ফলের বাগান করার ইচ্ছে অনেকেরই থাকে। ফলের বাগান করার আগে কিছু প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে ভবিষ্যতে লাভের মুখ দেখা সহজ হবে। শুধু তাই নয়, দেশে ফলের বাগান বাড়লে বিদেশ থেকে ফল আমদানিও কমবে। ফলের বাগান করে আপনিও বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা করে নিতে পারবেন।
বাগানের সার্বিক সুরক্ষার খাতিরে ভূমি প্রস্তুতকরণের সঙ্গে সঙ্গে বাগান এলাকার চারদিকে স্থায়ীভাবে বেড়া, এমনকি পাকা দেয়াল নির্মাণের কাজটি সারতে পারেন। প্রতি চারার চারদিক ঘিরে বাঁশের বেড়া দিলে তাত্ক্ষণিক গরু-ছাগলসহ অন্যান্য পশু থেকে গাছ রক্ষা করা যেতে পারে। কিন্তু মিশ্র ফল-বাগান হচ্ছে একটি দীর্ঘকালীন প্রকল্প।
বিভিন্ন উপদ্রব থেকে বাগানকে রক্ষার জন্য চারদিকে বেড়া দিতে হয়। স্থায়ী বেড়া ইট-নির্মিত, অস্থায়ী বেড়া বাঁশের দরজা দিয়ে তৈরি এবং হেজ বা জীবন্ত বেড়া গাছ দিয়ে তৈরি করতে হবে। জীবন্ত বেড়া দীর্ঘস্থায়ী হয়। স্বল্প-ব্যয়ে এটি সম্পন্ন করা যাবে। এ জন্য বাইরের দিকে সীমানা-বরাবর কাঁটা তারের বেড়া দেয়া যেতে পারে। আবার সরাসরিও হেজের গাছ করা যেতে পারে। কাঁটা তার টানার জন্য কংক্রিট-নির্মিত খাম কিংবা জিওলাজাতীয় খুঁটি স্থাপন করা যায়। হেজের গাছ ঝোপালো, ছাঁটাইয়ের জন্য উপযুক্ত, চিরসবুজ, ছাগলের আকর্ষণমুক্ত, কমযত্নে জন্মানোর উপযোগী এবং পোকা-মাকড় ও রোগবালাই প্রতিরোধ্য হলে ভালো হয়। দুরন্ত, কাঁটা-মেহেদী, শ্যাওড়া, করঞ্জা ও কামিনী উঁচু হেজ এবং জাস্টিসিয়া, ল্যান্টানা, অ্যাকালিফা, রঙ্গন, পাতাবাহার ও কোচিয়া অনুচ্চ হেজ তৈরির উপযোগী।
হেজের জন্য তিন সারি করে বীজ বপন করতে কিংবা শাখাকলম লাগাতে হয়। গাছগুলো প্রায় ৩০ সেন্টিমিটার উচ্চতাসম্পন্ন হওয়ার পর প্রথমবার ভুতল থেকে ১৫ সেন্টিমিটারের উপরের ডগাগুলো কেটে দিতে হবে। কিছু দিন পরপর প্রয়োজনমত ছাঁটাই করে গোড়ার দিকেই গাছগুলোকে ঝোপালো ও দৃঢ় করে নিতে হবে। হেজ উত্পাদন ও সংরক্ষণের জন্য নিয়মিত সার প্রয়োগ করা এবং দরকার মতো পানি-সেচ প্রদান আবশ্যকীয়। সেচের পানির উত্স অগভীর নলকূপ, টিউবওয়েল, কূপ, পুকুর ইত্যাদি। পাম্প, রবার নল, ঝারি ইত্যাদি সেচ কাজে ব্যবহৃত হয়। নার্সারি বা উদ্যানে উত্তম পানি-নিকাশ ব্যবস্থা থাকতে হবে। জমি উঁচু হওয়া ও একদিকে ঢালু করে দেয়া এবং প্রয়োজনমত সঠিক স্থানগুলোয় বা রাস্তার পাশ দিয়ে নিকাশ-নালা খনন করে নেয়া ভালোভাবে পানি-নিকাশের পূর্ব শর্ত।
প্রতিটি চারাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রাথমিকভাবে সকাল-বিকাল গাছের গোড়ায় অল্প-বিস্তর পানি-সেচন করলেই চলবে। কিন্তু মিশ্র ফল-বাগানের বিষয়টা সাময়িক নয়, সম্পূর্ণই দীর্ঘকালীন। যারা জোড়াতালি করে কোন ধরনের কতগুলো গাছকে দাঁড় করিয়ে দিলেই চলবে এবং গাছগুলো একটু বড় হলেই পানির ব্যবস্থা ও অন্যান্য যত্ন নিজেরাই করে নেবে বলে চিন্তা করবেন, তাদের জন্য ফল-বাগান করা যুক্তিযুক্ত নয়। বৃক্ষজাতীয় ফল-বাগান অবশ্যই দালান-কোঠার মতোই একটি দীর্ঘকালীন বিষয় বলতে গেলে ১০০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা। যদি দালান-কোঠা নির্মাণ কাজে পানির ব্যবস্থার কথা ভাবতে হয় এবং প্রয়োজন বুঝে ব্যবস্থা নিতে হয়, তবে ফল-বাগানের বেলায়ও এটি হবে প্রযোজ্য।
