আম পরিচর্যা নিয়ে বিপাকে চাষিরা, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা
Written by Super Admin‘আমের আনা মাছের পাই, টিকলে পরে কে কত খাই’ চিরায়ত এ প্রবাদ মেনে রাজশাহীর আম চাষিরা এখন গাছে আমের গুটি টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত। গুটি ভরা গাছের সঠিক পরিচর্যা এনে দিতে পারে বাম্পার ফলন। কিন্তু সেখানেও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব!
করোনা প্রতিরোধে চলা লকডাউনে জেলা সদর থেকে গ্রাম পর্যায়েও এখন প্রকট শ্রমিক সংকট। স্থানীয় বাজারে দোকান-পাট বন্ধ থাকায় মিলছে না সার-কীটনাশকও। ফলে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমের পরিচর্যা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন আমের রাজধানী খ্যাত রাজশাহীর কৃষকরা।
ফল গবেষক ও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গাছে এবার ভালো মুকুল এসেছিল। আগাম মুকুল আসা গাছগুলোতে এখন আমের কড়ালি (গুটি)। আর দেরিতে মুকুল আসা গাছে ‘মোটর দানা গুটি’। এ দুই পর্যায়েই কীটনাশক স্প্রে করা জরুরি। যেহেতু বৃষ্টি নেই, তাই গাছের গোড়ায় পানি এবং বিভিন্ন প্রকারের সার দিতে হবে। তা না হলে আমের ফলন বিপর্যয় হতে পারে।
তবে কৃষকরা বলছেন, লকডাউন চললেও কৃষি উপকরণ সরবরাহ চালু রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু স্থানীয়ভাবে এ নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। সার-কীটনাশকের দোকানও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। তবে দেন-দরবার করে কীটনাশক ও সার মিললেও পরিচর্যায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে শ্রমিক সংকট।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা জানা যায়, জেলার পুঠিয়া, মোহনপুর, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় এবার ৮৫ ভাগ আম গাছে ভালো মুকুল এসেছিল। কিছুটা কম হলেও তানোর ও গোদাগাড়ীতেও গাছে মুকুল ছিল। মুকুল হওয়ার সময় থেকে টানা খরায় এখন ঝরে পড়ছে গুটি।
পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া গ্রামের আমচাষি রইছ উদ্দিন। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) রাতে মোবাইল ফোনে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, গুটি তো ভালোই ছিল। কিন্তু ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে। একটু বড় হয়ে ওঠা গুটিগুলোতে ছত্রাক লেগে খসে পড়ছে, গাছে পোকাও খুব। খরার কারণে এমন ক্ষতি হচ্ছে। এখন বৃষ্টি হলে ভালো হতো, এতো বেশি পরিচর্যা করতে হতো না।
কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা দুই/তিনটি কীটনাশকের নাম বলে দিয়েছেন। তিনদিন পর পর স্প্রে করতে হবে। কিন্তু ইউনিয়নের বাজারে কীটনাশক পাচ্ছি না। উপজেলা সদরের বাজারে গিয়েও দোকান বন্ধ। দোকান মালিককে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে কিছু কীটনাশক কিনেছি। এখন অন্তত ১৫ জন শ্রমিক লাগবে, কিন্তু পাচ্ছি না। নিজে এবং ভাইদের নিয়ে যতটুকু পারছি করছি
বাঘার আড়ানী পাঁচপাড়া গ্রামের চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, খরায় গাছ থেকে ব্যাপক হারে গুটি ঝরে যাচ্ছে। বাগানে সেচ দিচ্ছি, সারও দিয়েছি। কিন্তু স্প্রে করার শ্রমিক মিলছে না। গুটি ঝরা না বন্ধ হলে ফলন হবে না। বাগান ইজারা নেওয়ার টাকাও উঠবে না।
মোহনপুরের স্থানীয় সাংবাদিক মোস্তফা কামাল জানান, করোনা প্রতিরোধে পৌর মেয়র বাজারের সব দোকানই বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কৃষি উপকরণ সংকটে রয়েছেন চাষিরা। আম গাছে গুঁটি ঝরে যাচ্ছে। যত্ন নিতে পারছেন না। কৃষকরা তাদের কাছে প্রায়ই সার-কীটনাশক না পাওয়ার অভিযোগ করছেন।
চারঘাটের স্থানীয় সাংবাদিক এ কে আজাদ সনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট রয়েছে। বড় বাগানে একসঙ্গে ১২/১৫ জন মিলে কাজ করতে হয়। যেটা এখন করা সম্ভব হচ্ছে না। সার-কীটনাশক পাওয়া গেলেও তা খুব অপ্রতুল। ফলে বাগান পরিচর্যা নিয়ে বিপাকে পড়ার বিষয়টি চাষিরা তাদের জানাচ্ছেন।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ড. আলীম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, খরার কারণে গুটি ঝরে পড়া, পোকা ও ছত্রাক হওয়ার শঙ্কা থাকে। প্রতিকূল আবহাওয়ার সময় পরিচর্যা বেশি প্রয়োজন। এখন গুটি ও পাতায় স্প্রে এবং গোড়ায় সার, পানি দিতে হবে।তিনি বলেন, চাষিরা প্রায়ই ফোন করে বিভিন্ন সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। আমরা তাদের মোবাইল ফোনে পরামর্শ দিচ্ছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সার-কীটনাশকসহ সব কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত রাখার কথা। সেটার ব্যত্যয় ঘটলে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।
