মিলি মেপল সিরাপ
পদ্ধতি
একটা শুকনো বাটিতে ময়দা, দুধ, চিনি নিয়ে বেশ করে ফেটিয়ে নিন।
এর মধ্যে গলানো মাখন, ভ্যানিলা এসেন্স, বেকিং পাউডার নিয়ে ফের একবার ভালো করে ফেটান।
তারপর একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে, যাতে একটুও ডেলাভাব না থাকে।
এবার যাঁদের বাড়িতে ওয়্যাফল মেকার আছে, তাঁরা 200 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে মেশিন গরম করে নিন।
তার পর তাতে মিশ্রণ দিয়ে সেঁকে নিতে হবে।
না থাকলে প্যানকেক বা গোলা রুটির মতো ভেজে নিন অল্প মাখন দিয়ে।
তার পর আম, আইসক্রিম, মেপল সিরাপ, পুদিনা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
ফোটো ও রেসিপি সৌজন্য: বাইকার্স ক্যাফে, কলকাতা
পরের স্টোরি :
আম বাঙালির খাস ফলের স্বাদ নিন অভিনব উপায়ে, ট্রাই করুন নয়া রেসিপি
মন্তব্য
পরের স্টোরি
ফেমিনা বাংলা পেটপুজো রেসিপি আম বাঙালির খাস ফলের স্বাদ নিন অভিনব উপায়ে, ট্রাই করুন নয়া রেসিপি
আম বাঙালির খাস ফলের স্বাদ নিন অভিনব উপায়ে, ট্রাই করুন নয়া রেসিপি
লিখছেন রুদ্রাণী ভট্টাচার্য | May 19, 2020, 12:00 AM IST
আমের ঠান্ডাই
আমের নানা প্রজাতি, তার স্বাদ, কোনটি সেরা -- এই সব অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মোটামুটি সব বাঙালিরই একান্ত ব্যক্তিগত মত আছে এবং প্রত্যেকে নিজের নিজের মতো করে এ দুই দেবভোগ্য খাদ্য উপভোগ করে থাকেন। আমের মরশুম এই সবে শুরু হয়েছে, বাজারে জোগান ভালোই। আজ আমরা যে রেসিপিটি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি, সেটি ঠিক বাঙালির চেনা নয়, তবে খেতে দারুণ লাগবে আমের এই শরবত।
আমরস ঠান্ডাই
উপকরণ
200 গ্রাম আমরস
150 মিলি ঠান্ডাই সিরাপ
150 গ্রাম চিনি
1 লিটার গাঢ় দুধ
10 গ্রাম আমন্ড
10 গ্রাম পেস্তা
2 গ্রাম জাফরান
পদ্ধতি
আমরস বানাতে জানেন না? চিন্তা নেই!
