x 
Empty Product

আম বাংলাদেশের প্রধান চাষযোগ্য অর্থকরী ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবহার, পুষ্টিমান এবং স্বাদ গন্ধে এটি একটি অতুলনীয় ফল। এই উপমহাদেশে আম সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল। তাই আম সব ফলের সেরা। বাংলাদেশে আমই হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ফল। এর সাথে অন্য কোনো ফলের তুলনা হয় না কারণ উৎকৃষ্ট জাতের আম স্বাদে গন্ধে ও দেখতে খুবই আকর্ষণীয়। আম এমন একটি ফল যা ছোট থেকে শুরু করে পাকা পর্যন্ত সব অবস্থায় খাওয়া যায়। আম পছন্দ করে না এমন লোক হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই অনেকে আমকে ফলের রাজা বলে থাকেন। বাংলাদেশে আম চাষাবাদের এলাকা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আমাদের দেশে আম চাষে বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো প্রতিহত করতে না পারলে আম চাষ লাভজনক হয় না। এর মধ্যে আমের নানা ধরনের রোগজনিত সমস্যা ও তাদের দমন ব্যবস্থাপনা সম্বন্ধে নিম্নে আলোচনা করা হলো-


এনথ্রাকনোজ : এই রোগের আক্রমণে গাছের কচি পাতা, কাণ্ড, কুঁড়ি, মুকুল ও ফলে দেখা যায়। পাতায় অসমান আকৃতির ধূসর বাদামি বা কালচে রঙের দাগ পড়ে। পাশাপাশি কয়েকটি দাগ একত্রিত হয়ে বড় দাগের সৃষ্টি করে। বেশি আক্রান্ত হলে পাতা ঝরে পড়ে। আমের মুকুল বা ফুল আক্রান্ত হলে কালো দাগ দেখা দেয়। ফুল আক্রান্ত হলে তা মারা যায় এবং ঝরে পড়ে। মুকুল আক্রান্ত হলে ফলধারণ ব্যাহত হয়। আম ছোট অবস্থায় আক্রান্ত হলে আমের গায়ে কালো দাগ দেখা দেয়। আক্রান্ত ছোট আম ঝরে পড়ে। বাড়ন্ত আমে রোগের জীবাণু আক্রমণ হলে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। পাকা আমে ধূসর বাদামি বা কালো দাগের সৃষ্টি করে। গুদামের আবহাওয়া অনুকূল হলে রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করতে পারে। আম বড় হওয়ার সময় ঘন ঘন বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করলে আমে আক্রমণ বেশি দেখা যায়।


প্রতিকার : রোগাক্রান্ত বা মরা ডালপালা ছাঁটাই করে পুড়ে ফেলতে হবে। গাছের রোগাক্রান্ত ঝরা পাতা ও ঝরে পড়া আম সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে, প্রয়োজনে মাটির নিচে পুঁতে দিতে হবে। মুকুলে রোগের আক্রমণ প্রতিহত করতে হলে মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। মুকুল ১০-১৫ সেমি. লম্বা হলে প্রথম স্প্র্রে শেষ করতে হবে। আম মটর দানার মতো হলে দ্বিতীয় বার স্প্রে করতে হবে। কীটনাশকের এবং ছত্রাকনাশক মিশিয়ে একত্রে মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে। বাড়ন্ত আমকে রোগমুক্ত রাখতে হলে আম সংগ্রহের ১৫ দিন আগ পর্যন্ত মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক বা একরোবেট এম জেড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে বা ব্যভিস্টিন প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে ১৫ দিনের ব্যবধানে ৩/৪ বার স্প্রে করতে হবে।


গাছ থেকে আম পাড়ার পরপরই গরম পানিতে (৫৫০ সে. তাপমাত্রায় ৫ মিনিট) ডুবিয়ে রাখার পর শুকিয়ে অর্থাৎ গরম পানিতে শোধন করে গুদামজাত করতে হবে।