সেক্ষেত্রে চারা ঠিকমত বসে যাওয়ার আগেই শুষ্ক জলবায়ু এসে পড়ার কারণে শুষ্ক মৌসুমে পানি-সেচের ভালো ব্যবস্থা থাকা চাই। বর্ষার আগেভাগে চারা টিকে গেলে তথা সেট হয়ে গেলে, সেটি বাগানের মালিককে অনেকটাই চিন্তামুক্ত অবস্থায় রাখতে পারে।
চারা রোপণের সর্বাপেক্ষা উত্তম সময় গ্রীষ্মকালের প্রায় সবটা আর বর্ষাকালের প্রথম দিকটা। অর্থাত্ বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ ও আষাঢ় মাস। শ্রাবণ-ভাদ্র মাস তথা ভরাবর্ষা পরিহার করা যুক্তিযুক্ত। ভরা বর্ষায় চারা পচে যাওয়া ও মরে যাওয়ার সম্ভাবনা অধিক হয়। আশ্বিন মাসে চারা রোপণ করা চলে।
চারা রোপণের আগের কাজটি হচ্ছে গর্ত তৈরি করা। অধিকাংশ বৃক্ষ-শ্রেণীর ফলগাছের বেলায় দুই ফুট ব্যাস ও গভীরতা বিশিষ্ট গর্ত খনন করা যেতে পারে। বলতে পারেন আম, কাঁঠাল, লিচু, লেবু ইত্যাদি গাছগুলোর বড় আকারের কথা। ওই আকার হচ্ছে পরিণত-বয়স্ক গাছের। কিন্তু চারা অবস্থায় গাছগুলোর আকার যেমন প্রায় একরূপ হয়ে থাকে, তাদের রোপণও হতে পারে প্রায় একই আকারের গর্তে। প্রারম্ভিক সারের প্রকার ও পরিমাণও হতে পারে অনেকটা একইরূপ। গর্তের মাটির সঙ্গে ১০ কেজি গোবর সার, ২৫০ গ্রাম টিএসপি এবং ১০০ গ্রাম এমওপি সার মিশিয়ে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে নিম্নরূপ পদ্ধতি ব্যবহার করা ভালো। গর্তের একার্ধ, তথা উপরের দিকের মাটি গর্তের একপাশে আর অপরার্ধ বা নিচের দিকের মাটি অপর পাশে রাখতে হবে। এ অবস্থায় ১০/১৫ দিন (নিদেনপক্ষে এক সপ্তাহকাল) খোলা অবস্থায় রেখে গর্তে ও তোলা মাটিতে রোদ-বাতাস লাগানো মন্দ নয়। তত্পর উপরের মাটির সঙ্গে সার মিশিয়ে সার-মিশ্রিত মাটি গর্তের নিচের অংশে ঢেলে দিয়ে, অবশিষ্ট তথা নিচের দিকের মাটি উপরাংশে দিয়ে গর্ত পূরণ করে দিতে হবে।
বৃষ্টি না হলে চারা রোপণের পূর্বদিন গর্তে কিছু পানি-সেচ দেয়া যেতে পারে। রোপণের জন্য বিকালই প্রকৃষ্ট সময়। চারার শেকড় যতখানি বিস্তৃত ও গভীর, সে পরিমাণ গর্তের মাটি উঠিয়ে নিয়ে গর্তে চারার নিম্নাংশ প্রবেশ করিয়ে দিতে হবে। তার পর মূলগুলোকে গর্তের মধ্যে বেশ ভালোভাবে ছড়িয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে মাটি চাপা দিতে হয়। লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন চারাটির গোড়া পূর্ববর্তী মাটিতে যে স্থান পর্যন্ত অভ্যন্তরে ছিল এখানেও তাতে ততখানি পর্যন্ত মাটি চাপা দেয়া পড়ে। রোপণের পরে গোড়ার মাটি একটু চাপিয়ে দেয়া উত্তম। চারা রোপণের অব্যবহিত পরে এবং প্রথম কিছু দিনের জন্য প্রতিদিন ঝারি দ্বারা চারার গোড়ায় পানি সেচন করা উচিত। তা ছাড়া চারার উপরে ছায়াদানের ব্যবস্থা করা এবং গোড়ার মাটি শুষ্ক ঘাস, খড় ইত্যাদি দ্বারা ঢেকে দেয়া মন্দ নয়। রোপণের ছয় মাস পর কিছু ইউরিয়া সার ‘টপড্রেসিং’ রূপে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ফলের চারাকলম লাগানোর নিয়ম
