রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে জনপ্রিয় হচ্ছে অর্গানিক পদ্ধতিতে আম উৎপাদন। কিছু প্রতিষ্ঠান কোন রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়াই এ পদ্ধতিতে আম উৎপাদন করছে। আবার অনলাইনে বুকিং এর মাধ্যমে ভোক্তার কাছে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থাও রেখেছে তারা।
২০১০ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে ৬৫ বিঘার মোট ৫টি বাগান গড়ে তুলেছেন কিন-ইয়ার্ডস উদ্যোক্তারা। যেগুলোতে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালি জাতের আম উৎপাদনে রাসায়নিক সার তো নয়ই, ব্যবহার করা হয়না বালাইনাশকও।
পরিচর্যাকারীরা বলছেন, পোকা দমনে সাবান পানি, ফেরোমন ফাঁদ, আলোর ফাঁদ ও নিমপাতার রস ব্যবহার করা হয়। আর রাসয়নিকের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় জৈব সার।
উদ্যোক্তারা বলছে, ভোক্তার কাছে বিষমুক্ত আম পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ। অনলাইনে বুকিং নিয়ে সময় মতো কুরিয়ারের মাধ্যমে মাত্র তিন দিনের মধ্যে পৌঁছে দেয়া হয় এই আম। এ বছর আম পৌঁছানো শুরু হবে ৫ জুন থেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ছে। ফলে মান ঠিক রেখে এভাবে আম উৎপাদন করলে দেশে তো বটেই, বিদেশেও বাংলাদেশের অর্গানিক আমের বড় বাজার তৈরি হবে।
রাজশাহী জেলায় এ বছর সাড়ে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৬৬৪ মেট্রিকটন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লক্ষ্যমাত্রা আড়াই লাখেরও বেশি। যার মধ্যে অর্গানিক আম উৎপাদনের হার খুবই সামান্য।