দুটো পাকা, মিষ্টি আম ছোটো ছোটো টুকরোয় কেটে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন চিনি, সামান্য জাফরান আর এক কাপ ঘন ঠান্ডা দুধ দিয়ে।
তার পর সেটা ঠান্ডা করে নিলেই আমরস তৈরি। উত্তর ভারতে, বিশেষ করে গুজরাতে এটি মিষ্টি হিসেবে এমনিই খাওয়া হয়।
এবার এই আমরস দিয়ে শরবত তৈরি করার জন্য আগে দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। তার পর ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
খাওয়ার খানিক আগে ফ্রিজ থেকে দুধ বের করে নিন।
প্রথমে নেড়ে নেড়ে ভালো করে চিনি মেশান।
তার পর বাকি সব উপকরণ এক এক করে মিশিয়ে নিন।
প্রতিটি উপকরণ ভালো করে মেশার পরেই পরেরটি যোগ করুন।
এবার একেবারে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে মিহি করে কুচিয়ে নেওয়া বাদামের টুকরো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
গরম পড়তে আরম্ভ করেছে এবং আবহবিদদের ধারণা, এ বছর তার পাল্লা দারুণ বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকাটা আবশ্যক, কারণ করোনা কান্ডের জেরে হাসপাতালগুলিতে তিলধারণের জায়গা নেই। তাই আপাতত আপনার প্রথম কাজ, নিজের ও পরিবারের সকলের খেয়াল রাখা। যদিও বাজারে অধিকাংশ জিনিসপত্রই অমিল, কাঁচা আম যেহেতু একেবারেই স্থানীয় ফল, তাই তা মিলছে। আম দেখতে পেলে অবশ্যই কিনুন। আমের টক, আম ডাল তো বানানো যায়ই, কোনও মাছ পাওয়া গেলেও আম দিয়ে তা রান্না করতে পারেন। আর আছে আমের শরবত, শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণে তার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে।
কাঁচা আমের শরবত বানানোর দুটো সহজ রাস্তা হয়। উত্তর ভারতে আম সেদ্ধ করে কাত্থ বের করা হয়। বাংলায় আমটা পুড়িয়ে শাঁস বের করার নিয়ম চলে, তাতে বাড়তি একটা স্মোকি ফ্লেভার যোগ হয়। বাড়ির গ্যাসেও আম পোড়ানো সম্ভব – রুটি সেঁকার তারজালির উপর রেখে পুড়িয়ে নিতে পারেন। মাঝারি আকারের আম পুড়তে মিনিট পাঁচ-সাত লাগে। তার পর খোসা ছাড়িয়ে শাঁস বের করে নিন। জল মিশিয়ে পাতলা করুন। মশলা হিসেবে দিন বিটনুন, চিনি, ভাজা মশলার গুঁড়ো আর পুদিনাপাতা বাটা।
আম পান্নার রেসিপি
উপকরণ
2টি কাঁচা আম
1 কাপ চিনি
2 কাপ জল
সামান্য নুন
সামান্য এলাচগুঁড়ো
সামান্য জ়াফরান
পদ্ধতি
আমের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে নিন।
চিনি আর সামান্য নুন দিয়ে প্রেশার কুকারে আম সেদ্ধ করে ব্লেন্ড করুন, তার পর ছেঁকে নিন।
এলাচ, জ়াফরান মেশান।
ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
খুব ঘন লাগলে একটু জল মেশাতে পারেন।
আম কম বেশি সবারই পছন্দের একটি ফল। কিন্ত পছন্দের এই ফলটি যখন আমাদের দেশে সারা বছরই পাওয়া যাবে তখন কতই না ভালো হবে আম প্রেমিক মানুষের জন্য। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এমনি একটি আমের জাত উদ্ভাবন করেছে যা সারা বছর ফল দিবে। আমের এই জাতটি হলো বারি আম ১১।
বারি আম ১১ বারোমাসি জাতের আম অর্থাৎ সারা বছরই ফল দিয়ে থাকে।
বছরে তিনবার ফল প্রদান করে থাকে। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে গাছে মুকুল আসে এবং মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এবং জুলাই-আগস্ট মাসে ফল আহরণের উপযোগী হয়।
ফল লম্বাটে ( লম্বায় ১১.৩ সেমি ) এবং প্রতিটি আমের গড় ওজন ৩০০-৩৫০ গ্রাম।