এখন ফলগাছ লাগানোর সময়। ভালো ও বেশি ফল পেতে হলে প্রথমেই দরকার স্বাস্খ্যবান ভালো জাতের চারা। তারপর চাই সেগুলো সঠিকভাবে লাগানো। যেনতেনভাবে ফলের চারা-কলম লাগালে সেসব গাছ থেকে কখনো খুব ভালো ফল আশা করা যায় না। মানসম্পন্ন ফল পেতে হলে প্রথমেই কাংক্ষিত জাতের চারা বা কলম সংগ্রহ করতে হবে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিডরের আঘাতে অনেক ফলের গাছ সহজে উপড়ে গেছে। এ সবই অনভিজ্ঞতার ফল। শুধু বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকায় বেশির ভাগ নার্সারিতেই এখন মানসম্পন্ন চারাকলম তৈরি হচ্ছে না, তৈরি হলেও সেসব কলমের খাসি করা ঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে অল্প শিকড় নিয়ে গাছ বড় হওয়ায় সহজে ঝড়-বাতাসে গাছ পড়ে যাচ্ছে। ফলগাছ রোপণের সময় যেসব কাজ করা হয় তার ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ গাছের বৃদ্ধি। গর্ত খনন থেকে শুরু করে চারাকলম রোপণ পর্যন্ত সকল কাজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এসব নিয়ম ঠিকমতো মানা না হলে গাছের বৃদ্ধিই শুধু নয়, ফলনের ওপরও প্রভাব পড়ে। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেয়ার দরকার আছে।
গর্ত তৈরি:
আমগাছের কলম লাগানোর জন্য যত বড় গর্ত করতে হবে পেয়ারার জন্য তা নয়, কাগজী লেবুর জন্য গর্ত হবে তার চেয়েও ছোট। বড় গাছ যেমন- আম, জাম, কাঁঠাল, ডেওয়া ইত্যাদির জন্যও গর্তের মাপ হবে সব দিকে ৯০ সেন্টিমিটার। মাঝারি গাছ যেমনন্ধ পেয়ারা, বাতাবিলেবু, কমলা, তৈকর, জামরুল ইত্যাদির জন্য গর্তের মাপ হবে সব দিকে ৭৫ সেন্টিমিটার। ছোট গাছ যেমন- কাগজী লেবু, করমচা, লুকলুকি, কলা, পেঁপে ইত্যাদির জন্য গর্তের মাপ হবে সব দিকে ৪৫ সেন্টিমিটার। ওপরের মাপে গর্ত খননের সময় ওপরের মাটি গর্তের এক পাশে এবং নিচের মাটি গর্তের আরেক পাশে রেখে প্রথমে জৈব সার মেশাতে হবে। এভাবে রেখে দেয়ার ৪ থেকে ৫ দিন পর গাছ রোপণের ৩ থেকে ৪ দিন আগে রাসায়নিক সার মেশাতে হবে। এ সময়ে মাঝে মাঝে এই সার মিশ্রিত মাটি ওলট-পালট করে দিতে হবে।
রোপণের সময়:
বর্ষার আগে (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ) বা বর্ষার শুরুতে (আষাঢ়) এবং বর্ষার শেষে (ভাদ্র-আশ্বিন) ফলগাছের চারাকলম রোপণ করা যেতে পারে। তবে জমি সুনিষ্কাশিত ও বেলে দো-আঁশ প্রকৃতির হলে বর্ষায়ও (আষাঢ়-শ্রাবণ) বৃষ্টির দিন ছাড়া রোপণ করা যায়। শীতকালে চারাকলমের নতুন শিকড় গজায় না বা শিকড়ের বৃদ্ধি আশানুরূপ হয় না বলে শীতের সময় রোপণ না করা ভালো। বিকেলবেলা চারা বা কলম রোপণের উপযুক্ত সময়।
রোপণ পদ্ধতি:
চারাকলম লাগানোরও বেশ কিছু নিয়ম আছে যেমন- মাটির মধ্যে কতটুকু পুঁতবেন, লাগানোর সময় কোনো ডাল-পাতা ছেঁটে দেবেন কি না অথবা নার্সারি থেকে কিনে এনেই চারাটি লাগাবেন কি না ইত্যাদি। কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চারাকলম লাগালে ওগুলো ভালো থাকে। যেমনন্ধ