বোঁটা পচা : আম গাছ থেকে পাড়ার পর পাকতে শুরু করলে বোঁটা পচা রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। প্রথমে বোঁটায় বাদামি অথবা কালো দাগ দেখা দেয়। দাগ দ্রুত বাড়তে থাকে এবং গোলাকার হয়ে বোঁটার চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। জীবাণু ফলের ভেতরে আক্রমণ করে পচিয়ে ফেলে। আক্রান্ত আম ২/৩ দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। রোগের জীবাণু বোঁটা ছাড়াও অন্যান্য আঘাতপ্রাপ্ত স্থান দিয়ে আমের ভেতরে প্রবেশ করে আম পচিয়ে ফেলতে দেখা যায়।


প্রতিকার : রোদ্রোজ্জ্বল দিনে গাছ থেকে আম পাড়তে হবে। আম পাড়ার সময় যাতে আঘাত না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ৫ সেমি. (২ ইঞ্চি) বোঁটাসহ আম পাড়লে এ রোগের আক্রমণ কমে যায়।  আম পাড়ার পর গাছের তলায় জমা না রেখে দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। আম পাড়ার পর পরই গরম পানিতে (৫৫০ সে. তাপমাত্রার পানিতে ৫-৭ মিনিট) অথবা বাভিস্টিন দ্রবণে (প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম) ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখার পর গুদামজাত করলে বোঁটা পচা রোগের আক্রমণ অনেকাংশে কমে যায়।


আমের আঠা ঝরা এবং হঠাৎ মড়ক : বর্তমানে আম গাছের  যেসব রোগ দেখা যায় তাদের মধ্যে আমের আঠা ঝরা এবং হঠাৎ মড়ক সবচেয়ে মারাত্মক। কারণ এ রোগে আক্রান্ত গাছ খুব অল্প সময়ের মধ্যে মারা যায় । প্রথমে কা- অথবা মোটা ডালের কিছু কিছু জায়গা থেকে হালকা বাদামি থেকে গাড় বাদামি রঙের আঠা বা রস বের হতে থাকে। বেশি আক্রান্ত ডগা বা ডালটি অল্প দিনের মধ্যেই মারা যায়। কিছুদিন পর দেখা যায় আরেকটি ডাল একইভাবে মারা যাচ্ছে। এভাবে এক পর্যায়ে সম্পূর্ণ গাছ মারা যেতে পারে।


প্রতিকার : গাছে মরা বা ঘন ডাল পালা থাকলে তা নিয়মিত ছাঁটাই করতে হবে। আঠা বা রস বের হওয়ার স্থানের আক্রান্ত সহ সুস্থ কিছু অংশ তুলে ফেলে সেখানে বোর্দোপেস্টের (১০০ গ্রাম তুঁতে ও ১০০ গ্রাম চুন ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করা যায়) প্রলেপ দিতে হবে। আক্রান্ত ডাল কিছু সুস্থ অংশসহ কেটে পুড়ে ফেলতে হবে। কাটা অংশে রোগের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য বোর্দোপেস্টের  প্রলেপ দিতে হবে। গাছে নতুন পাতা বের হলে মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম ১৫ দিনের ব্যবধানে ২ বার স্প্রে করতে হবে।


আগামরা : এ রোগের জীবাণু প্রথমে কচি পাতায় আক্রমণ করে। আক্রান্ত পাতা বাদামি হয় এবং পাতার কিনারা মুড়িয়ে যায়। পাতাটি তাড়াতাড়ি মারা যায় ও শুকিয়ে যায়। আক্রমণ পাতা থেকে এ রোগের জীবাণু কুড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ডগার সামনের দিকে মরে যায়। মরা অংশ নিচের দিকে অগ্রসর হতে থাকে ফলে বহু দূর থেকে আগামরা রোগের লক্ষণ বোঝা যায়। ডগাটি লম্বালম্বিভাবে কাটলে বাদামি লম্বা দাগের সৃষ্টি করে। আক্রমণ বেশি হলে গাছ মারা যেতে পারে।


প্রতিকার : আক্রান্ত ডাল কিছু সুস্থ অংশসহ কেটে ফেলতে হবে। কাটা অংশ পুড়াই ফেললে ভালো। কাটা অংশে বোর্দোপেস্টের (১০০ গ্রাম তুঁতে ও ১০০ গ্রাম চুন ১ লিটার পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করা যায়) প্রলেপ দিতে হবে। গাছে নতুন পাতা বের হলে মেনকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন- ডায়থেন এম ৪৫/ পেনকোজেব/ ইন্ডোফিল ইত্যাদি (প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে) ১৫ দিনের ব্যবধানে ২/৩ বার স্প্রে করতে হবে।


