Welcome,
Guest
|
|
|
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঝরে পড়া আমের বাণিষ্য জমজমাট ॥ সম্ভব গ্রীন জুস তৈরী
আব্দুর রব নাহিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম পাকা কিছুটা শুরু হলেও পাকা অমের বিকিকিনি এখনো ভালভাবে শুরু হয়নি। আর এই সময়ে জমে উঠেছে কাঁচা আমের বাজার, খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ঝরে পড়া বিপুল পরিমান আম প্রতিদিন যাচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্নস্থানে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের খ্যাতি দেশ জুড়ে , এছাড়া কাঁচা আমের তৈরী বিভিন্ন ধরনের আঁচার অনেকের খাবার টেবিলের অন্যতম উপকরণ। তাই সারা বছররে জন্য বিভিন্ন পদের আচার তৈরীর তাগিদ আজও বাঙ্গালী রমনীরা অনুভব করেন। আর এর মূল উপকরণ কাঁচা আম। আমের জন্য বিখ্যাত জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলমান তাপদাহ ও অনাবৃষ্টিতে প্রতিদিন বিপুল পরিমান আম ঝরে পড়ছে। একসময় পচে নষ্ট হলেও এখন চাহিদা থাকায় ঝরে পড়া আম নিয়ে হচ্ছে জমজমাট বাণিজ্য। ব্যবসায়ীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে এসব আম কিনে বিক্রির জন্য পাঠাচ্ছেন ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্নস্থানে। এসব আম সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ টাকা কেজি দরে কিনে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা কেজি দরে। প্রতিদিন শুধুমাত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট এলাকা থেকেই ২০ ট্রাক আম পাঠানো হয়। গোটা জেলা থেকে যাচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক। ঝরেপড়া আম তরকারি হিসেবে রান্না অথবা আঁচার বানাতে ব্যবহার করার জন্য সাধারণত ক্রেতারা কিনে থাকেন। তবে পাইকারদের দাবি, এবছর ঝরে পড়া আমে কেনা-বেচায় তেমন একটা লাভ হচ্ছেনা তাদের। কারণ গত বছরের চেয়ে পরিবহন খরচ বেড়েছে প্রতি ট্রাকে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উন্নতি হলে, যদিও এই ঝরে পড়া আম থেকে বাণিজ্যিকভাবে গ্রীন জুস তৈরী করা যেতে পারে বলে মনে করেন আঞ্চলিক উদ্যান গবেষণা কেন্দ্র চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম। যা স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারী। আর এটা সম্ভব হলে পাকা আমের পাশাপাশি ঝরে পড়া আমের সর্বাধিক মূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। যা চাষীদের আর্থিক তি পুষিয়ে নিতে সহায়ক হবে বলে আম ব্যবসার সাথে সংশিষ্ট অনেকে মনে কনে। |
The administrator has disabled public write access.
|
|