কাঁচা আমের ত্বক হালকা সবুজ। আর পাকলে ত্বক হয় হলুদাভ সুবজ।
আম গাছটির উচ্চতা ৬-৭ ফুট। গাছটির কোনো অংশে মুকুল, কিছু অংশে আমের গুটি, কিছু অংশে কাঁচা আম, আবার কোথাও পাকা আম। একটি গাছেই ফুটে উঠেছে আমের ‘জীবনচক্র’।
এটি খেতে সুস্বাদু, তবে একটু আঁশ আছে। ফলের শাঁস গাঢ় হলুদ বর্ণের।
এই জাতের ৪-৫ বছর বয়সী গাছ থেকে প্রতিবার ৬০-৭০টি আম আহরণ করা যায়। এছাড়াও এই জাতের একটি গাছে বছরে প্রায় ৫০ কেজি পর্যন্ত আম হয়ে থাকে।
বারি আম ১১ এর এক বছর বয়সী গাছে আমের মুকুল আসে।
আম গাছের একটি থোকার মধ্যে ৫-৬ টি আম থাকে।
আমের উচ্চফলনশীল এই জাতটি বাংলাদেশের সব এলাকায় চাষ উপযোগী।
আমের এই জাতটি সম্পূর্ণ দেশীয় আম হাইব্রিড নয়। এটি প্রাকৃতিকভাবে সংকরায়ণের ফলে সৃষ্ট।
চাষের উপযুক্ত জমিঃ মাঝারী উঁচু জমি এবং দোআঁশ মাটি বারি আম ১১ চাষের জন্য উপযোগী।
বংশবিস্তারঃ বীজের বা কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা যায়। বীজ থেকে চারা উৎপাদন করলে মাতৃগাছের মতো ফল পাওয়া যায় না। তাই কলমের মাধ্যমেই এই জাতের আমের চারা উৎপাদন ও বংশবিস্তার করা উত্তম। এক্ষেত্রে জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় / ভাদ্র – আশ্বিন (মে-জুন/ আগস্ট-সেপ্টেম্বর) করাই উত্তম।
আম পাকার সময়ঃ মে মাস আমের মৌসুম হওয়ায় এ মাসে আমের ফলন বেশি হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগস্ট মাসে, তৃতীয় পর্যায়ে নভেম্বর এবং চতুর্থ পর্যায়ে ফেব্রুয়ারি মাসে আম পাকবে।
ফলনঃ বারি আম ১১ এর ফলন ২২,০০০ কেজি/হেক্টর বা ২২ টন/ হেক্টর। এছাড়াও প্রতি শতকে ৮০-৯০ কেজি আমের ফলন হয়ে থাকে।
প্রাপ্তিস্থানঃ বারি আম -১১ বা বারমাসি আমের এই জাতটি এখন বাংলাদেশের সব উদ্যানতত্ব গবেষণা কেন্দ্রেই চাষ হচ্ছে। আমের এই জাতটি দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দেশের সকল আঞ্চলিক উদ্যানতত্ব কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাজ করে যাচ্ছে।
সম্ভাবনাঃ বারি আম-১১ থেকে সারা বছর ফুল,ফল ও পাকা আম পাওয়া যায বিধায় ভবিষ্যতে এই জাতের আমের চাষ বাড়বে। এছাড়াও বাড়ির ছাদেও বারি আম-১১ চাষ করা সম্ভব।
২৬ বিঘে জমির বিশাল বাগানে একেক আম গাছে হরেক রকম আম
Written by Super Adminএকটাই গাছ। কিন্তু তাতে হরেক প্রজাতির আম। কোনও গাছে ১২৫ রকম। আবার কোনটায় ৭০ বা ৯০ রকমের। বহরমপুর-লালগোলা রাজ্য সড়কে বাগডহর মোড়ের কাছে কুশল দত্তের বাগান। সেখানে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৬ বিঘে জমিতে রয়েছে হরেক আম গাছ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছের ডাল সংগ্রহ করে নিজের বাগানের আম গাছের সঙ্গে কলম তৈরি করে নতুন নতুন প্রজাতির আম তৈরি করেছেন তিনি।
চম্পার সঙ্গে মোলামজামের মিলন ঘটিয়ে তৈরি করেছেন বেলচম্পা। ল্যাংড়া আর বোম্বাইয় মিলিয়ে তৈরি করেছেন লমবো। এ বছর লমবো ও বেলচম্পা শিলিগুড়ি ও আসানসোলের বাজারে খুবই সুনামের সঙ্গে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুশল। যদিও সরকারি স্বীকৃতি এখনও মেলেনি। তাঁর কথায়, ‘নিজের কাজ নিজে করে যাচ্ছি। আমার কোন প্রত্যাশা নেই।’ মুর্শিদাবাদ উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক প্রভাস মণ্ডল বলেন, ‘কুশলবাবুর কথা জেনেছি। উনি অনেক প্রজাতির আম তৈরি করছেন। খুব তাড়াতাড়ি বাগান দেখতে যাব।’
