সাটিয়ারকরা
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 3615
আশু জাতের আম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে কোনো একটি আমের বীজ থেকে জন্মে নিয়েছিল। অতি উৎকৃষ্ঠি জাতের একটি আমগাছ।
আশু জাতের আম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে কোনো একটি আমের বীজ থেকে জন্মে নিয়েছিল। অতি উৎকৃষ্ঠি জাতের একটি আমগাছ।
বাগানের মালিক এই গাছের আমটিকে বলতেন সাটিয়ারকর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় সাটিয়ার নামে একটি বংশের পদবি রয়েছে)। আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফল বিজ্ঞানীগণ সাটিয়ারকরা সাটিয়ারকরা নামের অতি উৎকৃষ্ট মানের এই আমটির সন্ধান পেয়ে যান। তারা মা গাছটির ‘সায়ন’ (প্রান্ত শাখা) সংগ্রহ করেন। চারা কলম বানিয়ে কয়েক বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম এটি ছাড় করে। নামকরণ হয় মাহনন্দা বা (বারি) আম-১। মুক্তায়িত জাতের মধ্যে এটি ছাড় করে। মহানন্দার নদীর পার্শ্বের গ্রাম মহারাজুরে আদি গাছটি (সাটিয়ারকরা) ছিল, যে কারণে মহানন্দা নামকরণ হয়েছে। ফলটি ছোট আকৃতির । কিছুটা ডিম্বাকৃতির এবং গোলাকৃতির। গড় ওজন ২০১.৬ গ্রাম। ফলটি লম্বায় গড় ৭.৬ সে.মি, পাশে ৬.৭ সে.মি এবং উচ্চতায় ৫.৯ সে.মি.। ত্বক মসৃণ, খোসা পাতলা। গকলে গাঢ় হলুদ বর্ণ ধারণ করে। আাঁশ নেই, শাঁস গাঢ় হলুদ, রসাল, সুগন্ধযুক্ত। ফলটি ভাল স্বদযুক্ত এবং বেশ মিষ্টি। আহারোপযোগী অংশ ৭০.৯%। মিষ্টতার পরিমাণ ১৯%। জ্যৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় সম্পাহ থেকে আম পাকা শুরু হয়। ফলটি পরিপক্ব হতে প্রায় সাড়ে চার মাস সময় নেয়। ফল সংগ্রহের পর পাকতে ৫-৬ দিন সময় নেয়। গাছটির আকৃতি মাঝারি। প্রতি বছর গাছে প্রচুর ফল আসে। বোঁটা শক্ত হওয়ায় ঝড়ো হাওয়ায় আমটির তেমন ক্ষতি হয় না। বাংলাদেশের সব জেলাতেই আমটির চাষ করা যাবে। এর সংরক্ষণগুণ বেশ উত্তম। ফলটি রপ্তানিযোগ্য। অতি উৎকৃষ্ট মানের এ আমটির চাষ শুরু হয়েছে। আগামীতে আমটির বাণিজ্যিক সফলতা আসবে আশা করা যায়।
এর অপর নাম -বারি-১,মহানন্দা ।
Comments
- No comments found
আমের বাজার দর
ফজলি
হিমসাগর
গোপাল ভোগ
ল্যাংড়া
ক্ষিরসাপাত (জি আই পণ্য)
হাড়িভাংগা
বোগলা গুঠি
লখনা
আম্রপলি
আশ্বিনা
ফজলি কমেন্ট

Leave your comments