সেছে বসন্ত, বইছে ফাগুন হাওয়া। গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে প্রতিটি আম গাছ। ফাগুন হাওয়ায় চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ। বাতাসে মুকুলের মন মাতানো গন্ধে ভরে উঠেছে প্রকৃতি। বাগানজুড়ে মৌমাছির গুঞ্জন আর মুকুলের ঘ্রাণে মুগ্ধ করেছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। এ যেন মধুমাসের আগমনী বার্তা শোনাচ্ছে।
চলতি বছর দেশের অন্যান্য স্থানের মত চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় শীতের প্রভাব কম থাকায় আগাম মুকুল ধরেছে আম গাছে। প্রতিটি আম গাছে শোভা পাচ্ছে থরে থরে মুকুল। উপজেলার প্রায় ৯০ শতাংশ গাছেই এবার এসেছে মুকুল বলে এমনটা জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রায় সব এলাকায় আমের মুকুলের সমারোহ চোখে পড়ার মত। পৌরসভা এলাকার বেশ কয়েকজন আম চাষিরা ধারণা করছে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে। তারা এখন আম গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পৌরসভা এলাকার মো. সোলায়মার নামে এক আম চাষি জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে বাগানে আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। মুকুল আসার পর থেকেই গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছে। মুকুলে রোগবালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বালাইনাশক স্প্রে করছেন। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে এ আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তিনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ আবদুল্লাহ ওয়াহেদ এ প্রতিবেদককে জানান, এ বছর উপজেলায় বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালিতে মোট ৪৮ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে চলতি মৌসুমে উপজেলায় বাণিজ্যিক ও গৃহস্থালিন বাগান থেকে ১১০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া আম চাষিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা জন্য প্রতিটি ইউনিয়নের তিনটি ব্লাকে ৩জন করে কর্মকর্তা প্রস্তুত রয়েছে।
এই নিউজটির মুল লিখা আমাদের না। আমচাষী ভাইদের সুবিধার্তে এটি কপি করে আমাদের এখানে পোস্ট করা হয়েছে। এই নিউজটির সকল ক্রেডিট: http://dailypurbodesh.com