রাজশাহী কৃষি-সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে রাজশাহী জেলায় আমবাগান রয়েছে ১৭ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮ মেট্রিক টন। গত বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৩ হাজার ৪২৬ মেট্রিক টন।
অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক উম্মে সালমা বলেন, জেলায় কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যদি কেউ সার-কীটনাশক না পেয়ে থাকেন, তবে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বা জেলা অফিসেও মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা কৃষি উপকরণ নিশ্চিত করব।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: https://www.barta24.com
নতুন বছরের শুরুতেই কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত গোটা জেলা। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি আম চাষে ও ব্যাপক ক্ষতি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য লকডাউন চলছে। ফলের বাগান পরিচর্যা করতে শ্রমিকের অভাব। স্প্রে সহ অন্যান্য অনুখাদ্য আম বাগানে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে এমনিতেই আমের উৎপাদন অনেকটাই কম হবে বলে মনে করছেন জেলা উদ্যানপালন দফতর। এর পাশাপাশি এই কালবৈশাখীর ঝড়ে আরও ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বর্তমান সময়ে আম ছোট থাকলেও বুধবারের ঝড়ে আম বাগানগুলোতে দেখা গেল স্থানীয় লোকেরা আম কুড়োচ্ছেন। এমনিতেই মুকুল থাকার সময় অকাল বর্ষণে প্রথম দফায় ক্ষতি হয় অনেকটাই। অকাল বর্ষণ. করোনাভাইরাস, কালবৈশাখী ঝড় সব মিলিয়ে মালদা জেলার মূল অর্থনীতি এবার বড়সড় ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। মালদা জেলায় এ বছর ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। মূলত ল্যাংড়া, ফজলি, হিমসাগর,আশ্বিনা, গোপাল ভোগ সহ ৩০ টিরও বেশি প্রজাতির আম মালদায় চাষ হয়। মালদা জেলার মূল জনসংখ্যার ৭০ভাগ লোক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আম চাষের সঙ্গে যুক্ত। জেলার অর্থনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে আম। মালদা জেলার পাশাপাশি রাজ্যের অন্য জেলাতেও আম ব্যবসায়ীরা আম পাঠিয়ে থাকেন। গত বছরও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আম রফতানি করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর বাজারে মালদার আম যখন উঠবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। করোনা ভাইরাসের কারনে অন্য দেশে আম রফতানি করা যাবে না বলে মনে করছেন আম চাষিরা। মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘আম চাষিদের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। সংশ্লিষ্ট দফতরকে আম চাষিদের পাশে থাকা দরকার।’
পরোক্ষ ভাবে করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে মালদহ জেলার আম চাষে। সেখানে ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়। এই বছর প্রচুর মুকুল ধরে ছিল গাছে। আম বাগান মালিকেরা প্রথম ধাক্কা খায় অকাল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ধাক্কা করোনা ভাইরাস। মুকুল আসার সময় থেকে আম পেড়ে বাজারে পাঠানো পর্যন্ত এই জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ যুক্ত থাকে। কিন্তু লকডাউনের ফলে লোকের অভাবে আম বাগানে কোনো রকম স্প্রে করা যাচ্ছে না। পরিচর্যার জন্য আমের গুণগত মান এতটাই খারাপ হবে যে বাজারে দাম পাওয়া যাবে না। এছাড়া এই সময় আম বাগানে প্রচুর শ্রমিক একত্রিত হয়ে কাজ করে। লকডাউনের ফলে শ্রমিকদের একত্রিত করা যাচ্ছে। মাথায় হাত আম বাগান মালিকদের। আমের মরশুমে মুকুল ধরা অবস্থা থেকে বাগান বিক্রি হতে থাকে। গুটি থাকা অবস্থাতে আবার ২ থেকে ৩ বার বিক্রি হয়। এবার কিন্তু চিত্রটা একেবারে অন্য। কোনো বাগানের আম এখনও পর্যন্ত বিক্রি হয়নি। শেষ পর্যন্ত যে পরিমাণ আম টিকে থাকবে সেই আম বেচে লগ্নী করা টাকা ঘরে উঠবে কিনা সেই চিন্তাতে আম চাষিদের ঘুম নেই। মালদহ জেলার অর্থিক ব্যবস্থা পুরোটাই আমের উপর নির্ভরশীল। এমনিতে করোনা ভাইরাসের জন্য দোকান বাজার বন্ধ। ব্যবসায় মন্দা। লোকজনের হাতে টাকা নেই। এর সঙ্গে যদি লকডাউন চলতে থাকে, তাহলে বাগানের আম বাগানেই পরে থাকবে। বাজারে পাঠানো যাবে না। এই বছর আম উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা ধার্য হয়েছে ৩ লক্ষ মেট্রিকটন।