কাল প্রান্ত : ইটের ভাটা থেকে নির্গত ধোয়ায় কারণে এ রোগ হতে পারে। আমের বয়স দেড় মাস হলে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। আক্রান্ত আমের বোঁটার দিকের অংশ স্বাভাবিকভাবে বাড়লেও নিচের অংশ ঠিক মতো বাড়তে পারে না।  ফলে আমের গঠন বিকৃত হয়। নিচের অংশ কুঁচকে যায়, বেশি আক্রান্ত আমের নিচের অংশ কাল হয়ে যায়। কোনো কোনো সময় আমের বিকৃত অংশ ফেটে যেতে পারে এবং পচে যেতে পারে।
প্রতিকার : আম মার্বেল আকারের হলে প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম বোরাক্স বা বোরিক পাউডার ১০-১৫ দিন পর পর ৩-৪ বার স্প্রে করতে হবে।  ইটের ভাটা আম বাগান থেকে ২ কিমি. দূরে স্থাপন করতে হবে। ইটের ভাটার চিমনি কমপক্ষে ৩৭ মিটার (১২০ ফুট) উঁচু করতে হবে।


আম ফেটে যাওয়া : আম ছাড়াও কাঁঠাল, ডালিম, পেয়ারা ইত্যাদি ফল ফেটে যেতে দেখা যায়। সব ধরনের ফল ফাটার কারণ মোটামুটিভাবে একই। মাটিতে রসের দ্রুত হ্রাস-বৃদ্ধি আম ফাটার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত। আবহাওয়া শুকনা হলে এবং দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হলে আমের ওপরের খোসা শক্ত হয়ে যায়। এরপর হঠাৎ বৃষ্টিপাত হলে বা সেচ প্রদান করলে আম দ্রুত বাড়তে শুরু করে। আমের ভেতরের দিক ঠিকমতো বাড়লেও বাহিরের আবরণ শক্ত হওয়ার কারণে তা বাড়তে পারে না। এ অবস্থায় আম ফেটে যায়। মাটিতে বোরণের ঘাটতি থাকলেও আম ফাটতে সহায়তা করে বলে জানা যায়। প্রতিকার মাটিতে প্রচুর পরিমাণে জৈব সার দিতে হবে। জৈব সার মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে ফলে শুকনা বা খরার সময়ও মাটিতে যথেষ্ট রস থাকবে। জৈব সারের মধ্যে গোবর সব চেয়ে উত্তম বলে বিবেচিত। সার দেয়ার মৌসুমে ২০ বছর বা তদূর্ধ্ববয়সের গাছে ৫০ গ্রাম বোরাক্স বা বোরিক এসিড প্রয়োগ করতে হবে।


আম চাষি ভাইয়েরা উপরোক্ত বিষয়গুলো সময় মতো সঠিকভাবে মেনে চললে উপরোক্ত রোগ হতে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। যেহেতু অন্যান্য ফসলের মতো আমেও বেশ কিছু রোগের আক্রমণ হয়  যা আমের উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব বিস্তার করে। তাই আমের উৎপাদন বাড়াতে হলে রোগ দমন ব্যবস্থাপনা জানা এবং মেনে চলা অপরিহার্য।

 

কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি*

*আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাজশাহী

Published in ব্লগ
Monday, 21 January 2019 07:41

আম ফলের অবদান


আম বাংলাদেশের প্রধান ফল, গ্রীষ্ম প্রধান দেশে ফলের মধ্যে আম সবার সেরা, ফলের রাজা। নানা আকারের বাহারি আম অতি সুস্বাদু ও পুষ্টিতে ভরপুর। আমে রয়েছে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান বিশেষ করে এতে ভিটামিনস ও মিনারেলসের পরিমাণ অনেক বেশি। এককালে বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর ও রংপুর জেলা উন্নতমানের আমের জন্য বিখ্যাত ছিল। এসব এলাকা প্রধানত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ফজলি, হিমসাগর, মোহনভোগ, গোলাপ খাস, সূর্যপুরি, মিসরি ভোগ, আশ্বিনাসহ প্রায় কয়েক শ’ জাতের আম উৎপাদনে অগ্রগামী ছিল। দেশের অন্য প্রান্তের জনসাধারণ মধুর মাস জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়-শ্রাবণে রাজশাহী অঞ্চলের সেরা আমের জন্য অপেক্ষা করত। পরে আম সম্প্রসারণে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এক ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ কর্মসূচিতে আম্রপলি জাতের আমটিকে দেশের সব প্রান্তে সম্প্রসারণে প্রাধান্য দেয়া হয়। ফলে দেশের শুধু উত্তরাঞ্চলে নয়, বর্তমানে বৃহত্তর সিলেট, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগাম এবং বরিশাল অঞ্চলের জেলাগুলোতেও এ জাতের আম প্রচুর উৎপাদন হচ্ছে। এ বিশেষ কর্মকাণ্ডের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে বর্তমানে মোট যে আম উৎপাদন হচ্ছে তার প্রায় শতকরা ৪০-৪৫ ভাগই আম্রপলি জাতের আম।

 
কয়েক বছর ধরে আম্রপলি জাতের আমের পাশাপাশি যেসব জাতের আম চাষে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছে তার মধ্যে রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা, ঠাকুরগাঁওয়ের বান্দিগুড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গৌরমতি, বারি উদ্ভাবিত বারি-৪, বাউ উদ্ভাবিত বাউ-১৪ (ব্যানানা ম্যাংগো),  ‘রাংগুয়াই’ (বার্মা), পলিমার (ভারত), নান ডকমাই (থাই) অন্যতম।
 
আম ফলের অবদান : আম ফল চাষে অগ্রগামী জেলাগুলোতে বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মৌসুমে ৩-৪ মাসব্যাপী আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণসহ সংশ্লিষ্ট কাজে সব শ্রেণী ও বয়সের ছেলেমেয়ে, পুরুষ, মহিলা প্রচুর কাজের সুযোগ পায়, আয় বাড়ে, পারিবারিক সচ্ছলতা আসে। স্থানীয় পরিবহন (রিকশা, বাইসাইকেল, অটোরিকশা, নসিমন, করিমন, মিনিট্রাক-পিকআপ) খাতে আয়  বৃদ্ধিসহ সংশ্লিষ্ট সবার যথেষ্ট আয় বাড়ে। এ ছাড়া আন্তঃজেলা পরিবহনে (বাস, ট্রাক, ট্রেন, ট্রলার, কুরিয়ার সার্ভিস) সঙ্গে জড়িত সবার প্রচুর আয় বৃদ্ধি পায় ।
 
আম উৎপাদনকারী এসব এলাকা ঝড় বাতাসে ঝরে পড়া কাঁচা-পাকা আম খাওয়ার প্রচুর সুযোগ পায়। এ সময় বেশি আম খাওয়ার প্রভাবে  সবার স্বাস্থ্য ভালো হয়, দৈনন্দিন ভাত আহার করার প্রবণতা অনেক কমে যায়। মৌমাছির আনাগোনা বেড়ে যায়, এ সময় তাদের বেশি মধু আহরণ সুযোগ সৃষ্টি হয়। আম মৌসুমে এলাকায় হরেক রকম পাখির (বাদুড়, কাক, কোকিল, ঘুঘু ইত্যাদি) আনাগোনা বেড়ে যায়। এ সময় তাদের খাদ্য, আশ্রয় ও বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এছাড়াও বন্য ও গৃহপালিত পশুদের কাঁচা-পাকা আম ও পরিত্যক্ত অংশ (ছিলকা, আঁটি) খাবার সুযোগ বাড়ে, ফলে সবাই সুস্বাস্থ্য ফিরে পায়।
 
