
এখন চলছে পাকা আমের মৌসুম। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গেছে পবিত্র রমজান মাস। এই রমজান মাসে ইফতারির সময় খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই পাকা আম। এই ফল কেবল স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। আপনি যদি চান তাহলে এই পাকা আম আপনি খেতে পারেন জুস বানিয়েও। এছাড়াও চোখের নানা রোগ, চুল পড়া, খসখসে চামড়া, হজমের সমস্যা ইত্যাদি দূর করে পাকা আম। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে পবিত্র রমজান মাসের ইফতারিতে কেন রাখবেন পাকা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হল-
১। পুষ্টিগুণ-
পাকা আমে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘বি-১’ ও ‘বি-২’। সঙ্গে আছে ফাইবার, যা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে রক্তের লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আমে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’।
২। হজমশক্তি-
আমে রয়েছে টারটারিক, ম্যালিক ও সাইট্রিক এসিড, যা শরীরে অ্যালকালাই বা ক্ষার ধরে রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া রয়েছে প্রয়োজনীয় এনজাইম, যা শরীরের প্রোটিন অণুগুলো ভেঙে হজমশক্তি বাড়ায়।
৩। রোগ প্রতিরোধ-
আমে থাকা আয়রন অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করে। এর ক্যালসিয়াম হাড় সুগঠিত করার পাশাপাশি দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে। আমের ভিটামিন ‘সি’ প্রতিরোধ করে স্কার্ভি রোগ।
৪। সুন্দর ত্বক-
ত্বকের যত্নেও অনেক উপকারী আম। ত্বকের ভেতর ও বাহির—দুই দিকেই যত্ন নেয় এই ফল। ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে; ফলে ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
৫। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট-
আমের মধ্যে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এ ছাড়া এর উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। স্তন ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, কোলন ক্যান্সারসহ প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়তা করে আম।
৬। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ-
পাকা আম রক্তে কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ঘামের কারণে শরীর থেকে সোডিয়াম বের হয়ে যায়। কাঁচা আম খেয়ে শরীরের সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।
৭। সতর্কতা-
আম খাওয়ার সময় একটু সাবধানতাও অবলম্বন করতে হবে। ছোট শিশুদের দিতে হবে পরিমিত পরিমাণে। এ ছাড়া ডায়াবেটিক রোগীদেরও বুঝেশুনে খেতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে মিষ্টি আম খাওয়া যাবে না।