একে করোনার প্রকোপ তার ওপর সমস্যা বাড়ালো কালবৈশাখী। মালদহে ক্ষতির মুখে আম। বুধবার সকাল থেকে মালদহে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝড় এবং শিলা বৃষ্টি হয় । আম চাষিরা জানিয়েছেন , এরফলে অনেক এলাকাতেই গাছে সদ্য বেড়ে ওঠা প্রচুর আম ঝরে পড়েছে। পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির কারণে আরও বেশ কিছু এলাকায় আমের ক্ষতি হয়েছে । এমনিতেই এবার মালদহে আম চাষে মন্দাভাব। লকডাউন পরিস্থিতিতে আম গাছের পরিচর্যা ঠিকমতো করা যায়নি। আমের মরশুমে প্রয়োজনীয় কীটনাশক স্প্রে করার কাজ হয়নি । মালদহে আমের ফলন এবার কোন জায়গায় দাঁড়াবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে আমচাষীদের মধ্যেই ।
এই অবস্থায় বুধবার সকালে কালবৈশাখীর দাপট আমের ক্ষতি আরো বাড়লো।মালদা জেলায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। জেলায় গড়ে ৩ লক্ষ মেট্রিক টন আমের ফলন হয় । এবারও প্রথম পর্যায়ে আমগাছে বেশ ভালই মুকুল আসে। কিন্তু এরপর থেকেই সময়মতো কীটনাশক স্প্রে করতে না পারায় জেলার অনেক আমবাগানে সুলি পোকার আক্রমণ দেখা গিয়েছে। যা ছোট আম ফল গুলিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। এই অবস্থায় কীটনাশক স্প্রে জরুরি হলেও বাগানে গিয়ে গাছে স্প্রে করার মতো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না । ফলে এবার আম উৎপাদনে কার্যত ভগবানই ভরসা । এই অবস্থায় চাষীদের উদ্বেগ আরো বাড়িয়েছে বুধবার সকালে কালবৈশাখী। আমচাষীদের মতে, শুধু বৃষ্টি হলে তা আম চাষের পক্ষে সহায়ক হতো । এতে আমের বোঁটা শক্ত হয়ে ভবিষ্যতে আর ঝরে পড়ার সম্ভাবনাও কমতো। কিন্তু এদিন বৃষ্টির আগে জেলার বেশিরভাগ এলাকাতেই ঝড় বয়ে যায় । যার ফলে বেশকিছু আম ঝরে পড়েছে। এর পাশাপাশি বিপদ বাড়িয়েছে শিলাবৃষ্টি । এদিন মালদহের ইংরেজবাজার ,রতুয়া, মানিকচক, পুরাতন মালদহ- একাধিক এলাকায় বিভিন্ন বাগানে আম ঝোরে পড়তে দেখা যায় । অন্যান বছর ঝরে পড়া আম বিক্রি করেও কিছু রোজগার হয় । আম চাষিদের এবার বাগান থেকে ঝরে পড়া আম সংগ্রহ করে বাজারজাত করার মতো পরিস্থিতিও নেই। ফলে ঝরে পড়া আম বাগানে পড়ে থেকে নষ্ট হতে বসেছে । সবমিলিয়ে করোনা আর কালবৈশাখীর দাপটে মাথায় হাত আম চাষীদের।
বছরের প্রথম কালবৈশাখীর দাপটে ব্যাপক ক্ষতি আম চাষে
Written by Super Adminমালদহ: একে করোনা ঝড়ে বিধস্ত গোটা পৃথিবী। তার উপর নতুন বছরের শুরুতেই কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত গোটা মালদহ জেলা। বছরের প্রথম বিকেলের কালবৈশাখীর দাপটে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এই জেলার আম চাষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। একদিকে যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য লকডাউন চলছে। তখন সংক্রমণ রোখার পাশাপাশি ফলের বাগান গুলির পরিচর্যায় করতে যথেষ্ট শ্রমিকের অভাব রয়েছে।
ফলে এই অবস্থায় স্প্রে সহ অন্যান্য অনুখাদ্য দিয়ে আম বাগানের পরিচর্যা করা যাচ্ছে না।এছাড়া এমনিতেই এবছর আমের উৎপাদন অনেকটাই কম হবে বলে মনে করছেন জেলা উদ্যানপালন দফতর। যার ফলে বছরের শুরুতেই এই কালবৈশাখীর ঝড়ে আরও ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই সময় আমের গুটি ছোটো থাকলেও বুধবারের ঝড়ে আম বাগানগুলোতে দেখা গেল স্থানীয় লোকেরা আম কুড়োচ্ছেন।
এমনিতেই মুকুল থাকার সময় অকাল বর্ষনে প্রথম দফায় ক্ষতি হয়। অকাল বর্ষণ,করোনাভাইরাস, কালবৈশাখী ঝড় সব মিলিয়ে এবছর মালদহ জেলার মূল অর্থনীতি বড়সড় ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন চাষিরা। মালদহ জেলায় এবছর প্রায় ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। মূলত এই জমি গুলিতে ল্যাংরা,ফজলী,হিমসাগর,আশ্বিনা,গোপাল ভোগ সহ ৩০ টিরও বেশি প্রজাতির আম চাষ হয়।
যার ফলে এই জেলার মোট জনসংখ্যা ৭০ভাগ লোক প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ্য ভাবে আম চাষের সঙ্গে যুক্ত। শুধুই তাই নয়, রাজ্যের বেশীরভাগ বাজার গুলিতে প্রধানত এই জপলা থেকে সবচেয়ে বেশী আম সরবরাহ হয়। ফলে এই জেলার অর্থনীতির মূল ভিত্তিই হচ্ছে আম। এই জেলার পাশাপাশি রাজ্যের অন্য জেলাতেও আম ব্যবসায়ীরা আম পাঠিয়ে থাকেন। গত বছরও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আম রফতানি করা হয়েছিল বাংলার এই জেলা থেকেই।
কিন্তু এবছর বাজারে মালদহের আম উঠবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে। ফলে করোনা ভাইরাসের কারনে অন্যদেশে এবছর আর সেভাবে আম রফতানি করা যাবে না বলে মনে করছেন এই জেলার আম চাষীরা। এই বিষয়ে মালদহ ম্যাঙ্গো মার্চেন্টের অ্যসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন,”ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায় সেই বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।” যদিও সবকিছু কাটিয়ে কবে জীবন আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে সেই আশায় রয়েছেন সকলে।
করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে আম গাছ থেকে ঝড়ছে মধু গুজব?
