আমের পুষ্টতা নির্ধারণ
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 10608
যে সকল বাগানমালিক বা আমবাগানের সাথে যাদের দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তারা আপনা-আপনিই দক্ষতা অর্জন করেছেন। যাদের এ ব্যাপারে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই তারা আমের পুষ্টতা নির্ণায়ক বৈশিষ্ট্যগুলো বুঝতে
যে সকল বাগানমালিক বা আমবাগানের সাথে যাদের দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তারা আপনা-আপনিই দক্ষতা অর্জন করেছেন। যাদের এ ব্যাপারে বাস্তব অভিজ্ঞতা নেই তারা আমের পুষ্টতা নির্ণায়ক বৈশিষ্ট্যগুলো বুঝতে
পারবেন নিুরুপ বিসয়গুলো লক্ষ করলে :
কঃ যেসব জাতের আম পাকার সাথে সাথে ত্বকে রং ধারণ করে, সেগুলো গাছে থাকাকালীন কিছু আম সম্পূর্ণ বা আংশিক রং ধারণ করলে বুঝতে হবে আম পোক্ত হয়েছে।
খঃ গাছ থেকে যখন পাঁচ-সাতটা আম পেকে আপনা-আপনি পড়ে যায় বা অনেক সময় পাখিতে খাওয়া শুরু করে, তখন আম পুষ্টতা পেয়েছে ধরে নিতে হবে।
গঃ যখন দেখঅ যাবে আমের গায়ের গাঢ় সবুজ রং অনেকটা পাতলা হয়ে এসেছে, আমের ভেতরে শাঁসের রংও সাদা থেকে হলুদ বা লাল বর্ণ নিয়েছে, তখন বুঝতে হবে আম পোক্ত হয়েছে।
ঘঃ আমের আপেক্ষিক গুরুত্ব বেড়ে গেলে অর্থাৎ পানিতে ডুবে গেলে বুঝতে হবে আম পুষ্টতা পেয়েছে।
ঙঃ পুষ্ট আমের বোঁটা থেকে যে আঁঠা বের হয় তা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় এবং একটি স্বচ্ছ ফোঁটার আকারে জমা হয়। পক্ষান্তরে, অপুষ্ট বা অপরিণত আমের আঠা মুক্তভাবে বের হয়ে আসে।
চঃ কোনো কোনো জাতের আমের খোসায় ঞলকা পাউডারি আস্তরণ দেখতে পাওয়া যায়। তখন বুঝতে হবে আম পোক্ত হয়েছে।
ছ সাধারণভাবে দেখা গেছে, আমগাছে মুকুল আসার পর থেকে ফল পাকতে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার মাস সময় নেয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ফল ধারণের পর থেকে (মুকুল থেকে গুটি পর্যায়) পরিপূর্ণ পুষ্টতায় পৌঁছতে গোপালভোগ সময় নেয় ৮৪-৯১ দিন, ক্ষিরসাপাত ৮৭-৯৫ দিন, ল্যাংড়া ৯৫-১০৫ দিন, ফজলী ১১২-১২০ দিন এবং ‘বারি আম-১’ ৮৫-৯৩ দিন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (F, A.O) ফল সংগ্রস্থা ব্যবস্থাপনার জন্য নিচের চারটি বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেছে :
ক: বাজারে যে জাতের আমের চাহিদা রয়েছে এবং বল মূল্য পাওয়া যাবে, শুধু সেসব জাতের আম চাষ করলে লাভবান হওয়া যায়। আমের চাহিদা এবং পুষ্টতা সম্পর্কে আমচজাষীদের পরিষ্কার জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরি।
খ: আমগাছ থেকে ফল সংগ্রহের উত্তম সময় সম্পর্কে আম চাষীদের অবগত থাকা উচিত।
গ: পূর্বপরিকল্পিতভাবে আম সংগ্রহ করার জন্য যন্ত্রপাতি, শ্রমিক এবং পরিবহনের সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন করতে হবে। খারাপ আবহাওয়ার সময় ফল সংগ্রহ করা যাবে না।
ঘ: ফল সংগ্রহে নিয়োজিত শ্রমিকগণকে স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কাজে নিয়োগ করতে হবে।
Comments
- No comments found
Leave your comments