কাঁচা-পাকা আম থেকে আমচুর, আমসত্ত্বসহ নানা রকম আচার তৈরির কাজে এলাকায় হিড়িক পড়ে যায়। রান্নায় প্রাধান্য পায় আম-বেগুন-বড়ির তৈরি তরকারি, ডালে আম, সজিনায় আম এ এক মধুর ব্যাঞ্জন। স্থানীয়ভাবে তৈরি আমের জ্যাম, জেলি এলাকাবাসী নিজেরা খায়, অন্য জেলার আত্মীয়স্বজনকে সরবরাহ করে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান (প্রাণ, এসিআই, স্কয়ার) কাঁচা-পাকা আম সংগ্রহ করে। এগুলো তারা প্রক্রিয়াজাত করে উৎপাদিত হরেক রকম প্রডাক্টস সারা বছরব্যাপী দেশে-বিদেশে বাজারজাত করে প্রচুর আয় করে।
 
আম বাজারজাতকরণ পরিস্থিতি ও প্রভাব : এককালে আম চাষে অগ্রগামী বৃহত্তর রাজশাহীর আমচাষিরা বড় বড় বজরা-নৌকা দিয়ে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে আম বাজারজাত করত। পরে সহজ এ রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রাক, বাস, ট্রেন, কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে  আম বাজারজাতকরণের বিকল্প পরিবহন ব্যবহার হয়ে আসছে। আমচাষিদের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ বছর আগে কোনো রকম কেমিক্যাল ব্যবহার ছাড়া ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়  পরিপক্ব কাঁচা আম বাজারজাত করার প্রচলন ছিল। পাকা আমের সেলফ লাইফ কম হওয়ায় ব্যবসায়ীদের পক্ষে তা দূর-দূরান্তে বেচার সুযোগ থাকে না। কাজেই স্থানীয়ভাবে খুব কম দামে স্থানীয় এলাকাবাসী পাকা আম কেনার সুযোগ পান। বিগত ৫ থেকে ৭ বছর ধরে আম ব্যবসায়ীদের মাঝে ঢাকাসহ অন্য জেলাগুলোতে আম বাজারজাত করতে আধুনিকায়নের ছোঁয়া লেগেছে। আমকে সমভাবে পাকাতে ও আকর্ষণীয় রঙ হতে ও কিছুটা আয়ু (সেলফ লাইফ) বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কিছু আম ব্যবসায়ীর আমে কয়েক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ইথোফেন, ফরমালিন ও কার্বাইড অন্যতম। আম ফলে এসব রাসায়নিকের প্রভাব সম্বন্ধে কোনো প্রকার জ্ঞান বা ধারণা আহরণ না করেই অনেক পরিবেশবাদী, বুদ্ধিজীবী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিভিন্ন মিডিয়া কেমিক্যাল ব্যবহারের কুফল সম্বন্ধে অপপ্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ প্রচারণার কুফলে আম ফলের প্রতি অনুরাগী ভোক্তার মনে ভয় ঢুকেছে, বাজারের আম কিনতে তারা নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের টিকে থাকাই বর্তমানে কঠিন হয়ে পড়েছে। বৃহত্তর রাজশাহীসহ অন্য অধিক আম উৎপাদনকারী জেলাগুলোতে মুকুল আসার শুরুতে এমনকি তার অনেক আগেই ২ থেকে ৫ বছরের জন্য আম বাগান কিনে নিতে প্রয়াসী ছিল। এ ব্যবস্থায় আমচাষিদের বাগান অনেক আগেই কিনে নিতো। বেশি লাভের আশায় তারা কেনা বাগানের সঠিক পরিচর্যা ও রোগ পোকামাকড় দমন করে বেশি আম উৎপাদন পদক্ষেপ নিতো। তাতে বাগানের মালিক ও ক্রেতা উভয়েই বেশি  লাভবান হতো। কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতায় এসব আম ব্যবসায়ী বাগান কেনায় নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে। আমচাষিরা এ খাতে অধিক আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। নতুন আম বাগান সৃষ্টি হুমকির মুখে পড়েছে। এমনকি পুরনো বাগানগুলো রাখা যাবে কিনা এ চিন্তায় বাগানীর মাথায় হাত।
 
