x 
Empty Product

ক্ষিরসাপাত না ক্ষিরসাপাতি না খিরসাপাত নাকি খিরসাপাতি- কোনটা ঠিক? এটা নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা আছে। মুলত সব নামেই এটা পরিচিত ।

তবে ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) হিসেবে নিবন্ধন সনদ লাভ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আম। এটি হিমসাগর নামেই বেশি পরিচিত।

রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিবন্ধন সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

এ নিবন্ধনের ফলে খিরসাপাতি আমের ওপর বাংলাদেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠা হলো বলে জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জেই ২৫ রকমের আম হয়। আঁশহীন, রসালো এবং বেশ মিষ্টি হওয়ার কারণে বেশি স্বাদের ও জনপ্রিয় খিরসাপাত আম। জেলার বাইরে বা দেশ-বিদেশে হিমসাগর নামে পরিচিত এ আম।

কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, ৯১ ভাগ পুরুষ এবং ৯ ভাগ নারী ফুলের কারণে খিরসাপাতের ফলনও বেশি। এ আম বেশি রপ্তানিও হয়।

খিরসাপাত ও হিমসাগরের ওপর বাংলাদেশের মালিকানা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।

এরই ফল হিসেবে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এ স্বীকৃতি সনদ দেয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানান, বর্তমানে গবেষকরা এ স্বীকৃতি পেলেও আগামীতে উৎপাদনকারীদেরও স্বীকৃতি দেয়া হবে।

এর আগে জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে ইলিশ মাছ ও বেনারসি শাড়ি।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার পেটেন্ট-ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন।