কলম করে সাথে সাথেই বাগানে রোপণ করা চলবে না। তা করলে গাছ রোপণজনিত আঘাতে মরে যেতে পারে এবং কলমের জোড়া খুলে যেতে পারে। সে জন্য কলম করার অন্তত কয়েক মাস পরে তা রোপণ করা ভালো।
রোপণ করার আগে চাষ ও মই দিয়ে বাগানের মাটি সমতল করে নেয়া উচিত।
রোপণের আগে অবশ্যই দূরত্ব ঠিক করে নকশা করে নেয়া উচিত। গ্রীষ্মেই এ কাজ করে ফেলতে হবে।
রোপণের অন্তত ১৫ দিন আগে গর্ত তৈরি করে সার মাটি ভরে রাখতে হবে। গর্ত প্রতি ৫-১০ কেজি গোবর সার, ১০০-১৫০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০-২৫০ গ্রাম টিএসপি এবং ৭৫-১৫০ গ্রাম এমওপি সার মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে।
রোপণের কয়েক দিন আগে চারা বা কলম সংগ্রহ করে হার্ডেনিং করতে হবে। এ জন্য ছায়াযুক্ত জায়গায় কয়েক দিন চারাকলম শুইয়ে রেখে পাতা ঝরাতে হবে। মাঝে মাঝে গোড়ার মাটির বলে ও গাছে হালকা পানির ছিটা দিতে হবে। এতে গাছের রোপণোত্তর মৃত্যুঝুঁকি কমে যায়।
লাগানোর সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন চারাকলমের গোড়ার মাটির বলটি ভেঙে না যায়।
মাটির টবে বা পলিব্যাগে চারাকলম থাকলে কিছুটা পানি দিয়ে মাটি সামান্য নরম করে নিতে হবে। এরপর টব মাটিতে কাত করে গড়িয়ে এবং পলিব্যাগ গড়িয়ে বা দুই হাতের তালু দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চেপে নরম করে নিতে হয়। টব বা পলিব্যাগের চারাকলমের গোড়ায় হাত দিয়ে চেপে ধরে সম্পূর্ণ চারা বা কলমটি উল্টো করে ধরে টব বা পলিব্যাগ ওপরের দিকে টান দিলে বা টবটির কিনারা শক্ত কোনো জায়গায় ধীরে ধীরে টোকা দিলে মাটির বলটি বেরিয়ে আসে এবং সেটি গর্তে স্খাপন করতে হয়। অবশ্য পলিব্যাগের চারাকলমের ক্ষেত্রে চাকু বা ব্লেড দিয়ে পলিব্যাগের এক দিক কেটে অথবা মাটির টবটির চার দিক আস্তে আস্তে ভেঙে দিয়ে মাটির সম্পূর্ণ বলটি বের করে এনেও গর্তে বসানো যায়।
গর্তে বসানোর সময় চারাকলমের গোড়া টবে বা পলিব্যাগে যে পর্যন্ত গোড়ায় মাটি ছিল বা বাইরে ছিল সে পর্যন্তই বাইরে রাখতে হয়। এর বেশি পুঁতে দেয়া বা ওপরে রাখা কোনোটাই ঠিক নয়।
রোপণের সময় অতিরিক্ত পাতা ছাঁটাই করে দিতে হয়। তবে এটি সতর্কতার সাথে করতে হয়, যেন চারাকলমের গাছটি আঘাতপ্রাপ্ত না হয়। চারা কলম রোপণের পর গোড়ার মাটি কিছুটা চেপে দিয়ে পানি ছিটিয়ে দিতে হয়।
চারাকলম যদি বড় হয় তবে এটিকে সোজা ও শক্ত রাখার জন্য গাছ থেকে ১০-১৫ সেন্টিমিটার দূরে একটি খুঁটি পুঁতে একটু কাত করে সুতলী দিয়ে হালকাভাবে বেঁধে দিতে হয়। শক্ত করে বাঁধলে অনেক সময় চারাকলমের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। ঝড়ো বাতাসে উপড়ে যাওয়া থেকে চারাকলমকে এই খুঁটি রক্ষা করে।
চারাকলমের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে বেড়া বা খাঁচার ব্যবস্খা করতে হয়।
নতুন কুঁড়ি বা পাতা না আসা পর্যন্ত গাছে উপরি সার দেয়ার প্রয়োজন নেই।
তবে এই সময়ে গাছের গোড়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচের ব্যবস্খা করতে হয়।