x 
Empty Product

হযরত শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবন পরিচিতি (ভিডিও)

User Rating:  / 2
PoorBest 

হযরত শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ (রঃ) এর পূর্ব পুরুষগণ ছিলেন পবিত্র মক্কা মুআযযামার অধিবাসী বানু আসাদ  গোত্রের হাপদী কবীলার  অন্তভর্ক্ত কোরইশী বংশোদ্ভুত হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীতে ক্বাবিলা ইসলাম প্রচারার্থে

হযরত শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ (রঃ) এর পূর্ব পুরুষগণ ছিলেন পবিত্র মক্কা মুআযযামার অধিবাসী বানু আসাদ  গোত্রের হাপদী কবীলার  অন্তভর্ক্ত কোরইশী বংশোদ্ভুত হিজরী দ্বিতীয় শতাব্দীতে ক্বাবিলা ইসলাম প্রচারার্থে

মক্ক শরীফে হতে খাওয়ারিজমে আগমন করেন তথা হতে ঐক্কাবিলার  হযরত সৈয়দ শাহ্ কামালউদ্দিন (রঃ) নামের এক বুজুর্গ ব্যাক্তি মুলতানে এসে বসাবাস করতে থাকে তার পুত্র হযরত সৈয়দ শাহ্ ওয়েজউদ্দিন মুলতানে জন্ম গ্রহন করেন সে সময় হযরত বাহারউদ্দিন জাকারিয়অ হযরত বাবা শেখ ফরিদউদ্দিন মাসুদ গঞ্জেশকর (রঃ) বিশিষ্ট আলেম হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন এবং উভয়েই সম্পর্কে পরস্পর খালাত ভাই

                হযরত বাহার উদ্দিন জাকারিয়া মুলতানী (রঃ) এর দুপুত্র ছিল সৈয়দ বদরউদ্দিন (রঃ) অতি উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন আল্লাহর ওলী ছিলে এবদরউদ্দিন (রঃ) ওলীই ছিনে আলোচ্য হযরত শাহ্ নিয়মতউল্লাহ (রঃ) সাহেবের পূর্ব পুরুষ

                হযরত বদরউদ্দিন (রঃ) ছিলেন দিল্লীর সুলতান মুহাম্মদ ঘুরির রাজ কাজী এবং বিখ্যাত ব্যাক্তিত্ব তিনি গজনী হতে মুহাম্মদ ঘুরির সাথে দিল্লী আসেন এবং হাসনী নামক স্থানে বসবাস করেন মুহাম্মদ ঘুরি হতে বাদশা  আকবরের রাজত্বকাল পর্যন্ত সৈয়দ বদরউদ্দিন (রঃ) এর বংশধরগণ হাসনীতেই বসবাস করেন বংশের লোকেরা প্রাচীন কাল হতে কাজীর পদ অলংকৃত কওে আসছিলেন সৈয়ধ মোশাররফ হোসেন সাহেব শাহ্ নিয়মতউল্লাহ (রঃ) এর দাদা ছিলেন ভারতে মোগল ¤্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বাদশা হুমায়ুনের সময় তিনি কাজীর পদ হতে ইস্তফা দেন পরবর্তীকালে তিনি হানসী হতে নারনুলে চলে আসেন১২৬ অতপর সৈয়দ মোশাররফ তার ছেলে সৈয়দ আতাউল্লাহ (রঃ) কে নিয়ে দিল্লীর কার্নালে মতান্তে দিল্লী প্রদেশের কনৌলে বসতী স্থাপন করেন এখানে শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ (রঃ) জন্ম গ্রহন করেন তার সঠিক জন্ম তারিখ পাওয়া যায় না তবে মাওলানা ওবায়দুল হকের বাংলাদেশের পীর আওয়ালীয়াগণ গ্রন্তের তার জন্ম ১৫৬৫-১৫৭০ খ্রি: মধ্যে বলে অনুমান উল্লেখ করেন হযরত শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ (রঃ) এর প্রকৃত নাম ছিল সৈয়দ জামাল উদ্দীন মোহাম্মদ এবং তিনি শপ্তদশ শতাব্দীর বাংলার কাদেরিয়া গোষ্ঠীর একজন সূফী

                পক্ষান্তরে রুদে কাওসার নামক ফারসী গ্রন্থের প্রনেতা ডাক্তার শেখ মোহাম্মদ একরামের মতে, শাহ সাহেব সুলতান রাজ্য খান তুরকো মানের আমলেই জন্ম গ্রহন করেন কাশ্মীরের অন্তর্গত নার নাওয়াল শহরে হযরত শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ (রঃ) জন্ম গ্রহন করেন বলে পরবর্তী কালে তিনি ওলীয়ে কাশ্মীর নামেও অভিহিত হতেন

                হযরত শাহ্ নিয়ামত উল্লাহ (রঃ) এর প্রখর স্মৃতি শক্তি ছিল তিনি আড়াই বছর কথা বলা কোরআন শরীফ শিক্ষা আরম্ভ করেন চার বছর চার মাস সময়ে তিনি পবিত্র কোরআন শরীফ খতম করেন অতঃপর শেখ শাদী এর গোলেস্থা (গুলেস্থা) নামক গ্রন্থ হতে দ্বিনী শিক্ষা আরম্ভ করেন