Written by Super Adminচাঁদপুর সহ সারাদেশব্যাপী আম গাছ থেকে মধু ঝড়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে আম গাছের পাতা থেকে মধু ঝড়ে পড়ার ঘটনায় চাঁদপুর শহরে তোলপাড় চলছে। কেউ কেউ বলছে স্বপ্ন দেখানো হয়েছে আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়া মধু সেবন করলে নাকি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই গুজবে বিশ্বাস করে চাঁদপুর শহরে যততত্র আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়া মধু ভেবে অনেকেই এ কশ সংগ্রহ করতে দেখা যায়।
ফজরের নামাজের পর থেকে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় যেসব আম গাছে মুকুল ছিল ওইসব গাছের নিচ থেকে মানুষ মধু সংগ্রহ করে। সরজমিনে শহরের আলিমপাড়া, পালপাড়া, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, স্ট্যান্ড রোড, মমিন পাড়া, প্রফেসর পাড়া, নাজির পাড়া এলাকায়ও আম গাছ থেকে মধু ঝড়ছে ভেবে সাধারণ মানুষ তা সংগ্রহ করে। কয়েকজনের সাথে সকালে আলাপ করলে তারা জানান, আমরা শুনেছি স্বপ্নে নাকি আদেশ দিয়েছে আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়া মধু সংগ্রহ করে খেলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেজন্য আমরা আম গাছ থেকে ঝড়ে পড়া মধু খেয়েছি। এমনিভাবে চাঁদপুর ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আম গাছ থেকে মধু ঝড়ছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে। আবার কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে এই মধু খেলে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এমন পোস্টও ছাড়া হয়েছ। এতে করে দেশবাসীর মধ্যে মারাত্মকভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। এসব গুজব থেকে রক্ষা পেতে সচেতন মহল সকলকে অনুরোধ করছেন।
মূলত আম গাছ থেকে মধু ঝড়ার বিষয়টি নিয়ে কৃষিবিদদের ধারণা এক ধরনের পোকা নিস্ফ ও পুন্য বয়স্ক অবস্থায় আমগাছের সকল কচি অংশ থেকে রস খেয়ে বেঁচে থাকে। নিঃস্ফগুলো আমের মুকুল থেকে রস চুষে খায় এতে মুকুল শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে ঝড়ে পড়ে। একটি হপার পোকা দৈনিক তার দেহের ওজনের ২০ গুণ পরিমাণ রস চুষন করে খায়। এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত আঠালো রস মলদার দিয়ে বের করে দেয়। যা মধুর রস বা হানিডিও নামে পরিচিত। এ মধুরস মুকুলের ফুল ও গাছের পাতায় জমা হয়ে থাকে। যার উপর এক প্রকার ছত্রাক জন্মায়। এই পোকার আক্রমণে আমের উৎপাদন শতভাগ পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। হপার পোকার আঠালো রস মলদ্বার থেকে বের করে দেওয়া এই মধু।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: https://www.crimeaction24.com
এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আমবাগানগুলো মুকুল মুকুলে ছেয়ে গেছে হাঁসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। হলুদে হলুদে ভরে উঠেছে সবুজ সমারোহ বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ জানান দিচ্ছে, আসন্ন মৌসুমে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা পাবে বলে আশাবাদী ব্যাবসায়ীরা ।
ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার মাটি তুলনামুলক উঁচু এবং চতুর্দিকে সমান মাটির প্রকৃতি বেলে ও দোআঁশ। এসব জমিতে কয়েক বছর আগেও চাষীরা গম, ধান ,পাট ইত্যাদি আবাদ করতেন বেশি বেশি। কিন্তু ধান গম আবাদ করে তেমন একটা লাভবান হওয়া যায় না। তাই ঠাকুরগাঁও জেলার কয়েকটি উপজেলার চাষিরা আম বাগান গর্তে উরু করেছে বালিয়াডাঙ্গী,পীরগন্জ, রানীশংকৈল এলাকায় গত ১০ বছরে ব্যাপক আমবাগান গড়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ৩ হাজার বাগান গড়ে উঠেছে। ওইসব এলাকার রাস্তা দিয়ে যেতেই এখন অসংখ্য আমবাগান চোখে পড়ছে।
ঠাকুরগাঁও জেলার বিখ্যাত আমের নাম সূর্যপুরী ও গোপাল ভোগ হিমসাগর এটি সাধারণত বালিযাডাঙ্গী এলাকায় চাষ হয়। বিশেষ করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী এলাকায় রয়েছে বিশাল একটি আমগাছ। প্রায় ২ বিঘা জমি জুড়ে গড়ে উঠা ওই আমগাছকে ঘিরে দর্শনার্থীদের ভীড় জমে ওঠে প্রায় প্রতিদিনই।এইগাছের আমটি সূর্যপুরী। এ আম ইতোমধ্যে সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। পাতলা আটি আর সুমিষ্ট গন্ধ যেন মন কেড়ে নেয়।
এছাড়াও একবিঘা জমিতে অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে যে লাভ হয় আমবাগান করে তার চাইতে কয়েকগুণ লাভবান হওয়া যায় বলে জানিয়েছে রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষক সাইফুর রহমান কয়েক বিঘা জমিতে আমের বাগান করেছেন তিনি। গতবছর তিনি তার বাগান থেকে সারাদেশে বিষমুক্ত আম সরবরাহ করেন। তার মতো অনেক কৃষক এখন বাণিজ্যিক ভাবে আম্রপালি আমের বাগানের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এসব বাগানে গাছ লাগানোর ২/৩ বছরের মধ্যেই আম পাওয়া যায়। লাগাতার ফল দেয় ১০/১২ বছর। ফলনও হয় ব্যাপক। শুধু আম্রপালি ছাড়াও এ এলাকায় হাড়িভাংগা, গোপাল ভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি ও হিমসাগর আমের আবাদ হচ্ছে। বাগানগুলোতে আম গাছের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে গম আমন ধান এবং অন্যান্য ফসলেরও আবাদ করছেন চাষীরা। ইতোমধ্যে বাগানগুলোতে ব্যাপক মুকুল এসেছে। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছগুলো। হলুদের আভা ধারণ করেছে আম বাগানগুলো।