বছর তিরিশ ধরে হারিয়ে যাওয়ায় সেই সব আমের প্রজাতি রক্ষা করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জিয়াগঞ্জের কুশল ঘোষ। নবাবদের প্রিয় আম ছিল অগ্নি আম। সেই আম কেটে প্লেটে রাখলেই কিছুক্ষণের মধ্যেই আঁটি থেকে শাস আলাদা হয়ে যেত।সেই আমের গাছ বর্তমানে একটি বেঁচে রয়েছে। তার কলম তৈরি করে অগ্নি প্রজাতিকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন কুশল। হারিয়ে যাওয়া আম রক্ষা করার নেশা যেন তাঁকে পেয়ে বসেছে।
লালগোলা থেকে তাঁর বাগানে এসেছিলেন শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই বাগানে নানা প্রজাতির আম পাওয়া যায় বলে আমরা প্রতিবারই এই বাগানে এসে আম কিনে নিয়ে যাই।’ বীরভূমের নলহাটির সুজয় ঘোষ বলেন, ‘নবাবরা যে আম পছন্দ করত সেই আমের জন্য আমি প্রতিবছরই কুশলবাবুর বাগানে আসি। এখান থেকে আম নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন আত্মীয়দের সরবরাহ করি।’ ছোট নবাব শহিদ মির্জা আলি বলেন, ‘বাপ-ঠাকুরদা যে আম পছন্দ করত সেই আম আজ বিলুপ্তির পথে। কুশলবাবু সেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, এটা দেখে আনন্দ লাগছে।’
কুশল বলেন, ‘৩০ বছর আগে বাগানের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন প্রজাতির আম তৈরি করার নেশা আমার মধ্যে চেপে বসেছে। এটাই এখন ধ্যান-জ্ঞান আমার কাছে। বাইরে থেকে অনেকে বাগান দেখতে আসেন। আম কিনতে আসেন। সেটা দেখে প্রেরণা পাই। এখনও তাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ব্লগার লগ ইন
ব্লগ পুঞ্জিকা
ব্লগ ট্যাগ
আরও পড়ুন
-
এবছর সাতক্ষীরায় আমের দাম
-
শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীতে এটাই সম্ভবত সব থেকে বড় আম গাছ
-
অপরিপক্ক আম বাজারজাত করলে কঠোর ব্যবস্থা
-
কুষ্টিয়া সেজেছে আমের মুকুলে, বাম্পার ফলনের আশা
-
মৌসুমী ফল আম
-
মৌসুমি রাজশাহীর আম
-
রূপচর্চায় আম
-
তিন সপ্তাহ পরই আম পাকা শুরু
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমবাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা
-
পুঠিয়ায় ফরমালিনমুক্ত আম বাজারজাত নিশ্চিত করণে মতবিনিময় সভা
-
অনলাইনে আম ব্যবসায়ীদের কিছু সাধারন প্রশ্নের উত্তর
-
আমের ভালো ফলন পেতে রোগ-বালাই প্রতিরোধ করতে যা করণীয়
-
যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হচ্ছে কানসাটের রাসায়নিকমুক্ত আম
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম ফাউন্ডেশের আমবাগানের ভিতর অবস্থিত একটি কবরস্থান হতে শিবমূর্তি উদ্ধার
-
ছাদে যে সকল গাছ লাগালে ভালো ফল পাবেন
-
রংপুরের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম
-
গরমে প্রতিদিন কেন আম খাবেন
-
বালিয়াডাঙ্গীর প্রাচীন আম গাছটির দর্শনী ১০ টাকা
-
সাতক্ষীরায় আমগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা
-
আমে পোকা দমনের উপায়
-
বাণিজ্যিকভাবে আমে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি
-
ক্যান্সার ঝুঁকি কমাতে আম
-
আলুর পর আম বিপ্লব
-
আমের কাঙ্ক্ষিত ফলন পেতে মুকুলের যত্নে করণীয়
-
ঘ্রাণে ডানা মেলে আমের মুকুল
-
রাজধানীর বাজারে বিষাক্ত আম
-
বান্দরবানে আম্রপলি আম চাষ করে সফলতার মুখ দেখেছে অনেক কৃষক
-
ত্বোহাখানা ছাপিয়ে প্রথমেই কেন দরসবাড়ী মসজিদ নিয়ে লিখতে বসলাম..