                মাত্র তিন বছর বয়সে হযরতের স্নেহমহ জননী এবং চার বছর বয়সে পিতা হযরত সৈয়দ আতাউল্লাহ সাহেবও জান্নাতবাসী হন পরবর্তীকালে তিনি নার নুলের শাসনকর্তা রাজু খান (সম্পর্কে হযরতের ফুফা) এর সহধর্মনির ¯স্নেহের প্রতি পালিত হতে থাকেন মাত্র তের বছর বয়সে হযরত শাহ নিয়ামত উল্লাহ (রঃ) হাদীস, তাফসীর, ফিকাহ্ শাস্ত্রে বুৎপত্তি অর্জন করেন এর পাশাপাশি যুদ্ধ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠে সে সময় হতে শাহ্ (রঃ) এর সার্বিক পান্ডিতের খ্যাতি হু হু করে চতুর্দিকে দিগন্ত প্রসারিত হয়ে পড়ে

                এক সময়  তিনি জাহিরি এলমের সাথে সাথে বাতিনি এলম হাসিলের লক্ষ্যে গভীর রজনীতে সকলের মায়াজাল ছিন্ন করে ঘর ছাড়লেন দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে একসময় হায়দ্রাবাদে এসে পৌছালেন সে সময় হায়দ্রাবাদে বাস করতেন বিখ্যাত পীর মোকাম্মেল ওয়ালী হযরত শেখ মোহাম্মদ কুদ্দেসা শিররুহ (রঃ) শাহ্ সাহেব তার নিকট দিক্ষা গ্রহন করেন অতঃপর শীয় মুর্শিদের অনুমতিক্রমে তিনি দৌলাতাবাদে আসেন সময় সেখানে বিদ্যাসাগর হাকিম জিবরাইল নামে এলেম হেকমতে একজন বিচক্ষন আলেমের আস্তানা ছিল হযরত শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ (রঃ) সাহেব সেখানে যথাযথভাবে সমাদৃত হয়ে ছিলেন তার অপূর্ব স্মরনশক্তি মেধা দেখে হাকীম সাহেব পরম পরিতুষ্ট হন অতি অল্প সময়ের ব্যবধানে শাহ্ সাহেব জাহেরী এলেম, দর্শন, বিজ্ঞান ভিত্তিক তর্ক শাস্ত্র এবং হিকমতে (বিজ্ঞান ) বিশেষ বুৎপত্তি অর্জন করেন এক সময় হযরত হাকীম জিবরাইল (রঃ) নিজ ইচ্ছাই তার কন্যার সাথে বিবাহ মুবারক সুসম্পন্ন করেন বিভিন্ন সময় শাহ সাহেবের নিকট বহু রাষ্ট্রীয় পদের আমন্ত্রন আসে কিন্তু খনিকের সুখ শান্তিকে অগ্রাহ্য করে চিরদিনের জন্য আল্লাহ পাকের রাস্তায় অগ্রসহ হন একরাতে সংগোপনে তিনি শীয় ওস্তার শ্বশুর গৃহ ত্যাগ করেন এবং কয়েকদিন পর তিনি তার পীর শেখ মোহাম্মদ কুদ্দেসা শীররুহ (রঃ) এর দরবারে হাজীর হন হযরত শাহ নিয়ামত উল্লাহ (রঃ) অত্যন্ত পীর ওয়ালী ভক্ত ছিলেন একদিন শীয় পীরের নির্দেশে গৌড়ের ফিরোজপুরে বসবাসের অনুমতি পান লক্ষে তিনি ফিরোজপুর আসার পথে প্রথমতঃ তিনি তৎকালীন বাংলার রাজধানী রাজমহলে আগমন করেন সময় বাংলার সুবাদার (গর্ভনর) ঠিলেন সম্রাটশাহাজাহানের পুত্র শাহ্ সুজা সম্রাটশাজাহান ১৬২৮১৬৫৮ খ্রিঃ পর্যন্ত দিল্লীর মহান সম্রাটঠিলেন সময়ে শাহ্ সুজা তাকে অত্যন্ত সম্মান প্রদর্শন করেন একই সময়ে তিনি গৌড় নগরীর দক্ষিণে বর্তমান ঐতিহাসিক ছোট সোনা মসজিদ এর অর্ধ কিঃমিঃ উত্তর পশ্চিমের বন্য প্রানী অধ্যূষিত একটি উচু ভুমিতে খানকাহ্ তা বাস স্থান গড়ে তোলেন


 

                অন্য একটি সূত্র মতে, তিনি কর্মজীবনের প্রারম্ভিক পর্যায়ে মুঘল সেনাবাহিনীতে যোগ দেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত আধ্যাতিক সাধনায় নিজেকে পরিপূর্ণভাবে উৎসর্গ করার মানসে তিনি চাকুরী ইস্তফা প্রদান করেন তিনি প্রায় ১৬ বছর নির্জনে ধ্যান সাধনা ব্যাপক পরিভ্রমন এবং হযব্রত পালন করে ভারতে ফিওে আসেন তিনি রাজমহলে বসতী স্থাপন সেখানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পরে তিনি ফিরোজপুরে চলে আসেন

                শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ (রঃ) অতি সাধারন জীবন যাপন করতেন তিনি সন্ন্যাসীর ন্যায় ভ্রমন করতেন শাহ্ নিয়ামতউল্লাহ বিশ্বস্থ মুরীদ (অনুসারী) শাহসুজা তার মুর্শিদের (গুরু) জন্য ফিরোজপুরে খানকাহ্ তাহখানা নির্মান করেন সম্রাটশাহজাহান দরবেশের জন্য মদদ--মাশ হিসেবে চার বিঘা জমি দান করে একটি ফরমান জারি করেন  ১০৭৬ হিজরী, ১৬৬৪ খ্রিঃ সম্রাটআওরংজেরব আর একটি ফরমান করে জান্নাতাবাদ সরকারের দরসড়ক পরগণা থেকে তাকে পাচ হাজার রুপি প্রদান করেন

Leave your comments

0
terms and condition.
  • No comments found