হিমসাগর
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 814788
বাংলাদেশে অতি উৎকৃষ্ট জাতের মধ্যে একটি। ফলটি ডিম্বাকার ও মাঝারি আকৃতির। ক্ষিরসাপাত আমের সাথে এই আমটির অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। দেখতে প্রায় একই রকমের ।
বাংলাদেশে অতি উৎকৃষ্ট জাতের মধ্যে একটি। ফলটি ডিম্বাকার ও মাঝারি আকৃতির। ক্ষিরসাপাত আমের সাথে এই আমটির অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। দেখতে প্রায় একই রকমের ।
স্বাদরে মধ্যে সামান্য ভিন্নতা রয়েছে। তবে ক্ষিরসাপাত আশু জাতের আর হিমসাগর নাবি জাতের আম। ফলট আষাঢ় মাসে পাকে অর্থাৎ জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের শেষ অবধি পাওয়া যায়। হিমসাগরে ত্বকের রং কাচাঁ অবস্থায় হালকা সবুজ। পাকলে সবুজাভ হলুদ রং ধারন করে। আমটি গড় ওজন ২১৯.০ গ্রাম। খাদ্যাংশের পরিমাণ শতকরা ৬০-৬৫ ভাগ, মিষ্টতার পরিমাণ ২২.৮৪ %। ফলটিরত্বক মসৃণ, খোসা মাঝারি ধরনের পুরু, আটি মাঝারি। শাস গাঢ় হলুদ বর্ণ, অনেকটা কমলা রং-এর। সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু,অত্যন্ত রসাল এবং আশবিহীন এই আমটির চাহিদা বাংলাদেশের সর্বত্রই। চাহিদা অনুযায় যোগান অনেক কম। ব্যাপক বাণিজ্যিক সফলতা পেয়েছে এই আমটি। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা, মেহেরপুর সদর, সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা, কলারোয়া, সাতক্সীরা সদর ও তালা উপজেলাসমূহে এই আম সবচেয়ে বেশি জন্মে থাকে। এসকল এলাকার আমবাগানে থেকে শত শত মণ হিমসাগর আম ঢাকা, চট্টগ্রাম,সিলেট,কুমিল্লা ও বরিশালের বাজারসমূহে ট্রাকযোগে চলে যায়। ঢাকার বাজারে হিমসাগর আমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা ভারতের নদীয়া ইত্যাদি এলাকার হিমসাগর আমের সাথে মুর্শিদাবাদের শাদওয়ালা বা শাদৌলা এবং রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জের ক্ষিরসাপাতের প্রায় দিক থেকে মিল রয়েছে। আকৃতিও প্রায়ই এক। হিমসাগর ক্ষিরসাপাত থেকে আকারে সামান্য বড়। রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর এলাকায় এই আমের চাষ হয়ে থাকে। রাজশাহীর রায়পাড়াবাগান, নওডাটা এলাকায় উন্নতমানের হিমসাগর জন্মে থাকে। দিনাজপুর অঞ্চলেও হিমসাগরের চাষ হয়ে আসছে। ২০১০ সালে রাজশাহী বাজারে আমটির প্রচুর আমদানি ছিল। ৩৫ টাকা কেজি দরে এই আম বিক্রি হয়েছে। ফলটি গাছে পোক্ত হলে সংগ্রহের পর ৭-৮ দিনের মধ্যেই পেকে খাবার উপযুক্ত হয়। এই আমটি গাছে প্রচুর ধরে।
আরও কিছু ছবিঃ
আমের বাজার দর
ফজলি
হিমসাগর
গোপাল ভোগ
ল্যাংড়া
ক্ষিরসাপাত (জি আই পণ্য)
হাড়িভাংগা
বোগলা গুঠি
লখনা
আম্রপলি
আশ্বিনা
ফজলি কমেন্ট

Leave your comments