অনেকে বাগান করে আগাম বিক্রি করে দিচ্ছেন ফল ব্যবসায়ীদের কাছে। বড় বড় অনেক আম বাগান দুই-তিন বছর কিংবা তার অধিক সময়ের জন্য অগ্রিম বিক্রি হয়ে যায়। কিছু বাগান বিক্রি হয় মুকুল দেখে। আবার কিছু বাগান বিক্রি হয় ফল মাঝারী আকারের হলে। বাগানের পাশ দিয়ে হাঁটলেই মুকুলের ঘ্রানে মন প্রাণ ভরে উঠে।
রাণীশংকৈল উপজেলার ৮ নং নন্দুয়ার ইউনিয়নের আম বাগান ব্যবসায়ী এরশাদ আলী জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার ব্যাপক মুকুল দেখা যাচ্ছে। ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা বলছেন, মুকুল দেখে আশা করা যায় এবার আমের ব্যাপক ফলন হবে। শিলাবৃষ্টি বা ঝড়ঝঞ্জা না হলে ব্যাপক আমের ফলন পাওয়া যাবে বলে জানান বাগান মালিকেরা।
একই এলাকার আম বাগান মালিক খলিলুর রহমান ও বেলাল উদ্দীন জানান, গত বছর ২৭ বিঘার বাগানে ৫৩ লক্ষ টাকার আম বিক্রি করেছিলাম। এ বছর যে হারে মুকুল এসেছে, তাতে ৭০/৮০ লক্ষ টাকার আম বিক্রি করা যাবে।
কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম জানান, ছত্রাকে যাতে মুকুল নষ্ট না হয় সেজন্য নাশক হিসেবে ইমাডোক্লোরিড গ্রুপের দানাদার প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম ও সাইপারম্যাক্সিন গ্রুপের কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে এক মিলি লিটার মিশিয়ে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মুকুল গুটিতে পরিণত হওয়ার সময় একই মাত্রায় দ্বিতীয়বার স্প্রে করতে হবে।
রাণীশংকৈল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেব নাথ জানান, রাণীশংকৈল উপজেলার সূর্যপুরী আম সারাদেশে সুনাম রয়েছে। এখানকার আমে পোকা থাকে না, এটা এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট। আমের আকার দেখতে ছোট হলেও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং কালবৈশাখী বা ঝড়ঝঞ্জা না হলে ব্যাপক ফলন আশা করা যাচ্ছে।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: http://sunbd24.com
সম্প্রতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আদা থানকুনি পাতা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে দেশব্যাপী। যা নিয়ে তুলকালাম কান্ড ঘটে যায় সারা দেশে। সেই গুজব ঘুচতে না ঘুচতে নতুন এক আলোচনা সামনে এসেছে। তা হলো আম গাছের পাতা দিয়ে মিষ্টি মধু বা মিষ্টি পানি ঝড়ছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নতুন এই ঘটনা নিয়ে বেশ সোরগোল বেধেছে। কোথা থেকে আসছে এই মিষ্টি পানি বা কেন এবং কিভাবেই বা ঝড়ছে তা নিয়ে প্রশ্নের দানা বেদেছে জনমনে। অনেক আবার ঘটনাটিকে অলৌকিক বলেও আখ্যা দিয়েছেন।
বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডের বাসিন্দা ও চায়ের দোকানী পুন্না বলেন, ‘লোক মুখে শুনেছি আম গাছের পাতা থেকে মিষ্টি মধু ঝড়ছে। শোনার পরে আমি নিজেও প্রত্যক্ষ করেছি। দেখেছি আম গাছের পাতার পাশ দিয়ে পানি জাতিয়ে কিছু একটা গড়িয়ে পড়ছে।
পুন্না বলেন, ‘অনেক কৌতুহলবসত আম গাছের পাতা থেকে ছড়া ওই পানি খেয়েও দেখেছি। আসলেই খুব মিষ্টি লেগেছে। তাই এই ঘটনাটি আর বিশ্বাস না করার আর উপায় ছিল না। তবে কেন এবং কিভাবে পাতা থেকে মিষ্টি পানি ঝড়ল সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় ওই খুদে ব্যবসায়ীর মণে।
লোক মুখে আম গাছ থেকে মিষ্টি মধু ঝড়ার গল্প শুনে আটকে রাখা গেল না নিজেকে। অনেক কৌতুহল নিয়েই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে ছুটে যান বিএসএল নিউজ এর সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক। ঘটনার সত্যতাও ধরা পড়ে তার চোখে।
দেখা যায়, ‘আম গাছের কিছু পাতা থেকে পানি ঝড়ছে। দুর থেকে দেখে মধুর মতই মনে হয়েছে। এক একটি পাতার চার পাশ দিয়ে পানিগুলো গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে। তবে গাছের সকল পাতায় এক দৃশ্য মেলেনি। বেশিরভাগ পাতাই ভাবাবিক দেখা গেছে।
এই দৃশ্যটির সত্যতা জাচাইয়ে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় আম গাছের পাতা খুঁজতে গিয়ে একই দৃশ্য দেখা গেছে। তবে এর সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে বরিশালে কর্মরত কয়েকজন কৃষি কর্মকর্তাকে ফোন করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। যে কারণে আপাতত আম পাতা থেকে মিষ্টি পানি ঝড়ার রহস্য অজানাই থেকে যায়।
তবে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি ঘাটতে গিয়ে দেখা যায়। ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ঈশ্বদীতে এমন একটি ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে তখনকার সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।
একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচার হওয়া সংবাদে ঈশ্বরদী উপজেলার তৎকালিন কৃষি কর্মকর্তা খুরশিদ আলমের বরাত দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আম গাছে শোষক পোকা নামে এক ধরনের ক্ষুদ্র ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণের কারণে এটা হতে পারে। আম উৎপাদনের জন্য এটি উদ্বেগজনক।
নিউজটিতে ঈশ্বরদী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের তৎকালিন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলতাব হোসেনের বরাত দিয়ে লেখা হয়েছে, ‘আম গাছের জন্য এটি একটি নতুন সমস্যা মনে হচ্ছে। গাছে শোষক পোকার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