প্রশিক্ষণ : বিভিন্ন মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী, পরিবেশবাদীদের অপপ্রচারে অনুপ্রাণিত হয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আম ফল নিধনে অতি উৎসাহী হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর ধরে তাদের তৎপরতায় কত হাজার টন যে আম নিধন হয়েছে তার প্রকৃতি তথ্য দেয়া কঠিন। অথচ যারা এ দায়িত্বে আছেন তাদের ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য সম্বন্ধে কোনো প্রশিক্ষণ বা ধারণা দেয়া হয়েছে বলে মনে হয় না। আমে ব্যবহৃত কেমিক্যাল ব্যবহারে পূর্ণ ধারণার অভাবের কারণে আমচাষি ও আম ব্যবসায়ীর বর্তমানে বেহাল অবস্থা। বিরাজিত পরিস্থিতি থেকে আম সম্পদ ও আমচাষিদের বাঁচাতে এ ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রশিক্ষণ দানের ব্যবস্থা নেয়া অত্যাবশ্যক।
 
রাসায়নিক পরীক্ষা যন্ত্র : ক্ষেত্র বিশেষে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা রাসায়নিক দ্রব্যের উপস্থিতি নিরূপণে যে যন্ত্র ব্যবহার করছে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও গবেষকদের কাছে প্রতীয়মাণ হয়েছে যে তা ডিফেক্টিভ, তা থেকে প্রকৃত ফল পাওয়া যায় না। তাই এ যন্ত্রের ওপর নির্ভর করে আমচাষি-ব্যবসায়ীদের আম নিধন করার এখতিয়ার বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সর্বোপরি এসব রাসায়নিক (ফরমালিন, ইথোফেন, কার্বাইড) মানবদেহের জন্য গ্রহণযোগ্য বা সহনীয় মাত্রা সম্বন্ধে গবেষক কর্তৃক তাদের ধারণা দেয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
 
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা দলে বিশেষজ্ঞের অন্তর্ভুক্তিকরণ : সীমিত ধারণা নিয়ে আমচাষি-ব্যবসায়ীদের ওপর ঢালাওভাবে আম নিধন, জরিমানা, জুলুম ও হয়রানি নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি টিমে একজন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ-বিজ্ঞানী-অভিজ্ঞ সম্প্রসারণ কর্মকর্তাকে সম্পৃক্ত করা অত্যাবশ্যক। অন্যথায় অসহায় আমচাষি আর্থিক ক্ষতি ও বিব্রতকর বিভিন্ন পরিস্থিতি থেকে অব্যাহতি পেতে হয়তো তারা তাদের প্রিয় আম বাগানটিকে নিধন করতে বাধ্য হবে। এর প্রভাবে প্রাণিকূলের চাহিদাকৃত অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দেবে, দেশে পরিবেশ বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কা হবে, বাজারে আমের সরবরাহ কমে যাবে, আম ফল অনুরাগীদের তা ক্রয়ে সুযোগ ব্যাহত হবে।
 
আমে ব্যবহৃত সম্ভাব্য রাসায়নিক দ্রব্য
১। ইথোফেন-ইথরেল (২ ক্লোরোইথেন ফসফরিক এসিড) : ইথোফেন একটি প্লান্ট গ্রোথ হরমোন, তবে ইহা পরিপক্ব ফলকে পাকাতে এবং সংরক্ষণে ব্যবহার প্রচলন সারা পৃথিবীতে রয়েছে। গবেষকেরা বিভিন্ন মাত্রায় (২৫০-১০০০০ পিপিএম) ইথোফেন পরিপক্ব কাঁচা আমে স্প্রে করার ২৪ ঘণ্টা পর পুনরায় তার উপস্থিতি মাত্রা নির্ণয় করতে গিয়ে দেখতে পান যে উহা দ্রুত ফলের উপরিভাগ থেকে উড়ে যায়। তবে যেটুকু অবশিষ্ট থাকে তা ঋঅঙ/ডঐঙ কর্তৃক নির্ধারিত গ্রহণযোগ্যতা মাত্রার (এমআরএল-২পিপিএম) অনেক নিচে নেমে যায়। তাই ইথোফেন দিয়ে ফল পাকানোর স্বাস্থ্যগত কোনো ঝুঁকি নেই বলে বিজ্ঞানীদের মতামত। তবে আম চাষিরা যেন অতিরিক্ত মাত্রায় ইথোফেন ব্যবহার না করে এবং উহা কেবলমাত্র পুষ্ট কাঁচা আমে ব্যবহার করে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দান ও বহুল প্রচার ব্যবস্থা নেয়া অত্যাবশ্যক।
 