এ মাসের প্রথম সপ্তাহে বাজারে এসেছে মধুমাসের মধুফল ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) ও হিমসাগর আম। এই আম দুটির মধ্যে ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) মোটামুটি জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাজারে পাওয়া যাবে। হিমসাগর আম পাওয়া যাবে জুন মাসের শেষ নাগাদ। এরপর ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) বা হিমসাগর নামে যেসব আম পাওয়া যাবে, সেগুলোর স্বাদ স্বাভাবিক আমের মতো হবে না। মনে রাখবেন, ফল হিসেবে আম খুবই শৃঙ্খলা মেনে চলে। যখন যে আমের পরিপক্ব হওয়ার কথা, তার এক সপ্তাহ আগে বা পরে ছাড়া সেই আম পাওয়া যায় না। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) বাংলাদেশে উৎপন্ন অল্পসংখ্যক অতি উৎকৃষ্ট জাতের আমের মধ্যে ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ )র স্থান শীর্ষে। ল্যাংড়া, ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) ও গোপালভোগ—এই তিনটি আমের জাতকে আমভক্ত বাঙালি গুণ-মানের বিচারে শীর্ষে রেখেছেন। কোন আমটি সর্বশ্রেষ্ঠ, এর বিচার হয়নি, হবেও না কোনো দিন। কারণ, এই তিনটি আমের ভক্তের দল প্রায় সমান তিন শিবিরে বিভক্ত। কাজেই অনন্তকালব্যাপী চলতে থাকবে সর্বশ্রেষ্ঠ আম নির্বাচনের প্রতিযোগিতা, কিন্তু ফলাফল আসবে না কোনো দিনও। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আম আশু জাতের। জুন মাসের শুরু থেকেই পরিপক্বতা লাভ করে বাজারে আসতে থাকে। জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) বাজারে পাওয়া যায়। তবে জুন মাসের ৭ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আমের আসল সময়। আমটির আকৃতি মাঝারি। দেখতে অনেকটা গোলাকার। একেকটির ওজন গড়ে ২৬৩ গ্রাম। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আমের বোঁটা বেশ মোটা এবং শক্ত। ত্বক মসৃণ, পাকলে ঊর্ধ্বাংশ অর্থাৎ বোঁটার আশপাশে হলুদ রং ধারণ করে। আমের মধ্যাংশ থেকে নিম্নাংশ হালকা সবুজ। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) সাধারণত গড়ে ৮ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দীর্ঘ হয়ে থাকে। ফলটির প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার এবং উচ্চতা ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ )র খোসা সামান্য মোটা। আঁশবিহীন আমটির শাঁস হলুদাভ। ফলটি সুগন্ধযুক্ত, রসাল ও অত্যন্ত মিষ্টি স্বাদের। এর খাবার উপযোগী অংশ শতকরা ৬৭ দশমিক ২ ভাগ। খোসা ছাড়িয়ে নিলে এমনিতেই শাঁস আঁটি থেকে বেরিয়ে আসে। অনেক জাতের উচ্চমানের আম রয়েছে, যেগুলো গাছপাকা অবস্থায় খেলে টকের পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ রয়ে যায়। এগুলো গাছপাকা অবস্থায় গাছ থেকে নামিয়ে অন্তত তিন থেকে চার দিন ঘরে রাখার পর মিষ্টতা আসে। এ-জাতীয় আম হচ্ছে মল্লিকা, মোহনভোগ, আশ্বিনা, বৃন্দাবনি ইত্যাদি। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) পাকা অবস্থায় গাছ থেকে নামিয়ে কেটে ফালি করে খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ )র মিষ্টতার পরিমাণ ১৯ শতাংশ। গাছ থেকে সংগ্রহের পর আমটি ছয় থেকে আট দিন পর্যন্ত ঘরে রাখা যায়। এই ফলের আঁটি পাতলা। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ )র ফলন খুব ভালো। তবে জাতটি অনিয়মিত। প্রতিবছরেই ফল আসবে না। যে বছর গাছে ফল আসবে, পরিমাণে অল্প আসবে না। গাছে ফল দিয়ে ভরে যাবে। আমটি অত্যন্ত বাণিজ্যসফল। নবাবগঞ্জ জেলার সর্বত্র, বিশেষ করে শিবগঞ্জ উপজেলায় সর্বাধিক ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আমের চাষ হয়ে থাকে। এখানকার বাগানে উৎপাদিত ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) গুণে ও মানে সর্বোৎকৃষ্ট। নবাবগঞ্জ ব্যতীত রাজশাহী, নাটোর, দিনাজপুর, বগুড়া, নওগাঁ, পাবনা ও সাতক্ষীরা অঞ্চলে ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আমের আবাদ হয়ে থাকে। তবে নবাবগঞ্জের পরেই ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) উৎপাদনে রাজশাহীর স্থান অগ্রগণ্য। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ )র আরেকটি জাত রয়েছে ক্ষুদিক্ষীরশা নামের। এই আম আসল ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ )র চেয়ে ওজনে সামান্য কম। স্বাদ একই রকমের। ক্ষুদিক্ষীরশার রং কালচে সবুজ। আসল ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) হালকা সবুজ রঙের হয়ে থাকে। উভয় জাতের মূল্য ও মান একই পর্যায়ের। ক্ষুদিক্ষীরশা নবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে এখনো প্রবেশ করতে পারেনি। ঢাকা, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল—এসব জেলায় হিমসাগর নামের জাতটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। হিমসাগর ও ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ )র স্বাদ প্রায় একই রকমের। দেখতেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয় না। তবে হিমসাগরের উৎপাদন অত্যন্ত কম হওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আমকে হিমসাগর বলেই বিক্রি করছেন উল্লিখিত জেলাগুলোর শহর ও বাজারে। ক্রেতাসাধারণ সানন্দে ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আম কিনছেন হিমসাগর মনে করে। এতে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) একান্তই বাংলাদেশের আম। ধারণা করা হয়, মুর্শিদাবাদের নবাবদের বাগান থেকে প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিল ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ )। মুকুল আসার পর মোট চার মাস সময় নেয় আমটি পোক্ত হতে। আমটি চেনার সহজ উপায় হচ্ছে এটি দেখতে অনেকটা গোলাকার, বোঁটা বেশ মোটা। পৃষ্ঠদেশের কাঁধের চেয়ে সম্মুখে কাঁধ অপেক্ষাকৃত স্ফীত। ফলটির অবতল বা সাইনাস এবং ঠোঁট নেই বললেই চলে। শীর্ষদেশ গোলাকৃতির। হিমসাগর বাংলাদেশে অতি উৎকৃষ্ট জাতের মধ্যে হিমসাগরের অবস্থান প্রায় শীর্ষে। হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে এবং পুরো জুন মাস বাজারে পাওয়া যায়। হিমসাগর জাতটি আশু বলা যেতে পারে; পাশাপাশি মধ্য মৌসুমি জাতের আম হিসেবেও গণ্য করা যায় একে। হিমসাগর আমের গাছের আকৃতি মাঝারি। একটি হিমসাগর আমের গাছ ১২ বছর বয়সী হলে পূর্ণাঙ্গভাবে ফল দিতে সক্ষম হয়। ফলন মাঝারি এবং অনিয়মিত। হিমসাগর আম পূর্ণতাপ্রাপ্ত হলে এর গড়ন বুকের দিকটা গোলাকার এবং অবতল বা সাইনাস থেকে সামান্য লম্বাটে আকার নিয়ে শীর্ষদেশ গোলাকৃতির হয়ে থাকে। পরিপক্ব হিমসাগর আমের রং হালকা সবুজ। পাকার পরেও সবুজ থেকে যায়। ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা। আমটির ঠোঁট নেই। হিমসাগর অত্যন্ত উৎকৃষ্ট স্বাদের সুগন্ধযুক্ত আম। শাঁস নরম এবং আঁশবিহীন। শাঁস কমলা রঙের। আমটির খাবারের উপযোগী অংশ ৬৭ দশমিক ৫ ভাগ। হিমসাগর আম সুমিষ্ট। টিএসএস বা মিষ্টতার পরিমাণ শতকরা ২২ দশমিক ৮৪ ভাগ। পরিপক্ব আম সংগ্রহ করার পর আট দিন পর্যন্ত ঘরে রাখা যায়। ফলটির গড় ওজন ২১৯ গ্রাম। লম্বায় ৮ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফলের বোঁটা বেশ শক্ত বলে ঝোড়ো হাওয়া সহ্য করার ক্ষমতা রাখে। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আমের সঙ্গে হিমসাগর আমের বেশ কিছুটা সাদৃশ্য থাকার কারণে এই আমকে অনেকেই ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) মনে করে ভুল করে থাকেন। আবার ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আমকে হিমসাগর নামে বিক্রি করা হয়। ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) ও হিমসাগর আমকে আলাদা করা সহজ হবে রঙের পার্থক্য দেখে। পাকার পর ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ ) আমের ওপরের অংশ হলুদ রং ধারণ করবে। এ ক্ষেত্রে হিমসাগর আম পাকার পরেও সবুজাভ হালকা হলুদ রঙের হবে। আমটির চাহিদা বাংলাদেশের সর্বত্রই। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় হিমসাগর আমের চাষ খুব কম। এই জাতের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলায়, মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলায়, সাতক্ষীরা জেলার সদর, দেবহাটা, কলারোয়া ও তালা উপজেলা এলাকায়। উল্লিখিত এলাকার আমবাগান থেকে ভরা মৌসুমে ট্রাকবোঝাই হিমসাগর আম ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল জেলার বাজারগুলোয় চলে আসে। ঢাকার বাজারে এ সময় হিমসাগর আমের চাহিদা থাকে সবচেয়ে বেশি। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা এবং ভারতের নদীয়া জেলায় উৎপাদিত হিমসাগর আমের সঙ্গে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায় উৎপাদিত শাদওয়ালা বা শাদৌলা নামের অতি উৎকৃষ্ট জাতের আমের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। একই কথা ‘ক্ষীরশাপাতি’ ( ‘ক্ষীরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাত’ বা ‘ক্ষিরসাপাতি’ বা ‘খিরসাপাত’ বা ‘খিরসাপাতি’ )র ক্ষেত্রেও বলা যায়। মুর্শিদাবাদের নবাব শাদৌলা আমের সবচেয়ে বড় সমঝদার ছিলেন বলে জানা যায়। ‘আমের বাগান