তবে এটি পোকার আক্রমনে হতে পারে বলে তিনি ওই পত্রিকাটিকে জানিয়েছেন, এসব পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস খেয়ে ফেলে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ওই পোকা বংশবৃদ্ধি করে। পোকার দেহ থেকে নিসৃত রস আঠালো ও মধুর মতো মিষ্টি মনে হয়। রসের কারণে আম ও গাছের পাতায় বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগ তৈরির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এতে গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। এমনটি হলে গাছের আম কালো হয়ে আস্তে আস্তে তা শুকিয়ে ঝরে পড়ে। এ পোকার আক্রমণ গুটি বা ছোট আমের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পোকা আক্রমণের সময়কে শুটি মৌল বলা হয়। বড় আমগাছে এ পোকার আক্রমণ কম হয়। ছোট গাছে প্রভাব পড়ে বেশি।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: https://bslnews24.com/
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বানিয়াদী, হাটাবো, মাছিমপুর, মঙ্গলখালী, মাঝিপাড়া, হিরনাল, কালনী, তিনওলব ও দাউদপুর সহ আশেপাশের এলাকায় এবার রেকর্ড পরিমাণ আম উৎপাদন হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন।
আম গাছে প্রচুর পরিমাণ মকুল ও আমের গুঁটি আসায় কৃষকরা এখনই গাছের প্রতি বেশ যত্নশীল। আম ফলনে এবার অনুকূল পরিবেশ থাকবে বলে তারা মনে করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস আম গাছের মালিকদের রোগ জীবাণু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।
উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমের মকুল আসলেই গাছে স্প্রে করে ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়।
বানিয়াদী ফরিদআলীরটেক গ্রামের আম গাছের মালিক সুমন মিয়া বলেন, অনুকূল পরিবেশ থাকায় এ বছর অন্য বছরের তুলনায় আমের ভালো ফলন হবে। তবে পানির অভাবে কোন কোন গাছে আমের সাইজ ছোট হতে পারে।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: https://sangbadchorcha.com
ফলের রাজা আম। দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিঘার পর বিঘা জমিতে যেমন আম চাষ হয়, তেমনই গ্রামবাংলার গৃহস্থ বাড়িতে কয়েকটা আমগাছ থাকেই। সকালে ফেইসবুকে বন্ধু তোহার পোস্ট দেখে টনক নড়লো। আম গাছের পাতায় পাতায় মধু রস! এতোটাই বেশি নিঃসৃত হচ্ছে যে, গাছের নিচের রাস্তাও আঠালো হয়ে যাচ্ছে।
গাছের পাতায় পাতায় মধু রস বা হানিডিউ ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো সিলেট জুড়ে একই অবস্থা। আম গাছে কেবল মুকুল এসেছে মাত্র। এই রোগের আক্রমণে আমের উৎপাদনে ধস নামবে কি?
অনেকে আবার এই মধুকে করোনার বিরুদ্ধে কুদরতি ঔষধ ভেবে খাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে ঘাটিয়ে দেখলাম কুমিল্লাতেও একই অবস্থা! তার মানে পুরো বাংলাদেশই আক্রান্ত! ভয়ানক ব্যাপার। হপার পোকার আক্রমন সারা দেশেই!
আশঙ্কার ব্যাপার হলো, একটি হপার পোকা দৈনিক তার দেহের ওজনের ২০ গুণ রস শোষণ করে খায় এবং দেহের অতিরিক্ত আঠালো রস মলদ্বার দিয়ে বের করে দেয়, যা মধুরস বা হানিডিউ নামে পরিচিত। হানিডিউ এখন দেখা যাচ্ছে।
এ মধুরস মুকুলের ফুল ও গাছের পাতায় জমা হতে থাকে। মধুরসে এক প্রকার ছত্রাক জন্মায়।এই ছত্রাককে না সামলাতে পারলে বিপদ আসন্ন। এই ছত্রাক জন্মানোর কারণে মুকুল, ফুল ও পাতার ওপর কালো রঙের স্তর পড়ে যায়; যা সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এই পোকার আক্রমণে শুধু আমের উৎপাদনই কমে যায় না, গাছের বৃদ্ধিও কমে যেতে পারে। হপার পোকা অন্ধকার বা বেশি ছায়াযুক্ত স্থান পছন্দ করে।
প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলিলিটার হারে সাইপারমেথ্রিন (রিপকর্ড বা সিমবুস বা ফেনম বা এরিভো) ১০ ইসি পানিতে মিশিয়ে পুরো গাছে স্প্রে করতে হবে। আমের হপার পোকার কারণে যেহেতু সুটিমোল্ড বা ঝুল রোগের আক্রমণ ঘটে তাই রোগ দমনের জন্য প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে সালফারজাতীয় ছত্রাকনাশক কীটনাশকের সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
কিন্তু আম গাছের হানিডিউ এর কারনে যে রোগ আসতেছে “ঝুল রোগ” তা কিভাবে মোকাবেলা করা যাবে? কৃষি বাতায়ন লিখেছে–
# ঝুল রোগের আক্রমণে পাতার উপর কালো আবরণ পড়ে। এই কালো আবরণ হচ্ছে ছত্রাকের দেহ ও বীজ কণার সমষ্টি। আমের শরীরেও কালো আবরণ দেখা দেয়।
বিস্তারঃ রোগের বীজকণা বা কনিডিয়া বাতাসের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে থাকে। হপার বা শোষক পোকা আমের মুকুলের মারাত্মক শত্রু। এ পোকা মুকুল থেকে অতিরিক্ত রস শোষণ করে এবং মধু জাতীয় এক প্রকার আঠাল পদার্থ (যা হানিডিউ নামে পরিচিত) নিঃসরণ করে। উক্ত হানিডিউ মুকুল ও পাতার উপর পতিত হয় তার উপর ছত্রাকের বীজকণা জন্মায় এবং কালো আবরণের সৃষ্টি করে। হপার ছাড়াও ছাতরা পোকা (মিলিবাগ)ও স্কেল পোকা হানিডিউ নিঃসরণ করে এবং ঝুল রোগের আক্রমণে সহায়তা করে। হানিডিউ ছাড়া এ রোগ জন্মাতে পারে না।
প্রতিকারঃ
★ হানিডিউ নিঃসরণকারী হপার, মিলিবাগ বা স্কেল পোকা কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে দমনে রাখতে পারলে ঝুল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
★ আক্রান্ত গাছে সালফার গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করে এ রোগ দমন করা যায়।
এখনই যদি প্রতিকার করা না যায়, তবে আমের ফলনে নামবে ধস।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: http://www.agriview24.com
করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধকঃ এবার আকাশ থেকে আম পাতায় মধু পড়ার গুজব!