-
আম বাগানে আদৌ ফল ধরে না বা খুবই কম ফল দেয় সে ধরণের বাগানকে ফল উৎপাদনক্ষম করে তোলার পদ্ধতি
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমকে ঘিরে শত ব্যস্ততা
-
মাটিতে হাঁড়ি বসিয়ে পানি ঢেলে সেচের ব্যবস্থা করে সফলভাবে আম চাষ
-
মালদার আম চলল ইউরোপে
-
মালি আম
-
ঈশ্বরদীতে কাল বৈশাখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টি লন্ড ভন্ড লিচু ও আমবাগান
-
আম খান- ডাক্তারের উপর চাপ কমান
-
ভারতের বাগান গুলোতে কিভাবে যত্ন নিচ্ছেন সেখানকার আম চাষীরা
-
আগামী মৌসুমে ভাল ফলন পেতে আম গাছের পরিচর্যা
-
আমের ফলন বৃদ্ধির কৌশল
-
কাঁচা আম দিয়ে সবজি মাংস
-
সোহাগী আমের সান্নিধ্য
-
খরায় ঝরছে আমের গুটি
-
এক আম ৪ কেজি
-
দেশে আম উৎপাদন ও রফতানি সম্ভাবনা প্রচুর
-
আম এর মুকুল ঝরা সমস্যা ও করণীয়
-
মজার মজার আমের আচার
-
সাতক্ষীরায় বড় বাজারে আমের সরবারহ প্রতিদিন হাজার হাজার মন
-
আম গাছের পাতা থেকে ঝড়ছে মিষ্টি পানি !
-
কালীগঞ্জে আম চাষ করে ভাগ্য ফেরাতে চায় আলমগীর
-
দেশে অনেক জাতের দুর্লভ আম আর নেই
-
আমের মৌসুমে রাজশাহীর বা চাঁপাই এর আমের বিজনেস
সর্বশেষ মন্তব্য
-
আর খাইয়েন না। এক লাখ পুরা হলেই আজরাইল এসে ধরবে।
Written by মিজানুর on Friday, 29 May 2020 16:47 এক বসাতে ১০০ ল্যাঙড়া আম খেয়েছি – লোটাস কামাল -
Nice post, very interesting. Good work , If you have…
-
এই আম কোন মাসে পাকে
-
I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
-
I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
-
How can this be done?
-
মনজুরুল হক ভাইয়ের নাম্বারটা দেবেন
-
হিমসাগর কত করে??
-
5kg am lak ba gser
-
আঁচার আমার খুব পছন্দের। আমি একদিন এটা বানিয়ে নিব। ধন্যবাদ।
-
খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ লেখককে।
-
ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে আপনার জার্নির কথা শুনে... আর আমরা ঘরে…
-
চিন্তা করা যায়??
-
কৃষি কর্মকর্তারা কি বেতন খাচ্ছে আর ঘুমা্চ্ছে....
-
আমার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে.. আমি কি আম চাষ করতে পারবো?
