
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম জানান, জেলার ৫টি উপজেলায় ২৪ হাজার ৮শ ৩০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ এবং প্রায় ১৯ লাখ আমগাছ রয়েছে। আমের মুকুল বের হওয়ার শুরুতেই ৩দফা বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া ও তাপমাত্রার উঠা-নামার মধ্যেও এবার প্রতিটি আমবাগান মুকুলে ছেয়ে গেছে। আম চাষীরাও দীর্ঘদিন ধরে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত।
কানসাটের আম ব্যবসায়ী আনসারুল হক জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ব্যবসায়ীরা বাগান মালিকদের কাছ থেকে কয়েক বছরের জন্য আমবাগান কিনে ব্যবসা করে থাকে। কোনো বছর আমের উৎপাদন একটু খারাপ হলেও পরের বছর পুষিয়ে নেয়ার আশায় এভাবে আমবাগানগুলো কিনে থাকে। গত শনিবার থেকে ৩দিনের বৃষ্টিতে আমচাষীদের ভাগ্য সুপ্রশন্ন হলেও বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী ও মেঘলার কারণে আমের মুকুল নষ্ট এবং আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হতে পারে।
ভোলাহাটের বাগান মালিক সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাদ আছে ‘ফাগুনের বারিধারা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের সারা’, একথা জেনেও মুকুলের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য তারা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক স্প্রে শুরু করেছে।’
তবে আম গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমিরউদ্দিন জানান, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও আমের মুকুলের তেমন ক্ষতি হবে না, তবে বৃষ্টির পর রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া ও বাতাস থাকলে আম উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না।
দাইপুকুরিয়ার শফিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পর মুকুলে যাতে ছত্রাক জাতীয় মরক না লাগে সেজন্য কৃষকরা এখন প্রতিটি আমবাগানে কীটনাশক স্প্রে করছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশাল বরেন্দ্র অঞ্চল জুড়ে গত ১২ বছর ধরে অনেক বড় বড় আমবাগান গড়ে উঠেছে। এখন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, চৌমুহনী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন মোকামের ব্যাপারীরা জেলায় এসে আমের মুকুল দেখে বাগান কেনা-বেচা শুরু করেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সবচেয়ে বড় আমের বাজার কানসাট, শিবগঞ্জ, রহনপুর, মল্লিকপুর, ভোলাহাট, নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বাগানগুলো দফায় দফায় বেচাকেনা হলেও আগামীতে রাজনৈতিক আশঙ্কায় বাগানের দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান সত্রাজিতপুরের আম ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ।