আম বাগানের বাতাসে মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ রংপুরের আম বাগানগুলোতে আম চাষিদের মাঝে স্বপ্ন বুনছে। যে দিকে তাকায় গাছে গাছে এখন শুধু দৃশ্যমান সোনালি মুকুলের আভা। মুকুলের ভারে নুয়ে পড়ার উপক্রম প্রতিটি গাছ। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে। রঙিন বন ফুলের সমারোহে প্রকৃতি যেমন সেজেছে বর্ণিল সাজে তেমনি নতুন সাজে যেন সেজেছে রংপুর জেলার প্রতিটা উপজেলার আম বাগানগুলো। শোভা ছড়াচ্ছে নিজস্ব মহিমায়। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে বাগানগুলো প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ গাছেই এসেছে মুকুল। বাগান মালিক, কৃষিবিদ, আমচাষিরা আশা করছেন বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।
আম চাষি ও বাগান মালিকরা বাগানে পরিচর্চা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। অবশ্য গাছে মুকুল আশার আগে থেকেই গাছের পরিচর্চা করে আসছেন তারা। যাতে করে গাছে মুকুল বা গুটি বাঁধার সময় কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হয়। সারিবদ্ধ গাছে ভরপুর আমের মুকুল যেন শোভা ছড়াচ্ছে তার নিজস্ব মহিমায়। হাড়িভাঙ্গা, ফজলি, রাজভোগ,আমলোপলি, গোপালভোগসহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযুক্ত হওয়ায় চাষিরা নিজ উদ্যোগে প্রথমে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে আমের বাগান সৃজন করলেও বর্তমানে তারা নিজেরাই চারা উৎপাদন করে তাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুফলও পেয়েছেন অনেকেই। পদাগঞ্জ এলাকার এনামুল হক নামে এক আম বাগান মালিক জানান, পুরোপুরিভাবে এখনো সব গাছে মুকুল আসেনি। কয়েক দিনের মধ্যেই সকল গাছেই মুকুল আসবে। আমি এ আম থেকে অনেক টাকা আয় করেছি।
ঐ এলাকার আফজাল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলম, হারুন মিয়াসহ অনেকেই আমের বাগান তৈরি করেছেন। তারা জানান, ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ কম থাকায় এবার কাঙ্ক্ষিত ফলনের আশা করছেন আম চাষিরা। সুবিধাভোগীদের সুফল দেখে চাষিরা আম চাষে উৎসাহিত হয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে নতুন নতুন বাগান করছেন। ধীরে ধীরে এ উপজেলা জুড়ে সম্পসারিত হচ্ছে আমের বাগান। উৎপাদিত আম মানসম্মত হলে চাহিদাও বাড়বে অনেক।