Written by Super Adminকুমিল্লা জেলা সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, আকাশ থেকে আম পাতায় মধু পড়েছে। অনেকে পাতা সংগ্রহ করে চেটেপুটে খাচ্ছেন।এ নিয়ে নারা জেলায় চলছৈ তোলপাড়। তাদের ধারণা সৃষ্টিকর্তা গজব (করোনা ভাইরাস) দিয়েছেন, আবার রহমতও (আম পাতায় পড়া কথিত মধু) দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা নগরীর রানীর দিঘির পূর্ব দক্ষিণ কোনের নেওয়াজ বাগ বাসার আম গাছের কিছু পাতা ভেজা দেখা গেছে।
ওই বাসার গৃহিনী রওশন আরা জানান, পাশের বাসার লোকজন থেকে শুনেছেন আম পাতায় মধু পড়েছে। তিনি ছাদে গিয়ে আমপাতায় মধুর মতো দেখেছেন। মুখে দিয়ে দেখেছেন মিষ্টি লাগছে।
এদিকে কুমিল্লার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক ও কুমিল্লা জেলাবাস মালিক সমিতির সভাপতি জামিল আহমেদ খন্দকার বৃহস্পতিবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে ফোন করে জানিয়েছেন, তার নগরীর বাগিচাগাঁওস্থ বাসার আম গাছের নিচে কয়েকজন ছেলে পাতা খাচেছ। এ অবস্থা দেখে চ্যালের ২৪ টিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি জাহিদুর রহমান ক্যামেরা নিয়ে চলে এসেছে। তাকে ডেকে বক্তব্য নিচ্ছে। তবে তিনি গাছের পাতা মুখে দেননি বলে জানিয়েছেন।
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের গোপাল পুর গ্রামের গ্রহিনী খাদিজা সরকার লিপি জানান, তার বাড়ির আম গাছে অসংখ্য মানুষ ভীর করছে। আম গাছের পাতা থেকে নাকি মধু পড়ছে। তবে তিনি নিজে পাতা মুখে দেননি বলে জানান।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, আম গাছে এক প্রকার পোকার আক্রমণে পাতা জলীয় দেখায়। এটা স্বাভাবিক বিষয়।এটা নিয়ে গুজব রটানোর কিছুই নেই।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: https://www.bangladeshtoday.net
সিলেট জুড়ে আম পাতায় কথিত মধু, করোনার ঔষধ বলে গুজব
Written by Super Adminসিলেটের বিভিন্ন স্হানে আম গাছের পাতা থেকে রসালো মধু ঝরছে। মধুর আঁটালো রসে ভেসে যাচ্ছে নিচের চারিপাশ।
অনেকে আবার এই মধুকে করোনার বিরুদ্ধে কুদরতি ঔষধ ভেবে খাওয়া শুরু করে দিয়েছেন।
কুমিল্লা জেলা সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় শনিবার সকাল থেকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, আকাশ থেকে আম পাতায় মধু পড়েছে। অনেকে পাতা সংগ্রহ করে চেটেপুটে খাচ্ছেন।
এ নিয়ে গোটা সিলেটে চলছে তোলপাড়। তাদের ধারণা সৃষ্টিকর্তা গজব (করোনা ভাইরাস) দিয়েছেন, আবার রহমতও (আম পাতায় পড়া কথিত মধু) দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে নগরীর লামাবাজার এলাকার একটি বাসার আম গাছের কিছু পাতা ভেজা দেখা গেছে। ওই বাসার মালিক এনাম রহমান জানান, পাশের বাসার লোকজন থেকে শুনেছেন আম পাতায় মধু পড়েছে।
তিনি ছাদে গিয়ে আম পাতায় মধুর মতো দেখেছেন। মুখে দিয়ে দেখেছেন মিষ্টি লাগছে।
এদিকে ভার্তখলার মাদ্রাসা ছাত্র ইহসান বিন সিদ্দিক ফেইসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করে জানান, তার এলাকার ঈদগাহ ময়দানে আম গাছের নিচে কয়েকজন ছেলে পাতা খাচ্ছে। এ অবস্থা দেখে সে স্মার্ট ফোনের সাহায্যে ভিডিও ধারণ করে ফেইসবুকে আপলোড করে। এবং সে নিজেও আম গাছের পাতা মুখ দিয়ে টেস্ট করেছে বলে জানায়।
সিলেটের দাড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা আলমগীর কুমকুম জানান, আমার বাসায় একই ঘটনা। সকাল বেলায় কাজের ছেলে আমপাতা এনে বলে মামা আমগাছ থেকে মৌচাক ভেঙে পড়ছে, কোথায় দেখি বলে বের হলাম, আমপাতায় অনেকটা মধুর মত কি লাগানো! কিন্তু গাছে বা নিচে কোন মৌচাকের অস্তিত্ব খোজে পাইনি।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ কেউ বলছে কুদরতি ঔষধ আবার কেউ বলছেন করোনা ভাইরাসের জন্য আলৌকিক কিছু। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় আম গাছের নিচে শতাধিক লোকের সমাগমও লক্ষ্য করা গেছে।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালাহ উদ্দিন বলেন, আম গাছের পাতায় পাওয়া উক্ত রস কোনো মধু নয় বরং আম গাছে এক ধরনের শোষক কিংবা হপার পোকা যা গাছ থেকে রস শুষে খায়।
এসব পোকা তাদের দেহের ওজনের ২০ গুন পরিমাণ রস শোষন করে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত রস মলদ্বার দ্বারা বের করে দেয় আর তা দেখতে প্রায় মধুর মতো। এটা স্বাভাবিক বিষয়। এটা নিয়ে গুজব রটানোর কিছুই নেই।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: https://ekhonsylhet.com
ব্লগার লগ ইন
ব্লগ পুঞ্জিকা
ব্লগ ট্যাগ
আরও পড়ুন
-
ভারতে একটি নুরজাহান আমের দাম ৫০০ রুপি
-
পাকা আমের থেকে কাঁচা আম বেশি উপকারী !
