এখন ঋতুরাজ বসন্ত, তবে শেষের পথে শীতকাল। হালকা গরমের সঙ্গে উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে আমের মুকুল দেখা দিয়েছে। চারদিকে ছড়াচ্ছে মুকুলের সুবাসিত ঘ্রাণ। সর্বত্র আম গাছগুলো তার মুকুল নিয়ে হলদে রঙ ধারণ করে সেজেছে এক অপরুপ সাজে।
আমের জন্য সিরাজগঞ্জ জেলা তথা উল্লাপাড়া উপজেলার সুখ্যাতি না থাকলেও স্থানীয় জাতের ’ফজলী’ ল্যাংড়া, আম্রপালি, গোপালভোগ জাতের আম আম বেশ জনপ্রিয়।
উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের কেসি জামালপুর এলাকার আলহাজ্ব আবু সাঈদ তাং, মাহমুদুল হাসান বাবলা সহ আরো কয়েক ব্যক্তি জানান, বাড়ির আশ-পাশে বিভিন্ন জাতের শতাধিক আম গাছ লাগিয়েছেন। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুলে ভরে গেছে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে গত বছরের তুলনায় এবছর আমের ফলন ভাল হবে বলে তারা আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়। এ সময়ে মুকুলের প্রধান শত্রু কুয়াশা। এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল সম্পুর্ণ প্রস্ফুটিত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। কিছু গাছের মুকুলে পাথরদানা দেখা গেলেও এতে ক্ষতির কিছু নেই। ফলনে এর কোন প্রভাব পড়বে না। আমের ফলন বাড়াতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয় না। একটু সতর্ক হলেই শতভাগ ফলন পাওয়া সম্ভব।
সাধারণত আমের মুকুল আসার পর হোপার পোকার আক্রমণ ও অ্যানথ্রাকনোজ রোগ হয়ে থাকে। এজন্য আমের গুটি মটর দানার মতো হওয়ার পর দুইবার গাছে কীটনাশক স্প্রে করতে অনেককে পরামর্শ দেয়া হয়। প্রতি লিটার পানিতে ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের তরল কীটনাশক ০.২৫ গ্রাম (দানাদার কীটনাশক হলে ০.২ গ্রাম) ও ম্যানকোজেব জাতীয় ছত্রাকনাশক ০.২ গ্রাম মিশিয়ে আম গাছে কীটনাশক স্প্রে করলে আম গাছ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে এবং ভালো ফলন হবে।