ড্রপশিপিং কোম্পানীগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভেন্ডর ম্যানেজমেন্ট
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 1581
ই-ক্যাব গ্রুপে তানভীর ভাইয়ের পোস্ট পড়ে (স্কিনশটদেয়া নিচে) কারো পক্ষ হয়ে নয় বরং কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম।
আমরা নেগেটিভ বিষয়গুলো যতটা সাজিয়ে লিখতে পারি পজেটিভ বিষয়গুলো ততটা নয়, এমনকি নেগেটিভ বিষয়গুলোর রেসপন্সও (কমেন্ট, লাইক) বেশি এর কারন হলো ক্রেতা ও ভুক্তভোগীর সংখ্যা বেশি অন্যদিকে উদ্যেক্তার সংখ্যা কম।
ই-কমার্স বা অনলাইন বিজনেসে আমরা এখনও শিশু, আর এটা ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে। আমাদের দেশে যে কয়টা ই-কমার্স বেইজড প্রতিষ্ঠান আলোচিত ও সমালোচিত তার প্রায় সবক’টিই ড্রপশিপিং বেইজড। ড্রপশিপিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতিনিয়ত কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় যেমন-
প্রথমত ড্রপশিপিং কোম্পানীগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ভেন্ডর ম্যানেজমেন্ট, দ্বিতীয়ত কোয়ালিটি কন্টোল আর তৃতীয়ত ডেলিভারী সিস্টেম এবং এসব কিছু বিষয়কে সমন্বয় করার জন্য প্রফেশনালিজম।
আমি নিজেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভেন্ডর, আর আমি জানি ভেন্ডরদের কারণে আজকেরডিল, ডারাজ এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতাদের কাছে কতটা বিব্রত হয়ে হয়। এখানে এমন অসংখ্য ভেন্ডর আছে যাদের নিজস্ব পণ্য নেই অথবা স্টক নেই এমনকি তারা সময়মতো নিজেদের শপ আপডেট করেনা বিধায় ক্রেতারা অর্ডার দেয়ার পর প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রেতাদের মুখোমুখি হতে হয়। এখানে ভেন্ডর ম্যানেজমেন্ট ও সচেতনতা খুবই জরুরী।
দ্বিতীয়ত কোয়ালিটি কন্টোল, আমাদের ই-কমার্স ব্যবসা শিশু হলেও ক্রেতা চাহিদা ও ক্রেতাদের এক্সপেক্টটেশন অনেক বেশি, পুরো বিষয়টা এতটাই বিশাল যে এটা আলাদা একটা ইন্ড্রাষ্টির মতো ডিপার্টমেন্টগুলো পৃথক পৃথক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। একটা প্রতিষ্ঠান তার উৎপাদিত ও আমদানীকৃত পণ্য যত সহজে কিউসি করে যাচাই-বাছাই করে প্যাকিং করে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেয়ার পর ক্রেতা রিভিউ নিচ্ছে একটা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার পণ্য নিয়ে এটা মোটেও সহজ বিষয় নয়। আমরা সেদিকটায় অনেকটুকু এগোলেও পুরোপুরি নই। এক্ষেত্রে ভেন্ডরদের সচেতনতা প্রশিক্ষণ এবং রিওয়ার্ড দেয়ার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সাথে কোয়ালিটি কন্টোল বিভাগকে অনেক বেশি তৎপর হতে হবে।
তৃতীয়ত ডেলিভারী সিস্টেম, প্রসঙ্গক্রমে বলি আমি ভেন্ডর হিসেবে কিছু প্যাকেজিং মেটেরিয়াল অর্ডার করে ৪দিন পর ডেলিভারীম্যান আমাকে কনভিন্স করার চেষ্টা করে এভাবে “স্যার আমিতো আজকে অনেক দূরে চলে এসেছি আপনার কাছে যেতে রাত হবে কাল সকালে আপনার প্রডাক্ট দিই” এটা মন্দের ভাল যে ছেলেটা সময় চেয়ে নিচ্ছে কিন্তু আমরা যারা ডেলিভারী ম্যানেজমেন্ট করছি তাদের টাইম ম্যানেজমেন্ট ও কমিটমেন্ট বিষয়গুলো কি আদৌ মনে থাকে। আমার অফিস থেকে কোম্পানীর ষ্টোরে হেঁটে যেতে যেখানে ৩০মিনিট সময় লাগে সেখানে ৪দিন পর প্রডাক্ট আসলো।
সার্বক্ষণিক একটি বিষয় মনে রাখা উচিত, যারা অনলাইনে অর্ডার করে তারা অনেক সচেতন এবং এডুকেটেড পার্সন, কোয়ালিটি প্রডাক্ট ও পারফেক্ট টাইমলী ডেলিভারী ছাড়া তাদের সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব নয়।
এই ই-কমার্সকে ঘিরে আমাদের অনেক স্বপ্ন ও প্রত্যাশা। এখানে লাখো উদ্যোক্তা তৈরী হবে। ক্রেতাদের মূল্যবান সময় বাঁচবে, সঠিক পণ্য ঘরে বসে পাবে। ই-কমার্স ব্যবসার উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়িদের পাশাপাশি সম্মানিত ক্রেতাদেরও দেশের সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে সহযোগিতার হাত বাড়ানো উচিত। কারন এই একটি অনলাইন ব্যবসার সাথে অনেকগুলো চলক জড়িত যা অল্প সময়ে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। যে ভেন্ডর পণ্য দিচ্ছে, যে অফিসার আপনার ফোন রিসিভ করছে অথবা যে ছেলেটি ডেলিভারী দিচ্ছে সবাই এদেশের ও এ সমাজেরই মানুষ এবং তারা কিছু অভ্যাস এখনো বদলাতে পারেনি কিছু দায়িত্বশীলতা এখন পালন করতে শিখেনি। এক হাজার অর্ডারের মধ্যে দুই-চারটি ভুল মার্জনীয় তবে দায়িত্ব এড়ানো যাবে না। পরিবর্তন অবিশ্যম্ভাবী, ই-কমার্সের জয় হবে ইনসাআল্লাহ।
credit: M Rahman Arif
Comments
- No comments found
Leave your comments