২। ফরমালিন : আমের স্বাস্থ্য, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও আয়ু (সেলফ-লাইফ) বৃদ্ধির জন্য কোনো কোনো আম ব্যবসায়ী কাঁচা আমে ফরমালিন ব্যবহার করে থাকে। তবে ব্যবহারের ৫-৭ দিন পর এ ধরনের ফরমালিনের তেমন কোনো প্রভাব থাকে না বলে গবেষকদের অভিমত। অধিকন্তু আমের বাইরের চামড়া বা ছিলকা পুরু হওয়ার কারণে আমের আহার্য অংশে তা প্রবেশ সম্ভবনা খুবই কম। ফরমালিনের উপস্থিতি নির্ণয়ে বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে যে ফরমালডিহাইড টেস্ট মিটার (জেড-৩০০) ব্যবহার করা হচ্ছে তার কার্যকারিতা নিরূপণে গবেষকরা ব্যবস্থা নেন। ইথোফেন মিশ্রিত পানিতে এবং ফরমালিন মিশ্রিত পানিতে আম চুবানোর একদিন পর এ টেস্ট মিটার দিয়ে তারা পরীক্ষায় একই ফল দেখতে পান। কাজেই ফরমালডিহাইড মিটার (জেড-৩০০) দিয়ে ফরমালিন মাপা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে তাদের অভিমত। প্রকৃত পক্ষে ফরমালিন হলো ৩৭% ফরমালডিহাইড। মানবদেহে প্রতি মিলিলিটার রক্তে প্রকৃতিগতভাবে সর্বোচ্চ ২.৫ মাইক্রোগ্রাম ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মানবদেহে মেটাবিলিজম প্রক্রিয়ায় ফরমালডিহাইড প্রয়োজন। হজম প্রক্রিয়ায় উহা ফরমিক এসিডে রূপান্তরিত হয় এবং তা প্রস্রাবের সাথে এবং সামান্য অবশিষ্ট অংশ নিশ্বাসের সাথে কার্বনডাইঅক্সাইড আকারে বের হয়ে যায়। এমনকি তা দেহের চর্বিতে ও জমা থাকে না। ফরমালিন পানিতে দ্রুত গলে বা মিশে যায় এবং কর্পুরের মতো বাতাসে উড়ে যায়। গবেষকেরা বিভিন্ন ফলবাজার ঘুরে সংগৃহীত নমুনায় কোনো ফরমালিনের উপস্থিতি পাননি। তথাপি সন্দেহ হলে আহারের আগে ফলকে পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে একদিন পরে তা আহার করলে নিরাপদ বলে বিবেচিত। তাই আমে ফরমালিনের বিরূপ প্রভাব নিয়ে যে নানামুনি নানা প্রচারণা ছড়াচ্ছে তা ভিত্তিহীন বলে প্রতীয়মাণ হয়।
 