-
ফরমালিন মুক্ত আম চেনার সহজ উপায়
-
আম রপ্তানিতে সমস্যাগুলো কোথায়?
-
কানসাটে আমের দেশে আম কুড়োতে
-
আমের ভালো ফলন পেতে এ সময়ে করণীয়
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে টানা ৭ দিনের বর্ষনে আম ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মূল্য নিয়ে বেকায়দায় ব্যবসায়ীরা
-
এক গাছে ২১৭ জাতের আম!
-
ভারতে আম রপ্তানি কমেছে ১১ শতাংশ
-
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আমটি চুরি হয়ে গেছে
-
বোঝার উপায় কি কোন ফলে কার্বাইড বা ফরমালিন আছে ?
-
আম ক্যালেন্ডার
-
মাগুরায় নতুন জাতের আম “ইয়াসমিন” উদ্ভাবন
-
বাংলাদেশের বারোমাসি আম- বারি আম ১১ এর বিশেষ কিছু বিশিষ্ট্য
-
মধুময় ফল আম
-
নওগাঁয় গাছে গাছে আগাম আমের মুকুল
-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফরমালিন মুক্ত আম রপ্তানী বিয়য়ে দিনব্যাপী সেমিনার
-
আম ফলের অবদান
-
চার দিনে ১৫৯টি আমের চারা নষ্ট, বাগান নিয়ে উদ্বেগে চাষিরা
-
এবার দেখা যাবে বেগুনি রঙের আম
-
চীন ‘মহাশূন্যের আম’ উৎপাদন করেছে
-
আম ও আমতলা নিয়ে মুর্শিদাবাদের গ্রাম্য জীবন
-
চাঁপাইয়ে হচ্ছে বিশেষায়িত আম বাজার
-
কুয়েতের মরুভুমিতে বাংলাদেশের আম গাছ ‘বিমান’
-
শারিরীক প্রতিবন্ধি খায়রুল ইসলাম আম বাগান করে সাবলম্বি
-
বান্দরবানের পাহাড়জুড়ে ‘রাংগুয়ে’ আম বিপ্লব
-
হাটে হাঁড়িভাঙা
-
পচন রোধে আম শোধন
-
আম বাগান পাহারা দেবে পুলিশ
-
আম পাড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১০
-
আম বাছাইয়ে কড়াকড়ি, ৪০ কোটি টাকা ক্ষতির শঙ্কা
-
অাম কুড়াতে সুখ
-
আম গাছে গুটি কলম করবো কিভাবে
-
এই বছর ২০২১ সালে কোন আম কখন খাবেন
-
ফরমালিনমুক্ত আম চেনার উপায়
-
অাম পাতায় নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস!
-
আমের বা আম গাছের জোড় কলম কিভাবে করবো?
-
আমের বিভিন্ন প্রকার রোগ ও তাদের দমন ব্যবস্থাপনা
-
আমের গুটি ঝরা রোধে করনীয়
-
কার্বাইডে পাকানো আম চেনার জন্য সেন্সর আবিস্কার
-
আমের সময়ে আমের দেশে
-
বৈশাখী খরতাপে পুড়ছে রাজশাহী শুকিয়ে যাচ্ছে গাছের আম ও লিচুর গুটি, বিপাকে শ্রমজীবি মানুষ
-
আম চাষীদের আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় আনা হয়েছে
-
গতবার ছিল না দাম --- এবার ধরেনি আম
-
গাছে গাছে আমের মুকুল এসেছে লাগছে অসাধারন
-
কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম চিনবেন কীভাবে?
-
ভাল নেই মালদহের আম চাষিরা
-
২০ বিঘা জমির আম গাছ কেটে উজাড়
-
প্রনিং পদ্ধতিতে ফলজ গাছ ছাটাই
সর্বশেষ মন্তব্য
-
আর খাইয়েন না। এক লাখ পুরা হলেই আজরাইল এসে ধরবে।
Written by মিজানুর on Friday, 29 May 2020 16:47 এক বসাতে ১০০ ল্যাঙড়া আম খেয়েছি – লোটাস কামাল -
Nice post, very interesting. Good work , If you have…
-
এই আম কোন মাসে পাকে
-
I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
-
I have two drafting mango tree.May be 3 years old.But…
-
How can this be done?
-
মনজুরুল হক ভাইয়ের নাম্বারটা দেবেন
-
হিমসাগর কত করে??
-
5kg am lak ba gser
-
আঁচার আমার খুব পছন্দের। আমি একদিন এটা বানিয়ে নিব। ধন্যবাদ।
-
খুব ভালো লাগলো। অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ লেখককে।
-
ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে আপনার জার্নির কথা শুনে... আর আমরা ঘরে…
-
চিন্তা করা যায়??
-
কৃষি কর্মকর্তারা কি বেতন খাচ্ছে আর ঘুমা্চ্ছে....
-
আমার বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুরে.. আমি কি আম চাষ করতে পারবো?