Published in ব্লগ

পঞ্চগড়ে স্থাপিত হচ্ছে এই সুবৃহৎ ‘আমের বাগান’। ২৫০ একরের অধিক জমির ওপর ৪টি উন্নত জাতের বছরে তিনবার ফলন দিবে এমন ‘আম’ চাষের লক্ষে ‘আমের বাড়ি’ শীর্ষক প্রকল্প, যেখানে পুঁজি বিনিয়োগ করে যে কেউ হতে পারবেন বাগানের অংশিদার। এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করলো কৃষি ভিত্তিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গ্রীনাটিক লিমিটেড। গত ১৫ই জুন ২০১৯ (শনিবার) গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে এ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আর্টিসান আউটফিটার্স লি. এর চেয়ারম্যান আনিতা গোমেজ, গ্রীনাটিক লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলী আহমেদ রাসেল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার (হাইওয়ে) মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, যুগ্ম কমিশনার (কর) মোসাদ্দেক হোসেন, নীলফামারি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মারুফুজ্জামান কোয়েল, ড. মোস্তাফিজুর রহমান, জালাল আহমেদসহ আরো অনেকেই।

অনুষ্ঠানে গ্রীনাটিক লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, “এই ‘আমের বাড়ি’ প্রকল্পটি লক্ষাদিক ‘আম’ গাছ নিয়ে ‘আমের বাগান’ হতে যাচ্ছে যা এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ‘আমের বাগান’। এখানে উল্লেখ্য যে বর্তমানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ‘আমের বাগান’টি ভারতে, যা রিলায়েন্স গ্রুপের পরিচালনাধীন। যেখানে ‘আম’ গাছের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। আমাদের ‘‘আমের বাড়ি’’ প্রকল্পটিতে শুধু ‘আমের বাগান’ই নয় এতে আরো থাকছে অত্যধুনিক ইকো জোন ও রিসোর্ট, নানান প্রজাতির ফুল ও প্রজাপতির উদ্ধান, পক্ষিশালা, ক্যাকটাস গার্ডেন, লগহার্ট, মনোরম লেক এরং আরো অনেক কিছু।” উপস্থিত অতিথিদের বক্তব্যে, এই উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাহকের জন্য রাসায়নিক সার মুক্ত ফল ও বিনোদনমূলক সুযোগ-সুবিধাগুলোর প্রশংসা করেন। এই প্রকল্পটি পরবর্তী প্রজন্মকে প্রকৃতি ও সবুজের সান্নিধ্য পেতে সহযোগিতা করবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌস ‘‘আমের বাড়ি’’ প্রকল্পটির সর্বাঙ্গিক সাফল্য কামনা করে বলেন, “প্র্রকল্পটি গ্রাহকদেরকে ভবিষ্যতে নিরাপদ বিশুদ্ধ ফল ও পরিবার পরিজনদের নিয়ে সবুজালয়ে বিনোদন পেতে সাহায্য করবে।”

গ্রীনাটিক লিমিটেডের কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতিবছর ২০১৯ সালের মধ্যে বিশ হাজার ‘আম’ গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু হচ্ছে । ২০২৩ সালের মধ্যে ১ লক্ষ ‘আম’ গাছ রোপন সম্পন্ন এবং প্রকল্পটির গ্রাহকদের বিনোদনের জন্য ইকো জোন ও রিসোর্ট উন্মুক্ত করা হবে।

সুত্র: ittefaq.com.bd

Published in ব্লগ
Page 10 of 13