৩। ক্যালসিয়াম কার্বাইড : পরিপক্ব ও অপরিপক্ব উভয় ধরনের আমে কার্বাইড ব্যবহার করলে তাতে ফলের উপরিভাগে পাকা আমের মত রঙ আসে। অপরিপক্ব টমেটোতে ইহা প্রয়োগ করে আগাম পাকানোর প্রচলন দেখা যায়। তবে অপরিপক্ব আমে কার্বাইডের ব্যবহার তেমন একটা লক্ষ করা যায় না। কোনো কোনো অসাধু আম ব্যবসায়ী পরিপক্ব কাঁচা আম ঝুড়িতে রাখার আগে ৫ থেকে ৭ গ্রাম ক্যালসিয়াম কার্বাইড কাপড়ের পুঁটলিতে বেঁধে ঝুড়ির তলায় রেখে আম দিয়ে ঝুড়ি ভর্তি করে। এতে ঝুড়ির ভেতর গ্যাস তৈরি হয়। ভেতর গরম হয় এবং আমের গায়ে ঘাম ঝরে। এ আমের ঝুড়ি নির্দিষ্ট বাজারে পৌঁছলে তা খুলে দিলে গ্যাস আকারে (কার্বন মনোঅক্সাইড) উড়ে যায়। মার্চ এপ্রিল মাসে দেশের আগাম জাতগুলো (গোপালভোগ, হিমসাগর, খুদিখিরসা, গোলাপ খাস) অপরিপক্ব থেকে যায়। তবে মে মাসের প্রথম ভাগে সাতক্ষীরা বেল্টের আম থেকে রাজশাহী অঞ্চলে আগাম জাতের আম পরিপক্ব হতে প্রায় ৩ সপ্তাহ বেশী সময় লাগে। তাই আগাম জোনের (সাতক্ষীরা, যশোহর, কুষ্টিয়া) এ ধরনের আগাম জাতের আম মে মাস থেকে এবং রাজশাহী জোনের আম মে মাসের শেষ ভাগে কাঁচা আম পরিপক্ব হয়। মার্চ-এপ্রিল মাসে এসব আগাম জাতের স্থানীয় আম বাজারে পাওয়া গেলে ধরে নিতে হবে তা কার্বাইড দিয়ে পাকানো। কাজেই এ সময়ে বাজারে প্রাপ্ত আম খাওয়া কোনো মতেই ঠিক হবে না। ফল পাকাতে কোনোক্রমেই যেন ক্যালসিয়াম কার্বাইড বা কার্বাইড ব্যবহার না করে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও জনসচেতনতা আনায়ন দরকার। কেননা ক্যালসিয়াম কার্বাইড মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক।
 
আম শোধনে রাসায়নিক ব্যবহার : গাছ থেকে আম পাড়ার পর আমের কস বা দুধ বের হয়ে গেলে আম শোধন উপযোগী হবে। প্রতি লিটার পানিতে ০.৫৫ মি.লি. ‘প্লোক্লোরাজ’ নামক রাসায়নিক দ্রব্য মিশানো পানিতে আম ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এভাবে আম শোধনে আমের পচন রোধ হয় ও উজ্জ্বলতা বজায় থাকে। অধিকন্তু, আম পাড়া থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত আমের জীবনী (সেলফ লাইফ) ২-৩ সপ্তাহ বজায় থাকে। আম রপ্তানিকারক সব দেশেই এ পদ্ধতির ব্যবহার প্রচলন আছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে প্রতি লিটার পানিতে ০.৫-১.০০ গ্রাম ‘বেনোমিল’ নামক রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে তাতে একইভাবে আম শোধন করা যাবে। এ পদ্ধতিতে আম শোধন ব্যবস্থা ভারতে অতি জনপ্রিয়। অধুনা, কিছু সচেতন আমচাষি ভারত থেকে ‘বেনোমিল’ এনে আম শোধন করে সুফল পেয়ে আসছে।

গরম পানিতে আম শোধন : গরম পানিতে পরিপক্ব কাঁচা আম শোধন করা হলে, আমের গায়ে লেগে থাকা রোগ জীবাণু ও পোকা মুক্ত হবে। গ্রাহকের কাছে অন্য আমের তুলনায় এ শোধিত আমের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে। মৌসুমে পরিপক্ব পুষ্ট কাঁচা আম গাছ থেকে সাবধানে পেড়ে তা আগে পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর কোন পাত্রে ৫২০- ৫৫০ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানি (পানিতে হাত ডুবালে সহনীয়মাত্রায়) গরম হলে তাতে পরিষ্কার করা আমগুলো ঠিক ৫ মিনিট রেখে এক সাথে উঠিয়ে নিতে হবে। আমের গা থেকে পানি শুকিয়ে গেলে স্বাভাবিক নিয়মে আমগুলো প্যাকিং করে বাজারজাত করতে হবে। এ ব্যবস্থায় আমের জাতের প্রকারভেদে সাধারণ আমের (নন ট্রিটেট) চেয়ে গরম পানিতে শোধন করা আমের আয়ু (সেলফ লাইফ) ১০ থেকে ১৫ দিন বেড়ে যাবে। তবে এ পদ্ধতি প্রয়োগ সীমিত পরিমাণ আমের জন্য প্রযোজ্য।
Published in ব্লগ
Page 4 of 5